কোল বিদ্রোহের বিশেষত্ব
কোল বিদ্রোহ ১৮৩১ সালে শুরু হয়েছিল এবং এটি ছিল ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী উপজাতি বিদ্রোহ। বিদ্রোহে কেবল কোল উপজাতি নয়, বরং ওঁরাও, মুন্ডা, এবং হো প্রভৃতি উপজাতিরাও অংশ নেয়। তাদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটানো এবং স্বাধীনতা অর্জন করা।
স্বাধীনতার ধারণা
বিদ্রোহীরা মনে করত যে, ইংরেজদের নির্যাতন থেকে মুক্তি পাওয়া-ই স্বাধীনতা। তারা বিশ্বাস করত যে, ছোটনাগপুরের জঙ্গলের অধিকার রক্ষার জন্য তাদের একত্রিত হওয়া জরুরি। কোল এবং অন্যান্য উপজাতিরা এক্যবদ্ধ হয়ে ব্রিটিশ শাসকদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
বিদ্রোহের সংক্রমণ
বিদ্রোহের খবর ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কোলরা বিভিন্ন পন্থা ব্যবহার করত। উদাহরণস্বরূপ:
- ঢাক বাজানো,
- আম গাছের ডাল অথবা
- যুদ্ধের তীর বিলি করে তারা প্রতিবাদ ছড়িয়ে দিত।
এই পন্থাগুলো ছিল মৌখিক ও সাংস্কৃতিক প্রথা যা এক অঞ্চলের বিদ্রোহকে অন্য অঞ্চলের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করত।
বিদ্রোহের ব্যাপকতা
এছাড়াও, শহরের শিক্ষিত লোকেরা এই বিদ্রোহ সম্পর্কে খুব একটা ধারণা রাখতে পারেনি, কারণ কোল জনগণের বিদ্রোহ ছিল মূলত গ্রামীণ অঞ্চলে পরিচালিত এবং সেখানকার জনগণ তাদের কৃষিকাজ এবং জীবিকার প্রতি আকর্ষণ বজায় রাখছিল।
বিদ্রোহে অন্যান্য উপজাতির যোগদান
ওঁরাও, মুন্ডা, এবং হো জাতির মানুষরা কোল বিদ্রোহে যোগ দিয়ে ইংরেজ শাসকদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম শুরু করে। তাদের এই সংগ্রাম ছিল একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা যাতে উপজাতি জনগণের ঐক্য ও অধিকার রক্ষার সংগ্রাম পরিষ্কারভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল।
বিশ্লেষণ
কোল বিদ্রোহের বিশেষত্ব ছিল তার মুক্তির আকাঙ্ক্ষা এবং কোথাও একত্রিত হয়ে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর দৃঢ় ইচ্ছা। এটি শুধু কোল উপজাতি নয়, বরং সমগ্র উপজাতি গোষ্ঠীর জন্য একটি সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিরোধ ছিল, যা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি মূল দিক হিসেবে বিবেচিত হয়।
Join our membership at https://skillyogi.org/student-registration-cbse to access all study materials and resources. Also, buy your WBBSE Class 10 Itihas History Study Notes at https://skillyogi.org/wbbse-class-10-itihas-history-study-notes to excel in your exams!