ঔপনিবেশিক শিক্ষার ধারণা
ঔপনিবেশিক শিক্ষার মূল লক্ষ্য ছিল ঔপনিবেশিক শাসনকে মেনে চলবে এমন অনুগত দেশীয় প্রজাতি তৈরি করা। ব্রিটিশ শাসনের প্রতিষ্ঠার জন্য এই শিক্ষাব্যবস্থা প্রয়োজনীয় ছিল, তবে এটি দ্রুত সমালোচনার মুখে পড়ে। এই শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল ভারতীয় আধ্যাত্মিকতার সাথে কোনো সম্পর্কহীন এবং মূলত ভাষা শিক্ষার মাধ্যমে প্রশাসনিক কাজের জন্য কর্মচারী তৈরি করাই ছিল এর উদ্দেশ্য।
এই পদ্ধতি শিক্ষার মাধ্যমে সুন্দর মনের বিকাশ ঘটানোর দিকে কোনো মনোযোগ দেয়নি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই শিক্ষাপদ্ধতিকে ‘প্রেমিকের প্রীতি নয়, কৃপণের আসক্তি’ বলে অভিহিত করেন, যা স্পষ্টভাবে উপনিবেশিক শিক্ষার উদ্দেশ্য এবং তার সীমাবদ্ধতার প্রতি একটি গভীর মন্তব্য।
ব্রিটিশরা ইংরেজি ভাষাকে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে বেছে নেয়, যার ফলে দেশীয় ভাষার ব্যবহার কমে যায় এবং এটি শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট শ্রেণীর মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। এই শিক্ষা ব্যবস্থা সবার জন্য সহজলভ্য ছিল না। ব্রিটিশরা প্রাথমিক শিক্ষার প্রসারে তেমন কোনো প্রাধান্য দেয়নি, যা ছিল একটি বৃহত্তর সমস্যার কারণ।
এছাড়া, খ্রিস্টান মিশনারিগণ বেশিরভাগ সময় খ্রিস্ট ধর্মের প্রচার-প্রসারেই বেশি মনোযোগী ছিলেন, কিন্তু শিক্ষার প্রসারের দিকে মনোযোগ কম ছিল। ভারতীয় ইতিহাস এবং সংস্কৃতির পরিচয় জানার সুযোগ অত্যন্ত সীমিত ছিল, এবং বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রেও যথেষ্ট অগ্রগতি ছিল না।
এই সব কারণে, ভারতের শিক্ষাবিদরা জাতীয় শিক্ষার বিকাশে উদ্যোগী হন। ১৯০৫ থেকে ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে, জাতীয় শিক্ষা পরিষদ স্বদেশী শিক্ষাব্যবস্থা গড়ার প্রচেষ্টা চালায়। এর ফলে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন, যা ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থার বিকল্প হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
উদাহরণ: ‘প্রেমিকের প্রীতি নয়, কৃপণের আসক্তি’ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
For more detailed study and exclusive access to content, join our membership at:
https://skillyogi.org/student-registration-cbse
To purchase the study book for Class 10 History (WBBSE), click here:
https://skillyogi.org/wbbse-class-10-itihas-history-study-notes