দলিত আন্দোলন
বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে, ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে দলিত সম্প্রদায়ের অধিকার আদায়ের জন্য নানা আন্দোলন সংগঠিত হয়। এই সময়ে, দলিত সম্প্রদায়ের মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য বিভিন্ন সমাজ reformer এবং রাজনৈতিক দল গঠন করা হয়, যারা ব্রিটিশ শাসন ও বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালান।
মহারাষ্ট্রের সত্যশোধক সমাজ
মহারাষ্ট্রে, জ্যোতিবা ফুলে একটি ‘সত্যশোধক সমাজ’ নামে সংগঠন গড়ে তোলেন। এই সংগঠনের মাধ্যমে তিনি অস্পৃশ্যতা, বর্ণবাদ এবং শোষণের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন। ফুলে তার জীবনকালের এক বড় দিক ছিল শিক্ষার প্রচার এবং বিরোধী আন্দোলন যেখানে তিনি বিশেষভাবে দলিত সম্প্রদায়কে শিক্ষিত করার জন্য কাজ করেন।
পাঞ্জাবের অকালি ও নানকানা আন্দোলন
পাঞ্জাব এ, অকালি ও নানকানা আন্দোলন শুরু হয়, যেখানে দলিতরা মন্দিরে প্রবেশাধিকার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেন। এই আন্দোলনগুলি ধর্মীয় চেতনা এবং মুক্তির দিক থেকে দলিত সম্প্রদায়ের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে গঠিত হয়।
মাদ্রাজে ‘জাস্টিস পার্টি’
মাদ্রাজ এ ‘জাস্টিস পার্টি’ নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করা হয়, যা দলিত সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক অধিকার এবং শিক্ষার প্রসারের জন্য কাজ করে। এই দলটি তাদের সংগঠনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি করে এবং দলিতদের জন্য বিশেষ সংরক্ষণ দাবি করে।
গান্ধীজি ও হরিজন আন্দোলন
অসহযোগ আন্দোলনের সময়, মহাত্মা গান্ধী দলিতদের উন্নয়নের জন্য নানা উদ্যোগ নেন। তিনি হরিজন আন্দোলন এর মাধ্যমে অস্পৃশ্যতা এবং সামাজিক বৈষম্য দূর করার জন্য সংগ্রাম করেন। গান্ধীজি দলিতদের জন্য সমাজের প্রধান অংশ হিসেবে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চান। তাঁর কর্মসূচি ছিল শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, এবং রাজনৈতিক অধিকার এর উন্নয়ন।
ভাইকম সত্যাগ্রহ
১৯২৪ সালে কেরালায়, নারায়ণ গুরু এর নেতৃত্বে, দলিত সম্প্রদায় ‘ভাইকম সত্যাগ্রহ’ নামে আন্দোলন শুরু করেন। তারা মন্দিরের প্রবেশাধিকারের জন্য এবং বর্ণভেদ ও অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এই আন্দোলন উচ্চশিক্ষা, সরকারি চাকরি, এবং সামাজিক মর্যাদা অর্জনের জন্য ছিল।
বাংলায় নমঃশূদ্রদের আন্দোলন
বাংলায়, প্রমথরঞ্জন ঠাকুর ও যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের উত্থানের জন্য আন্দোলন গড়ে তোলেন। তারা দলিত সম্প্রদায়ের অধিকারের জন্য এবং ভেদাভেদ দূর করতে রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রচার চালান।
দলিত আন্দোলনের গুরুত্ব
দলিত আন্দোলন ভারতের সামাজিক ও রাজনৈতিক কাঠামো পরিবর্তনের জন্য ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি দেশে প্রান্তিক জনগণের অবস্থা এবং তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করেছে। বাবাসাহেব আম্বেদকরের নেতৃত্বে, দলিত সম্প্রদায় সমাজে সমান অধিকার এবং নৈতিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়।
To access all content related to CLASS 10 ITIHAS WBBSE study materials, become a member:
https://skillyogi.org/student-registration-cbse
Also, buy the ITIHAS History Study Notes for your exam preparation:
https://skillyogi.org/wbbse-class-10-itihas-history-study-notes