১৯৪৭-এর পর উদ্বাস্তু সমস্যা
১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের ফলে ভারত ও পাকিস্তান উভয় রাষ্ট্রেই বিশাল সংখ্যক মানুষ নিজের জন্মভূমি ছেড়ে উদ্বাস্তু হয়ে পড়ে। এই ঘটনাকে ইতিহাসে ‘বৃহত্তম গণ পরিযান’ বলা হয়। দেশভাগোত্তর, দাঙ্গা, লুট, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ ও নির্যাতন এর ঘটনা ঘটে, যা এক বিশাল মানবিক সংকট তৈরি করে।
উদ্বাস্তু সমস্যার পরিমাণ
এই পরিস্থিতিতে প্রায় এক কোটি মানুষ শরণার্থী অবস্থায় ভুগতে থাকে। বহু পরিবার ভেঙে যায় এবং অনেকেই পথিমধ্যে প্রাণ হারান। প্রায় এক লক্ষ নারী ধর্ষণের শিকার হন এবং ৫০ হাজার অবৈধ শিশুর জন্ম হয়। এই পরিমাণে শরণার্থী সমস্যা ভারতের জন্য একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।
ধর্মীয় ভিত্তিতে উদ্বাস্তুদের স্থানান্তর
পূর্ব পাকিস্তানের হিন্দু সম্প্রদায় তাদের ধর্ম ও জীবন রক্ষার্থে পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ত্রিপুরা-এ আশ্রয় নেয়। অন্যদিকে, পশ্চিম পাকিস্তানের শিখ ও হিন্দু সংখ্যালঘুরা ভারতের পূর্ব পাঞ্জাব ও আশেপাশের রাজ্যে চলে আসে। তবে, ভারতে আগত উদ্বাস্তুর সংখ্যা পাকিস্তানে গিয়ে বসবাসকারীদের চেয়ে বেশি ছিল।
উদ্বাস্তু সমস্যা: পশ্চিমবঙ্গ ও পূর্ব পাঞ্জাব
পশ্চিমবঙ্গ ও পূর্ব পাঞ্জাব এর মতো রাজ্যগুলিতে উদ্বাস্তু সমস্যা সবচেয়ে বেশি প্রকট হয়ে দেখা দেয়। হাজার হাজার অসহায় উদ্বাস্তু পরিবারদের আশ্রয় এবং তাদের নতুন জীবনের পথ তৈরি করা ছিল সরকারের জন্য এক কঠিন চ্যালেঞ্জ।
উদ্বাস্তুদের আর্থিক দায়ভার
নবজাত ভারতের পক্ষে এত বড় সংখ্যক উদ্বাস্তুদের আর্থিক দায়ভার বহন করা ছিল অত্যন্ত চরম চ্যালেঞ্জিং। উদ্বাস্তুদের বসবাসের জন্য উপযুক্ত জায়গা, খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষার ব্যবস্থা করা একটি বিশাল দায়িত্ব ছিল। এই পরিস্থিতি দেশের জন্য এক জটিল অবস্থা তৈরি করে এবং অস্থিরতা সৃষ্টি করে।
দেশভাগের প্রভাব ও সমাধান
দেশভাগের পর, পাকিস্তান এবং ভারত উভয় দেশই শরণার্থী গ্রহণ এবং পুনর্বাসনকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে নিয়েছিল। তবে, এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবগুলো সমাজের ধর্মীয়, সামাজিক এবং রাজনৈতিক অবস্থা পরিবর্তন করে দেয়।
For full access to CLASS 10 ITIHAS WBBSE study materials, become a member:
https://skillyogi.org/student-registration-cbse
Also, buy the ITIHAS History Study Notes for your exam preparation:
https://skillyogi.org/wbbse-class-10-itihas-history-study-notes