অহিংস অসহযোগ আন্দোলন-পর্বে শ্রমিক আন্দোলনের ইতিহাস
১৯১৭ সালে, রাশিয়ার বলসেভিক বিপ্লব ভারতের শ্রমিকদের প্রভাবিত করে এবং এর পর থেকে ভারতীয় ট্রেড ইউনিয়ন গুলিতে ধীরে ধীরে কমিউনিস্ট প্রভাব বৃদ্ধি পেতে থাকে। এই সময়ে, ১৯২০ সালে গান্ধীজির ডাকে অসহযোগ আন্দোলন শুরুর পর, শ্রমিক আন্দোলন সর্বাত্মক রূপ ধারণ করে।
শ্রমিক আন্দোলনের বিকাশ:
বি.পি. ওয়াদিয়া, এন.এম. জোশি, জোসেফ ব্যাপ্টিস্ট, এবং লালা লাজপত রায় প্রমুখের নেতৃত্বে ‘অল ইন্ডিয়া ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস’ (AITUC) গঠিত হয়। লালা লাজপত রায় এর সভাপতি হন এবং এই সংগঠনটি শ্রমিকদের সংগঠিত করতে সাহায্য করে।
শ্রমিকদের অংশগ্রহণ:
এই সময়ে, বিভিন্ন শিল্প-কারখানা, রেলওয়ে, ট্রাম, খনি, চা-বাগানের শ্রমিক এবং কুলিরা আন্দোলনে যোগ দেন। কলকাতা, বোম্বাই, খড়গপুর, সোলাপুর, কানপুর প্রভৃতি শহরে শ্রমিকরা ধর্মঘট পালন করে এবং তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম শুরু করেন।
বাংলার গুরুত্বপূর্ণ শ্রমিক আন্দোলন:
বাংলায় রেল-স্টিমার পরিবহন আন্দোলন, রানীগঞ্জ-ঝরিয়া কয়লাখনি অঞ্চলে ধর্মঘট, এবং আসামে চা-শ্রমিকদের সংগ্রাম উল্লেখযোগ্য ছিল। প্রিন্স অফ ওয়েলস এর ভারত সফরের বিরোধিতায় বোম্বাইয়ের সুতাকল ধর্মঘট একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন হিসেবে চিহ্নিত হয়।
গান্ধীজির আন্দোলন প্রত্যাহার এবং শ্রমিক আন্দোলনের পতন:
১৯২২ সালে গান্ধীজির আন্দোলন প্রত্যাহারের পর শ্রমিক আন্দোলন কিছুদিনের জন্য দুর্বল হয়ে পড়ে। তবে পরবর্তীকালে কমিউনিস্টদের প্রভাব বৃদ্ধি পায় এবং ১৯২৩ সালে মাদ্রাজে ভারতের প্রথম মে দিবস পালিত হলে, শ্রমিক আন্দোলন নতুন মোড় নেয়।
শ্রমিক আন্দোলনের পরিণতি:
এই সময়ের শ্রমিক আন্দোলনগুলি ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের অংশ হয়ে ওঠে এবং শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, মজুরি বৃদ্ধি এবং শ্রমিকদের শোষণ রোধে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হয়ে দাঁড়ায়।
To learn more about the rise of labour movements during non-violent civil disobedience, take membership at www.skillyogi.org/student-registration-cbse. Gain access to all exclusive study materials. You can also buy the WBBSE Class 10 Itihas History Study Notes at www.skillyogi.org/wbbse-class-10-itihas-history-study-notes to boost your exam preparation.