সাঁওতাল বিদ্রোহের বিশেষত্ব – তৃতীয় অধ্যায় : প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ – Class 10 Itihas WBBSE Madhyamik

সাঁওতাল বিদ্রোহের বিশেষত্ব

সাঁওতাল বিদ্রোহ ছিল ১৯ শতকের মধ্যভাগে ভারতের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরোধ আন্দোলন। এই বিদ্রোহের বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য ছিল:

  1. বিদ্রোহে অংশগ্রহণকারী সম্প্রদায়: প্রথমত, সাঁওতালদের পাশাপাশি স্থানীয় দরিদ্র শ্রেণি যেমন কামার, কুমোর, ডোম প্রভৃতি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষও এই বিদ্রোহে যোগ দেয়। এটি সাঁওতাল বিদ্রোহকে একটি বৃহত্তর সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করে, যেখানে বিভিন্ন জাতি ও সম্প্রদায় একত্রিত হয়ে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়।
  2. বিদ্রোহীদের বয়স ও লিঙ্গের বৈচিত্র্য: দ্বিতীয়ত, বিদ্রোহে অংশগ্রহণকারী সকল বয়সের সাঁওতাল নারী-পুরুষ ছিলেন। এটি প্রমাণ করে যে, সাঁওতালরা নিজেদের সমাজের সবাইকে বিদ্রোহে শামিল করার জন্য আগ্রহী ছিলেন, এবং তারা সংগ্রামে সবাইকে সমানভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়েছিল।
  3. অস্ত্রের ব্যবহার: তৃতীয়ত, বিদ্রোহীরা মূলত সরকারি অফিস, রেলপথ, ডাকঘর, ব্রিটিশ কোম্পানির বাংলো এবং জমিদারদের বাড়ি লক্ষ্য করে আক্রমণ চালায়। সাঁওতালরা তাদের আক্রমণে প্রথাগত শিকারের অস্ত্র ব্যবহার করেছিল, যা ব্রিটিশদের আধুনিক অস্ত্র এর মোকাবিলা করেছিল।
  4. বিদ্রোহের উদ্দেশ্য: চতুর্থত, এই বিদ্রোহের মূল উদ্দেশ্য ছিল ছোটনাগপুর অঞ্চল থেকে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন উৎখাত করা। সাঁওতালরা মনে করত, যদি ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটে, তবে তারা শুধু শাসক শ্রেণির নির্যাতন থেকে মুক্তি পাবে না, বরং বাইরের জমিদার, মহাজন এবং ব্যবসায়ীদের নির্যাতন থেকেও মুক্তি পাবে।

সাঁওতাল বিদ্রোহ ছিল ইংরেজদের বিরুদ্ধে এক ঐতিহাসিক সংগ্রাম, যা শুধু একটি বর্ণনামূলক সংগ্রাম ছিল না, বরং একটি জাতীয় প্রতিবাদ ছিল, যা পুরো দেশের জনগণকে সংগ্রামের পথে একত্রিত করার প্রচেষ্টা করেছিল।

For more detailed study and exclusive access to content, join our membership at:

https://skillyogi.org/student-registration-cbse

To purchase the study book for Class 10 History (WBBSE), click here:

https://skillyogi.org/wbbse-class-10-itihas-history-study-notes

error: Content is protected !!
Scroll to Top
×