পাগলপন্থী বিদ্রোহের ইতিহাস (প্রথম পর্যায়, ১৮২৫-২৭ খ্রি) – তৃতীয় অধ্যায় : প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ – Class 10 Itihas WBBSE Madhyamik

পাগলপন্থী বিদ্রোহের ইতিহাস (প্রথম পর্যায়, ১৮২৫-২৭ খ্রি)

পাগলপন্থী বিদ্রোহ ১৮২৫-২৭ খ্রিস্টাব্দে শুরু হয় এবং এটি ছিল বাংলায় প্রথম গুরুত্বপূর্ণ কৃষক বিদ্রোহগুলির মধ্যে একটি। এই বিদ্রোহের মূল নেতৃত্ব প্রদান করেছিলেন ফকির করিম শাহ, যিনি ময়মনসিংহের শেরপুর এলাকায় বাস করতেন। তিনি সমাজে বিদ্যমান বৈষম্য এবং শোষণের বিরুদ্ধে এক গভীর আন্দোলন গড়ে তোলেন। তার চিন্তাধারা অনুসরণ করে অনেক মানুষ পাগলপন্থী নামে পরিচিত হয় এবং তারা তাঁর শাসনমুক্তির দিশায় বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করতে শুরু করে।

পাগলপন্থী বিদ্রোহের কারণ:

  1. চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রথার প্রবর্তন: এর ফলে জমির মালিকানা প্রথা পরিবর্তিত হয়, যা অনেক কৃষকের জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হয়।
  2. পরম্পরাগত গ্রামীণ কাঠামোর বিলোপ: কৃষকদের ঐতিহ্যবাহী ভূমি ব্যবস্থাপনা ধ্বংস করা হয়, যা তাদের জীবিকার উৎসকে বিপন্ন করে।
  3. ক্রমবর্ধমান রাজস্ব ও করের বোঝা: কৃষকদের উপর অতিরিক্ত কর চাপিয়ে দেওয়া হয়, যা তাদের দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দেয়।
  4. ব্রহ্মদেশের যুদ্ধের খরচ মেটাতে অতিরিক্ত কর আরোপ: এই কর কৃষকদের ওপর অত্যধিক চাপ সৃষ্টি করে, যা তাদের বিদ্রোহে উত্তেজিত করে তোলে।

ফকির করিম শাহের নেতৃত্বে, পাগলপন্থীরা গ্রামীণ জনগণের অধিকার রক্ষায় এবং ব্রিটিশ শাসন ও তাদের জমিদারি ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণের জন্য সংগ্রাম চালায়।

বিদ্রোহের পরিণতি:

পাগলপন্থী বিদ্রোহ ব্রিটিশ শাসকগোষ্ঠীর দমন-পীড়নের শিকার হলেও, এটি কৃষক শ্রেণির মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা তৈরি করে এবং পরবর্তীতে আরও বড় বিদ্রোহের প্রেরণা জোগায়।

For full access to study material, join our membership at:

https://skillyogi.org/student-registration-cbse

Buy your Class 10 History study book here:

https://skillyogi.org/wbbse-class-10-itihas-history-study-notes

error: Content is protected !!
Scroll to Top
×