সাঁওতাল বিদ্রোহের বর্ণনা – তৃতীয় অধ্যায় : প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ – Class 10 Itihas WBBSE Madhyamik

সাঁওতাল বিদ্রোহের বর্ণনা

১৮৫৫ সালের এপ্রিল মাসে সাঁওতালরা ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এবং স্থানীয় জমিদারমহাজনদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করে। প্রায় ১০ হাজার সাঁওতাল ৩০ জুন ভগনাদিহির মাঠে জড়ো হয়ে একটি স্বাধীন সাঁওতাল রাজ্য ঘোষণা করে সশস্ত্র সংগ্রামের ডাক দেয়। তারা পবিত্র শাল গাছের ডাল কে প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করে, এবং সমস্ত সাঁওতাল জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানায়।

এই বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন সিধুকানহু নামক দুই ভাই। এছাড়াও, চাঁদ, কালো প্রামানিক, এবং বীর সিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বিদ্রোহের প্রভাবে পাকুড়, মহেশপুর, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, সিংভূম, মুঙ্গের এবং হাজারিবাগ অঞ্চলে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে।

বিদ্রোহীরা অত্যাচারী মহাজন কেনারাম ভগত এবং দিঘি থানার দারোগা মহেশ দত্ত কে হত্যা করে। তাদের নেতৃত্বে, চাঁদভৈরব পাকুড় রাজবাড়ি লুণ্ঠন করে। রাজমহল থেকে কোলগঞ্জ এবং বীরভূম থেকে ভাগলপুর পর্যন্ত এলাকায় বহু নীলকর এবং ইংরেজ কর্মচারীপুলিশ নিহত হয়।

প্রথমে, ব্রিটিশ সেনাবাহিনী, মেজর বারোজের নেতৃত্বে পরাজিত হয়, তবে পরে পূর্ণ শক্তি নিয়ে আক্রমণ চালিয়ে সাঁওতালদের পরাস্ত করে। বিদ্রোহী নেতা সিধুকে গুলি করে হত্যা এবং কানহুকে ফাঁসি দেওয়া হয়। এই বিদ্রোহে প্রায় ২৩ হাজার সাঁওতালকে হত্যা করা হয়।

অবশেষে, ১৮৫৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এই বিদ্রোহ চূড়ান্তভাবে দমন করা হয়, যা ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরোধ গড়ে তোলে, তবে তার পরিণতি ছিল বেদনাদায়ক এবং বিপর্যয়কর

For more detailed study and exclusive access to content, join our membership at:

https://skillyogi.org/student-registration-cbse

To purchase the study book for Class 10 History (WBBSE), click here:

https://skillyogi.org/wbbse-class-10-itihas-history-study-notes

error: Content is protected !!
Scroll to Top
×