বিসমার্কের রক্ত ও লৌহনীতি
অটোভন বিসমার্ক ১৮৬২ সালে প্রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি ছিলেন একজন রাজতন্ত্রের সমর্থক এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিশ্বাসী ছিলেন না। বিসমার্ক বিশ্বাস করতেন যে জার্মানির ঐক্য রক্ত ও লৌহ নীতির মাধ্যমেই সম্ভব। এর মানে হলো, সামরিক শক্তির প্রয়োগই ছিল তার মূল মাধ্যম, যেখানে বক্তৃতা বা প্রস্তাব এর কোনো স্থান ছিল না।
১৮৬৪ সালে, শ্লেজউইগ ও হলস্টেইন প্রদেশ নিয়ে ডেনমার্কের সাথে প্রাশিয়ার যুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধে ডেনমার্ক পরাজিত হয়, এবং পরাজয়ের ফলে প্রদেশ দুটি প্রাশিয়া এবং অস্ট্রিয়া এর মধ্যে ভাগ হয়ে যায়।
বিসমার্ক অস্ট্রিয়াকে পরাজিত করার উদ্দেশ্যে তাকে মিত্রহীন করে ফেলেন। তিনি রাশিয়া, ইটালি, এবং ফ্রান্সকে অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে যাওয়ার জন্য প্ররোচিত করেন। এর ফলে, ১৮৬৬ সালে অস্ট্রিয়ার সাথে প্রাশিয়র যুদ্ধ শুরু হয়। সাত সপ্তাহ ব্যাপী এই যুদ্ধে, অস্ট্রিয়া পরাজিত হয় এবং প্রাগের সন্ধির মাধ্যমে যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে।
অস্ট্রিয়াকে পরাজিত করার পর, প্রাশিয়া ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধের দিকে অগ্রসর হয়। ফ্রান্স প্ররোচিত হয়ে, ১৮৭০ সালে প্রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এই যুদ্ধে সেডান এ ফরাসি সম্রাট তৃতীয় নেপোলিয়ন প্রাশিয়ার কাছে পরাজিত হন। পরবর্তীতে, ১৮৭১ সালে ফ্রাঙ্কফোর্টের সন্ধির মাধ্যমে এই যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে।
বিসমার্কের নেতৃত্বে পরিচালিত এই যুদ্ধ এবং কূটনীতির মাধ্যমে জার্মানি ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওঠে। এই ঐক্যের ফলে, কাইজার প্রথম উইলিয়াম ঐক্যবদ্ধ জার্মানির প্রথম সম্রাট হিসেবে অভিষিক্ত হন। বিসমার্কের রক্ত ও লৌহনীতি শুধুমাত্র গণতন্ত্রের পরিবর্তে যুদ্ধ এবং কূটনীতির মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে প্রভাবিত করেছিল এবং জার্মানির ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে সহায়ক হয়েছিল।
To access all our detailed study materials and notes, become a member today at: https://skillyogi.org/student-registration-cbse.
To buy the History Study Notes for Class 10 WBBSE, visit: https://skillyogi.org/wbbse-class-10-itihas-history-study-notes.