ইংরেজি শিক্ষার প্রসার
ব্রিটিশ শাসনের প্রাথমিক পর্যায়ে ব্রিটিশ বাণিজ্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং অফিস-আদালত প্রসারের ফলে ইংরেজি জানা কর্মচারীর প্রয়োজন দেখা দেয়। চাকরির আশায় মধ্যবিত্ত বাঙালিরা ইংরেজি শিক্ষা নিতে আগ্রহী হয়।
ধর্ম প্রচারকদের (ব্যাপটিস্ট মিশনের উইলিয়াম কেরি, মার্শম্যান, ওয়ার্ড প্রমুখ) উদ্যোগে ১২৬টি ইংরেজি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। এছাড়া, শ্রীরামপুর কলেজ (১৮১৮ সালে), জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ ইন্সটিটিউশন (১৮৩০ সালে), জেসুইট মিশনারি র কলকাতায় ‘সেন্ট জেভিয়ার্স’ (১৮৩৫) এবং ‘লরেটো স্কুল’ (১৮৪২) প্রতিষ্ঠিত হয়।
রাজনৈতিক ও সামাজিক চেতনায় প্রভাব ফেলা কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তির উদ্যোগে, যেমন- রামমোহন রায়, ডেভিড হেয়ার, বিভিন্ন স্কুল-কলেজ গড়ে ওঠে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কলকাতায় হিন্দু কলেজ (১৮১৭ সালে), সংস্কৃত কলেজ (১৮২৪ সালে), অ্যাংলো হিন্দু স্কুল (১৮১৫ সালে)। ইংরেজি বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য ক্যালকাটা বুক সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৫৪ সালে স্যার চার্লস উড এর (বোর্ড অফ কন্ট্রোল-র সভাপতি) নির্দেশনামা অনুযায়ী, তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন (কলকাতা, মুম্বাই, মাদ্রাজ-এ), স্ত্রী শিক্ষার প্রসার, উচ্চশিক্ষায় ইংরেজির গুরুত্ব, পৃথক শিক্ষা দপ্তর গঠন এবং শিক্ষক প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা চালু করা হয়। এই নির্দেশনামা উডের ডেসপ্যাচ বা উডের নির্দেশনামা নামে পরিচিত।
উডের নির্দেশনামায় বলা হয়েছিল যে, পাশ্চাত্য শিক্ষা শাসন ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে এবং ভারতীয় সমাজের চিন্তাভাবনা ও জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনবে। এর ফলে ইংরেজি ভাষা ও পাশ্চাত্য জ্ঞান শিখতে আগ্রহী ছিল ভারতীয় সমাজের নানা শ্রেণীর মানুষ।
ইংরেজি শিক্ষার প্রসার ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা ব্যবস্থার ভিত্তি তৈরি করে, যা পরবর্তীতে ব্রিটিশ শাসনের অধীনে দেশের উন্নয়ন এবং জাতীয় আন্দোলনের দিকনির্দেশনা তৈরি করতে সহায়ক হয়।
To access comprehensive study materials, join our membership at https://skillyogi.org/student-registration-cbse. Don’t forget to purchase your WBBSE Class 10 Itihas History Study Notes at https://skillyogi.org/wbbse-class-10-itihas-history-study-notes for effective exam preparation!