ওয়াহাবি আন্দোলনের বর্ণনা – তৃতীয় অধ্যায় : প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ – Class 10 Itihas WBBSE Madhyamik

ওয়াহাবি আন্দোলনের বর্ণনা

মীর নিসার আলী উরফে তিতুমীর এর হাত ধরে বাংলায় ওয়াহাবি আন্দোলনের যাত্রা শুরু হয়। মক্কায় গিয়ে সৈয়দ আহমদের সান্নিধ্যে তিতুমীর ওয়াহাবি মতাদর্শ গ্রহণ করেন, যা তাকে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দানে উত্সাহিত করে।

১৮৩০ সালে তিতুমীর তার অনুসারীদের নিয়ে পুড়ার জমিদার কৃষ্ণদেব রায়ের বাড়িতে হামলা চালান। ব্রিটিশ নির্যাতিত দরিদ্র মুসলমানেরা তিতুমীরের দলে যোগ দিতে থাকে, এবং এই আন্দোলন ধীরে ধীরে ২৪ পরগনা, নদিয়া, যশোর, মালদহ, রাজশাহী, ঢাকা সহ বিস্তৃত এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।

তিতুমীর ব্রিটিশ শাসিত ভারতকে দার-উল-হারব (যুদ্ধের ভূমি) ঘোষণা করে, একে দার-উল-ইসলাম (ইসলামের ভূমি)-এ পরিণত করার আহ্বান জানান। বারাসাত থেকে বসিরহাট পর্যন্ত এলাকায় তিনি ব্রিটিশদের আধিপত্য অস্বীকার করে নিজেকে বাদশাহ হিসেবে ঘোষণা করেন। গোলাম মাসুমকে সেনাপতি এবং মইনুদ্দিনকে প্রধানমন্ত্রী বানানো হয়।

নারকেলবেড়িয়া গ্রামে তিতুমীর একটি বাঁশের কেল্লা নির্মাণ করেন, এবং এই ঘটনা ‘বারাসাত বিদ্রোহ’ নামে পরিচিত। প্রথমে, নীলকরদের বাহিনীকে তিতুমীরের দল পরাস্ত করে। কিন্তু, ১৮৩১ সালে গভর্নর জেনারেল লর্ড বেন্টিঙ্ক কলকাতা থেকে একদল সৈন্য পাঠালে কামানের গোলায় সেই বাঁশের কেল্লা ধ্বংস হয়ে যায়। পরবর্তী যুদ্ধে তিতুমীর সহ বহু অনুগামী নিহত হন। অবশিষ্ট বিদ্রোহীদের ফাঁসি বা কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এই আন্দোলন ছিল ওয়াহাবি আন্দোলনের এক গুরুত্বপূর্ণ দিক, যেখানে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে মুসলিম সমাজের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়েছিল।

For more detailed study and exclusive access to content, join our membership at:

https://skillyogi.org/student-registration-cbse

To purchase the study book for Class 10 History (WBBSE), click here:

https://skillyogi.org/wbbse-class-10-itihas-history-study-notes

error: Content is protected !!
Scroll to Top
×