চিন ও আফ্রিকার ব্যবচ্ছেদ
আফ্রিকার ব্যবচ্ছেদ:
১৮৮১ থেকে ১৯১৪ সালের মধ্যে, ইউরোপীয় শক্তিগুলো আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপনে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ১৮৭০ সালে, আফ্রিকার মাত্র ১০% অংশ ইউরোপীয় ঔপনিবেশিকদের অধীনে ছিল, কিন্তু ১৯১৪ সালের মধ্যে এটি বেড়ে ৯০% হয়ে যায়। আফ্রিকা দখলের জন্য ইউরোপীয় শক্তিগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা চরম আকার ধারণ করে।
বার্লিন কনফারেন্স:
১৮৮৪-৮৫ সালে বার্লিন কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে আফ্রিকাকে দখল করার নিয়মকানুন নির্ধারণ করা হয়। এই সম্মেলনে দাস প্রথার নিন্দা করা হয়, কঙ্গো নদীর অববাহিকা বেলজিয়ামের কাছে চলে যায়, অন্য দেশকে না জানিয়ে উপনিবেশ স্থাপন নিষিদ্ধ করা হয় এবং আধিপত্য বিস্তারের আগে অঞ্চল দখল করা বাধ্যতামূলক করা হয়।
আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলের দখল:
- ব্রিটেন আফ্রিকার সুদান, নাইজেরিয়া, কেনিয়া, উগান্ডা এবং কেপ কলোনি দখল করে।
- দক্ষিণ আফ্রিকায় স্থানীয় বুয়োর জনগোষ্ঠীর সাথে যুদ্ধ শুরু হয়।
- ফ্রান্স সেনেগাল, মালি, নাইজার এবং আলজিরিয়া দখল করে।
- জার্মানি আফ্রিকার পূর্ব এবং দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ দখল করে।
- ইতালি সোমালিল্যান্ড বা ইরিট্রিয়ার কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণে নেয়।
- ওলন্দাজরা নাটাল, ট্রান্সভাল ও অরেঞ্জ নদীর উপত্যকাতে উপনিবেশ গড়ে তোলে। পরে, ব্রিটেন এগুলোকে একত্রিত করে “ইউনিয়ন অফ সাউথ আফ্রিকা” নামে পরিচিতি দেয়।
আফ্রিকার মধ্যে বিরোধ:
আফ্রিকার সুদান, মরক্কো এবং দক্ষিণাঞ্চল নিয়ে ব্রিটেন, জার্মানি এবং ফ্রান্স এর মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এই ঔপনিবেশিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং বিশ্ববাণিজ্য আফ্রিকার রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক কাঠামোকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছিল।
চিনের ব্যবচ্ছেদ:
চীনেও ইউরোপীয় শক্তিগুলো তাদের বাণিজ্যিক স্বার্থ এবং আর্থিক প্রভাব বিস্তার করতে চেয়েছিল। ১৮৪২ সালে নানজিং চুক্তি এর মাধ্যমে ব্রিটেন চীন থেকে হংকং লাভ করে। পরে, অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলিও চীনে নির্ধারিত বাণিজ্য অঞ্চল গড়ে তোলে। এই সব কার্যক্রম চীনের ভূখণ্ডের শোষণ এবং ঔপনিবেশিক প্রভাব তৈরি করতে সহায়ক হয়।
Join our membership to access all the study materials for Class 9 ITIHAS WBBSE MADHYAMIK and enhance your preparation.
Visit: https://skillyogi.org/student-registration-cbseGet the study notes for better understanding and comprehensive exam preparation.
Visit: https://skillyogi.org/wbbse-class-10-itihas-history-study-notes