নেপোলিয়ানের ক্ষমতায় উত্তরণ
ডিরেক্টরি শাসনকালে, নেপোলিয়ান ইংল্যান্ড ও অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেন। তিনি ইতালি জয় করে পার্মা, মডেনা, নেপলস এবং মিলান দখল করেন। ১৭৯৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি পোপ ষষ্ঠ পায়াসের রাজ্য আক্রমণ করে টলেন্টিনোর সন্ধি স্বাক্ষর করেন, যা তার সামরিক কৌশলের সফলতা এবং শাসক হিসেবে তার প্রতিপত্তি বৃদ্ধির একটি বড় পদক্ষেপ ছিল।
অস্ট্রিয়া-মিলান যুদ্ধে জয়লাভের পর, ১৭৯৭ সালের ১৭ অক্টোবর ক্যাম্পোফরমিয়োর সন্ধি স্বাক্ষরিত হয় অস্ট্রিয়ার আর্চ ডিউক চার্লস এর সাথে। এই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, বেলজিয়ামের অংশ, করফু, আড্রিয়াটিক সাগরের দ্বীপপুঞ্জসহ অস্ট্রিয়ার কিছু অংশ ফ্রান্সের অধীনে আসে। ভেনিস বিভক্ত হয়ে একাংশ অস্ট্রিয়ার অধীনে থাকে এবং অন্যাংশ স্বাধীন হয়। এর ফলে, ফ্রান্সের সীমানা বৃদ্ধি পায় এবং নেপোলিয়ান তার সাম্রাজ্যের পরিসর বৃদ্ধি করতে সক্ষম হন।
পিরামিডের যুদ্ধে নেপোলিয়ান সফল হলেও, নীলনদের যুদ্ধে ব্রিটিশ নেলশনের কাছে পরাজিত হন। তবে, নেপোলিয়ান কখনোই হতাশ হননি। ১৭৯৯ সালের ৯ নভেম্বর, নেপোলিয়ান অ্যাবে সিয়াস ও ব্যারাস এর সহায়তায় ফ্রান্সে ডাইরেক্টরি শাসনের অবসান ঘটিয়ে কনসুলেট নামক নতুন শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।
১৮০৪ সালে, মাত্র ত্রিশ বছর বয়সে, নেপোলিয়ান নিজেকে ফ্রান্সের জাতীয় সম্রাট ঘোষণা করেন। এই পদক্ষেপ ছিল তার ক্ষমতার চূড়ান্ত অধিকারীকরণ এবং নেপোলিয়নীয় সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার জন্য একটি তাৎপর্যপূর্ণ মুহূর্ত। ১৭৯৯ থেকে ১৮১৪ পর্যন্ত, ইউরোপে নেপোলিয়ানের যুগ শুরু হয়, যেখানে তিনি সাম্রাজ্য বিস্তার এবং জাতীয়তাবাদী চেতনা এর ভিত্তিতে ফ্রান্সকে একটি শক্তিশালী জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন।
নেপোলিয়ানের ক্ষমতায় উত্তরণ ছিল ফরাসি ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, যেখানে সামরিক কৌশল, রাজনৈতিক মিত্রতা এবং জনগণের সমর্থনে তার উত্থান সম্পন্ন হয়েছিল। তার শাসনকালে, ফ্রান্সের জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক আদর্শের প্রচার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসেবে বিবেচিত হয়।
To access all content on this topic and other educational materials, become a member at:
https://skillyogi.org/student-registration-cbse
To buy our book “WBBSE Class 10 Itihas History Study Notes”, visit:
https://skillyogi.org/wbbse-class-10-itihas-history-study-notes