ভারতমাতা চিত্র
শিল্পকলার মাধ্যমে জাতীয়তাবোধ জাগানোর কাজে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান ছিল বিশাল। ঠাকুর পরিবারের সদস্য এবং খ্যাতনামা চিত্রশিল্পী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উল্লেখযোগ্য চিত্রগুলির মধ্যে ‘নির্বাসিত যক্ষ’, ‘ভারতমাতা’, এবং ‘শাহজাহানের মৃত্যু’ অন্যতম। এই চিত্রগুলির মধ্যে ‘ভারতমাতা’ চিত্রটি জাতীয়তাবোধের প্রসারে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে।
১৯০৫ সালে ভারতমাতা চিত্রটি অঙ্কন করেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, যা স্বদেশী আন্দোলনের সময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্পকর্ম হিসেবে গণ্য হয়। এই চিত্রটি নবজাগ্রত ভারতীয়দের মধ্যে জাতীয়তাবাদী চেতনা জাগিয়ে তোলে এবং বঙ্গভঙ্গ বিরোধী স্বদেশী আন্দোলনে অনুপ্রেরণা যোগায়।
চিত্রটির মধ্যে, ভারতমাতা হিন্দু দেবী লক্ষীর অনুকরণে চতুর্ভুজা (চার হাত) রূপে অঙ্কিত হয়েছেন। তার হাতে অস্ত্রের পরিবর্তে রয়েছে বেদ, ধানের শীষ, জপের মালা এবং শীতবস্ত্র, যা ভারতীয় সভ্যতা, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের প্রতীক। এই চিত্রটি ছিল ভারতের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতীক, যা ভারতের জাতীয় ঐক্য এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য শক্তিশালী এক প্রতীক হয়ে উঠেছিল।
এছাড়া, ভগিনী নিবেদিতা এই চিত্রটির প্রশংসা করেন, যা ভারতের ঐতিহ্য এবং সভ্যতার গুরুত্ব বোঝানোর পাশাপাশি দেশপ্রেম ও একতার বার্তা দেয়।
ভারতমাতা চিত্রটি কেবল একটি চিত্রকর্ম ছিল না, এটি জাতীয় চেতনা এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি জনগণের আগ্রহ ও সজাগতার উদ্রেক করে। এর মাধ্যমে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতীয় জনগণের মধ্যে একতা, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সম্পর্কে একটি শক্তিশালী বার্তা প্রদান করেন। এই চিত্রটি স্বদেশী আন্দোলন এবং ভারতীয় জাতীয়তাবোধের গৌরবময় প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়।
For more detailed study and exclusive access to content, join our membership at:
https://skillyogi.org/student-registration-cbse
To purchase the study book for Class 10 History (WBBSE), click here:
https://skillyogi.org/wbbse-class-10-itihas-history-study-notes