fbpx

বাংলা- Bangla Language WBBSE Madhyamik Class 10 - জ্ঞানচক্ষু Gyanchokkhu

জ্ঞানচক্ষু Gyanchokkhu STUDY NOTES

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo.

আপনি এখানে শিখবেন এই অধ্যায়ে এবং বিষয়ের ফাউন্ডেশন অংশটা, এই বিষয়টিকে সহজ-সরলভাবে পড়িয়েছেন বিশেষজ্ঞ শিক্ষক ভিডিও লেকচার এর মাধ্যমে এবং এই পুরো অধ্যায়কে চার ভাগে খন্ডিত করে আপনার জন্য তৈরি করা হয়েছে

প্রথম খন্ডে আপনি শিখবেন ফাউন্ডেশন অংশটা যেখানে অধ্যায়ের ব্যাপারে আপনাকে বোঝানো হয়েছে তার মানে definitions,basics গুলো সহজভাবে. এবং এটাকে আপনি বুঝতে পারবেন যেটা আপনাকে পরীক্ষার জন্য ক্রীপের করতে সাহায্য করবে
দ্বিতীয় মডিউলে আপনি শিখবেন MCQ মাল্টিপল চয়েস কোশ্চেন যেটা সাধারণত এক Marks’er আসে পরীক্ষায়
তৃতীয় মডিউলে আপনি শিখবেন শর্ট অ্যানসার এবং কোয়েশ্চেন, যেটা আপনার পরীক্ষার সাজেশন মধ্যে পড়ে এবং এটা 3-4 marks’er প্রশ্ন আসে আপনার পরীক্ষা
চতুর্থ মডিউল আপনি শিখবেন লং আনসার এবং questions যেটা সাধারণত 5-6 marks er হয়
আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন যাতে কি আপনাকে আমরা সাহায্য করতে পারি

Here you will learn the basics of জ্ঞানচক্ষু Gyanchokkhu in a simple language it is for Bengali medium students who are studying under West Bengal Board of Secondary Education and preparing for their exam (Class 10 WBBSE) Here you will find all necessary and important WBBSE Madhyamik Suggestions, notes, solved sample question paper in Bangla along with video lectures from expert teachers

SOLVED QUESTIONS & ANSWERS of জ্ঞানচক্ষু Gyanchokkhu

1 MARKS QUESTIONS of জ্ঞানচক্ষু Gyanchokkhu

  1. “এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের”- কোন বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল ?

উত্তর: তপন কখনো ভাবতে পারত না যে একজন লেখক এর আচরণ ও সাধারণ আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতন হতে পারে তাই সেই বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল।

  1. “বিকেলে চায়ের টেবিলে ওঠে কথাটা”- চায়ের টেবিলে কোন কথা ওঠে?

উত্তর: তপনের নতুন মেসো মশাই সন্ধ্যাতারা পত্রিকায়  তপনের লেখা গল্পটির  ছাপিয়ে দেবেন।  এই কথাটি  চায়ের টেবিলে ওঠে।

  1. “গল্প ছাপা হলে যে ভয়ংকর আহ্বাদটা হবার কথা সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না।”-  উদ্দিষ্ট ব্যক্তির আহ্লাদিত হতে না পারার কারণ কী?

উত্তর: গল্প ছাপানো নিয়ে তপনের প্রশংসা না করে তার নতুন মেসো মশাইয়ের মহত্ত্বের কথাই বেশি আলোচ্য বিষয় হয়ে ওঠে এইজন্য তপন আহ্লাদিত হতে পারে না।

  1. তপনের লেখা গল্প পড়ে ছোট মাসি কি বলেছিল?

উত্তর: তপনের লেখা গল্প পড়ে ছোট মাসি বলেছিল “ওমা এত বেশি লিখেছিসরে? কোনোখান থেকে টুকলিফাই করিসনি তো ?”

  1. “তখন অবশ্য মাসের এই হইচইতে মনে মনে পুলকিত হয়।”- তপনের এই পুলক এর কারণ কি? 

উত্তর: কারণ তপন ভেবেছিল তার লেখার মূল্য যদি কেউ বোঝে তবে সেটা নতুন  মেসোই বুঝবে।

  1. “এমন সময় ঘটল সেই ঘটনা” – কোন ঘটনার কথা বলা হয়েছে ?

উত্তর: যেদিন তপনের ছোট মাসি আর মেসোমশাই হাতে একটি সন্ধ্যাতারা পত্রিকার নিয়ে তপন দের বাড়িতে দেখা করতে আসেন সেই  ঘটনার কথা বলা হয়েছে ।

  1. “বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের।”- কেন তপনের বুকের রক্ত ছলকে ওঠে ?

উত্তর: তপনের বাড়িতে যখন তার ছোট মাসি আর মেসোমশাই বেড়াতে এসেছিল তখন তপনের মনে আনন্দ উল্লাস জেগেছিল, তখন ভেবেছিল যে এবার আপনার অপেক্ষার অবসান ঘটবে। হয়তো তার গল্পটি কোন পত্রিকায় ছাপা হয়েছে এই ভেবে।

  1. “পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনা ও ঘটে” – কোন ঘটনাকে অলৌকিক বলা হয়েছে?

উত্তর: সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপা অক্ষর এ তপনের লেখা গল্পটির হাজার হাজার ছেলের হাত স্পর্শ করবে এখানে এই ঘটনাটিকে অলৌকিক ঘটনা বলা হয়েছে।

9.“তা ঘটেছে, সত্যিই ঘটেছে।” কি ঘটেছে ?

উত্তর: সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় তপনের গল্পটি ছাপা হয়েছে,  এই ঘটনাটি ঘটেছে ।

  1. “সূচিপত্রও নাম রয়েছে।” সেখানে কি লেখা আছে?

উত্তর: আশাপূর্ণা দেবীর লেখা জ্ঞানচক্ষু গল্পে সন্ধ্যাতারা পত্রিকার সূচিপত্রে লেখা ছিল — ‘প্রথম দিন’(গল্প) শ্রী তপন কুমার রায় ।

  1. “ক্রমশ কথাটাও ছড়িয়ে পড়ে।” -কোন কথাটা ?

উত্তর: তপনের নতুন মেসো মশাই তপনের গল্পটিকে কারেকশন করে সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপিয়ে দিয়েছেন এই কথাটি সারা বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে।

  1. “আর কখনো শুনতে না হয়।” – কাকে, কি শুনতে না হয় ?

উত্তর: তপনকে যেন এই কথা আর কখনো শুনতে না হয় যে “অমুক তপনের লেখা  ছাপিয়ে দিয়েছে।”

  1. “তপন আর পড়তে পারে না।” – কেন তপন আর পড়তে পারে না ?

উত্তর: তপনের ছাপানো গল্পটি তপন নিজে পড়তে গিয়ে দেখে তার নতুন মেসোমশাই তার পাকা হাতের ছোঁয়ায় গল্পটিকে আগাগোড়া কারেকশন করে সম্পূর্ণ নতুন ভাবে লিখেছেন তখন তপন আর গল্পটি পড়তে পারে না।

multiple choice questions - of জ্ঞানচক্ষু Gyanchokkhu1 marks

“তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল”এখানে মার্বেল হয়ে যাওয়ার মানে-

  • রেগে লাল হয়ে যাওয়া
  • কেঁদে কেঁদে চোখ ফুলে যাওয়া
  • অবাক হয়ে যাওয়া
  • প্রচন্ড ঘুমে চোখ অস্থির হয়ে যাওয়া
  1. কাকে দেখে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল-
  • দিদিকে
  • নতুন মেসোমশাই কে
  • বাবাকে 
  • নতুন পিসেমশাই কে

 

  1. নতুন মেসোমশাই ছিলেন একজন-
  • লেখক
  • গায়ক
  • বই প্রকাশক
  • চিকিৎসক

 

4.”ছোটমাসি সেই দিকে ধাবিত হয়”-ছোটমাসি ধাবিত হয়_

  • ছোটমেসোর দিকে
  • রান্নাঘরের দিকে
  • তপনের দিকে
  • ছাদের দিকে

 

  1. তপনের লেখা গল্প তার মেসোমশাই কে দিয়েছিল?
  • মা
  • বড়োমাসি
  • ছোটোমাসি
  • বাব

 

6.”তপন অবশ্য মাসির এই হইচইতে মনে মনে”-

  • আনন্দ পায়
  • উল্লসিত হয়
  • খুশি হয়
  • পুলকিত হয়

 

7.”রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই”- এখানে জুহুরি বলা হয়েছে-

  • তপনের মাসিকে
  • তপনের বাবাকে
  • তপনের মাকে
  • তপনের নতুন মেসো কে

 

8.”মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে সেটা “উপযুক্ত কাজ-টা হলো-

  • তপনের গল্পটা ছাপিয়ে দেওয়া
  • তপনের গল্পটা কারেকশন করে দেওয়া
  • তপনকে লেখায় উৎসাহ দেওয়া
  • তপনকে গল্প লেখার নিয়মকানুন শিখিয়ে দেওয়া

 

  1. নতুন মেসোমশাই কোন পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
  • শুকতারা
  • সন্ধ্যাতারা
  • আনন্দমেলা
  • দেশ (২০১৮)

 

  1. যে পত্রিকায় তপনের লেখা গল্পটি ছাপিয়ে দেওয়ার কথা হয়েছিল
  • শুকতারা
  • সন্ধ্যাতারা
  • একতারা
  • সাহিত্যধারা

 

short questions - of জ্ঞানচক্ষু Gyanchokkhu 2-3 marks

  1. “তপন যেন কোথাও হারিয়ে যায় এইসব কথার মধ্যে।” – ‘এইসব কথা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? তপনের হারিয়ে যাওয়ার কারন কি?

উত্তর: আশাপূর্ণা দেবীর লেখা জ্ঞানচক্ষু গল্পে তপনের গল্প লেখার পাশাপাশি তপনের নতুন মেসো তার গল্প কারেকশন করে দেওয়ার কথাটিও  ছড়িয়ে পড়ে। বাড়ির সকলে তপনের  গল্প লেখাকে প্রশংসা না করে  মেসোর কারেকশন করা কেই বেশি গুরুত্ব দেয়। মেজ কাকু তো বলেই বসেন যে,

“তা ওরকম একটি লেখক মেসো থাকা মন্দ নয়। আমাদের থাকলে আমরাও চেষ্টা করে দেখতাম।” 

আর সেই সঙ্গে  তপনকে একথাও শুনতে হয় যে তার মেসো যদি গল্পটি কারেকশন করে না দিত তবে সন্ধ্যাতারা সম্পাদক তপন এর গল্পটি ছুঁয়েও দেখত না। গল্প ছাপা হলে তপনের যে আনন্দ হওয়ার কথা তা তাঁর পরিবারের লোকেদের এইসব কথার জন্য অদৃশ্য হয়ে যায়। তাই তপন নিজেকে হারিয়ে ফেলে।

  1. “সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়।” – শোরগোল কথার অর্থ কি? কোন ঘটনায় এই শোরগোল পড়ে যায়? 

উত্তর: শোরগোল কথাটির অর্থ হল হইচই। তপনের নতুন মেসোর দেওয়া কথা মত তিনি তপনের গল্পটি সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপিয়ে সেই পত্রিকা তপনদের বাড়িতে নিয়ে এলে তপন তার লেখা গল্প দেখার আনন্দে আহ্লাদী তো হয়ে ওঠে। 

আর সেই খবর যখন সারা বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে তখন তার সৃষ্টি কে কেন্দ্র করে সকলে আলোচনায় মুখর হয়ে ওঠে। তাই সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়।

  1. “তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই, তার থেকে অপমানের !” – কার সম্পর্কে এ মন্তব্য? ‘ তার চেয়ে’ বলতে কি বোঝানো হয়েছে? 

উত্তর: আশাপূর্ণা দেবীর লেখা জ্ঞানচক্ষু গল্পের মুখ্য চরিত্র তপনের সম্পর্কে উদ্ধৃত মন্তব্যটি করা হয়েছে। 

মা যখন তপন কে গল্পটি করতে বলেন তখন তপন গল্পটি পড়তে গিয়ে দেখে যে গল্পটির প্রতিটি লাইনই  তার অপরিচিত। তার নতুন মেসো গল্প সংশোধনের নামে তার নিজের পাকা হাতের  জোরে  পুরো গল্পটিই বদলে দিয়েছেন। 

নিজের লেখা পড়তে বসে অন্যের লেখা পড়ার থেকে দুঃখের কিছু আছে বলে তপনের মনে হয় না। এই গল্পটি তে ‘তার চেয়ে’ কথাটি ব্যবহার করে লেখক দুঃখ ও অপমানের প্রতি  ইঙ্গিত করেছেন।

long questions - of জ্ঞানচক্ষু Gyanchokkhu5 marks

“সত্যি তপনের জীবনের সবচেয়ে সুখের দিনটি এলাে আজ”—উদ্ধৃতাংশটি কোথা থেকে নেওয়া হয়েছে? তপনের জীবনের সবচেয়ে সুখের দিনটি কী ছিল? বিবৃত করাে।

অথবা

“পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে”—উদ্ধৃতাংশটি কোথা থেকে নেওয়া হয়েছে? কোন ঘটনাকে অলৌকিক বলা হয়েছে?

উত্তর: উৎস: কথাসাহিত্যিক ও লেখিকা আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ শীর্ষক গল্প থেকে আলােচ্য অংশটি গৃহীত হয়েছে। 

গল্প ছাপানাের খবর না পাওয়ায় আশাহত : তপনের লেখা গল্পটি পড়ে তার নতুন মেসো মশাই তাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে তার গল্পটি সন্ধ্যাতারা পত্রিকার সম্পাদক কে বলে তিনি ছাপিয়ে দেবেন। কিন্তু বেশ কিছুদিন কেটে গেল সেই বিষয়ে কোন খবর তার কাছে এসে পৌঁছায় না। তাই তপনের সে বিষয়ে আশা ছেড়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

তপনের জীবনের অলৌকিক ঘটনা বা সুখের দিন : বেশ কিছুদিন কেটে  গেলেও তপনের গল্প ছাপানো নিয়ে কোন খবর এসে পৌঁছায় না। তাই তপন বিষন্ন মনে বসে থাকার সময়—“ছােটোমাসি আর মেসাে একদিনে বেড়াতে এল, হাতে এক সংখ্যা সন্ধ্যাতারা।” সেই ঘটনা কেই এখানে অলৌকিক ঘটনা বা সুখের দিন বলা হয়েছে।

সন্ধ্যাতারা পত্রিকার ওপর চোখ রাখতেই তপনের বুকের রক্ত ছলকে ওঠে। তপন মনে মনে ভাবতে থাকে এতদিন পরে হয়তো সত্যি সেই সুখের দিনটা এসে উপস্থিত হয়েছে তপনের জীবনে। সত্যিই কি এখন ছাপার হরফে তপনের লেখা গল্প ঘুরবে ছেলে মেয়ের হাতে হাতে? তপনের মনে এরকম নানা প্রশ্ন দানা বাঁধে এবং সে মনে মনে আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠে। 

তার মনে হয়, এ যেন পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া অলৌকিক ঘটনা। সে দেখে পত্রিকার সূচিপত্রের জ্বলজ্বল করছে তার নাম—“প্রথম দিন (গল্প) শ্রী তপন কুমার রায়।“ তপনের লেখা গল্প ছাপা কে কেন্দ্র করে সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়।

‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপনের জীবনের সবচেয়ে সুখের দিনটি কীভাবে দুঃখের দিনে পরিণত হলাে তা নিজের ভাষায় লেখা

উত্তর: বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কথাসাহিত্যিক ও লেখিকা আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’ শীর্ষক ছােটোগল্পের প্রধান চরিত্র তপনের সুখের দিনটি দুঃখের দিনে পরিণত হয়েছিল। 

তপনের জীবনের সুখের দিন : তপনের লেখা একটি গল্প তার লেখক ছোট মেসো দেখে তপনের খুব প্রশংসা করে। এবং এই প্রতিশ্রুতি দেয় যে তপনের লেখা গল্পটির তিনি সন্ধ্যাতারা পত্রিকার সম্পাদক কে বলে ছাপিয়ে দেবেন। 

কিন্তু বহুদিন কেটে গেলেও সেই গল্প ছাপানো নিয়ে কোন খবর না আসায় তপন আশাহত হয়ে পড়েছিল।  

তখন হঠাৎই একদিন তার ছোট মেসো ও মাসি হাতে একটি সন্ধ্যাতারা পত্রিকা নিয়ে  তার বাড়িতে এসে উপস্থিত হয়। তপন তখন মনে মনে ভাবে তার লেখা গল্পটি সে ওই সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপার অক্ষরে দেখবে। 

এখানে লেখিকা সেই ঘটনাকেই তপনের জীবনের সুখের দিন বলে উল্লেখ করেছেন।

সুখের দিন দুঃখের দিনে পরিণত হওয়া : কিন্তু তপন যেটিকে সুখের দিন বলে মনে করেছিল সেটিই  হয়ে উঠলো তপনের জীবনের দুঃখের দিন।

কারণ একদিকে যেমন তপনের গল্প ছাপার পাশাপাশি তার মেসোর কারেকশনের কোথাও উঠে এসেছিল তেমনি তার মেসো সন্ধ্যাতারা পত্রিকার সম্পাদক কে বলে গল্পটি ছাপিয়ে দিয়েছেন একথাও বাড়ির সকলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।

ফলে গল্প ছাপানো নিয়ে তপনের প্রশংসার পরিবর্তে তার মেসোর করা কাজকেই সবাই বেশি বাহবা দিতে শুরু করে এতে তপন মনে মনে খুব কষ্ট পায়। এরপর মায়ের আদেশে তপন যখন গল্পটি পাঠ করতে যায় তখন দেখে—“এর প্রত্যেকটি লাইন তাে নতুন আনকোরা, তপনের অপরিচিত।” 

অর্থাৎ তার মেসো গল্প কারেকশনের নামে তার পাকা হাতের ছোঁয়ায় সম্পূর্ণ গল্পটাই বদলে দিয়েছেন। কিছুক্ষণ পড়ার পর তপন বইটা ফেলে রেখে চলে যায়। 

আসলে দুঃখ কষ্টে তপন আর তার কান্না চেপে না রাখতে পেরে ছাদে উঠে যায়, আর মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে—“যদি কখনাে লেখা ছাপতে দেয় তাে, তপন নিজে গিয়ে দেবে। নিজের কাচা লেখা ছাপা হয় হােক, না হয় না হােক।” এভাবেই তপনের সুখের দিনটি দুঃখের দিনে পরিণত হয়েছিল।

3.জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপনের চরিত্রটি আলােচনা করাে।

উত্তর: সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’ শীর্ষক ছােটোগল্পে তপন একটি অল্পবয়েসি ছেলে। সদ্যবিবাহিতা ছােটোমাসির থেকে সে প্রায় আট বছরের ছােটো। তবে তপন আর পাঁচটা ছেলের থেকে আলাদা। 

সাহিত্যপ্রীতি : সাহিত্যের প্রতি তপনের ভালোবাসা বরাবরই কারণ সেই ছোটবেলা থেকে গল্প শুনতে ও পড়তে খুবই ভালোবাসে।  সে তার অবসর সময় গাদা গাদা গল্পের বই পড়ে। 

শিশুসুলভ কল্পনা : তপন মনে করত লেখকেরা বহির্বিশ্বে বসবাসকারী কোন এক অসাধারণ জীব। কিন্তু তার লেখক মেসো কে দেখে তার ধারণা পাল্টে যায়। তপন দেখে ছােটোমেসাে লেখক হলেও—“… ওদের মতােই দাড়ি কামান, সিগারেট খান, খেতে বসেই—আরে ব্যস, এত কখনাে খাওয়া যায় ? বলে অর্ধেক তুলিয়ে দেন, চানের সময় চান করেন ঘুমের সময় ঘুমােন।” এমনকী খবরের কাগজও পড়েন সিনেমাও দেখেন। 

এসব দেখে তপনের মনের লেখক সম্বন্ধে ধারনাই পাল্টে যায়। সে জানে যে লেখকেরাও তার মত সাধারণ মানুষ।

আত্মবিশ্বাসী : ছোট থেকেই তপন গল্প শোনা ও পড়ার প্রতি তীব্র আগ্রহী। লেখক মেসােকে দেখে তার মনে হয়—“লেখক হতে বাধা কী?” তারপর যখন তাঁর লেখা প্রথম গল্প তার নতুন মেসো পড়ে প্রশংসা করে তখন সে আরো উৎসাহিত  ও  আত্মবিশ্বাসী  হয়ে  উঠে একের পর এক গল্প লেখা শুরু করে। 

অভিমানী : তপন তার ছোট মাসি কে তার লেখা প্রথম গল্পটি  দেখালে তিনি বলেন, “কোনােখান থেকে টুকলিফাই করিসনি তাে?” এই কথা শুনে তপন অভিমানী হয়ে পড়ে। 


বাস্তববােধ : সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় তপনের লেখা গল্পটির প্রথমে বাড়ির সদস্যরা তার প্রশংসা করলেও পরে যখন তার মেসোমশাইয়ের কারেকশনের কথা সামনে আসে তখন তপনের মনে তার নিজের কৃতিত্বটা অনেক ছোট হয়ে যায়। তখন সে প্রতিজ্ঞা করে এরপর কখনো গল্প ছাপতে দিলে সে নিজে গিয়ে দেবে। তাতে তার কাঁচা হাতে লেখা গল্প ছাপা হলে হবে না হলে না হবে।

“শুধু এই দুঃখের মুহুর্তে গভীরভাবে সংকল্প করে তপন”- কোন মুহূর্তকে এ দুঃখের বলা হয়েছে? তপনের কাছে মুহূর্তটি দুঃখের বলে মনে হয়েছে কেন? তপন কী সংকল্প করেছে?

উত্তর: উৎস : সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’ শীর্ষক ছােটোগল্প থেকে উদ্ধৃতাংশটি গৃহীত হয়েছে।  

দুঃখের মুহূর্ত : তপনের লেখা প্রথম গল্পটি পড়ে তার লেখক মেসো তাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে সে তার গল্প সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপিয়ে দেবে। সেই কথা মত তার গল্প ছাপানো হলে তপনের কৃতিত্বের  পরিবর্তে   তার লেখক মেসো এর মহত্ব  বেশি আলোচিত হয়। 

তাকে শুনতে হয় মেসোর কারেকশন ও সন্ধ্যাতারা পত্রিকার সম্পাদককে সুপারিশের জন্যই তার গল্পটির ছাপা হয়েছে। এইসব কথা শুনলে তপন মনে খুব আঘাত পায়। তাই এই সময়কে দুঃখের মুহূর্তে বলা হয়েছে। 

মুহূর্তটি দুঃখের বলে মনে হওয়ার কারণ : তপন তার নিজের লেখা পত্রিকায় ছাপার অক্ষরে দেখার আশায় বসে ছিল। তারপর যখন সে তার গল্প ছাপার সুখবর পায় তখন সে ভেবেছিল খুব আনন্দ করবে। 

কিন্তু মায়ের আদেশে গল্প পড়তে গিয়ে দেখে নতুন মেসো কারেকশন এর নামে পুরো গল্পটাই বদলে দিয়েছেন। তপনের কাছে প্রতিটি লাইনে নতুন আনকোরা। 

এরপর “তপন আর পড়তে পারে না। বােবার মত বসে থাকে।” তপনের কাছে তার নতুন  মেসো মশাইয়ের এই আচরণ খুবই কষ্টদায়ক হয়ে ওঠে। তপন

মেসােমশাই-এর এই কাজটিকে মনে মনে মানতে পারেনি। তাই তপনের কাছে সেই মুহূর্তটিকে দুঃখের বলে মনে হয়েছিল। 


সংকল্প : তপন নিজের লেখা গল্পের জায়গায় মেসোর কারেকশন করা গল্প পড়ে খুব কষ্ট পায়। তখন সে মনকে শক্ত করে একটা সংকল্প করে যে, লেখা যদি কখনাে ছাপতে দেয় তাহলে সে নিজে গিয়ে দেবে। তাতে “নিজের কাঁচা লেখা ছাপা হয় হােক না হয় না হােক”, অন্তত তাকে শুনতে হবে না যে, “অমুখ তপনের লেখা ছাপিয়ে দিয়েছে।”

  1. নতুন মেসোকে দেখে ‘জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের”— উৎস লেখাে । উদ্ধৃতিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করাে। 

উত্তর: উৎস- সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’ শীর্ষক ছােটোগল্পে তপন একটি অল্পবয়েসি ছেলে। 

তপন ছোটবেলা থেকেই গল্প  শুনতে ও পড়তে ভালোবাসে। তবে তার লেখক সম্পর্কে ভুল ধারণা ছিল। সে মনে করত লেখকরা বোধহয় কোন বহির্বিশ্ব বসবাসকারী কোন এক অসাধারণ জিব।  

তাৎপর্য : তবে একটি ঘটনা তার এই ধারণা বদলে দেয়। তার ছোট মাসির সঙ্গে সদ্য বিবাহ হওয়া তার ছোট মেসো একদিকে কলেজের প্রফেসর এবং অন্যদিকে তিনি একজন লেখকও। 

জীবনে প্রথম কোন এক লেখককে এত সামনে থেকে দেখে তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল।  সে দেখল—“কোথাও কিছু উলটোপালটা নেই, অন্যরকম নেই, একেবারে নিছক মানুষ!” লেখকেরাও তপনের বাবা, কাকার মতাে দাড়ি কামান, সিগারেট খান, খেতে বসেই “আরে ব্যস, এত কখনাে খাওয়া যায়?” বলে অর্ধেকটা তুলে দেন। 

স্নানের সময় স্নান করেন, ঘুমের সময় ঘুমােন। তাছাড়া তারাও খবরের কাগজের কথা নিয়ে প্রবল তর্কবিতর্ক করেন। আর শেষ পর্যন্ত “এদেশের কিছু হবে না” বলে সেজেগুজে সিনেমা দেখতে বা বেড়াতে বের হন। লেখকদের সম্পর্কে এই ধারণা উপলব্ধির মধ্যে দিয়েই তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে যায়। 

বাংলা- Bangla Language Subject WBBSE Madhyamik Class 10

error: Content is protected !!
Scroll to Top

আজকেই কেনো পরীক্ষার শর্ট নোটস

এখন সহজে পরীক্ষার প্রস্তুতি নাও – আজকেই ডাউনলোড করো পিডিএফ বা বই অর্ডার করো আমাজন বা ফ্লিপকার্ট থেকে