আজাদ হিন্দ ফৌজের নারীবাহিনী
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বে গঠিত আজাদ হিন্দ ফৌজ (Indian National Army) ছিল ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি অন্যতম শক্তিশালী বাহিনী। নেতাজি উপলব্ধি করেছিলেন যে নারীদের সহযোগিতা ছাড়া ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্পূর্ণ হতে পারে না। তাই তিনি আজাদ হিন্দ ফৌজে একটি নারীবাহিনী গঠনের উদ্যোগ নেন, যা ছিল এশিয়ার প্রথম নারী সেনাবাহিনী। এই বাহিনীকে ‘ঝাঁসির রানী ব্রিগেড’ বা ‘ঝাঁসি বাহিনী’ নামকরণ করা হয়।
ক্যাপ্টেন লক্ষ্মী স্বামীনাথনের নেতৃত্ব
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে, সিঙ্গাপুর-প্রবাসী ভারতীয় চিকিৎসক ডাক্তার লক্ষ্মী স্বামীনাথন নিজের পেশা ছেড়ে এই নারীবাহিনীর নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। ক্যাপ্টেন লক্ষ্মী নামে তিনি সুপরিচিত হন এবং ঝাঁসির রানী ব্রিগেড এর নেতৃত্বে মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেন। লক্ষ্মী স্বামীনাথন এর নেতৃত্বে, নারীরা ভারী রাইফেল ধারণ করে এবং শাড়ির আঁচল কোমরে জড়িয়ে ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেন।
প্রথম প্রশিক্ষণ এবং গার্ড অফ অনার
নেতাজির আগমনের খবর পেয়ে, লক্ষ্মী স্বামীনাথন প্রায় কুড়িজন মহিলাকে নিয়ে তিন দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ দেন যাতে তারা নেতাজিকে গার্ড অফ অনার দিতে পারেন। এই মহিলারা শাড়ি পরিধান করে, তাদের হাতে রাইফেল ধারণ করে স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। এই প্রশিক্ষণ তাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি তৈরি করে।
ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার
দুর্ভাগ্যক্রমে, ১৯৪৫ সালের মে মাসে, ক্যাপ্টেন লক্ষ্মী এবং তার বাহিনীর অন্য সদস্যরা ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। তবে তাদের সাহসিকতা, সংগ্রামী মনোভাব এবং নারীশক্তির অবদান ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকে।
আজাদ হিন্দ ফৌজের নারীবাহিনী এবং ক্যাপ্টেন লক্ষ্মী ছিলেন নারীদের সাহসিকতা ও সামাজিক ভূমিকা এর এক অনন্য উদাহরণ, যা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামকে শক্তিশালী করেছে।
For detailed study materials and full access to CLASS 10 ITIHAS WBBSE content, take our membership:
https://skillyogi.org/student-registration-cbse
Also, buy the ITIHAS History Study Notes for your exam preparation:
https://skillyogi.org/wbbse-class-10-itihas-history-study-notes