মহারানীর ঘোষণাপত্র (১৮৫৮ খ্রি.) – চতুর্থ অধ্যায় : সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা – CLASS 10 ITIHAS WBBSE MADHYAMIK

মহারানীর ঘোষণাপত্র (১৮৫৮ খ্রি.)

১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ বা মহাবিদ্রোহ ব্যর্থ হলেও এর প্রভাব ছিল ব্যাপক এবং গভীর। এই বিদ্রোহের পর ব্রিটিশ সরকার ভারতের শাসন ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ‘ভারত শাসন আইন’ (১৮৫৮ খ্রি.) প্রণয়ন করে, যা ভারতের শাসন ব্রিটিশ রাজমহলের হাতে তুলে দেয়। এর ফলে, মহারানী ভিক্টোরিয়া ভারতের শাসনভার নিজের হাতে তুলে নেন এবং লর্ড ক্যানিং-কে প্রথম গভর্নর জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত করেন।

১৮৫৮ সালের মহারানীর ঘোষণাপত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলিল ছিল, যা নতুন শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করে। এই ঘোষণায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল:

  • ব্রিটিশ সরকার ভারতীয়দের সামাজিক এবং ধর্মীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না।
  • স্বত্ববিলোপ নীতি প্রত্যাহার করা হয় এবং দেশীয় রাজাদের দত্তক গ্রহণের অধিকার দেওয়া হয়।
  • ব্রিটিশ সরকার ভারতীয়দের যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি প্রদান করবে এবং দেশীয় রাজ্যগুলির সাথে পূর্বের চুক্তি অনুযায়ী সম্পর্ক বজায় রাখবে।

এই ঘোষণায় কিছু আশ্বাস থাকলেও, বাস্তবে এগুলি কার্যকর করা হয়নি। ব্রিটিশ সরকারের হস্তক্ষেপ এবং আধিপত্য প্রবল হওয়ার ফলে, ভারতীয় জনগণের মধ্যে ক্ষোভ এবং হতাশা বাড়তে থাকে। যদিও মহারানীর ঘোষণাপত্র ভারতীয় জনগণের প্রতি কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু এর বাস্তবায়ন ছিল সীমিত এবং তাতে কোনো প্রভাব ফেলা সম্ভব হয়নি।

মহারানীর ঘোষণাপত্রের পর, ব্রিটিশ শাসন আরো দৃঢ় হয়েছিল, তবে ভারতীয় জনগণের মধ্যে এই নীতি ও শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিরোধিতা অব্যাহত থাকে, যা পরবর্তীতে স্বাধীনতা সংগ্রামের দিকে পরিচালিত হয়।

For more detailed study and exclusive access to content, join our membership at:

https://skillyogi.org/student-registration-cbse

To purchase the study book for Class 10 History (WBBSE), click here:

https://skillyogi.org/wbbse-class-10-itihas-history-study-notes

error: Content is protected !!
Scroll to Top
×

এই ওয়েবসাইটের সব কনটেন্ট এক্সেস করুন শুধু একটা মেম্বারশীপের সাথে।  আজকেই ক্লিক করুন নিচে রেজিস্টার করার জন্যে।  অসুবিধে হলে হোয়াটস্যাপ করুন আমাদের  +919804282819