অ্যান্টি-সার্কুলার সোসাইটি
১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনের সূচনার পর, ব্রিটিশ সরকার কার্লাইল নামে এক মুখ্যসচিব একটি সার্কুলার জারি করেন। এই সার্কুলারে বলা হয়েছিল যে, ছাত্ররা আর সভার সমিতিতে যোগ দিতে পারবে না এবং ‘বন্দেমাতরম’ স্লোগান দেওয়া নিষিদ্ধ করা হয়। এই দমনমূলক পদক্ষেপের প্রতিবাদে, কলকাতার রিপন কলেজ (বর্তমানে সুরেন্দ্রনাথ কলেজ) এর ছাত্রনেতা এবং সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুসারী শচীন্দ্রপ্রসাদ বসু ছাত্রদের একত্রিত করে একটি সংগঠন গঠন করেন, যার নাম ছিল ‘অ্যান্টি-সার্কুলার সোসাইটি’।
সংগঠনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য
অ্যান্টি-সার্কুলার সোসাইটি গঠন করার উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশ সরকারের দমনমূলক নীতি এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো এবং ছাত্রদের সামাজিক ও রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এই সংগঠনের প্রধান লক্ষ্য ছিল:
- সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কৃত ছাত্রদের শিক্ষার ব্যবস্থা করা।
- বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলন কে আরও শক্তিশালী ও উজ্জীবিত করা।
সংগঠনের নেতৃবৃন্দ
এই সোসাইটির প্রধান সভাপতি ছিলেন কৃষ্ণকুমার মিত্র, এবং সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন শচীন্দ্রপ্রসাদ বসু। তাদের নেতৃত্বে, এই সংগঠনটি বাংলার ছাত্র সমাজকে একত্রিত করে আন্দোলনকে আরও প্রভাবশালী করে তুলেছিল।
প্রতিক্রিয়া ও প্রভাব
অ্যান্টি-সার্কুলার সোসাইটি এর কার্যক্রম ব্রিটিশ সরকারের এই নীতির বিরুদ্ধে উদ্বুদ্ধকারী ভূমিকা পালন করে। এটি ছাত্রদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা সৃষ্টি করেছিল এবং আন্দোলনকে আরও জাতীয়তাবাদী চিন্তাধারায় গড়ে তুলেছিল। ছাত্ররা তাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে এক জোরালো প্রতিবাদ গড়ে তোলে।
প্রতিরোধ এবং ঐক্য
এই সংগঠনটি ছাত্রদের মধ্যে একতা তৈরি করতে সহায়তা করেছিল এবং বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন এর অংশ হিসেবে ছাত্রদের অনুপ্রাণিত করেছিল। এর মাধ্যমে, ছাত্ররা দেখিয়ে দিয়েছিল যে তারা শুধুমাত্র নিজেদের অধিকার নয়, বরং দেশমাতার স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করছে।
To get full access to study materials and detailed chapters for CLASS 10 ITIHAS WBBSE, become a member:
https://skillyogi.org/student-registration-cbse
Also, buy the ITIHAS History Study Notes to help you with your exam preparation:
https://skillyogi.org/wbbse-class-10-itihas-history-study-notes