মুন্ডা বিদ্রোহের কারণ – তৃতীয় অধ্যায় : প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ – Class 10 Itihas WBBSE Madhyamik

মুন্ডা বিদ্রোহের কারণ

ব্রিটিশ শাসনামলে মুন্ডা আদিবাসীদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষক্ষোভের ফলেই মুন্ডা বিদ্রোহের সূত্রপাত হয়। এই বিদ্রোহের পেছনে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, এবং অর্থনৈতিক কারণ ছিল, যা সাঁওতাল অঞ্চলের মুন্ডা জনগণের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত করে তুলেছিল।

ব্রিটিশ ভূমি ব্যবস্থার আওতায় প্রচলিত ‘খুৎকাঠি’ বা যৌথ মালিকানা প্রথা বাতিল করে ব্যক্তিগত মালিকানা চালু করা হয়। এর ফলে, কোম্পানি সমর্থিত জমিদাররা বিভিন্ন অজুহাতে কর ধার্য এবং বিনা বেতনে বেগার খাটানো শুরু করে। জমিদার ও মহাজনরা মুন্দাদের ভূমি ও সম্পত্তি হস্তগত করতে থাকে, যা তাদের জন্য একটি বড় আঘাত ছিল। তারা সাঁওতালদের স্বাধীনতাঅধিকার ক্ষুণ্ণ করতে থাকে।

এছাড়া, মুন্ডাদের সনাতন আইন-কানুন বাতিল করে, নতুন বিধি প্রবর্তন করা হয়, যা তাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। এই বিধি তাদের সংস্কৃতি, সমাজ এবং ধর্মীয় বিশ্বাসকে আঘাত হানছিল। তাছাড়া, খ্রিস্টান মিশনারিরা বিভিন্ন কৌশলে মুন্ডাদের ধর্মান্তরিত করার প্রচেষ্টা চালায়, যা তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছিল।

আরও গুরুত্বপূর্ণ, মুন্ডাদেরকে অত্যন্ত অল্প পারিশ্রমিকে শ্রমিক হিসেবে কাজ করানো হতো, যা তাদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি করেছিল। তারা নিজেদের অধিকারের জন্য ব্রিটিশ শাসন, জমিদারি শোষণ এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করেছিল।

এই সকল অত্যাচার এবং অবিচারের বিরুদ্ধে সাঁওতালদের মধ্যে এক বিশাল প্রতিরোধের সৃষ্টি হয়, যা মুন্ডা বিদ্রোহ এর সূচনা ছিল। এটি ছিল ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আদিবাসীদের এক বিশাল আন্দোলন, যা তাদের স্বাধীনতা এবং মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

For more detailed study and exclusive access to content, join our membership at:

https://skillyogi.org/student-registration-cbse

To purchase the study book for Class 10 History (WBBSE), click here:

https://skillyogi.org/wbbse-class-10-itihas-history-study-notes

error: Content is protected !!
Scroll to Top
×