রাশিয়া – রাজতন্ত্র থেকে সমাজতন্ত্র
রাশিয়ার ইতিহাসে রাজতন্ত্র এবং সমাজতন্ত্র দুটো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধারণা। রাশিয়ার সম্রাটদের ‘জার’ বলা হতো। এই জারবাদ পদ্ধতিতে সম্রাটদের ঐশ্বরিক ক্ষমতার ধারণা প্রচলিত ছিল, যার অর্থ ছিল সম্রাটের হাতে সর্বময় ক্ষমতা ছিল এবং তিনি ঈশ্বরের প্রতিনিধিত্বকারী। এর ফলে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় যেখানে সম্রাট ছিলেন দেশের সর্বশক্তিমান নেতা।
অন্যদিকে, সমাজতন্ত্র হলো একটি অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা যা মার্কস ও এঙ্গেলসের বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল। তাঁদের প্রভাবশালী গ্রন্থ ‘কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো’-তে মানব সভ্যতার বিবর্তন প্রক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, যেখানে সামন্তবাদ, পুঁজিবাদ, এবং সমাজতন্ত্র তিনটি পর্যায়ের উল্লেখ করা হয়েছে।
মার্কসীয় তত্ত্ব অনুযায়ী, সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব শ্রমিক শ্রেণী দ্বারা সম্ভব, তবে এর জন্য সামন্তবাদ এবং পুঁজিবাদের অবসান ও বিকাশ প্রয়োজন। কিন্তু রাশিয়ায় লেনিন ও বলশেভিকরা পুঁজিবাদের চূড়ান্ত বিকাশের জন্য অপেক্ষা না করে, তড়িঘড়ি বিপ্লব ঘটায়। ঐতিহাসিকভাবে প্রথমে ১৯০৫ সালে জারবাদের বিরুদ্ধে বিপ্লব ঘটে এবং ১৯১৭ সালের মার্চ মাসে আরেকটি বিপ্লবের মাধ্যমে জারবাদ উৎখাত হয়, যার ফলে বুর্জোয়া শ্রেণী ক্ষমতায় আসে।
অবশেষে, ১৯১৭ সালের নভেম্বরে বলশেভিক বিপ্লব সংঘটিত হয় এবং রাশিয়ায় সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। এই বিপ্লবের ফলে রাশিয়ায় এক নতুন রাজনৈতিক, সামাজিক, এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে ওঠে, যা পরবর্তীতে সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠার পথে সাহায্য করে।
রাশিয়ার এই সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব বিশ্ব ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এটি পরবর্তী শতাব্দীর জন্য একটি নতুন রাজনৈতিক ধারণার সূচনা করে।
Take action today and join our membership for access to all content and study materials!
To become a member, visit: https://skillyogi.org/student-registration-cbse
For purchasing the book, visit: https://skillyogi.org/wbbse-class-10-itihas-history-study-notes