ইতিহাস চর্চায় সঙ্গীত
ভারতীয় উপমহাদেশে সঙ্গীত এক দীর্ঘ এবং ঐতিহ্যবাহী ইতিহাস ধারণ করে, যা প্রাচীনকাল থেকেই বিদ্যমান। সঙ্গীত শুধুমাত্র বিনোদন নয়, এটি একটি জাতির সাংস্কৃতিক পরিচয়, আধ্যাত্মিকতা, এবং সমাজের ঐতিহ্য এর পরিচায়ক। ভারতের সঙ্গীত ঐতিহ্য, বিশেষভাবে হিন্দুস্তানি এবং কর্ণাটক সঙ্গীতের ক্ষেত্রে, অনেক যুগ ধরে বিবর্তিত হয়েছে এবং এর শিকড় প্রাচীন বেদ ও পুরাণ পর্যন্ত বিস্তৃত।
আমির খসরু কে কাওয়ালি সঙ্গীতের জনক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাঁর অবদান ভারতীয় সঙ্গীতের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। মোগল আমলে সঙ্গীতের ভিন্ন ভিন্ন ধারা শুরু হয় এবং তা বাংলার পল্লীগীতিতে বিশেষভাবে পরিবর্তিত হয়। বাংলা গানের ঐতিহ্য এবং পল্লীগীতি রীতির মধ্যে এই পরিবর্তন লক্ষ্যযোগ্য ছিল, যা লোক সঙ্গীত এর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হয়ে ওঠে।
ভারতীয় সঙ্গীতের ইতিহাস নিয়ে অনেক গ্রন্থ রচিত হয়েছে, যা ভারতীয় সঙ্গীতের ঐতিহ্য, রাগ এবং তাল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করে। এর মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থের নাম হল:
- রাজকুমারের ‘এসেজ অন ইন্ডিয়ান মিউজিক’
- প্যাট্রিক মৌতালের ‘কম্পারেটিভ স্টাডি অব হিন্দুস্তানি রাগাস’
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সঙ্গীতচিন্তা’
- সুকুমার রায়ের ‘বাংলা সঙ্গীতের রূপ’
- দিলীপ কুমার রায়ের ‘সাঙ্গীতিকা’
- মান্না দের আত্মজীবনী ‘জীবনের জলসাঘরে’
এই গ্রন্থগুলির মাধ্যমে, সঙ্গীতের ঐতিহ্য, পরিবর্তন, এবং তার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাব সম্পর্কে জানানো হয়েছে।
উদাহরণ: কাওয়ালি সঙ্গীত ভারতের সুফি ঐতিহ্য এর অংশ হিসেবে বিখ্যাত। এই সঙ্গীত বিশেষভাবে ইসলামী ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতে গাওয়া হয় এবং তার মাধ্যমে আধ্যাত্মিকতার অভিব্যক্তি হয়। আমির খসরুর অবদান এই সঙ্গীতধারাকে একটি নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে পরিচিতি প্রদান করেছে।
ভারতীয় সঙ্গীতের ইতিহাস শুধু একটি সঙ্গীতধারা নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলন এবং ধর্মীয় প্রকাশ এর অংশ। সঙ্গীতের বিভিন্ন শাখা এবং তার বিবর্তন ভারতীয় সমাজ ও সংস্কৃতির অঙ্গ হয়ে উঠেছে।
To access detailed study notes for CLASS 10 ITIHAS, become a member at https://skillyogi.org/student-registration-cbse and buy your WBBSE History Book from https://skillyogi.org/wbbse-class-10-itihas-history-study-notes to boost your preparation.