জার্মানিতে জাতীয়তাবাদী ভাবধারার বহিঃপ্রকাশ | তৃতীয় অধ্যায়: ঊনবিংশ শতকের ইউরোপ: রাজতান্ত্রিক ও জাতীয়তাবাদী ভাবধারার সংঘাত | Class 9 Itihas WBBSE Madhyamik

জার্মানিতে জাতীয়তাবাদী ভাবধারার বহিঃপ্রকাশ

ফরাসি বিপ্লবের আগে, জার্মানি প্রায় তিনশোটি ক্ষুদ্র রাজ্যে বিভক্ত ছিল। নেপোলিয়ন এই রাজ্যগুলোকে একত্রিত করে ‘কনফেডারেশন অফ দ্য রাইন’ নামে ৩৯টি রাজ্যের সমন্বয়ে একটি যুক্তরাষ্ট্র গঠন করেন। এর ফলে, এক ধরনের রাজনৈতিক ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়, যা পরবর্তীতে জার্মানির ঐক্য এর ধারণাকে প্রবল করে তোলে।

তবে, পরবর্তীকালে ভিয়েনা সম্মেলনে অস্ট্রিয়ার আধিপত্য জার্মানির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়, এবং এই অবস্থান থেকে জার্মান ঐক্য ধারণাটি প্যান-জার্মানিজম বা সর্ব-জার্মানবাদ এবং জোলভারেইন নামে দুটি ভিন্নমুখী আন্দোলনের মাধ্যমে বিকশিত হতে থাকে।

জোলভারেইন ১৮১৯ সালে প্রাশিয়ার উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত একটি শুল্কসংঘ ছিল, যেখানে সদস্য রাজ্যগুলোর মধ্যে পণ্য চলাচলে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য নীতি প্রবর্তিত হয়। এই প্রক্রিয়ায়, ১৮৫০ সালের মধ্যে অস্ট্রিয়া ছাড়া প্রায় সব জার্মান রাজ্য এতে যুক্ত হয়। জোলভারেইন জার্মান রাজ্যগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং ঐক্য প্রতিষ্ঠা করে, যা পরবর্তী সময়ে জার্মানির ঐক্যর পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল।

১৮৪৮ সালের ফেব্রুয়ারি বিপ্লব এর ফলে, মেটারনিকতন্ত্রের পতন ঘটে এবং মেটারনিক নিজে দেশ ছেড়ে পালান। এই সময়, ফ্রাঙ্কফুর্ট পার্লামেন্ট নামে পরিচিত একটি সম্মেলনে ৫৮৪ জন প্রতিনিধি মিলিত হন, যাদের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ভোটারদের নির্বাচিত প্রতিনিধি ছিলেন। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল জার্মানির জন্য একটি সংবিধান প্রণয়ন এবং প্রাশিয়ার রাজা চতুর্থ ফ্রেডরিক উইলিয়ামকে ঐক্যবদ্ধ জার্মানির সম্রাট হিসেবে গ্রহণ করা।

এই আন্দোলনগুলি, জার্মান জাতীয়তাবাদী চেতনা এবং ঐক্য প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়ায় সহায়ক ছিল এবং পরবর্তীতে জার্মানির একীকরণ প্রক্রিয়ার পথ তৈরি করে।


To access all our detailed study materials and notes, become a member today at: https://skillyogi.org/student-registration-cbse.
To buy the History Study Notes for Class 10 WBBSE, visit: https://skillyogi.org/wbbse-class-10-itihas-history-study-notes.

error: Content is protected !!
Scroll to Top
×