নীল বিদ্রোহ
১৮শতকের ইংল্যান্ডে শিল্প বিপ্লবের পর বস্ত্রশিল্পের কাঁচামাল হিসেবে নীলের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নীলচাষের উপর একচেটিয়া অধিকার ভোগ করতে শুরু করে এবং কৃষকদের উপর নির্যাতন চালাতে থাকে। তারা নীলকর কর্মচারীদের মাধ্যমে কৃষকদের চাষের জন্য জোরপূর্বক নীল চাষে বাধ্য করতে থাকে, যা চাষীদের জীবনে এক ভয়াবহ দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
নীল চাষের অবস্থা:
১৮৩৩ সালের সনদ আইন অনুযায়ী ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হলে, অনেক ব্রিটিশ বণিক তাদের লাভের প্রত্যাশায় নীলচাষে প্রবৃত্ত হয়। এর ফলে কৃষকদের ওপর অত্যাচার ও নির্যাতন বাড়তে থাকে।
বিদ্রোহের সূচনা:
১৮৫৯ সালে বাংলার কৃষকরা এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় এবং নীল চাষের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে, যা নীল বিদ্রোহ নামে সুপরিচিত হয়ে ওঠে।
বিদ্রোহের কারণ:
- জোরপূর্বক নীল চাষ: জমির উৎপাদনশীলতা কমে যাওয়া ও চাষীদের জীবনযাত্রার অবস্থা খারাপ হওয়া।
- কৃষকদের নির্যাতন: নীলকরদের হাতে শোষিত কৃষকরা ব্রিটিশ শাসনের অধীনে দিন দিন বিপদগ্রস্ত হচ্ছিল।
- ব্যাপক প্রতিবাদ: কৃষকরা একত্রিত হয়ে প্রতিবাদে নেমে পড়ে এবং বিদ্রোহের আগুনে গা ভাসায়।
বিদ্রোহের ফলাফল:
এটি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ কৃষক বিদ্রোহ, যেখানে চাষীদের স্বার্থে ও ইংল্যান্ডের অত্যাচারের বিরুদ্ধে তারা একত্রিত হয়ে আন্দোলন গড়ে তোলে। তবে বিদ্রোহটি শেষ পর্যন্ত ইংরেজ শাসনের সমর্থনে সমাপ্ত হয়, তবে এটি ছিল এক গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ যেখানে কৃষকরা নিজেদের অধিকার আদায়ে দৃঢ়তার সাথে দাঁড়িয়েছিল।
For full access to study material, join our membership at:
https://skillyogi.org/student-registration-cbse
Buy your Class 10 History study book here:
https://skillyogi.org/wbbse-class-10-itihas-history-study-notes