fbpx

নিরুদ্দেশ- (Niruddesh) Bangla Literature Subject WBBSE Class 9

আপনি এখানে শিখবেন এই অধ্যায়ে এবং বিষয়ের ফাউন্ডেশন অংশটা, এই বিষয়টিকে সহজ-সরলভাবে পড়িয়েছেন বিশেষজ্ঞ শিক্ষক ভিডিও লেকচার এর মাধ্যমে এবং এই পুরো অধ্যায়কে চার ভাগে খন্ডিত করে আপনার জন্য তৈরি করা হয়েছে

  • প্রথম খন্ডে আপনি শিখবেন ফাউন্ডেশন অংশটা যেখানে অধ্যায়ের ব্যাপারে আপনাকে বোঝানো হয়েছে তার মানে definitions,basics  গুলো সহজভাবে.  এবং এটাকে আপনি বুঝতে পারবেন যেটা আপনাকে পরীক্ষার জন্য ক্রীপের করতে সাহায্য করবে
  • দ্বিতীয় মডিউলে আপনি শিখবেন MCQ মাল্টিপল চয়েস কোশ্চেন যেটা সাধারণত এক Marks’er আসে পরীক্ষায়
  • তৃতীয় মডিউলে আপনি শিখবেন শর্ট অ্যানসার এবং কোয়েশ্চেন, যেটা আপনার পরীক্ষার সাজেশন মধ্যে পড়ে এবং এটা 3-4 marks’er  প্রশ্ন আসে আপনার পরীক্ষা
  • চতুর্থ মডিউল আপনি শিখবেন লং আনসার এবং questions যেটা সাধারণত 5-6 marks er হয়

আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন যাতে কি আপনাকে আমরা সাহায্য করতে পারি

বিষয়সংক্ষেপ

কথক তার বন্ধু সোমেশকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, সংবাদপত্রে নিরুদ্দেশ বিজ্ঞাপনের প্রসারের উদ্ধৃতি দিয়ে, যে বেশিরভাগ সময় এই বিজ্ঞাপনগুলি অর্থহীন হয় এবং হারানো ব্যক্তি ঠিকভাবে ফিরে আসে। তখন এই ফিরে আসা প্রসঙ্গে একটি ভয়ানক বিপর্যয়ের কথা সোমেশ কথককে জানায়।

অনেক বছর আগে, একটি বিশিষ্ট সংবাদপত্রে প্রতিদিন একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হতো যাতে একজন হারিয়ে যাওয়া লোকের ফিরে আসার অনুরোধ করা হয়। শোভন নামে এক হারিয়ে যাওয়া ছেলের ফিরে আসার তীব্র আবেদন ছিল বিজ্ঞাপনটির উদ্দেশ্য। পরে অনুরোধের পরিবর্তে শুধু  বর্ণনা সমন্বিত বিজ্ঞাপনটী প্রকাশিত হতে থাকে৷ একসময় এই বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। তারপর, প্রায় দুই বছর পর, হঠাৎ একদিন শোভন ফিরে আসে। তবে নায়েব মশাই তাকে চিনতে না পেরে ভিতরে যেতে না দিয়ে; পরিবর্তে, তাকে বাইরের বাড়িতে বসতে নিয়ে যান। এরপর ছবির সাথে শোভনের মিল খোঁজার চেষ্টা করা হয় । কিন্তু মিল পাওয়া সত্ত্বেও শোভনকে চলে যেতে বলা হয়। শোভন তার বাবা-মা এর সাথে দেখা করতে চাইলে জানানো হয় যে তারা জেনেছে সাত দিন আগে শোভন মারা গেছে। এই আলোচনার সময় শোভনের বৃদ্ধ বাবা যাচ্ছেন দেখে শোভন তাঁর কাছে দৌড়ে আসে কিন্তু তিনি তাকে চিনতে পারেন না। নায়েব মশাই তাকে জানান যে শোভন হিসেবে নিজেকে তিনজন ভিন্ন ব্যক্তি দাবি করেছে। বৃদ্ধ বাবা শোভনকে বিনয়ের সাথে চলে যেতে বলেন। শোভন স্তব্ধ হয়ে সংবিৎ হারিয়ে ফেলে। কিছুক্ষণ পর, নায়েব মশাই তাকে কিছু নগদ টাকা দিয়ে জানালেন যে গৃহকর্ত্রী মৃত্যুমুখে এবং এখনও তার ছেলের মৃত্যুর খবর শোনেনি। তিনি তার ছেলেকে দেখার প্রত্যাশা করছেন। তাই সেই ছেলের বেশে তাকে তার কাছে যেতে হবে।

এখানেই সোমেশের গল্পের সমাপ্তি। সোমেশের কানের কাছে একটি জরুল রয়েছে বলে কথক জানালে, সোমেশ জানায় যে, এই সাদৃশ্যের জন্যই তার পক্ষে গল্প বানানো সহজ হয়েছে । কিন্তু এটাও সত্য যে গল্পকথক সোমেশের এই গল্প বানানোর কথা বিশ্বাস করেননি। 

নামকরণের তাৎপর্য

সাহিত্যের নামকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সাহিত্যের নামকরণ কখনো ঘটনাকেন্দ্রিক, কখনো চরিত্রকেন্দ্রিক বা কখনো ব্যঞ্জনাধর্মী হতে পারে। শিরোনাম থেকেই আমরা তার বিষয়বস্তু সম্পর্কে অবগত হতে পারি। 

আলোচ্য গল্পে এক শীতের দুপুরে সংবাদপত্রে নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপন দেখে কথক তার বন্ধু সোমেশের সাথে নিরুদ্দেশের আসল কারণ এবং এর প্রভাবগুলি সম্বন্ধে  কথা বলতে চায়। তাঁর ধারণা, নিরুদ্দেশ সত্যিকার অর্থে অভিমানের ফলে ঘটে। কয়েকদিন পর অভিমান কেটে গেলে সবাই অবশেষে বাড়ি ফিরে আসে। অন্যদিকে বন্ধু সোমেশের মতে, এই ফিরে আসার অভিজ্ঞতা ও ভয়ঙ্কর হতে পারে। তিনি শোভন নামে একটি ছেলের গল্প বলেন। নিরুদ্দেশ হওয়ার দুই বছর পর, শোভন বাড়ি ফিরে আসে, কিন্তু কেউ, এমনকি তার বাবাও তাকে চিনতে পারে না। এভাবেই নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া শোভনের জীবনে চিরতরে বিচ্ছেদ নিয়ে আসে। ফিরে এসেও তার আর কোনো লাভ হয়নি। পরিস্থিতি আরও বেশি দুঃখজনক হয় যখন শোভনকে তার নিজের মা এর কাছে নিজের ভূমিকায় অভিনয় করতে অনুরোধ করা হয়। অর্থাৎ ‘নিরুদ্দেশ’ গল্পটি নিরুদ্দেশের ঘটনা নিয়েই বর্ণিত । ফলে ছোটোগল্পটির ‘নিরুদ্দেশ’ নামকরণ উপযুক্ত ও স্বার্থক হয়ে উঠেছে ।

SOLVED QUESTIONS & ANSWERS of নিরুদ্দেশ (NIRUDDESH)

1 MARKS QUESTIONS of নিরুদ্দেশ (NIRUDDESH)

১. “দিনটা ভারী বিশ্রী।”– দিনটা ‘বিশ্রী’ কেন?

উত্তর:) শীতের দিন হলেও বাদলার কারণে আকাশ মেঘাছন্ন এবং পৃথিবীর স্নান হয়ে উঠেছে। তাই দিনটা এত বিশ্রী।

২. “একটা আশ্চর্য ব্যাপার দেখেছো?”– আশ্চর্য ব্যাপারটি কি ছিল?

উত্তর:) আশ্চর্য বিষয়টি ছিল খবরের কাগজে একসঙ্গে সাত সাতটা নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপন বেরোনো।

৩. সোমেশ হঠাৎ এসে পড়ায় কথকের কি সুবিধা হয়েছিল?

উত্তর:) সোমেশ হঠাৎ এসে পড়ায় কত কে দুপুর কাটানোর সুবিধা হয়েছিল।

৪. কাগজে সাতটি বিজ্ঞাপনের কথা শুনে সোমেশের প্রতিক্রিয়া কি ছিল?

উত্তর:) বিজ্ঞাপনের কথা শুনে সমেস কোন কৌতূহল না দেখিয়ে উদাসীনভাবে সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়তে থাকেন।

৫. “….আমার হাসি পায়।”– কিসে বক্তা হাসি পাওয়ার কথা বলেছেন?

উত্তর:) কথক বলেছেন যে কাগজে ‘নিরুদ্দেশ’ এর বিজ্ঞাপন গুলো দেখলে তার হাসি পায়।

৬. ‘নিরুদ্দেশ’ গল্পে ছেলের পীড়াপীড়িতে মা কি করেছিলেন।

উত্তর:)’ নিরুদ্দেশ গল্পে’ ছেলের পিড়াপিড়িতে মা লুকানো পুজি থেকে টাকা বের করে তাকে দিয়েছিলেন।

৭. ‘নিরুদ্দেশ’ গল্পে বাবা তার থিয়েটার দেখতে যাওয়া ছেলে ফিরলে কি করবেন বলেছেন?

উত্তর:)’ নিরুদ্দেশ’ গল্পে বাবা তার থিয়েটার দেখে ফেরা ছেলেকে বাড়ি থেকে বের করে দেবেন বলেছেন।

৮. ছেলে নিরুদ্দেশে চলে যাওয়ার পর মা-র কি অবস্থা হয়?

উত্তর:) ছেলে নিরুদ্দেশে চলে যাওয়ার পরে মা খাওয়া বন্ধ করে দেন এবং বিছানা থেকে উঠেন না।

৯. বাবা ছেলের খোঁজ পাওয়ার জন্য কি করতে গিয়েছিলেন?

উত্তর:) বাবা ছেলের খোঁজ পাওয়ার জন্য খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দিতে গিয়েছিলেন।

১০. বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য নিরুদ্দিষ্ট ছেলেটি বাবার কাছে কি কি জানতে চাওয়া হয়েছিল?

উত্তর:) নিরুদ্দিষ্ট ছেলেটির বাবার কাছে প্রেসের পরিমাণ ও বিজ্ঞাপনের কপি এনেছেন কিনা জানতে চাওয়া হয়েছিল।

১১. নিরুদ্দেশ এর বিজ্ঞাপনে বাবা কি লিখতে চেয়েছিলেন?

উত্তর:) নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপনের বাবা ছেলেকে ফিরে আসার আবেদন জানাতে চেয়েছিলেন।

১২. ছেলের নিরুদ্দেশ এর বিজ্ঞাপন দেওয়ার সময়ে বাবা সব থেকে বেশি কি নিয়ে চিন্তিত ছিলেন?

উত্তর:) বিজ্ঞাপন দেওয়ার সময়ে নিরুদ্দিষ্ট ছেলেটির মায়ের জলগ্রহণ না করায় বিষয়টি নিয়েই তার বাবা বেশি চিন্তিত ছিলেন।

১৩. ছেলেটি বাড়িতে ফিরে এসেছিল কেন?

উত্তর:) ছেলেটি তার গোটাকতক বই নিয়ে যাওয়ার জন্য বাড়িতে ফিরে এসেছিল।

১৪. “অত আদর ভালো নয়।”– কে কাকে বলেছেন?

উত্তর:) প্রেমেন্দ্র মিত্র রচিত ‘নিরুদ্দেশ’ গল্পে বাড়ি ছেড়ে গিয়ে ফিরে আসার ছেলের মা তার বাবাকে প্রশ্নোদ্ধিত কথাটি বলেছেন।

১৫. “পুরনো খবরের কাগজের ফাইল যদি উল্টে দেখো…”– কি দেখা যাবে?

উত্তর:) পুরনো খবরে কাগজের ফাইল উল্টালে দেখা যাবে দিনের পর দিন একটি বিশেষ নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপন বেরিয়েছে।

১৬. “মনে হয় ছাপার লেখার সত্যি যেন কান পাকলে কাতর আর্তনাদ শোনা যাবে।”– এই আর্তনাদ কিসের জন্য ছিল?

উত্তর:) এই আর্তনাদ ছিল নিরুদ্দিষ্ট ছেলের ফিরে আসার জন্য মায়ের কাতর আবেদন।

১৭. নিরুদ্দিষ্ট ছেলেটির পরিচয় কি বিশেষ চিহ্ন ছিল?

উত্তর:) নিরুদ্দিষ্ট ছেলেটির ঘাড়ের দিকে পরিচয় এর বিশেষ চিহ্ন হিসেবে তার ডান কানের কাছে ছিল একটি বড় জুড়ুল।

১৮. “…তা মনে কারো না।” –কি মনে না করার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর:) শোভন নামের ছেলেটি বাড়ি ছেড়েছিল কোন অভিমানের বশে, এমনটা মনে না করার কথা বলা হয়েছে।

১৯. “…তার উদাসীন মন ও বিচলিত হয়ে উঠলো।” এর কারণ কি?

উত্তর:) যেদিন থেকে কাগজে নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপন বন্ধ হয়ে গেল শোভনের মন ও সেদিন থেকে বিচলিত হয়ে উঠলো।

২০. “…একটা ড্রয়ার খুলে তিনি একটা জিনিস শোভনের হাতে দিলেন।”– এখানে কি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর:) ড্রয়ার খুলে নায়েবমোশার এর সোমেশকে শোভনের পুরনো ফটো দেওয়ার কথা এখানে বলা হয়েছে।

২১. বাড়ি থেকে বাবাকে বেরোতে দেখে শোভনের কি মনে হয়েছিল?

উত্তর:) বাড়ি থেকে বাবাকে বেরোতে দেখে শোভনের ঝড়ে ভাঙ্গা গাছের কথা মনে হয়েছিল।

২২. “নায়েব ও কর্মচারীরা ব্যাপারটা বুঝে যখন তার পিছু নিলে…” এই পিছু নেওয়ার কারণ কি?

উত্তর:) শোভন বাবাকে দেখে তার দিকে ছুটে গেলে তাকে আটকাতে নায়েব ও কর্মচারীরা তার পিছু নেয়।

২৩. “বৃদ্ধ থলিতপদে এক পায়ে এগিয়ে আবার থমকে গেলেন।”– কখন এই থমকে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল?

উত্তর:) নিরুদ্দিষ্ট শোভন বাড়িতে ফিরে বাবা তাকে চিনতে পারছেন কিনা জানতে চাইলে বৃদ্ধ বাবা থমকে যান।

২৪. “এই নিয়ে তিনবার হল!”– এখানে কিসের কথা বলা হয়েছে?

উত্তর:) প্রশ্নদিত অংশে বিজ্ঞাপন দেখে নিরুদ্দিষ্ট শোভনের দাবি নিয়ে তিনজন ব্যক্তির আসার কথা বলা হয়েছে।

২৫. “বৃদ্ধ তাকে থামিয়ে বললেন–” বৃদ্ধ কি বলেছিলেন?

উত্তর:) শোভনের বৃদ্ধ বাবা নায়েবকে বলেছিলেন শোভনকে কিছু না বলে চলে যেতে দিতে।

multiple choice questions – 1 marks of নিরুদ্দেশ (NIRUDDESH)

১. শীতের দিনে সব থেকে অস্বস্তিকর হল–
a) শীতবস্ত্রের অভাব b) ঠান্ডা জলে স্নান c) বাদলা d) রুখতা
উত্তর:) বাদলা
২. “….. এত অস্বস্তিকর আর কিছু বোধহয় নাই।” অস্বস্তিকর বিষয়টি হল–
a) বন্ধুর মুখে নিজের জীবনের ট্র্যাজিক কাহিনী শোনা
b) বন্ধুর বাড়িতে ঘটা আকস্নিক বিপর্যয়ে আটকে পড়া
c) শীতের দিনে বৃষ্টি আসা কিংবা আকাশ মেঘ ছন্ন থাকা
d) বন্ধুর উপস্থিতি ছাড়া শীতে দুপুর কাটানো
উত্তর:) শীতের দিনে বৃষ্টি আসা কিংবা আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকা
৩. মেঘাচ্ছন্ন আকাশ এবং স্নান পৃথিবী অসাড় হয়েছিল–
a) মৃতের মত b) জড়বস্তুর মত c) শীতঘুমে থাকা সাপের মত d) ঘুমন্ত শিশুর মত
উত্তর:) মৃতের মতো
৪. “মৃতের মতো অসাড় হইয়া আছে।”– এখানে মৃতের মতো অসাড়–
a) সোমেশ b) সোমেশের বাবা
c) সমেশদের বাড়ির খাজাঞ্চি মশাই d) মেঘাচ্ছন্ন আকাশ আর স্নান পৃথিবী
উত্তর:) মেঘাচ্ছন্ন আকাশ আর স্নান পৃথিবী
৫.”…. হঠাৎ আজ আসিয়া না পড়িলে কেমন করিয়া দুপুরটা কাটাইতাম বলিতে পারি না।”–যার আসার কথা বলা হল, তিনি হলেন–
a) সোমশের মা b) সংবাদপত্রের সম্পাদক c) সাংবাদিক d) সোমেশ
উত্তর:) সোমেশ
৬. “একটা আশ্চর্য ব্যাপার দেখেছো?” আশ্চর্য ব্যাপারটি দেখা গেয়েছিল–
a) পাশের ঘরে b) উঠানে c) পাশের বাড়িতে d) খবরের কাগজে
উত্তর:) খবরের কাগজে
৭. “একটা আশ্চর্য ব্যাপার দেখেছো?”– এখানে যে ব্যাপারটিকে আশ্চর্য বলা হয়েছে, সেটি হল–
a) সংবাদপত্রে খবরের চাইতে বিজ্ঞাপন বেশি
b) সংবাদপত্রে আবহাওয়া সম্পর্কে আশ্চর্য পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে
c) সংবাদপত্রের পাতায় একসঙ্গে সাতটা নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে
d) বক্তার একটি লেখা সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে
উত্তর:) সংবাদপত্রের পাতায় একসঙ্গে সাতটা নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে
৮. ‘ নিরুদ্দেশ’ গল্পে উল্লেখিত খবরের কাগজের বিজ্ঞাপনগুলির বিষয় ছিল–
a) গৃহসজ্জাb) অলংকারc) নিরুদ্দেশd) পাত্র-পাত্রী
উত্তর:) নিরুদ্দেশ
৯. “সোমেশ কোন কৌতুহল প্রকাশ করিল না।” সমেশের কৌতুহল প্রকাশ না করার কারণ–
a) তিনি ইতিমধ্যেই খবরের কাগজে নিরুদ্দেশ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপনগুলি দেখেছেন
b) শীতের দুপুরে বৃষ্টি আসায় তিনি সময়টুকু দুঃখ দুর্দশার কথা ভেবে নষ্ট করতে চান না
c) তিনি জানেন নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপনের পিছনে অনেক সময়ে ‘সত্যকার ট্রাজেডি’ থাকে
d) বন্ধুর কাছ থেকে নিরুদ্দেশের খবর শোনার জন্য তিনি মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলেন না
উত্তর:) তিনি জানেন নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপনের পিছনে অনেক সময়ই ‘সত্যকার ট্রাজেডি’ থাকে
১০. “বাইরের অসারতা যেন আমাদের মনের উপরেও চাপিয়া ধরিয়াছে।”– বক্তার এমনটি মনে হইবার কারণ–
a) সোমেশ যেমন কোনো কথাবার্তা বলছিলেন না, বক্তাও কোন কথা বলার উৎসাহ হারিয়ে
ফেলেছিলেন
b) একটানা বৃষ্টিতে তারা গৃহবন্দী হয়ে পড়ায় দুঃখিত হয়ে পড়েছিলেন
c) বহুদিন পরে দেখা হওয়া সত্ত্বেও দুজনের কারোর মধ্যে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যায়নি
d) বাইরে যা ঘটে চলেছে, মনের উপর তার প্রভাব পড়া স্বাভাবিক
উত্তর:) সোমেশ যেমন কোন কথাবার্তা বলছিলেন না, বক্তাও কোনো কথা বলার উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছিলেন
১১. “নিরুদ্দেশ” এর এই বিজ্ঞাপন গুলো দেখলে কিন্তু আমার হাসি পায়।”– বক্তার হাসি পাওয়ার কারণ–
a) বিজ্ঞাপন গুলো পড়লেই বোঝা যায় সেগুলির অধিকাংশই মিথ্যে
b) নিরুদ্দেশের কারণগুলি অত্যন্ত সাধারণ
c) কিছুদিন পরেই নিরুদ্দিষ্ট ব্যক্তির ফিরে আসার খবরও ছাপা হয়
d) বক্তা নিজেও এক সময় ‘নিরুদ্দেশ’ ছিলেন
উত্তর:) নিরুদ্দেশের কারণগুলি অত্যন্ত সাধারণ
১২. “অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যাপারটা কি হয় জানো তো?” অধিকাংশ ক্ষেত্রে যে ব্যাপারটি ঘটে, তা হল–
a) ছেলেরা থিয়েটার দেখে রাত করে বাড়ি ফেরা নিয়ে মা-বাবার সঙ্গে অশান্তি
b) ছেলে তার কোন বন্ধুর বাড়িতে রাত কাটিয়ে পরদিন বাড়িতে ফিরে এসেছে
c) রাতে বাড়ি ফিরে আসবে বলে বেরিয়ে ও ছেলের বাড়িতে ফিরে আসেনি
d) পছন্দের কিছু কিনে দেওয়ার জন্য জেদা জেদি
উত্তর:) ছেলের থিয়েটার দেখে রাত করে বাড়ি ফেরা নিয়ে মা-বাবার সঙ্গে অশান্তি
১৩.” ছেলে হয়তো রাত করে– দেখে বাড়ি ফিরেছেন।”– যা দেখার কথা বলা হয়েছে, তা হলো–
a) সিনেমা b) থিয়েটার c) খেলা d) কোনটাই নয়
উত্তর:) থিয়েটার
১৪. “লুকোনো পুজি থেকে মা বিকেলে ছেলের প্যাঁড়া পিড়িতে কটা টাকা বার করে দিয়েছেন।”– ছেলেকে মায়ের টাকা দেওয়ার কারণ সেই টাকা দিয়ে ছেলেটি–
a) সিনেমা দেখবে b) বন্ধুর বাড়িতে যাবে c) থিয়েটার দেখবে d) বই কিনবে
উত্তর:) থিয়েটার দেখবে
১৫. “দূর করে দেব, এবার দূর করে দেব।” বাবা ছেলেকে দূর করে দেবেন, কেননা–
a) ছেলে পরীক্ষায় গতবার কৃতকার্য হতে পারেনি, এবারও পড়াশোনা করছে না।
b) ছেলে প্রতিনিয়ত নানান অপচয় করে চলেছে
c) ছেলেকে তিনি কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না
d) উপরের সবকটি
উত্তর:) উপরের সবকটি
১৬. “এই মৌখিক আজকাল নেই হয়তো ব্যাপারটা শেষ হতে পারত।”— পিতার মৌখিক আজকাল নে ব্যাপারটা শেষ হয় না, কেন?
a) সেই সময়ে মা ও চিৎকার শুরু করেন
b) সেই সময়ে গুণধর পুত্রটি প্রবেশ করায় পিতা আর ঝক কাটিয়ে উঠতে পারেন না
c) ছেলে ঘরে ঢুকে তারসরে চিৎকার শুরু করে
d) ছেলেটি ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ায় ঘটনাটা অন্যদিকে মোর নেই
উত্তর:) সেই সময়ের গুণধর পুত্রটি প্রবেশ করায় পিতা আর ঝোক কাটিয়ে উঠতে পারেন না

১৭. “বলার মাত্রাটা একটু বেশি হয়ে পড়ে।”– ছেলেকে বকাঝকা মাত্রাটা একটু বেশি হয়ে পড়ে, কারণ–
a) ছেলের অকৃতকার্য হওয়ার ঘটনাটা বাবা মন থেকে মানতে পারেন না
b) কতটা রাগ দেখানো উচিত বাবা বলতে পারেন না
c) বাবা কিছুতেই রাত করে ছেলের বাড়ির ফেরার বিষয়টা মানতে পারেন না
d) মায়ের প্রশ্রয়ের ছেলে উচ্ছন্ন গেছে– এ কথা ভাবলেই বাবা অস্থির হয়ে পড়েন
উত্তর:) কতটা রাগ দেখানো উচিত বাবা বুঝতে পারেন না
১৮. “অভিমানী ছেলে আর কিছু না হোক, প্রীতি দেবের এ আদেশ তৎক্ষণাৎ পালন করতে উদ্যত হয়।” অভিমানী ছেলে পিতা যে আদেশ পালন করতে তৎক্ষণাৎ উদ্যত হয়, তা হল–
a) তাকে নিয়মিত বাবার কাছে লেখাপড়া করতে হবে
b) কোন পরিস্থিতিতেই রাত করে বাড়িতে ফেরা যাবে না– এ বিষয়ে মুচলেকা দিতে হবে
c) সে যে বন্ধুর বাড়িতে ছিল তাকে ডেকে আনতে হবে
d) বাড়িতে আর থাকা যাবে না, সেই মুহূর্তেই বেরিয়ে যেতে হবে
উত্তর:) বাড়িতে আর থাকা যাবে না, সেই মুহূর্তেই বেরিয়ে যেতে হবে
১৯. “কিন্তু সে কথা প্রকাশ করবেন কোন মুখে?”– যে কথা বাবা মুখে প্রকাশ করতে পারছে না, তা হলো–
a) তিনি মায়ের উপর মারমুখী হয়ে উঠেছেন
b) তার নির্দেশেই ছেলে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গেছে
c) ছেলে যে নিরুদ্দেশ যাত্রায় বেরিয়ে যাবে তা তিনি ভাবতেই পারেননি
d) ছেলে নিরুদ্দেশ যাত্রায় বেরিয়ে পড়ায় সারারাত তিনি ঘুমাতে পারেননি
উত্তর:) ছেলে নির্দেশ যাত্রায় বেরিয়ে পড়ায় সারারাত তিনি ঘুমোতে পারেনি
২০.” মা’ র কান্না আবার উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে।”– মায়ের কান্না উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠার কারণ–
a) খেতে বসে তার ছেলের কথা মনে পড়ে গেছে
b) বাবা তাকে ধমক দিয়ে মিছিমিছি প্যানপ্যান করতে নিষেধ করে বলেছেন আমার ছেলে যাওয়াই ভালো
c) ছেলের টেলিফোনে জানিয়েছে যে সে আর কখনোই ফিরবে না
d) ছেলের দুর্ঘটনার খবর এসেছে
উত্তর:) বাবা তাকে ধমক দিয়ে মিছিমিছি প্রেম প্রেম করতে নিষেধ করে বলেছেন এমন ছেলে যাওয়াই ভালো
২১. “এবেলায় দেখে সুরসুর করে আবার ফিরে আসবে।”– বাবার আশা তার ছেলে আবার ফিরে আসবে, কারণ–
a) প্রচন্ড শীত পড়েছে
b) কোন বন্ধুই তাকে বসিয়ে বসিয়ে খাওয়াবে না
c) খাওয়া দাওয়া ও থাকার এমন নিশ্চিন্ত আশ্রয় সে আর কোথাও পাবে না
d) হোটেলে থাকার মত পয়সা তার কাছে নেই
উত্তর:) খাওয়া-দাওয়া ও থাকার এমন নিশ্চিন্ত আশ্রয় সে আর কোথাও পাবে না
২২. “এমন বিনি পয়সায় হোটেল খানা পাবে কোথায়?”– এখানে ‘বিনি পয়সাও হোটেল’ হল–
a) ধর্মশালা b) লঙ্গরখানা c) নিজের বাড়ি d) অতিথিশালায়
উত্তর:) নিজের বাড়ি
২৩. “তোমার ছেলে কিছু করেনি গো কিছু করেনি। দিব্যি আছে” — সেখানে ছেলে থাকার কথা বলা হয়েছে–
a) উপরের ঘরে b) বন্ধুর বাড়ি c) মামার বাড়ি d) অতিথি শালায়
উত্তর:) মামার বাড়ি
২৪. “সন্ধ্যাবেলা অফিস থেকে ফিরে এসে দেখেন অবস্থা গুরুতর ।”— অবস্থা গুরুতর, কেননা–
a) ছেলে ফেরেনি এবং মা সজ্জা থেকে উঠবেন না বলে পণ করেছেন
b) দুশ্চিন্তায় ছেলেটির মা অসুস্থ হয়ে পড়েছে
c) ছেলেটি বন্ধুদের দিয়ে হুমকি চিঠি পাঠিয়েছে
d) বাড়িতে ভয়ানক চুরি হয়ে গেছে
উত্তর:) ছেলে ফেরেনি এবং মা সজ্জা থেকে উঠবেন না বলে পণ করেছেন
২৫. ছেলে না ফেরায় সে অশান্তি হচ্ছিল তার থেকে মুক্তি পেতে বাবা যা ভালো মনে করেছিলেন তা হলো–
a) বনবাস b) কিছু না বলা c) মৃত্যু d) ধর্মচর্চা
উত্তর:) বনবাস
২৬. “আমরা কি এতদিন রাম যাত্রা বার করেছি!” যে এ কথা বলেছিল, সে হলো–
a) খবরের কাগজের লোক b) নায়েব মশাই c) থানার দারোগ d) বাবা
উত্তর:) খবরের কাগজের লোক
২৭. “বাবা একটু হতভম্ব হয়ে একবার অসহায় ভাবে চারিদিকে তাকান।”— বাবা হতভম্ব হয়ে চারিদিকে তাকান কারণ–
a) খবরের কাগজের অফিসে কোথায় কি করতে হয় তা তিনি বোঝেন না
b) একটি প্রশ্ন করে তিনি নিদারুণ ব্যঙ্গে বৃদ্ধ হয়েছেন
c) চেনা পরিচিত কাউকে দেখতে পাননি
d) তিনি ভুল করে অন্য অফিসে পৌঁছে গেছেন
উত্তর:) একটি প্রশ্ন করে তিনি নিদারুণ ব্যঙ্গে বৃদ্ধ হয়েছেন
২৮.”… সে বাড়িতে থাকতে আসেনি।” তবে সে কেন এসেছে?
a) বন্ধুদের ঠিকানা লেখা খাতাটা নিয়ে যেতে
b) শেষবারের মতো মায়ের সঙ্গে দেখা করে যেতে
c) চলে যাবার আগে তার গোটা কতক বই নিয়ে যেতে
d) তার সব জিনিসপত্র গুছিয়ে নিয়ে যেতে
উত্তর:) চলে যাবার আগে তার গোটা কত বই নিয়ে যেতে
২৯. “অমনি কুলাঙ্গার তুই তো হয়েছিস।”– মা তার ছেলেকে ‘কুলাঙ্গার’ বলছেন, কারণ–
a) নিরুদ্দেশে বেরিয়ে ছেলেটি বংশের মুখে কালি দিয়েছে
b) মা বাবা কারো কথা চিন্তা করেনি
c) বারংবার পরীক্ষায় অকৃত কার্য হয়েছে
d) মা-বাবার সঙ্গে প্রতিনিয়ত ঝগড়া বিবাদ করেছে
উত্তর:) মা বাবা কারোর কথা চিন্তা করেনি
৩০. ছেলেটি চলে যাওয়ার আগে বই নিয়ে বাড়িতে এলে মাতাকে নিচের যে কথাটি বলেছিলেন, তা হলো–
a) পীর b) সোনা ছেলে c) কোলের ছেলে d) ঠাকুর
উত্তর:) পীর

short questions – 2-3 marks of নিরুদ্দেশ (NIRUDDESH)

১. “সুতরাং তিনি জেনে শুনে মিথ্যে আর বলতে পারেন না।”– কে কেন মিথ্যে বলতে পারেন না?

উত্তর:) প্রেমেন্দ্র মিত্রের “নিরুদ্দেশ”ছোটগল্পের আলোচিত অংশে একজন মায়ের মিথ্যা বলার অক্ষমতার কথা বলা হয়েছে। কথক সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন মনে করা যেতে পারে একটি ছেলে প্রায়ই অনেক রাতে থিয়েটার দেখে বাড়ি ফেরে। এমনই একদিন রাতে খাওয়ার সময়ে, বাবা ব্যঙ্গ করে মায়ের কাছ থেকে ছেলের কথা জিজ্ঞেস করলেন। মা মিথ্যা বলতে পারেন না কারণ তিনি নিজেই তার ছেলেকে নিজের লুকানো নগদ টাকা দিয়েছিলেন, তাই তিনি চুপ করে থাকেন।

২. “এই মৌখিক আস্ফালনেই হয়তো ব্যাপারটা শেষ হতে পারত।”–মৌখিক আস্ফালন কি ছিল? সেখানেই কি ব্যাপারটা শেষ হয়েছিল?

উত্তর:) প্রেমেন্দ্র মিত্রের ছোটগল্প “নিরুদ্দেশ”-এ কথক, পিতার প্রতিক্রিয়া বর্ণনা করেছেন যখন তার ছেলে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাড়িতে ফেরে না। ক্রুদ্ধ বাবা “নবাবপুত্তুর” যুবকের বিরুদ্ধে তার অর্থ নষ্ট করার অভিযোগ করেছেন, এই চিন্তায় যে ছেলেটি গত বছর যেমন পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি এই বছরও হয়তো পারবে না। তিনি তার ছেলেকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেছেন। 

বাড়িতে ফিরলেই বাবা ছেলেকে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলেন। ছেলেও অভিমান করে বাড়ি থেকে চলে যায়। সমস্যাটি তাই মৌখিক আস্ফালনে আটকে থাকেনি।

৩. “ছেলে বিশাল পৃথিবীতে নিরুদ্দেশ যাত্রায় বেরিয়ে পড়ে ।” —মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

উত্তর:) প্রেমেন্দ্র মিত্রের ছোটগল্প “নিরুদ্দেশ” ছোটগল্পে বাবা, তার ছেলে রাতে দেরীতে বাড়ি ফেরায়  ক্রুব্ধ হন । তিনি মনে করেন যে গত বছর পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় পর ছেলেটি এ বছরও সফল হতে পারবে না তাই ছেলেটির টাকা নষ্ট করা থেকে পরিত্রাণ পেতে বাবা ছেলেটিকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার কথা বলেন। এ সময় ছেলে বাড়িতে এলে ক্ষিপ্ত বাবা তাকে বেরিয়ে যেতে বলেন। ছেলে তখনই বাবার কথা শুনে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় নিরুদ্দেশ যাত্রায় ।

৪. “আমরা কি এতদিন রামযাত্রা বার করেছি!”- কে কেন মন্তব্যটি করেছে?

উত্তর:) প্রেমেন্দ্র মিত্রের ছোটগল্প “নিরুদ্দেশ”-এ দেখা যায়, ছেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলে মা খাওয়া বন্ধ করে শয্যাশায়ী হন। বাবা বিব্রত হয়ে, পত্রিকার অফিসে গিয়ে জানালেন যে তিনি তাদের প্রকাশনায় একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশ করতে চান। পত্রিকার অফিসের নিরীহ লোকটি প্রত্যুত্তরে ব্যঙ্গ করে বলেন যে ছেলেটির বাবার হয়তো তাদের খবরগুলি পছন্দ না। একইসঙ্গে উপরিউক্ত কথাটিও বলেন।

৫. “এই বিজ্ঞাপনের পেছনে অনেক সত্যকার ট্রাজেডি থাকে।” —মন্তব্যটি ব্যাখ্যা কর।

উত্তর:) প্রেমেন্দ্র মিত্রের ছোট গল্প “নিরুদ্দেশ” এ গল্পকথকের মতে, এই নিরুদ্দিষ্টরা হঠাৎ কোনোকারণে বাড়ি ছেড়ে চলে যায় আবার কিছু দিন পর ফিরে আসে । যদিও বন্ধু সোমেশ পরিস্থিতি আরও জটিল বলে মনে করেন। জীবন থেকে চিরতরে হারিয়ে যাওয়ার বাস্তবতা অনেক নিরুদ্দেশের পিছনে থাকে । সেক্ষেত্রে ফিরে পাওয়ার বা ফিরে আসার কোন উপায় থাকে না।

৬. “….যেন কান পাতলে কাতর আর্তনাদ শোনা যাবে।”– মন্তব্যটি ব্যাখ্যা কর।

উত্তর:) প্রেমেন্দ্র মিত্রের “নিরুদ্দেশ” ছোটগল্পে অতীতের সংবাদপত্রের দীর্ঘকাল ধরে চলমান একটি নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপনের কথা তিনি উল্লেখ করেছেন। সেখানে একজন মা তার ছেলের বাড়িতে ফিরে আসার জন্য অনুরোধ করছেন। সেখানে মায়ের কথা তার হৃদয়ের আকুল আকাঙ্ক্ষার মাধ্যমে বহিঃপ্রকাশ হয়েছে । সেই আকাঙ্ক্ষা শেষপর্যন্ত মুছে যায়। এরপর বিজ্ঞাপনে থাকে মায়ের অসুস্থতা জানিয়ে বাবার কম্পিত-স্বরে পুত্রকে ফিরে আসার আহ্বান, যা কান্নার অনুরূপ।

৭. “পুরস্কারের পরিমাণ ক্রমশই বাড়াতে লাগলো খবরের কাগজের পাতায়।”– মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

উত্তর:) প্রেমেন্দ্র মিত্রের “নিরুদ্দেশ” ছোটগল্পে, শোভন বাড়ি ছেড়ে চলে গেলে, দিনের পর দিন তাকে ফিরে আসার জন্য অনুরোধ করে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয় । তার ফিরে আসার জন্য প্রথমে মায়ের তীব্র আবেদন ও পরে বাবার ডাক দুইই ব্যর্থ হয়। তারপর চেহারা, বয়স ইত্যাদির বিবরণ দিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় এবং ব্যক্তিটিকে খুঁজে দিতে পারলে একটি পুরস্কার দেওয়ার কথা বলা হয় । কিন্তু সন্ধান না পাওয়ায় ফলে, পুরস্কারের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।

৮. “তার ভিতরই সে পেয়েছে মুক্তির স্বাদ।” – কে কিভাবে ‘মুক্তির’ স্বাদ পেয়েছিল?

উত্তর:) প্রশ্নোদ্ধৃত অংশটি, প্রেমেন্দ্র মিত্রের ছোটগল্প “নিরুদ্দেশ” থেকে গৃহীত। এখানে শোভন নামে ষোলো-সতেরো বছর বয়সী একটি নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া ছেলের কথা বলা হয়েছে। 

জমিদার পুত্র শোভন অত্যন্ত নির্লিপ্ত মনের অধিকারী ছিলেন। বাবা-মায়ের স্নেহের বন্ধনে সে আবদ্ধ হতে পারেনি। একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সে বাড়ি ছেড়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। তাই সে হয়তো তার ফিরে আসার জন্য তার বাবা-মায়ের সংবাদপত্রের আবেদন পড়েনি। নিরুদেশের জীবন অনিশ্চয়তায় ভরা, তাই সম্ভবত সেখানেই সে মুক্তির স্বাদ পেয়েছিলো।

৯. “শোভনের কাছে নায়েবমশাই-এর গলার স্বর কেমন যেন অস্বাভাবিক মনে হল।”– মন্তব্যটি ব্যাখ্যা কর।

উত্তর:) শোভন দুই বছর নিরুদ্দেশ থাকার পর বাড়িতে আসে। তা সত্ত্বেও নায়েবমশাই তাকে বাড়িতে ঢুকতে নিষেধ করেন এবং বারবাড়িতে বসার নির্দেশ দেন। নায়েবমশাই যখন খাজাঞ্চিমশাইকে শোভনের বাড়িতে প্রবেশ প্রসঙ্গে যে সুরে কথা বলেন, সেই স্বরটি শোভনের অস্বাভাবিক লাগে। নায়েবমশাই, প্রকৃতপক্ষে, শোভন হিসাবে তাঁর উপস্থিতি গ্রহণ করেননি কারণ এর আগে দু’জন শোভন হওয়ার ভান করে সেখানে উপস্থিত হয়েছিল এবং শোভনের মৃত্যুর খবরও তিনি শুনেছিলেন।

১০. “এ অশান্তির চেয়ে বনবাস ভালো।”– কে কখন এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে?

উত্তর:) প্রশ্নোদ্ধৃত মন্তব্যটি প্রেমেন্দ্র মিত্রের ছোটগল্প “নিরুদ্দেশ”-এ হারিয়ে যাওয়া ছেলেটির বাবা করেছিলেন। ছেলেটি রাতে দেরীতে বাড়ি ফেরার পর তার বাবা রেগে গিয়ে তাকে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বললে, তখনই সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। কিন্তু ছেলের দুঃখে মা খাওয়া ছেড়ে দেয়। পরের দিন সন্ধ্যায় বাবা যখন কাজ থেকে বাড়ি ফিরলেন, তিনি দেখলেন যে মা শয্যা  থেকে উঠবেন না ঠিক করেছেন। বাবা এই ঘটনায় বিব্রত হয়ে এই মন্তব্য করেছেন।

long questions – 5 marks of নিরুদ্দেশ (NIRUDDESH)

১. “এ অশান্তির চেয়ে বনবাস ভালো।”– বক্তা কেন এ কথা বলেছিলেন? অশান্তি এড়াতে তিনি কি করেছিলেন?

উত্তর:) প্রেমেন্দ্র মিত্রের ছোটগল্প “নিরুদ্দেশ”-এ, ছেলেকে মধ্যরাতের পর বাড়িতে আসতে দেখে বাবা তাকে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলে । সেই মুহূর্তে ছেলেটাও চলে যায়। সন্তানের জন্য শোকাহত মা সেই রাত থেকে খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কীভাবে তার ছেলে পুরো রাত ঠান্ডায় কাটিয়েছে বা রাগের বশে ছেলে কোন অঘটন ঘটিয়ে ফেলে কিনা তা নিয়ে মা চিন্তিত। পরের দিন সন্ধ্যায় বাবা কাজ থেকে ফিরে দেখেন ছেলেও বাড়ি ফেরেনি এবং তার মা বিছানা না ছাড়ার দাবি করেছেন। এই অবস্থা দেখে ক্লান্ত বাবাকে বিচলিত হতে দেখা গেল। তখনই সে উদ্ধৃতাংশটি বলেন।

বাবা এই সমস্যা সমাধানের জন্য পত্রিকার অফিসে গেলেন। সেখানে সংবাদপত্রের কর্মচারীকে বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য প্রস্তাব দেন এবং বলেন যে বিজ্ঞাপনটিতে নিরুদ্দেশ হওয়া ছেলেটির ফিরে আসার অনুরোধ করা হবে। কাগজের কর্মচারীর কথায়, তিনি ছেলের নাম, পরিচয় ইত্যাদি লিখে দিলেন। তিনি বিনীতভাবে অনুরোধ করলেন একটু ভালো করে বিজ্ঞাপনটি লিখতে যাতে ছেলে ফিরে আসে কারণ আগেরদিন রাত থেকে তার মা খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। কাগজের কর্মচারী তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার পর তিনি বাড়ি ফিরে যান।

২. “অধিকাংশ নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপনের ইতিহাসই এই “।–বিজ্ঞাপনের কোন ইতিহাসের কথা এখানে বলা হয়েছে নিজের ভাষায় লেখ।

উত্তর:) প্রেমেন্দ্র মিত্রের “নিরুদ্দেশ” ছোটগল্পে, কথক সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপনটি দেখার পর  নিরুদ্দেশের পটভূমিকে নিজ আঙ্গিকে প্রকাশ করার চেষ্টা করেছেন।

একটি ছেলে মাঝে মাঝে থিয়েটার দেখে দেরি করে বাড়ি ফেরার জন্য বাবা তার উপর প্রচন্ড রেগে যায়। বাবা বুঝতে পারেন যে তার ছেলে আগের বছর পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার পর এবারও সফল হতে পারবে না। তিনি তার ছেলেকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার কথা বলেছেন আর ছেলেও  সেই মুহূর্তে বাড়ি ফেরে । রাগের বশে তিনি ছেলেকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন এবং ছেলেটি সাথে সাথে চলে যায়। বাবার সাথে এই ঝামেলার পরই মা ছেলের দুঃখে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। পরের দিন কাজ থেকে বাড়ি ফিরে, স্ত্রীকে বিছানায় শুয়ে থাকতে দেখে তিনি বিরক্ত হলেন। একটি বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য, তিনি সংবাদপত্রের অফিসে যান। তবে বাবা বাড়ি দেখেন বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হওয়ার আগেই ছেলে ফিরে এসেছে । কিন্তু থাকার পরিবর্তে কয়েকটি বই নিয়ে যেতে । এবার,  ছেলেকে সামনে পেয়ে মা এবং বাবার ভূমিকা অদ্ভুত উপায়ে পরিবর্তিত হয়। মা তার ছেলেকে সামান্যতম বকুনির জন্যও গৃহ পরিত্যাগ করার কারণে শাস্তি দেন এবং “কুলাঙ্গার” বলে অভিহিত করেন। কিন্তু তার বাবা তাকে বকাবকি করতে নিষেধ করেন। নিরুদেশের বিজ্ঞাপনের ইতিহাসের বেশিরভাগই এইরকম বলে কথক মন্তব্য করেন।

৩. “হঠাৎ শোভনের কাছে সমস্ত ব্যাপারটা ভয়ংকর ভাবে স্পষ্ট হয়ে উঠলো।”– শোভনের কাছে কি স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল? সেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়েছিল কি?

উত্তর:) প্রেমেন্দ্র মিত্রের ছোটগল্প ‘নিরুদ্দেশ’-এ সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেওয়া বন্ধ হয়ে গেলে, শোভন বাড়িতে ফিরে আসেন। কিন্তু বৃদ্ধ নায়েবমশাই বাসভবনে প্রবেশ করতেই তাকে বাধা দেন। মা ঠিক আছে কি না বা কিছু হয়েছে কি না সেসব প্রশ্নের উত্তর তাকে সোজাসাপ্টা বা খোলামেলাভাবে দেওয়া হয় না। এমনকি খাজাঞ্চিমশাইয়ের কথার সুরও স্বাভাবিক মনে হয় না। শোভনের জোর করে ভিতরে যাওয়ার চেষ্টার জবাবে দরজার কাছে এগিয়ে নায়েবমশাই বলেন, কেলেঙ্কারির প্রয়োজন নেই। সেই সময়ে, শোভন বুঝতে পারে যে এই ব্যক্তিরা তাকে শোভন হিসাবে মেনে নিতে পারেনি।

শোভন এই সমস্যার সমাধান করতে পারেননি। এর কারণ সাত দিন আগে শোভনের মৃত্যুর খবর তারা বিশ্বাস করেছে। এমনকি শোভনের বৃদ্ধ বাবাও তাকে চিনতে পারেননি। কিন্তু যখন শোভনকে টাকা দেওয়া হয় এবং তাকে তার বৃদ্ধ মায়ের সামনে শোভন হওয়ার ভান করতে বলা হয়, তখন দৃশ্যটি হতাশাজনক মোড় নেয়। সমস্যাটি নির্মূল করার পরিবর্তে একটি ট্র্যাজিক  চরিত্রের ভূমিকা গ্রহণ করে শোভন।

৪. “সকলের দৃষ্টিতে অবিশ্বাস।”– কাদের কথা বলা হয়েছে? এই অবিশ্বাসের কারণ আলোচনা কর।

উত্তর:) প্রেমেন্দ্র মিত্রের ছোটগল্প “নিরুদ্দেশ”-এ উদ্ধৃতাংশটি শোভনের বাড়ির নায়েবমশাই এবং অন্যান্য গৃহকর্মীকে ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে ।

দীর্ঘ নিরুদ্দেশে থাকার পর শোভন যখন বাড়ি আসে তখন বাড়ির কর্মচারীরা মনে করে পুরস্কারপ্রত্যাশীদের মধ্যে সেও একজন। এ কারণে বারবাড়িতে তাকে বসতে দেওয়া হয়। শোভনের জোর করে ভিতরে যাওয়ার চেষ্টার জবাবে দরজার কাছে এগিয়ে নায়েবমশাই বলেন প্রতারণার কোন প্রয়োজন নেই, তাতে কোনো লাভ হবে না। এমনকি তার যৌবনের ছবি থেকে শোভন তাকে চিনতে পেরেছে, কিন্তু তার নির্ভরযোগ্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। 

নায়েবমশাইয়ের মতে শোভন এবং ছবির মধ্যে কিছুটা সাদৃশ্য রয়েছে, যদিও তিনি উল্লেখ করেছেন যে এর আগে আগত আরও দু’জনের সাথে শোভনের সাদৃশ্য ছিল, এমনকি জরুল পর্যন্ত। 

কিন্তু এই অবিশ্বাস শুধু পুরস্কারের বিপুল সংখ্যক প্রতিযোগী এবং শোভনের দীর্ঘক্ষণ অনুপস্থিতির কারণে ঘটেনি; শোভন মারা গেছেন এই খবরটিও অনেকাংশে অবিশ্বাসের কারণ। কিছু প্রত্যক্ষদর্শক ও হাসপাতালসূত্রে জানা গেছিলো সাতদিন আগে শোভন একটি গাড়ির ধাক্কায় মারা গেছে । ফলে শোভন বাড়ি ফেরার পর তাকে কেউ বিশ্বাস করতে চায়নি।

৫. “সেই জন্যই গল্প বানানো সহজ হলো।”– এই মন্তব্যের আলোয় সোমেশের চরিত্র বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর।

উত্তর:) প্রেমেন্দ্র মিত্রের “নিরুদেশ” ছোটগল্পে সোমেশকে গল্পকারের বন্ধু হিসেবে পাওয়া যায় । কথকের নিরুদ্দেশের কল্পিত কাহিনী শোনার পর সোমেশ একটি নিরুদ্দিষ্ট ছেলে ও তার বাড়ি ফিরে আসার করুন ট্র্যাজিক কাহিনী শোনান। 

শোভন হলো সেই গল্পের নায়ক যে বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হলেও দুবছর পর বাড়িতে ফেরত আসে । দুর্ভাগ্যবশত, নায়েবমশাই বা খাজাঞ্চিবাবু কেউই তাকে শোভন বলে মেনে নেয়নি । তাকে সম্পত্তির অনিচ্ছাকৃত দাবিদার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এমনকি শোভনের বাবাও তাকে চিনতে পারেননি। জোর করে বাড়ির ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে চলে যেতে বলা হয়। গল্পের সবচেয়ে কষ্টকর দিকটি হলো, অবশেষে শোভনের হাতে টাকা দিয়ে তাকে তার মৃত্যুপথযাত্রী মায়ের কাছে শোভনের ভূমিকায় অভিনয় করতে বলা হয়। ফলস্বরূপ, শোভনের জীবন এক ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্যে নিমজ্জিত হয়। তাকে সত্যিকারের চরিত্র থেকে নকল হয়ে যেতে হয়। যখন সোমেশের গল্পের সমাপ্তি ঘটে, তখন দেখা যায় যে সোমেশের কানের পাশেও একটি জড়ুল আছে, অবিকল গল্পের শোভনের মতো। গল্প তৈরি করা সহজ বলে দাবি করে বিষয়টিকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও গল্পকার বুঝতে পারে যে সোমেশই আসলে গল্পের শোভন।

৬. “ছেলে বিশাল পৃথিবীতে নিরুদ্দেশ যাত্রায় বেরিয়ে পড়ে।” – ছেলের নিরুদ্দেশ যাত্রায় বেরিয়ে পড়ার কারণ কি? তার ঘরে ফেরা পর্যন্ত ঘটনার বিবরণ দাও।

উত্তর:) প্রেমেন্দ্র মিত্রের ’নিরুদ্দেশ’ ছোটগল্পে একটি সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপনের উপর ভিত্তি করে, কথক তার বন্ধু সোমেশকে নিখোঁজ হওয়া এক যুবকের গল্প বলে। সেই গল্পে বাবা, গভীর রাতে ছেলেটি বাড়ি ফিরছে না দেখে ছেলেটির মায়ের কাছে তার রাগ দেখায়। এরকম মাঝে মাঝেই ঘটে। সে খুব বিরক্তির সাথে বলে “পয়সাগুলো আমার খোলামকুচি কিনা, তাই নবাবপুত্তুর  যা খুশি তাই করছেন।” ছেলে বাড়ি আসলে বাবা তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার কথাও বলে। বাবার রাগ সেদিন মৌখিকভাবে আটকে থাকেনি কারণ ছেলে তখনই বাড়িতে ফেরে। তিনি অবিলম্বে রাগের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে তার ছেলেকে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলেছিলেন। একথা শুনে ছেলেটি অভিমান করে সাথে সাথে ঘর ছেড়ে চলে যায়। মায়ের অনুযোগ বাবাকে আরও ক্ষিপ্ত করে তুলেছিল। ছেলেটি তখন নিরুদ্দেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে।

বাবার সাথে এই ঝামেলার পরই মা ছেলের দুঃখে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। পরের দিন কাজ থেকে বাড়ি ফিরে, স্ত্রীকে বিছানায় শুয়ে থাকতে দেখে তিনি বিরক্ত হলেন। একটি বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য, তিনি সংবাদপত্রের অফিসে যান। তবে বাবা বাড়ি দেখেন বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হওয়ার আগেই ছেলে ফিরে এসেছে । কিন্তু থাকার পরিবর্তে কয়েকটি বই নিতে। এবার,  ছেলেকে সামনে পেয়ে মা এবং বাবার ভূমিকা অদ্ভুত উপায়ে পরিবর্তিত হয়। মা তার ছেলেকে সামান্যতম বকুনির জন্যও গৃহ পরিত্যাগ করার কারণে শাস্তি দেন এবং “কুলাঙ্গার” বলে অভিহিত করেন। কিন্তু তার বাবা তাকে বকাবকি করতে নিষেধ করেন।

৭. “নায়েব মশাই নোটের তাড়াটা শোভনের হাতে গুঁজে দিলেন।” –নায়েব মশাই কেন নোটের তাড়া শোভনের হাতে গুঁজে দিয়েছিলেন।

উত্তর:) “নিরুদ্দেশ” গল্পে শোভন প্রায় দুই বছর পর নিরুদ্দেশ থেকে বাড়ি ফিরে আসে, কিন্তু জমিদারের কর্মীরা তাকে চিনতে পারে না। বারবাড়িতে তাকে বসতে বলা হয়। তাকে ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। পরিবর্তে, শোভনকে বলা হয়েছিল যে, আরও অনেক ব্যক্তি সেখানে এসে নিজেদের শোভন বলে দাবি করেছিল, কিন্তু তারা খবর পায় যে, আসল শোভন একটি গাড়ির ধাক্কায় সাত দিন আগে মারা গেছে । শোভনের দুর্ভাগ্যের বিষয় হল তার বৃদ্ধ বাবাও তাকে চিনতে পারেননি। হতাশ শোভনের সংবিত ফেরে কারণ নায়েকমশাই প্রচুর টাকা দিয়ে তাকে একটি কাজ করার জন্য অনুরোধ করেন, তা হলো শোভনকে তার মৃত্যুপথযাত্রী মায়ের সামনে শোভনের চরিত্রে অভিনয় করতে হবে। কারণ সে সব দিক থেকে শোভনের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। জমিদার নিজে এই মৃত্যুপথযাত্রীকে শেষ সান্ত্বনা দিতে তাকে অনুরোধ করেছিলেন। তার পারিশ্রমিক হিসেবে নায়েব মশাই নোটের তাড়াটি শোভনের হাতে দেন।

৮.” শোভন এই অবস্থাতে না হেসে পারলে না,”– শোভন কে? এখানে কোন অবস্থার কথা বলা হয়েছে? শোভন কেন হেসে উঠেছিল?

উত্তর:) ‘নিরুদ্দেশ’ ছোটগল্পে শোভন হল জমিদার বংশের একক উত্তরসূরি, যে দীর্ঘদিন নিরুদ্দেশ ছিল।

দুই বছর পর, শোভন বাড়ি ফিরে আসে, কিন্তু বাড়িতে তাকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। বারবাড়িতে তার থাকার ব্যবস্থা করা হয়। শোভনের জোর করে ভিতরে যাওয়ার চেষ্টার জবাবে দরজার কাছে এগিয়ে নায়েবমশাই বলেন প্রতারণার কোন প্রয়োজন নেই। তাকে বলা হয়েছিল যে আরও দু’জন লোক আগে এসেছিলেন এবং দাবি করেছিলেন যে তারা শোভন। এই পরিস্থিতিতে শোভন অবাক হয়ে যায়।

শোভন তার বাবা-মায়ের সাথে দেখা করার অনুরোধ করেন, কিন্তু নায়েবমশাই তাকে জানান যে শোভন সাত দিন আগে মারা গেছেন। একথা শুনে অবাক হয়েও শোভন হাসে। সে নিজে উপস্থিত এবং তাকেই তার মৃত্যুর খবর দেওয়া হচ্ছে, এই ঘটনা শোভনকে হাসতে বাধ্য করে। সে তার কণ্ঠে অবজ্ঞা নিয়ে শোভনের মৃত্যুর কারণ জিজ্ঞেস করে।

error: Content is protected !!
Scroll to Top

আজকেই কেনো পরীক্ষার শর্ট নোটস

এখন সহজে পরীক্ষার প্রস্তুতি নাও – আজকেই ডাউনলোড করো পিডিএফ বা বই অর্ডার করো আমাজন বা ফ্লিপকার্ট থেকে