শ্রীরামপুর ছাপাখানার বৈশিষ্ট্য
শ্রীরামপুর মিশনের উইলিয়াম কেরি, জোসুয়া মার্শম্যান এবং উইলিয়াম ওয়ার্ড এর প্রচেষ্টায় বাংলায় গণশিক্ষার ব্যাপক উন্নতি ঘটে। এই তিনজনকে ‘শ্রীরামপুর ত্রয়ী’ নামে পরিচিত করা হয়। তাঁদের উদ্যোগের ফলে, ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর বইয়ের দাম কমে যায় এবং সাধারণ মানুষও শিক্ষার সুযোগ পেতে থাকে।
১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে, শিক্ষার্থীদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে বই সরবরাহের উদ্দেশ্যে ‘ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি’ গঠন করা হয়। এই সোসাইটির মাধ্যমে ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে কিছু স্কুল প্রতিষ্ঠা হয়, এবং শ্রীরামপুর ছাপাখানা থেকে এই সোসাইটির বইগুলি ছাপিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে শিক্ষার জন্য পৌঁছানো হয়।
এছাড়া, ফোর্ট উইলিয়াম কলেজএর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য, হিন্দুস্থানী, পার্সিয়ান এবং সংস্কৃত প্রেস থেকেও বই ছাপানো হয় এবং সরবরাহ করা হয়। ১৮২৩ খ্রিস্টাব্দে ‘ক্যালকাটা ক্রিশ্চান ট্র্যাক্ট এন্ড বুক সোসাইটি’ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দে ‘ক্যালকাটা ক্রিশ্চান স্কুল বুক সোসাইটি’ গঠিত হয়, যা ভারতের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১৮৫০ খ্রিস্টাব্দে ‘ভার্নাকুলার লিটারেচার সোসাইটি’ প্রতিষ্ঠিত হয়, যা বাংলা ভাষায় এবং অন্যান্য স্থানীয় ভাষায় বই ছাপানোর কাজ শুরু করে।
১৮১৬ খ্রিস্টাব্দে, গ্রামাঞ্চলে শিক্ষার জন্য নতুন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়, যার মাধ্যমে স্থানীয় স্কুল সম্বন্ধে আভাস প্রদান করা হয়। ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে, মিশনারীরা বাংলাদেশে ১০৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন, যা শিক্ষার প্রসারে সহায়ক ছিল।
এছাড়া, এশিয়ার প্রথম ডিগ্রি কলেজ ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামপুরে প্রতিষ্ঠিত হয়, যা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ছিল।
শ্রীরামপুর ছাপাখানা এবং মিশনারি উদ্যোগ এর মাধ্যমে শিক্ষার বিস্তার এবং বিভিন্ন ভাষায় বই প্রকাশ হতে থাকে, যা ভারতের শিক্ষা ও সংস্কৃতির উন্নয়নে এক নতুন যুগের সূচনা করে।
For more detailed study and exclusive access to content, join our membership at:
https://skillyogi.org/student-registration-cbse
To purchase the study book for Class 10 History (WBBSE), click here:
https://skillyogi.org/wbbse-class-10-itihas-history-study-notes