নব্য বেদান্তবাদ (Neo-Vedanta)
নব্য বেদান্তবাদ, বিবেকানন্দ এর ধর্ম চিন্তার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল। এটি প্রাচীন অদ্বৈতবাদ (Advaita Vedanta) এর আধুনিক ব্যাখ্যা। বিবেকানন্দ মনে করতেন জীবজগতে সবস্থানে ব্রহ্ম (Brahman) এর উপস্থিতি রয়েছে। তিনি বিশ্বাস করতেন যে ব্রহ্ম সবকিছুর মধ্যে বিরাজমান, এবং মানব সেবার মাধ্যমেই ব্রহ্ম সেবা করা সম্ভব। তাঁর বিখ্যাত উক্তি ছিল, “জীবে প্রেম করে যেইজন সেইজন সেবিছে ঈশ্বর”।
প্রাচীন অদ্বৈতবাদে বলা হয়, “ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা” অর্থাৎ ব্রহ্ম ছাড়া জগৎ বা কোনো কিছুই প্রকৃত নয়। বিবেকানন্দ এর মতে, সাধারণ মানুষের সেবা করাই হল ব্রহ্মের সেবা। প্রতিটি মানুষের মধ্যে ঈশ্বরের উপস্থিতি রয়েছে, এবং সেই কারণে, সব শ্রেণীর মানুষের সেবার গুরুত্ব অপরিসীম।
নব্য বেদান্তবাদের বৈশিষ্ট্য
নব্য বেদান্তবাদ একটি আধুনিক দর্শন যেখানে কর্মের গুরুত্ব বেশি দেওয়া হয়। এতে, মানুষের আত্মার বিকাশ ও সমাজের কল্যাণে অংশগ্রহণের উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়। বিবেকানন্দ তাঁর দর্শনকে বিশ্বজনীনভাবে গ্রহণযোগ্য করে তোলেন, যেখানে মানবতা, সাম্য ও সবার জন্য সমান সুযোগের কথা বলা হয়।
বিবেকানন্দের শিক্ষা
বিবেকানন্দ বলেন, প্রত্যেক শ্রেণী বা জনগণের উপযোগী সাধন পথ আছে। তাদের সেই পথে জীবন অতিবাহিত করা উচিত। তিনি মনে করতেন, ব্রহ্ম বা ঈশ্বরের প্রকৃত উপলব্ধি মানবজীবনের সর্বোচ্চ লক্ষ্য হতে হবে। তাঁর মতবাদ অনুযায়ী, সমাজে ধর্মের প্রকৃত উপলব্ধি সম্ভব মানব সেবা ও আত্মোন্নয়নের মাধ্যমে।
বিস্তারিত বর্ণনা
নব্য বেদান্তবাদ প্রাচীন অদ্বৈতবাদ এর নতুন এক রূপ যেখানে কর্ম বা দৈনন্দিন কাজ এর মাধ্যমেও ব্রহ্মের সাথে ঐক্য লাভ সম্ভব বলে মনে করা হয়। এর মাধ্যমে একজন ব্যক্তি নিজের জীবনে আধ্যাত্মিক জ্ঞান অর্জন করতে পারে এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়। বিবেকানন্দ এর এই মতবাদ প্রাচীন ও আধুনিক যুগের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করেছে, যেখানে মানুষের আধ্যাত্মিকতার পাশাপাশি তার সামাজিক দায়বদ্ধতা ও দায়িত্ব পালন জরুরি।
Take membership to access all content at https://skillyogi.org/student-registration-cbse
Buy the book at https://skillyogi.org/wbbse-class-10-itihas-history-study-notes