ইউরোপে জুলাই বিপ্লবের অভিঘাত
ফ্রান্সের ১৮৩০ সালের জুলাই বিপ্লব ইউরোপে জাতীয়তাবাদী এবং উদারনৈতিক চিন্তার প্রসারকে ত্বরান্বিত করেছিল। ফ্রান্সের এই বিপ্লবের পর, ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোতে এর অভিঘাত লক্ষ্য করা যায়, যা গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং জাতীয়তাবাদী চেতনাকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।
এসময়, ইংল্যান্ড, হল্যান্ড, এবং সুইজারল্যান্ড এর মতো দেশগুলোতে উদারনীতির প্রভাব বৃদ্ধি পায়। ভিয়েনা চুক্তি অনুযায়ী, বেলজিয়াম হল্যান্ডের অংশ হলেও, এই বিপ্লবের প্রভাবে বেলজিয়াম স্বাধীন হয়ে ওঠে।
জার্মানির বিভিন্ন রাজ্য যেমন স্যাক্সনি, হ্যানোভার, ব্যাডেন, এবং ব্যাভেরিয়ার শাসকরা উদারপন্থী হওয়ার জন্য বাধ্য হন, যা তাদের শাসন ব্যবস্থাকে জনগণের মতামতের প্রতি বেশি সংবেদনশীল করে তোলে।
এছাড়া, ইতালিতে মডেনার শাসক চতুর্থ ফ্রান্সিসকে সরিয়ে দিয়ে ‘ইয়ং ইতালি’ নামে একটি শক্তিশালী জাতীয়তাবাদী আন্দোলন ম্যাঞ্জিনির নেতৃত্বে গড়ে ওঠে। এই আন্দোলন ইতালির একত্রিতকরণের প্রচেষ্টা চালায়।
পোল্যান্ড এবং গ্রিসেও জাতীয়তাবাদী আন্দোলন তীব্র হয়ে ওঠে, যেখানে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের আগুন জ্বলে ওঠে এবং গ্রিসে স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হয়।
স্পেন এবং পর্তুগালে গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়, যা রাজতন্ত্রের পতনের চিহ্ন হয়ে দাঁড়ায়। এর ফলে, ইউরোপে শাসনব্যবস্থার মধ্যে প্রধান পরিবর্তন দেখা যায়, যা পরবর্তীতে ঊনবিংশ শতাব্দীর রাজনৈতিক ইতিহাস গঠন করে।
এছাড়া, ইংল্যান্ডে শ্রমিক আন্দোলনও এ সময় জোরদার হয়ে ওঠে, যেখানে শ্রমিক শ্রেণী তাদের অধিকার আদায়ে মজুরি এবং কাজের শর্ত-এর উন্নতির জন্য আন্দোলন করতে থাকে। এটি ইউরোপের সামাজিক আন্দোলনকে আরও ত্বরান্বিত করে এবং শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করে।
To access all our detailed study materials and notes, become a member today at: https://skillyogi.org/student-registration-cbse.
To buy the History Study Notes for Class 10 WBBSE, visit: https://skillyogi.org/wbbse-class-10-itihas-history-study-notes.