ভিয়েনা সম্মেলনে গৃহীত নীতি:
১৮১৫ সালের ভিয়েনা সম্মেলন ইউরোপের পুনর্গঠন এবং শান্তি স্থাপন করতে তিনটি মূল নীতির ভিত্তিতে কাজ করেছিল। এই নীতিগুলি ছিল: ন্যায্য অধিকার নীতি, শক্তিসাম্য নীতি, এবং ক্ষতিপূরণ নীতি। সম্মেলনের এই নীতিগুলি ইউরোপের রাজনীতির কাঠামো এবং ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
ন্যায্য অধিকার নীতি:
ন্যায্য অধিকার নীতি ছিল ভিয়েনা সম্মেলনের অন্যতম প্রধান নীতি। এই নীতির মূল উদ্দেশ্য ছিল, ফরাসি বিপ্লবের আগে ইউরোপে যে রাজবংশগুলি ক্ষমতায় ছিলেন, তাদের আবার ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনা। এই নীতির মাধ্যমে, বিভিন্ন রাজতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, ফ্রান্সে বুরবোঁ রাজবংশ, স্পেন, সিসিলি, নেপলস-এ বুরবোঁ এবং অস্ট্রিয়ার হ্যাপসবার্গ শাসকরা আবার রাজত্ব শুরু করেন। এছাড়া হল্যান্ড-এ অরেঞ্জ রাজবংশ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।
এছাড়া, স্যাভয় বংশের শাসন সার্ডিনিয়া এবং পিডমন্ট-এ পুনঃস্থাপিত হয়, এবং পোপ তার হারানো রাজ্য পুনরুদ্ধার করেন। তবে, জেনোয়া এবং ভেনিস এর মতো প্রজাতন্ত্রিক রাষ্ট্রগুলিকে এই সুবিধা দেওয়া হয়নি। এর পাশাপাশি, জার্মানিকে ৩৯টি ক্ষুদ্র রাজ্যে ভাগ করে অসংহত রাষ্ট্রসংঘ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শক্তিসাম্য নীতি:
শক্তিসাম্য নীতি এই সম্মেলনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল, যা নিশ্চিত করেছিল যে, ইউরোপের কোনো একটি দেশ অতিরিক্ত শক্তিশালী না হয়ে অন্যদের বিরুদ্ধে সুবিধা না নিতে পারে। এই নীতি অনুসারে, প্রতিটি শক্তিশালী দেশকে ইউরোপে সমান ক্ষমতা প্রদান করা হয়, যাতে রাজনৈতিক ভারসাম্য বজায় থাকে।
ক্ষতিপূরণ নীতি:
এই নীতির মাধ্যমে, বিজয়ী দেশগুলি তাদের যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ আদায় করেছিল। ফ্রান্স থেকে যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ আদায় করা এবং ফ্রান্সের সীমান্ত পুনঃনির্ধারণের মাধ্যমে ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলির প্রতি শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল।
এই নীতিগুলি ইউরোপের রাজনৈতিক ও সামরিক কাঠামো পুনঃস্থাপন করতে সহায়ক ছিল এবং পরবর্তীতে ঊনবিংশ শতাব্দীর
ইউরোপে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন এবং রাজতন্ত্রের সংঘাতের ভিত্তি স্থাপন করে।
To access all our detailed study materials and notes, become a member today at: https://skillyogi.org/student-registration-cbse.
To buy the History Study Notes for Class 10 WBBSE, visit: https://skillyogi.org/wbbse-class-10-itihas-history-study-notes.