কল্পনা দত্ত
কল্পনা দত্ত ছিলেন ১৯২০-এর দশকের একজন উল্লেখযোগ্য নারী বিপ্লবী। ভারতের সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলন এর ইতিহাসে তাঁর নাম চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর অসাধারণ সাহস এবং বীরোচিত সংগ্রাম ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
শিক্ষাজীবন ও বিপ্লবে যোগদান
কলকাতার বেথুন কলেজ এ অধ্যয়নরত অবস্থায় কল্পনা দত্ত কল্যাণী দাসের ‘ছাত্রীসঙ্ঘ’ -এর সঙ্গে যুক্ত হন, যেখানে তিনি নারীশক্তির অংশ হয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে নিজের ভূমিকা শুরু করেন। ১৯৩০ সালে তিনি মাস্টারদা সূর্য সেনের ‘ইন্ডিয়ান রিপাবলিক আর্মি’ চট্টগ্রাম শাখায় যোগ দেন এবং বিপ্লবী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ শুরু করেন।
চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন এবং বিপ্লবী কার্যক্রম
কল্পনা দত্ত চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের ঘটনায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এরপর, যখন গণেশ ঘোষ, অনন্ত সিং সহ বিপ্লবীরা গ্রেফতার হন, কল্পনা দত্ত একটি ‘ডিনামাইট ষড়যন্ত্র’ পরিকল্পনা করেন। তিনি গোপনে কলকাতা থেকে বিস্ফোরক এনে, গান-কটন তৈরি করে বন্দি বিপ্লবীদের পালানোর চেষ্টা করেন। তার এই সাহসী পদক্ষেপ ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামে নারীদের ভূমিকা তুলে ধরে।
ইউরোপীয় ক্লাবে হামলা এবং পরবর্তী গ্রেফতার
প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের সঙ্গে তিনি ইউরোপীয় ক্লাবে হামলা করার দায়িত্ব নেন। এই বিপ্লবী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কল্পনা দত্তের সাহসিকতা ও সংগঠক ক্ষমতা চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তবে, চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন মামলায় মাস্টারদা সূর্য সেন এবং তারকেশ্বর দস্তিদারের ফাঁসির পাশাপাশি কল্পনা দত্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মুক্তি ও পরবর্তী জীবন
১৯৩৯ সালে মুক্তি পাওয়ার পর কল্পনা দত্ত কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন এবং রাজনৈতিক জীবনে নিজের অবদান রাখেন। তাঁর জীবন সংগ্রাম, দেশপ্রেম এবং সাহস নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছে।
কল্পনা দত্তের জীবন ও সংগ্রাম ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে নারীদের অসীম সাহস এবং শক্তির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে ইতিহাসে চিরকাল স্মরণীয় থাকবে।
For detailed study materials and access to all CLASS 10 ITIHAS WBBSE content, become a member:
https://skillyogi.org/student-registration-cbse
Also, buy the ITIHAS History Study Notes to excel in your exams:
https://skillyogi.org/wbbse-class-10-itihas-history-study-notes