বসু বিজ্ঞান মন্দির
উনিশ শতকে আধুনিক বিজ্ঞান চর্চায় স্যার জগদীশচন্দ্র বসু (১৮৫৮-১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দ) এর অবদান ছিল অপরিসীম। তিনি প্রকৃতির বিজ্ঞান, বায়োফিজিক্স, রসায়ন, মাইক্রোবায়োলজি, বায়োকেমিস্ট্রি এবং পদার্থ বিজ্ঞান এর মতো নানা শাখায় গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন। ১৯১৭ সালে, প্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যাপনা থেকে বিরতি নিয়ে, তিনি কলকাতায় ‘বসু বিজ্ঞান মন্দির’ বা ‘বোস ইনস্টিটিউট’ প্রতিষ্ঠা করেন, যেখানে আধুনিক বিজ্ঞান বিষয়ক গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি হয়। এই প্রতিষ্ঠানে, তিনি নানা শাখায় মৌলিক গবেষণা পরিচালনা করতে শুরু করেন এবং গবেষণার ফলাফল পত্রিকায় প্রকাশ করতে উদ্যোগী হন, যাতে তা সমাজের কাছে পৌঁছাতে পারে।
মাতৃভাষায় বিজ্ঞান চর্চা এর ক্ষেত্রেও জগদীশচন্দ্র বসু‘র অবদান অনস্বীকার্য। তার বাংলা গ্রন্থ ‘অব্যক্ত’ এ তিনি বিজ্ঞান চর্চার উপর মাতৃভাষায় গবেষণা করার গুরুত্ব তুলে ধরেন, যা পরবর্তী প্রজন্মের বিজ্ঞানীদের জন্য এক নতুন দিক উন্মোচন করে।
এছাড়াও, রেডিও আবিষ্কার এর ক্ষেত্রে তার অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি ক্রেসকোগ্রাফ নামে একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেন, যা উদ্ভিদের প্রাণ এবং তাদের অনুভূতি শক্তি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়। এই যন্ত্রটির মাধ্যমে বিজ্ঞানী সমাজ উদ্ভিদের সজীবতা ও অনুভূতির প্রকৃতি সম্পর্কে নতুন ধারণা লাভ করেন।
বসু বিজ্ঞান মন্দিরে মৌলিক গবেষণার পাশাপাশি, উদ্ভিদবিদ্যা, পরিবেশ বিজ্ঞান, এবং বায়োফিজিক্স এর মতো শাখায় গবেষণা চালানো হয়। তার প্রচেষ্টায়, এই প্রতিষ্ঠানটি একটি গবেষণার কেন্দ্র হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিজ্ঞানী সমাজের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে।
For more detailed study and exclusive access to content, join our membership at:
https://skillyogi.org/student-registration-cbse
To purchase the study book for Class 10 History (WBBSE), click here:
https://skillyogi.org/wbbse-class-10-itihas-history-study-notes