https://youtu.be/De-CLW0PbQU
প্রকৃতি, মানুষ ও শিক্ষার সমন্বয় বিষয়ে রবীন্দ্রনাথের ভাবনা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বাস করতেন যে শিক্ষা, মানুষ এবং প্রকৃতি একে অপরের সাথে অবিচ্ছেদ্য। তাঁর মতে, শিক্ষার উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ককে সুষমভাবে গড়ে তোলা। তিনি বিশ্বাস করতেন যে জীবনের অস্তিত্ব মানুষের এবং প্রকৃতির মধ্যে গভীর সম্পর্কের ওপর নির্ভরশীল। তিনি মনে করতেন, প্রকৃতির ধ্বংসের ফলে জীবনের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, এবং এই কারণে ১৯২৫ সালে শান্তিনিকেতনে পঞ্চপট্টি প্রতিষ্ঠা করে বৃক্ষরোপণ উৎসব চালু করেছিলেন। প্রতি বছর ২২ শ্রাবণ শান্তিনিকেতনে এই উৎসব পালিত হয়।
রবীন্দ্রনাথ পল্লীগ্রামের কৃষিকাজের উন্নতির জন্যও অনেক চিন্তা-ভাবনা করেছিলেন। তিনি জমিদারদের কাছ থেকে সম পরিমাণ অর্থ নিয়ে ‘হিতৈষী তহবিল’ গঠন করেন। শিলাইদহে তিনি ‘মহর্ষি দাতব্য চিকিৎসালয়’ প্রতিষ্ঠা করেন। আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে সেখানে আদর্শ কৃষিক্ষেত্র তৈরি করা হয়। ১৯০৬-০৭ সালে, রবীন্দ্রনাথ পুত্র রথীন্দ্রনাথ এবং অন্যান্যদের কৃষিবিদ্যা শিখানোর জন্য বিদেশে পাঠান। উন্নতির লক্ষ্যে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে উন্নত বীজ, সার, সেচ ইত্যাদি ব্যবহৃত হয় এবং শিলাইদহে ৮০ বিঘা জমিতে আধুনিক কৃষিখামার গড়ে তোলা হয়।
এছাড়াও, রবীন্দ্রনাথ কুটির শিল্পের বিকাশ নিয়ে উদ্যোগ নেন। কুষ্টিয়া থেকে শিলাইদহ পর্যন্ত ৬ মাইল রাস্তা নির্মাণ করেন। স্বল্পসুদে ঋণ দানের জন্য তিনি কৃষিব্যাংক স্থাপন করেন এবং প্রজাদের মীমাংসার জন্য সালিশি সভা প্রস্তুত করেন। কৃষকদের সঠিক মূল্যে ধান ও পাট বিক্রির সুবিধা দেয়ার জন্য তিনি ‘টেগোর অ্যান্ড কোং’ (১৮৯৫) প্রতিষ্ঠা করেন।
রবীন্দ্রনাথ হিন্দু-মুসলমানের বিভেদ দূর করার লক্ষ্যে কাজ করেছিলেন এবং নতুন প্রাণের সঞ্চার করেন। তিনি চাষিদের অর্থনৈতিক শোষণ থেকে মুক্তি এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিক্ষার প্রচার ঘটান।
পঞ্চম অধ্যায়-এ, রবীন্দ্রনাথের বিকল্প চিন্তা এবং উদ্যোগ বিশেষভাবে আলোচনা করা হয়েছে, যেখানে তাঁর চিন্তাভাবনা এবং উদ্যোগগুলি উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে বিংশ শতকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত সমাজের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
For full access to study material, join our membership at: https://skillyogi.org/student-registration-cbse
Buy your Class 10 History study book here: https://skillyogi.org/wbbse-class-10-itihas-history-study-notes