মুন্ডা বিদ্রোহ (১৮৯৯-১৯০০ খ্রিঃ) – তৃতীয় অধ্যায় : প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ – Class 10 Itihas WBBSE Madhyamik

মুন্ডা বিদ্রোহ (১৮৯৯-১৯০০ খ্রিঃ)

মুন্ডা বিদ্রোহ ১৮৯৯ সালে ভারতের ছোটনাগপুর অঞ্চলের মুন্ডা আদিবাসীদের দ্বারা সংঘটিত একটি গণ-অভ্যুত্থান। এই বিদ্রোহ বিরসা মুন্ডা নামক একজন আদিবাসী নেতা এবং সমাজ সংস্কারকের নেতৃত্বে সংগঠিত হয়েছিল। মুন্ডা সমাজ তখন ব্রিটিশ শাসন, জমিদারি শোষণ, এবং খাজনা সংগ্রহ এর বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ ছিল।

স্থানীয় ভাষায় এটি ‘উলগুলান’ নামে পরিচিত, যার অর্থ তীব্র বিশৃঙ্খলা বা ভয়ঙ্কর বিক্ষোভ। এই শব্দটি মুন্ডা জনগোষ্ঠীর জাতীয় প্রতিবাদ এবং স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়। বিদ্রোহের মূল উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশ শাসন এবং জমিদারি ব্যবস্থার অবসান ঘটানো, এবং তাদের নিজেদের স্বাধীনতা এবং অধিকার ফিরে পাওয়া।

বিরসা মুন্ডা তাঁর নেতা হিসেবে মুন্ডা জনগণের মধ্যে একত্রিত করে বিদ্রোহকে প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধের শক্তিতে পরিণত করেছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে, মুন্ডারা ব্রিটিশ প্রশাসনিক কেন্দ্র এবং জমিদারদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করেন। বিদ্রোহী আন্দোলনের উল্লেখযোগ্য দিক ছিল যে, এটি মুন্ডা জনগণের ঐক্য, এবং তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি এবং স্বাধীনতা পিপাসার প্রতিফলন ছিল।

১৮৯৯ সালে, বিদ্রোহের বিস্তার অনেক অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে, এবং ব্রিটিশ সেনাবাহিনী প্রথমদিকে এই বিদ্রোহকে চাপিয়ে দেয়নি। তবে, বিদ্রোহীদের অসীম সাহস এবং প্রতিরোধের তীব্রতা ব্রিটিশদের জন্য কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করেছিল।

বিরসা মুন্ডার নেতৃত্ব এক নতুন জাতীয় পরিচয়ের সৃষ্টির দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়, যেখানে মুন্ডা জনগণ তাদের শোষণের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্য এবং জমিদারি শাসন এর বিরুদ্ধে বিজয়ী হতে চেয়েছিল। এই বিদ্রোহ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে গণ্য হয়।

এই বিদ্রোহের ইতিহাসটি মুন্ডা জনগণের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা এবং দেশপ্রেমের একটি শক্তিশালী উদাহরণ হয়ে দাঁড়ায়।

For more detailed study and exclusive access to content, join our membership at:

https://skillyogi.org/student-registration-cbse

To purchase the study book for Class 10 History (WBBSE), click here:

https://skillyogi.org/wbbse-class-10-itihas-history-study-notes

error: Content is protected !!
Scroll to Top
×