বিশ্বভারতীর বিভিন্ন পরিকল্পনা
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর মতে, শিক্ষার লক্ষ্য হলো মানুষের অন্তর্নিহিত মানুষটিকে খাঁটি মানুষে রূপান্তরিত করা। রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে চিন্তাধারা ছিল অনেকাংশে উন্নত এবং আধুনিক, যা তাঁর সময়ের ইউরোপীয় শিক্ষাব্যবস্থার তুলনায় অনেক বেশি বিশ্বব্যাপী চিন্তাধারা গ্রহণ করেছিল। তিনি মহীশূর (১৯১৬), বারানসি (১৯১৬), পাটনা (১৯১৭), ওসমানিয়া (১৯১৮) বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ধারার শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেন।
রবীন্দ্রনাথের মতে, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তব্য ছিল সত্যানুসন্ধানের মাধ্যমে রাজনৈতিক ও সামাজিক সংস্কৃতি সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলা এবং মুক্তচিন্তার চর্চা করা। ১৯১৯ সালে তিনি একটি আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করেন এবং তার নাম দেন ‘বিশ্বভারতী’।
১৯২১ সালে, বীরভূম জেলার শান্তিনিকেতনে তিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে কলাবিদ্যা ছাড়াও অর্থশাস্ত্র, স্বাস্থ্যবিদ্যা, কৃষি, পল্লীউন্নয়ন এবং বিজ্ঞানের শিক্ষাদান করা হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশ-বিদেশের বহু পণ্ডিত এবং শিক্ষার্থী তাদের শিক্ষা অর্জন করতে আসেন।
বিশ্বভারতীর গ্রন্থাগার ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা কেন্দ্র, যেখানে মূল্যবান গ্রন্থ এবং পত্র-পত্রিকা সমন্বিত ছিল। এখানে গবেষণা, পল্লীশিক্ষা, কৃষি-অর্থনৈতিক শিক্ষা, সাহিত্য প্রভৃতি বিষয়ে শিক্ষাদান করা হতো।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি ক্যাম্পাস ছিল:
- শান্তিনিকেতন
- শ্রীনিকেতন
এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পরিদর্শকের অনুমোদন সাপেক্ষে নিযুক্ত হতেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজেই প্রথম উপাচার্য (১৯৫১-৫৩) ছিলেন। ১৯৫১ সালে, বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা লাভ করে।
বিশ্বভারতীর উল্লেখযোগ্য ছাত্রদের মধ্যে ছিলেন:
- ইন্দিরা গান্ধী
- সুচিত্রা মিত্র
- মহাশ্বেতা দেবী
- অমর্ত্য সেন
- সত্যজিৎ রায়
এরা সকলেই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা লাভ করে, এবং পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় এবং সমাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
For more detailed study and exclusive access to content, join our membership at:
https://skillyogi.org/student-registration-cbse
To purchase the study book for Class 10 History (WBBSE), click here:
https://skillyogi.org/wbbse-class-10-itihas-history-study-notes