চিনে ঔপনিবেশিক আগ্রাসন
আফ্রিকার মতোই, চীনও ঊনবিংশ শতাব্দীতে ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক শক্তিগুলির আগ্রাসনের শিকার হয়েছিল। চীনের ঔপনিবেশিক শাসন ও বাণিজ্যিক শোষণ মূলত ইউরোপীয় শক্তিগুলির রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক আগ্রাসনের ফল ছিল।
চীন-জাপান যুদ্ধ এবং তার পরিণতি:
১৮৯৫ সালে চীন-জাপান যুদ্ধের পর, জাপান চীনের ফরমোজা দ্বীপ, লিয়াংটাং উপদ্বীপ এবং মাঞ্চুরিয়ার দক্ষিণাংশ দখল করে। এই যুদ্ধে চীনের পরাজয় ও জাপানের আধিপত্য চীনের জন্য একটি বড় শক ছিল, যা পরবর্তীতে ইউরোপীয় দেশগুলোর আগ্রাসন আরও ত্বরান্বিত করে।
ইউরোপীয় শক্তির আগ্রাসন (১৮৯৫-১৮৯৮):
১৮৯৫ থেকে ১৮৯৮ সালের মধ্যে, জার্মানি, ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং রাশিয়া বিভিন্ন অঞ্চলে চীনের উপনিবেশিক দখল করতে শুরু করে।
- জার্মানি কিয়াওচাও দখল করে।
- রাশিয়া পোর্ট আর্থার দখল করে, যা মাঞ্চুরিয়ার এক গুরুত্বপূর্ণ উপকূলীয় এলাকা ছিল।
- ব্রিটেন ওয়েস্ট হাই ওয়েই এলাকা দখল করে নেয়।
- ফ্রান্স দক্ষিণ চীন অধিকারের জন্য চেষ্টা চালায়, তবে চীন পুরোপুরি পরাধীন হয়ে যায়নি।
চীনের প্রতিরোধ এবং পরাধীনতার দিকে এগিয়ে যাওয়া:
এ despite ইউরোপীয় শক্তির আগ্রাসন এবং উপনিবেশিক শোষণ, চীন সম্পূর্ণ পরাধীন হয়ে যায়নি। চীন একটি বৃহৎ এবং ঐতিহ্যবাহী জাতি ছিল, যার ফলে ইউরোপীয় শক্তিগুলি সরাসরি পুরোপুরি শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। তবুও, চীনের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি আঘাত হানে এবং ইউরোপীয় শাসন চীনে নতুন রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করে।
চীনে অব্যাহত ঔপনিবেশিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা:
এছাড়া, বিভিন্ন ঔপনিবেশিক শক্তি নিজেদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় একে অপরের সাথে প্রতিযোগিতা করতে থাকে। চীনের দক্ষিণাঞ্চল এবং বাণিজ্যিক পথ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য, এ দেশগুলির মধ্যে বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে ধ্রুব উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল।
Join our membership to access all the study materials for Class 9 ITIHAS WBBSE MADHYAMIK and enhance your preparation.
Visit: https://skillyogi.org/student-registration-cbseGet the study notes for better understanding and a comprehensive preparation for exams.
Visit: https://skillyogi.org/wbbse-class-10-itihas-history-study-notes