সাম্রাজ্যবাদী শক্তির সংঘাত
১৮৭০ থেকে ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়কে ইউরোপে “সাম্রাজ্যবাদের যুগ” বা নয়া-সাম্রাজ্যবাদ হিসেবে পরিচিত। এই সময়ে, ইউরোপীয় দেশগুলির মধ্যে উপনিবেশ প্রতিষ্ঠা ও বাণিজ্যিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছিল।
ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের আধিপত্য:
এই সময়ে ইংল্যান্ড এবং ফ্রান্স প্রধান সাম্রাজ্যবাদী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ছিল। তারা আফ্রিকা, এশিয়া এবং বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে তাদের উপনিবেশ প্রতিষ্ঠা করতে তৎপর ছিল। উভয় দেশ তাদের বাণিজ্যিক স্বার্থ রক্ষায় প্রতিযোগিতা করছিল এবং একে অপরের সঙ্গে উপনিবেশগত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিপ্ত ছিল। এই সময়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ উপনিবেশী শক্তি।
জার্মানি ও ইতালির উত্তরণ:
কিছু সময় পর, জার্মানি ও ইতালি সাম্রাজ্যবাদী শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামে। জার্মানি, বিশেষভাবে, তাদের সামরিক শক্তি এবং প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের
মাধ্যমে নতুন উপনিবেশ তৈরি করতে চেয়েছিল এবং এটি তাদের বিশ্ববাণিজ্যে আধিপত্য বিস্তারের আকাঙ্ক্ষাকে দৃঢ় করে।
রাশিয়া, জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগমন:
পরবর্তীতে, রাশিয়া, জাপান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও এই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশগ্রহণ করে। রাশিয়া তার পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার করতে চেয়েছিল, জাপান এশিয়ার উপর সাম্রাজ্যবাদী প্রভাব তৈরি করতে চেয়েছিল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার পশ্চিমাঞ্চল এবং হাওয়াই দখল করে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়।
প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং বিশ্বযুদ্ধ:
এই সাম্রাজ্যবাদী শক্তির মধ্যে বিরোধ এবং সংঘাত ছিল অনেক তীব্র, যা পরবর্তীতে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পটভূমিকা তৈরি করে। বিশ্বযুদ্ধের পেছনে ছিল এই সাম্রাজ্যবাদী শক্তির মধ্যে ক্ষমতা দখল, বাণিজ্যিক দখল এবং আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রতিযোগিতা।
Join our membership to access all the study materials for Class 9 ITIHAS WBBSE MADHYAMIK and enhance your preparation.
Visit: https://skillyogi.org/student-registration-cbseGet the study notes for better understanding and a comprehensive preparation for exams.
Visit: https://skillyogi.org/wbbse-class-10-itihas-history-study-notes