যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন – চতুর্থ অধ্যায়: শিল্পবিপ্লব, উপনিবেশবাদ, সাম্রাজ্যবাদ – Class 9 Itihas WBBSE Madhyamik

যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন

ঔপনিবেশিক শক্তিবর্গ উপনিবেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটায়। এর উদ্দেশ্য ছিল শিল্পজাত পণ্য রপ্তানি ও কাঁচামাল আহরণ। এই যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য, সামরিক কার্যক্রম এবং সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান আরও ত্বরান্বিত হয়েছিল।

রেলপথ বিস্তার:

ইংল্যান্ডে প্রথম ঘোড়ায় টানা রেল চলাচল শুরু হয়। ১৮২৫ সালে প্রথম ইঞ্জিনে টানা রেলগাড়ি চলাচল শুরু হয়। ফ্রান্সে ১৮২৭, জার্মানিতে ১৮৩৫, এবং রাশিয়ায় ১৮৫১ সালে রেলগাড়ি চালু হয়। রেলপথ বিস্তারের মূল উদ্দেশ্য ছিল সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থ পূরণ এবং উপনিবেশে বাণিজ্য সহজ করা। ভারতে ব্রিটিশরা রেলপথ বিস্তার করে তুলো, কাঁচা পাট, কয়লা, লোহা ইত্যাদি সহজে ইংল্যান্ডে পাঠানোর জন্য। ব্রিটিশদের সামরিক উদ্দেশ্যও ছিল ভারতে রেলপথ বিস্তারের অন্যতম কারণ।

সুয়েজ খাল:

১৮৬৯ সালে সুয়েজ খাল খনন করা হয়, যা ভূমধ্যসাগরলোহিত সাগরকে সংযুক্ত করে। এই খাল খননের ফলে ইউরোপ থেকে এশিয়ায় আসা সহজ হয়ে যায়, ফলে বাণিজ্যে সময় কম লাগে। এর ফলে এশিয়ার বণিকদের সাথে ইউরোপীয় বণিকদের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হয়। সুয়েজ খাল খননের পেছনে ব্রিটেন ও ফ্রান্সের ঔপনিবেশিক স্বার্থও ছিল, কারণ এটি তাদের বাণিজ্যিক লাভ বাড়ানোর একটি উপায় ছিল।

টেলিগ্রাফের প্রচলন:

টেলিগ্রাফের মাধ্যমে দ্রুত সংবাদ একস্থান থেকে অন্য স্থানে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়। ১৮০৯ সালে স্যামুয়েল মোর্স প্রথম টেলিগ্রাফ আবিষ্কার করেন। ১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দে বৈদ্যুতিক টেলিগ্রাফ আবিষ্কার হয়। ১৮৭০ সালে টমাস এডিসন টেলিগ্রাফের উন্নত রূপ আবিষ্কার করেন। ১৮৮৭ সাল থেকে বৈদ্যুতিক টেলিগ্রাফের ব্যবহার শুরু হয়। তড়িৎচুম্বকীয় টেলিগ্রাফের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটে। ঔপনিবেশিক শাসকগণ উপনিবেশের খবর দ্রুত সরবরাহ করতে শুরু করে যা সাম্রাজ্যবাদকে শক্তিশালী করে।

To access all the study materials, join our membership and get a full understanding of the topic.
Visit: https://skillyogi.org/student-registration-cbseGet the book to strengthen your preparation for Class 9 Itihas WBBSE Madhyamik
Visit: https://skillyogi.org/wbbse-class-10-itihas-history-study-notes

error: Content is protected !!
Scroll to Top
×