হুতোম প্যাঁচার নকশা
‘হুতোম প্যাঁচার নকশা‘ একটি গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যকর্ম যা কালী প্রসন্ন সিংহ ১৮৬১ সালে প্রকাশ করেন। এই গ্রন্থটি একটি ব্যঙ্গাত্মক সাহিত্য হিসেবে পরিচিত এবং এতে হুতোম প্যাঁচা ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন। গ্রন্থের প্রথমাংশে, কলকাতার বিভিন্ন সমাজিক কর্মকাণ্ড এবং প্রথা সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়েছে। বিশেষত, চড়কপার্বন, বারোয়ারি পূজা, ছেলেধরা, ক্রিশ্চানি হুজুগ, এবং সাতপেয়ে গরু ইত্যাদি বিষয় নিয়ে তার আলোচনা রয়েছে।
সমাজের ভণ্ডামীর সমালোচনা
এই গ্রন্থের মাধ্যমে লেখক সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর ভণ্ডামীর তীব্র সমালোচনা করেছেন। বিশেষভাবে, তিনি পাশ্চাত্য শিক্ষিত ধনী সমাজ এবং তাদের অন্ধ অনুকরণকারী মনোভাবকে তীব্রভাবে আক্রমণ করেছেন। তিনি সমাজকে তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করেছেন:
- ইংরেজি জানা পাশ্চাত্য অনুকরণকারী
- ইংরেজি জানা, কিন্তু সাহেবি অনুকরণকারী নয় এমন নব্য সমাজ
- গোঁড়া হিন্দু সমাজ
প্রত্যেক শ্রেণীর মানুষের জন্য তার বক্তব্য ছিল ব্যঙ্গাত্মক এবং সমাজের নানা দিক তুলে ধরার মাধ্যমে তাদের অন্ধবিশ্বাস এবং কৃত্রিমতার সমালোচনা করেছেন।
গ্রন্থের গুরুত্ব এবং সাহিত্যিক প্রভাব
‘হুতোম প্যাঁচার নকশা’ উনিশ শতকের বাংলা সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যকর্ম হিসেবে পরিচিত। এই গ্রন্থটি শুধুমাত্র ব্যঙ্গাত্মক সাহিত্যের এক উল্লেখযোগ্য উদাহরণ নয়, বরং এটি বাংলা সমাজের সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি মানুষের মনোভাব বিশ্লেষণের একটি প্রয়াস। সমাজের প্রতিটি শ্রেণীকে, বিশেষত আধুনিকতা ও পশ্চিমী সংস্কৃতির প্রভাবের আওতায় আসা মানুষদের, কিভাবে দেখানো হয়েছে তা গ্রন্থটির বিশেষত্ব।
লেখকের উদ্দেশ্য
কালী প্রসন্ন সিংহের উদ্দেশ্য ছিল সমাজকে সচেতন করা এবং তাদের ভন্ডামী ও অন্ধবিশ্বাস থেকে মুক্তি দেওয়া। তিনি এই গ্রন্থের মাধ্যমে সমকালীন সমাজের বিভিন্ন সংস্কৃতি এবং বিশ্বাসের মধ্যে যে অসঙ্গতি ছিল, তা স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন।
Join Skillyogi Today!
For more detailed analysis and study resources on ‘হুতোম প্যাঁচার নকশা’ and WBBSE Class 10 Itihas, become a member of Skillyogi. Access exclusive notes and resources for better exam preparation.
Become a member now: https://skillyogi.org/student-registration-cbse
Buy the book: https://skillyogi.org/wbbse-class-10-itihas-history-study-notes