fbpx

পরমাণুর নিউক্লিয়াস- Atomic nucleus Physical Science Bhouto Bigyan – Class 10 Madhyamik WBBSE

আপনি এখানে শিখবেন এই অধ্যায়ে এবং বিষয়ের ফাউন্ডেশন অংশটা, এই বিষয়টিকে সহজ-সরলভাবে পড়িয়েছেন বিশেষজ্ঞ শিক্ষক ভিডিও লেকচার এর মাধ্যমে এবং এই পুরো অধ্যায়কে চার ভাগে খন্ডিত করে আপনার জন্য তৈরি করা হয়েছে

প্রথম খন্ডে আপনি শিখবেন ফাউন্ডেশন অংশটা যেখানে অধ্যায়ের ব্যাপারে আপনাকে বোঝানো হয়েছে তার মানে definitions,basics গুলো সহজভাবে. এবং এটাকে আপনি বুঝতে পারবেন যেটা আপনাকে পরীক্ষার জন্য ক্রীপের করতে সাহায্য করবে
দ্বিতীয় মডিউলে আপনি শিখবেন MCQ মাল্টিপল চয়েস কোশ্চেন যেটা সাধারণত এক Marks’er আসে পরীক্ষায়
তৃতীয় মডিউলে আপনি শিখবেন শর্ট অ্যানসার এবং কোয়েশ্চেন, যেটা আপনার পরীক্ষার সাজেশন মধ্যে পড়ে এবং এটা 3-4 marks’er প্রশ্ন আসে আপনার পরীক্ষা
চতুর্থ মডিউল আপনি শিখবেন লং আনসার এবং questions যেটা সাধারণত 5-6 marks er হয়
আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন যাতে কি আপনাকে আমরা সাহায্য করতে পারি

Here you will learn the basics of CHAPTER 7 – পরমাণুর নিউক্লিয়াস- Atomic Nucleus in a simple language it is for Bengali medium students who are studying under West Bengal Board of Secondary Education and preparing for their exam (Class 10 WBBSE) Here you will find all necessary and important WBBSE Madhyamik Suggestions, notes, solved sample question paper in Bangla along with video lectures from expert teachers

তেজস্ক্রিয়তা

তেজস্ক্রিয়তা : বিজ্ঞানী হেনরি বেকারেল 1896 খ্রিস্টাব্দে লক্ষ্য করেন  কালো কাগজে মোড়া ইউরেনিয়াম পটাশিয়াম থেকে এক ধরনের অদৃশ্য  নির্গত হওয়া বিকিরণ ফটোগ্রাফিক প্লেটের উপর ছাপ ফেলেছে।

ইউরেনিয়াম, থোরিয়াম, রেডিয়াম ইত্যাদি ভারী মৌলিক পদার্থের পরমাণুর নিউক্লিয়াস গুলি অস্থায়ী প্রকৃতির হয় সেই জন্য এরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিকিরণ করে সুস্থিত হতে চেষ্টা করে .

এই ধরনের বিকিরণ বাহ্যিক চাপ, রাসায়নিক বিক্রিয়া, তড়িৎ ও চৌম্বক ক্ষেত্র এবং রাসায়নিক গঠন ইত্যাদির উপর নির্ভর করে না I একে বেকারেল রশ্মি বা তেজস্ক্রিয় বিকিরণ বলে এবং এই প্রক্রিয়াটিকে তেজস্ক্রিয়তা বলে I

যেসব পদার্থ তেজস্ক্রিয় রশ্মি বিকিরণ করে তাদের তেজস্ক্রিয় পদার্থ বলে I থোরিয়ামের সব যৌগ বিকিরণ করে এবং ইউরেনিয়ামের আকরিক পিচব্লেন্ড বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম এর থেকে বেশি তেজস্ক্রিয় হয় পরবর্তীকালে পোলোনিয়াম অ্যাক্টিনিয়াম রেডিয়াম তেজস্ক্রিয় মৌল গুলি আবিষ্কৃত হয় I

ফসফরাস আইসোটোপ একটি তেজস্ক্রিয় মৌল isotop

তেজস্ক্রিয়তার কারণ

তেজস্ক্রিয়তার কারণ : যে সব মৌলের নিউক্লিয়াসে নিউট্রন ও প্রোটন সংখ্যার অনুপাত 1.5 এর চেয়ে বেশি সেই নিউক্লিয়াস গুলো অস্থায়ী প্রকৃতির হয় এবং এরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ করে স্থায়ী হতে চেষ্টা করে।

তেজস্ক্রিয়তার বৈশিষ্ট্য :

  • .রাসায়নিক বিক্রিয়া, বাহ্যিক চাপ, উষ্ণতা,তড়িৎ অথবা চৌম্বক ক্ষেত্র ও রাসায়নিক গঠন ইত্যাদি তেজস্ক্রিয়তা কে প্রভাবিত করে না।
  • যে সব মৌলের পারমাণবিক গুরুত্ব 206 এর বেশি তারা তেজস্ক্রিয়তা প্রদর্শন করে।
  • তেজস্ক্রিয় বিকিরণের 3 ধরনের রশ্মি নির্গত হয় আলফা, বিটা এবং গামা।
  • তেজস্ক্রিয়তা হলো একটি নিউক্লিয়াসের ভাঙ্গন বা বিঘটন এর ফলে একটি মৌল সম্পূর্ণ ভিন্ন রাসায়নিক এবং ভৌত ধর্ম বিশিষ্ট নতুন মৌল পরিণত হয়।
  • তেজস্ক্রিয় পদার্থের প্রতি সেকেন্ডে একটি নিউক্লিয়াসের বিঘটন হলে তাকে সক্রিয়তা বলা হয় এবং সক্রিয়তা SI একক হল বেকারেল আরেকটি একক হল কুরি (Ci). 1 Ci = 3.7 X 10¹⁰Bq

তেজস্ক্রিয় পদার্থ থেকে নির্গত রশ্মির প্রকৃতি

বিজ্ঞানী রাদারফোর্ড এবং তার সহযোগীরা 1902 সালে প্রথম α রশ্মি এবং βরশ্মি শনাক্ত করে এবং 1900 খ্রিস্টাব্দে ভিলাড γ রশ্মি সনাক্তকরণ করে Iএকটি পুরু দেয়াল বিশিষ্ট সীসার বাক্সের কিছু রেডিয়াম ঘটিত তেজস্ক্রিয় পদার্থ রাখার পর দেখা যায় যে কিছু রশ্মি বাঁ দিকে বেঁকে যায় এগুলো ধনাত্মক আধানযুক্ত কণা এদের বলে α রশ্মি এবং কিছু রশ্মি ডান দিকে বেঁকে যায় এগুলো ঋণাত্মক আধানযুক্ত কণা এদের বলে β রশ্মি । কিছু রশ্মি দেখা যায় সোজা পথে চলে যায় যা হলো γ রশ্মি ।

α, β এবং γ রশ্মি হলো এক প্রকার তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ যার ধর্মাবলি আলাদা। আলফা রশ্মি হল 2 একক ধনাত্মক আধানযুক্ত হিলিয়াম পরমাণুর নিউক্লিয়াসের স্রোত যার প্রতিটি α কণা দুটি প্রোটন এবং নিউট্রন দ্বারা গঠিত । β রশ্মি হল – তড়িৎ গ্রস্ত উচ্চশক্তিসম্পন্ন ইলেকট্রন কণার স্রোত এবং γ রশ্মি হলো অতি ক্ষুদ্র তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ ।

α, β এবং γ রশ্মির ধর্মের তুলনা : 

ধর্মাবলিকণাকণারশ্মি
প্রকৃতিধনাত্মক আধানযুক্ত He নিউক্লিয়াসের স্রোতনেগেটিভ তড়িৎগ্রস্থ উচ্চশক্তিসম্পন্ন ইলেকট্রন কনাউচ্চশক্তি সম্পন্ন তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ
আধান+3.2 x 10⁻¹⁹ C-1.6 x 10⁻¹⁹ Cনিস্তড়িত
ভর6.64X10⁻²⁷ C9.14X10⁻³¹ Cনেই
ভেদন ক্ষমতাবায়ুতে 3 – 8 সেন্টিমিটারবেশি বায়ুতে কয়েক মিটারঅনেক বেশি বায়ুতে কয়েকশ মিটার
আয়নায়ন ক্ষমতাসর্বোচ্চ γ তুলনায় 1000 গুনমাঝারি γ তুলনায় 100 গুনসামান্য

নিউক্লিয়াস থেকে তেজস্ক্রিয় রশ্মি নির্গমনের ফল  : 

তেজস্ক্রিয় পদার্থের পরমাণুর নিউক্লিয়াস থেকে α, β ও γ রশ্মি নির্গত হয় এবং এর ফলে মূল পরমাণুকে জনক পরমাণু এবং নতুন মৌলের পরমাণুকে দুহিতা পরমাণু বলে।

আলফা রশ্মি নির্গমন :  কোন তেজস্ক্রিয় পরমাণু α কণার নিঃসরণ করে তখন তার ভার সংখ্যা 4 একক কমে এবং পারমাণবিক সংখ্যা 2 একক কমে যায়।

আলফা রশ্মি নির্গমন

বিটা রশ্মির নির্গমন : কোন তেজস্ক্রিয় পরমাণুর বিটা কণার নিঃসরণ হলে তার ভর সংখ্যা অপরিবর্তিত থাকে কিন্তু পারমাণবিক সংখ্যা 1 একক বেড়ে যায়।

বিটা রশ্মির নির্গমন

গামা রশ্মির নির্গমন : α এবং β কণা জনক নিউক্লিয়াস থেকে নিঃসৃত হলে নিউক্লিয়াস উত্তেজিত অবস্থায় থাকে এই নিউক্লিয়াসটি যখন আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে তখন এই দুই অবস্থা শক্তির পার্থক্য রশ্মি হিসাবে নির্গত হয় । ভর সংখ্যা ও পারমাণবিক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয়না।

গামা রশ্মির নির্গমন

তেজস্ক্রিয়তার ব্যবহার :

তেজস্ক্রিয়তার ব্যবহার প্রধানত চিকিৎসা ক্ষেত্রে হয় যেমন ক্যান্সার টিউমার ইত্যাদি চিকিৎসায় এছাড়াও তেজস্ক্রিয়তার ব্যবহার কৃষিক্ষেত্রে হয় এছাড়াও তেজস্ক্রিয় পদার্থ পারমাণবিক শক্তির চুল্লিতে জ্বালানি রূপে ব্যবহার করা হচ্ছে ।

নিউক্লিয় শক্তি :

ভর বিচ্যুতি এবং বন্ধন শক্তি :

নিউক্লিয়ার প্রোটন এবং নিউট্রন কণা দ্বারা গঠিত হয় এদের একত্রে নিউক্লিয়ন বলা হয়।

  •  সুতরাং নিউক্লিয়াসের প্রত্যাশিত ভর = প্রোটন সংখ্যা X একটি প্রোটনের ভর + নিউট্রন সংখ্যা X একটি নিউট্রনের ভর। নিউক্লিয়াসের প্রকৃত ভর এবং ওর প্রত্যাশিত ভরের চেয়ে কম হয় এই পার্থক্য ভর বিচ্যুতি বলে।
  • ভর বিচ্যুতি = প্রত্যাশিত ভর – প্রকৃত ভর।

বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের ভর ও তুল্যতা অনুযায়ী এই ভর বিচ্যুতি শক্তিতে রূপান্তরিত হয় যদি ভর বিচ্যুতি = m হয় তাহলে যে পরিমাণ শক্তি নির্গত হবে তা E= mc² সমীকরণ থেকে পাওয়া যাবে যেখানে C হলো শূন্যস্থানে আলোর বেগ (3 x 10⁸ms⁻¹) নিউক্লিয়াসের বন্ধন শক্তির দ্বারা নিউক্লিয়ন গুলি পরস্পরের সঙ্গে আবদ্ধ থাকে ,বন্ধন শক্তি বেশি হলে নিউক্লিয়াস সুস্থিত অবস্থায় থাকে এবং কম হলে সেটি অস্থায়ী হয়ে যায় ।

নিউক্লিয় বন্ধন শক্তি হল নিউক্লিয়াসের নিউক্লিয়ন গুলো যখন একসাথে দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ হয়ে নিউক্লিয়াস গঠন করে সেই সময় যে শক্তি মুক্ত করে ।1 পারমাণবিক ভর একক = 1.66 x 10⁻²⁷ KG । 1u ভর শক্তিতে রূপান্তরিত হলে 931 MeV পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হয়।

নিউক্লিয় বিভাজন প্রক্রিয়া :

জার্মান বিজ্ঞানী অটোহ্যান এবং ট্রাকম্যান 1939 খ্রিস্টাব্দে একটি পরমাণুর নিউক্লিয়াসকে নিউট্রন কণা দ্বারা ধীরগতিতে আঘাত করলে নিউক্লিয়াসটি প্রায় সমান ভরের দুটি নিউক্লিয়াস ভেঙে যায় এবং প্রচুর পরিমাণে শক্তি উৎপন্ন হয়।

যে প্রক্রিয়ায় একটি তেজস্ক্রিয় পরমাণুর নিউক্লিয়াস ধীর গতির নিউট্রন দিয়ে আঘাত করে প্রমাণ ভরের দুটো নিউক্লিয়াসের ভেঙে ফেলা হয় এবং তার সঙ্গে প্রচুর পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হয় তাকে নিউক্লিয় বিভাজন।

ইউরেনিয়াম নিউক্লিয়াসের বিভাজন সমীকরণ : 

ইউরেনিয়াম নিউক্লিয়াসের বিভাজন সমীকরণ

এক্ষেত্রে ভেঙে ইউরেনিয়ামের একটি আইসোটোপের নিউক্লিয়াসে পরিণত হয় এবং তার সাথে অস্থায়ী নিউক্লিয়াস বেরিয়াম এবং ক্রিপটন এর নিউক্লিয়াস ভেঙে যায় এর সাথে প্রচুর পরিমাণ শক্তি নির্গত হয় এবং তিনটি নিউট্রন উৎপন্ন হয় I 1KG ইউরেনিয়ামের বিভাজনে উৎপন্ন শক্তির পরিমাণ 10000 টন কয়লা পুড়িয়ে উৎপন্ন শক্তির সমান হয়।

নিউক্লিয় শৃঙ্খল বিক্রিয়া :


নিউক্লিয়াসের বিভাজনে তিনটি নিউট্রন প্রত্যেকটি অন্য নিউক্লিয়াসের বিভাজন ঘটাতে পারে এবং এর সাথে আরও নিউট্রন উৎপন্ন হয় এইভাবে নিউক্লিয় বিভাজন একবার শুরু হলে তার শৃংখল এর ন্যায় চলতে থাকে এবং নিউক্লিয় বিভাজনের হার দ্রুত গতিতে বাড়তে থাকে যার ফলে প্রচুর পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হয় সেই জন্য পারমাণবিক বোমা নিয়ন্ত্রিত শৃঙ্খল বিক্রিয়া ঘটানো হয়।

পারমাণবিক বোমা : 

পারমাণবিক বোমায় uranium-235 বা plutonium -239 নিউক্লিয়াসের অনিয়ন্ত্রিত শৃংখল বিভাজন ঘটানো হয় যার ফলে মুহূর্তের মধ্যেই বিপুল পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হয় এবং যা চারপাশের সবকিছু ধ্বংস করে দেয় I 1945 খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় 6 আগস্ট জাপানের হিরোশিমা তে এবং নাগাসাকিতে 9 আগস্ট পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়েছিল I

  • প্রথমটি ছিল uranium-235
  • দ্বিতীয়টি ছিল plutonium -239, যা বিভাজন বিক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে ঘটানো হয়েছিল I

ওই দু’টি বোমা বিস্ফোরণে প্রচুর জীবনহানি ও সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছিল এবং প্রচুর মানুষ মারা গিয়েছিল।

নিউক্লিয় চুল্লি বা নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর :

নিউক্লিয় শৃঙ্খল বিক্রিয়া কে যদি নিয়ন্ত্রিতভাবে ঘটানো হয় তা নিউক্লিয় চুল্লিতে কাজে লাগে যাহা শক্তি উৎপন্ন করার জন্য ব্যবহৃত হয় এবং এই শক্তি মানুষের কল্যাণে ব্যবহৃত হয় I নিউক্লিয় চুল্লি হলো একটি নিয়ন্ত্রিত পারমাণবিক শক্তি উৎপাদন যন্ত্র।

এই যন্ত্রে  সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম জ্বালানি, ভারী জল বা গ্রাফাইটের মডারেটর এবং ক্যাডমিয়াম দন্ড ব্যবহার হয়। এই নিউক্লিয় বিভাজন প্রক্রিয়ার ফলে উৎপন্ন তাপ শক্তি দিয়ে স্টিম জেনারেটরে স্টিম উৎপাদন করা হয় তা দিয়ে টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন করা হয় I নিউক্লিয়ার চুল্লি থেকে ক্ষতিকারক বিকিরণ বের হয় তাই একে মোটা কংক্রিটের আবরণ দিয়ে ঘিরে রাখা হয়।

নিউক্লিয় দুর্ঘটনার ভয়াবহ পরিণতি :

  • সোভিয়েত ইউনিয়নের ইউক্রেনে অবস্থিত চেরনোবিল নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টে 1986 সালের 26 শে এপ্রিল এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে এর ফলে প্রচুর পরিমাণে তেজস্ক্রিয় কনা বায়ুমন্ডলে মিশে গিয়ে USSR এবং ইউরোপের পশ্চিমাঞ্চলে ছড়িয়ে যায়।
  • International Nuclear Event Scale অনুযায়ী এটি লেভেল 7 ঘটনা এর ফলে 31 জন মানুষের মৃত্যু হয় এবং বহু মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। এই দুর্ঘটনার ফলস্বরূপ দূষণ ও সংক্রমণ কে প্রতিহত করতে 500000 কর্মী নিযুক্ত হন এবং খরচ হয়েছিল 18 বিলিয়ন রুবেল।
  • জাপানের ফুকুশিমা তে 2011 সালে একই রকম একটি ভয়াবহ নিউক্লিয় দুর্ঘটনা ঘটে এর ফলে ওই প্লান্টের 6 টির মধ্যে মধ্যে তিনটি নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর দিয়ে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে। এই দুর্ঘটনার ফলে দূষিত জল প্ল্যান্টে এবং সমুদ্রের পড়েছিল।
  • WHO এর মতে এই দুর্ঘটনাটি মানুষের উপর বিকিরণের প্রভাব এবং ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম করলেও মানুষকে সেই সময় অন্য স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছিল জাপান সরকার।

নিউক্লিয় সংযোজন : 

দুই বা তার বেশি হালকা পরমাণুর নিউক্লিয়াস যুক্ত হয়ে ভারী নিউক্লিয়াসের গঠন করলে উৎপন্ন নিউক্লিয়াসের ভর প্রাথমিক নিউক্লিয়াস গুলির চেয়ে কম হয় এবং এই ভর ঘাটতি e=mc² সমীকরণ অনুযায়ী বিপুল পরিমাণ শক্তিতে পরিণত হয় এই প্রক্রিয়ায় নিউক্লিয় সংযোজন বলে। 

  • নিউক্লিয়াসের সংযোজন ঘটাতে গেলে ধনাত্মক আধানযুক্ত নিউক্লিয়াসের গুলির মধ্যে বিকর্ষণ কে অতিক্রম করতে হয় এর জন্য প্রচুর পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন হয় ইহার জন্য প্রায় 10⁷K উষ্ণতার প্রয়োজন হয়।
  • সংযোজন বিক্রিয়ার ভিত্তিতে হাইড্রোজেন বোমার বিস্ফোরণ হয়।

সূর্য এবং অন্যান্য নক্ষত্র শক্তি উৎপাদন :

নিউক্লিয় সংযোজন বিক্রিয়া ঘটে সূর্য এবং অন্যান্য নক্ষত্রের  মধ্যে  যার  ফলে বিপুল পরিমান তাপ ও আলোক শক্তি ছড়িয়ে পড়ে, এক্ষেত্রে যে বিক্রিয়া গুলি ঘটে তাদের সমন্বয়ে করে যে বিক্রিয়াটি পাওয়া যায় সেটি হল

সূর্য এবং অন্যান্য নক্ষত্র শক্তি উৎপাদন-min

SOLVED QUESTIONS & ANSWERS of  চপরমাণুর নিউক্লিয়াস- Atomic nucleus

1 MARKS QUESTIONS of  চপরমাণুর নিউক্লিয়াস- Atomic nucleus

১. কে ইউরেনিয়াম মৌলটির তেজস্ক্রিয়তা আবিষ্কার করেন?

উত্তর: বিজ্ঞানী বেকারেল।

২. মাদাম কুরি যে মৌলটির তেজস্ক্রিয়তা আবিষ্কার করেছিলেন তার নাম কি?

উত্তর: থোরিয়াম।

৩. তেজস্ক্রিয়তার প্রকৃতি সম্পর্কে লেখ।

উত্তর: তেজস্ক্রিয়তা হল একটি স্বতস্ফূর্ত  নিউক্লিয় ঘটনা।

৪. কোনো মৌল কি তেজস্ক্রিয়তার ফলে নতুন মৌলে পরিণত হয়?

উত্তর: হ্যাঁ। তেজস্ক্রিয়তার ফলে কোনো মৌল নতুন মৌলে পরিণত হয়।

৫. কোন রশ্মির বিকিরণের ফলে মৌলটি একই থাকে?

উত্তর: γ রশ্মির বিকিরণের ফলে।

৬. তেজষ্ক্রিয় রশ্মি পরমাণুর কোন অংশ থেকে সৃষ্টি হয়?

উত্তর: নিউক্লিয়াস থেকে।

৭. কয়েকটি তেজস্ক্রিয় মৌলের উদাহরণ দাও।

উত্তর: ইউরেনিয়াম, থোরিয়াম, পোলোনিয়াম, রেডিয়াম প্রভৃতি

৮. কোন কোন কণা তেজষ্ক্রিয় রশ্মিতে থাকে?

উত্তর: আলফা (α) কণা , বিটা (β) কণা।

৯. α কণা ও β কণার প্রকৃতি কিরূপ?

উত্তর: α কণা ও β কণা যথাক্রমে 2 একক ঋণাত্মক ও 1 একক ধনাত্মক আধানযুক্ত

১০. α কণার বিক্ষেপণ কোন মেরুর দিকে ঘটে?

উত্তর: ঋণাত্মক মেরুর দিকে।

১১. β কণার বিক্ষেপণ কোন মেরুর দিকে ঘটে?

উত্তর: ধনাত্মক মেরুর দিকে।

১২. তড়িৎক্ষেত্রে γ রশ্মির বিক্ষেপণ কিভাবে ঘটে?

উত্তর: তড়িৎ অথবা চৌম্বক কোনো ক্ষেত্রেই γ রশ্মির কোনো বিক্ষেপণ ঘটেনা।

১৩. কোন তেজষ্ক্রিয় রশ্মির ভেদন ক্ষমতা সব থেকে বেশি?

উত্তর: γ রশ্মির।

১৪. কোন রশ্মি গ্যাসকে সব থেকে বেশি আয়ণিত করে?

উত্তর:  α রশ্মির।

১৫. কোন রশ্মির ভেদন ক্ষমতা সব থেকে কম?

উত্তর:  α রশ্মির।

১৬. তেজষ্ক্রিয় পদার্থ থেকে  α কণার নির্গমনের বেগ কত?

উত্তর: এর কোনো নির্দিষ্ট বেগ নেই যদিও 1.4 x 10^9 cm/s থেকে 1.7 x 10^9 cm/s এই পাল্লার মধ্যে  α কণার নিঃসরণ ঘটে।

১৭. কোনো তেজষ্ক্রিয় মৌলের পরমাণু থেকে একটি  α কণার নির্গমনের ফলে পরমাণুর ভর সংখ্যার কি পরিবর্তন ঘটে?

উত্তর: ভর সংখ্যা পূর্বের তুলনায় 4একক কমে যায়।

১৮.  α কণা কি?

উত্তর: 2 একক ঋণাত্মক আধান যুক্ত হিলিয়াম আয়নই হল  α কণা।

১৯. γ রশ্মির বেগ কত?

উত্তর: 3 x 10^10 cm/s বা আলোর বেগের সমান

২০. কোন তেজষ্ক্রিয় মৌলের পরমাণু থেকে γ রশ্মির বিকিরণের ফলে পরমানুটির  ভর ও আধানের কি পরিবর্তন ঘটে?

উত্তর: পরমাণুর ভর ও আধান অপরিবর্তিত থাকে।

Multiple Choice Questions – of চপরমাণুর নিউক্লিয়াস- Atomic nucleus 1 marks

১. তেজস্ক্রিয়তার আবিষ্কারক হলেন –
(a)ডিলার্ড
(b)বেকারেল
(c)নিউটন
(d)থমসন

উত্তর: (b)বেকারেল

২. রেডিয়ামের আবিষ্কারক হলেন –
(a)রাদারফোর্ড
(b)গেরলাক
(c)মাদাম কুরি
(d)ডেভিসন

উত্তর: (a)রাদারফোর্ড

৩. মৌলের নিউক্লিয়াস থেকে অবিরত স্বতস্ফূর্ত রশ্মির বিচ্ছুরণ হল –
(a)অনুঘটন
(b)তেজস্ক্রিয়তা
(c)রাসায়নিক বিক্রিয়া
(d)দ্রাব্যতা

উত্তর: (b)তেজস্ক্রিয়তা

৪. নিম্নলিখিত মৌল গুলির মধ্যে কোনটি তেজষ্ক্রিয়-
(a)সিসা
(b)সোনা
(c)হিলিয়াম
(d)থোরিয়াম

উত্তর: (d)থোরিয়াম

৫. নিম্নলিখিত কোন মৌলটি তেজষ্ক্রিয় নয়-
(a)ইউরেনিয়াম
(b)থোরিয়াম
(c)সিসা
(d)রেডিয়াম

উত্তর: (c)সিসা

৬.নিম্ন লিখিত কোনটি তেজষ্ক্রিয় রশ্মি নয় –
(a)α রশ্মি
(b)β রশ্মি
(c)γ রশ্মি
(d)মাইক্রোওয়েভ

উত্তর: (d)মাইক্রোওয়েভ

৭. কোন রশ্মি তড়িৎক্ষেত্র বা চৌম্বকক্ষেত্রে বিক্ষিপ্ত হয়না –
(a)α রশ্মি
(b)γ রশ্মি
(c) β রশ্মি
(d) কোনোটিই নয়।

উত্তর: (b)γ রশ্মি

৮. তেজস্ক্রিয়তার জন্য নিঃসৃত কোন রশ্মি বা কণা তড়িৎক্ষেত্রের ঋণাত্মক মেরুর দিকে বেঁকে যায় –
(a)α কণা
(b)β কণা
(c)γ রশ্মি
(d)কোনোটিই নয়

উত্তর: (a)α কণা

৯. α রশ্মির (কণার) আধান কত?

(a) 1 একক ঋণাত্মক
(b) 1 একক ধনাত্মক
(c) 1 একক নিস্তড়িৎ
(d) 2 একক ধনাত্মক

উত্তর: (d) 2 একক ধনাত্মক

১০.β কণার আধান কত?
(a)1 একক ঋণাত্মক
(b) 1 একক ধনাত্মক
(c) নিস্তড়িৎ
(d) 2 একক ধনাত্মক

উত্তর: (a)1 একক ঋণাত্মক

১১. β রশ্মি হল –
(a) ইলেকট্রনের স্রোত
(b)প্রোটনের স্রোত
(c) হিলিয়ামের স্রোত
(d)তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ

উত্তর: (a) ইলেকট্রনের স্রোত

১২. α কণা সাধারণত –
(a) একক ধনাত্মক আধান যুক্ত হিলিয়াম আয়ন।
(b)২একক ধনাত্মক আধান যুক্ত হিলিয়াম আয়ন।
(c) নিস্তড়িৎ হিলিয়ামের অনু।
(d)প্রোটন

উত্তর: (b)২একক ধনাত্মক আধান যুক্ত হিলিয়াম আয়ন।

১৩. γ রশ্মি সাধারণত –
(a) নিউট্রনের স্রোত
(b)তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ
(c)ইলেকট্রনের স্রোত
(d)হিলিয়াম আয়নের স্রোত

উত্তর: (b)তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ

১৪. α কণার ভর প্রোটনের ভরের কত গুণ –

(a) 8 গুণ

(b)1/8 গুণ

(c)4 গুণ

(d)1/4 গুণ=

উত্তর: (c)4 গুণ

১৫. α কণা নিঃসরণের ফলে যে নতুন নিউক্লিয়াস তৈরি হয় তার ভর সংখ্যা পুরনো নিউক্লিয়াস থেকে –
(a)8 একক কম
(b)4 একক কম
(c)2 একক কম
(d)1 একক কম

উত্তর: (b)4 একক কম

Short Questions – of চপরমাণুর নিউক্লিয়াস- Atomic nucleus 2-3 marks

১. তেজস্ক্রিয়তা বলতে কি বোঝ?

উত্তর: যে ঘটনার মাধ্যমে কতকগুলি মৌলের নিউক্লিয়াস থেকে আলফা (α) , বিটা (β), গামা (γ) ইত্যাদি নিঃসৃত হওয়ার ফলে নিউক্লিয়াস বিভাজিত হয়ে নতুন মৌলের নিউক্লিয়াসে পরিণত হয় তাকে তেজস্ক্রিয়তা বলে।
যে মৌলের নিউক্লিয়াস বিভাজিত হয়ে নতুন মৌলের নিউক্লিয়াসে পরিণত হয় তাকে তেজস্ক্রিয় মৌল বলে।

২. তেজস্ক্রিয়তার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা কর।

উত্তর:
(i) তেজস্ক্রিয় বিভাজনের ফলে প্রোটন সংখ্যার পরিবর্তনের ফলে নতুন মৌলের সৃষ্টি হয়।
(ii) এটি একটি নিউক্লিয় ঘটনা। নিউক্লিয়াসের মধ্যে থাকা নিউট্রন ও প্রোটনের অনুপাত যদি সুস্থির আইসোটোপ থেকে আলাদা হয় তাহলে তেজস্ক্রিয়তার সম্ভাবনা থাকে।
বাইরের কক্ষে থাকা ইলেকট্রনের সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই।
(iii) তেজস্ক্রিয়তা উষ্ণতা, চাপ, চৌম্বকক্ষেত্র, তড়িৎক্ষেত্র দ্বারা প্রভাবিত হয় না, এটি
একটি স্বতস্ফূর্ত ঘটনা।

(iv) তেজস্ক্রিয় বিকিরণের ফলে আলফা (α) , বিটা (β), গামা (γ) রশ্মি বের হয়।

৩. আলফা (α) , বিটা (β), গামা (γ) রশ্মি কি?

উত্তর:
(i) দুই একক ধনাত্মক আধানযুক্ত হিলিয়াম কণার স্রোত হলো আলফা (α) রশ্মি।
(ii) উচ্চ গতিসম্পন্ন ইলেকট্রন কণার স্রোত হল বিটা (β) রশ্মি।
(iii) আধান বিহীন তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ হল গামা (γ) রশ্মি।

৪. আলফা (α) কণার ধর্ম বা বৈশিষ্ট্যগুলি কি কি?

উত্তর:
(i) তেজস্ক্রিয় পদার্থের নিউক্লিয়াস থেকে α কণাগুলি বেড় হয় যার ভর প্রোটনের ভরের 4 গুন ( ভর সংখ্যা = 4; 2টি প্রোটন এবং 2টি নিউট্রন দিয়ে তৈরি) এর ধনাত্মক আধানের পরিমাণ 2 একক এবং পরীক্ষায় দেখা গেছে এগুলি হিলিয়াম আয়ন।

(ii) একটি α কণা কোনো তেজষ্ক্রিয় মৌলের নিউক্লিয়াস থেকে নিঃসৃত হলে নতুন মৌলের পরমাণুর সৃষ্টি হয় যার ভর সংখ্যা আগের পরমাণুর থেকে 4 একক কম হয় এবং পারমাণবিক সংখ্যা 2 একক কমে যায়।

(iii) α কণার ভর তুলনামূলভাবে বেশি হওয়ায় এর ভেদনক্ষমতা সবচেয়ে কম (β ও γ রশ্মির তুলনায়)।

(iv) α কণা বিভিন্ন বেগে তেজষ্ক্রিয় পদার্থ থেকে বের হয় (1.4x 10^9cm/s থেকে 1.7×10^9cm/s)।

(v) α কণার কোনো গ্যাসীয় মাধ্যমের মধ্য দিয়ে গিয়ে গ্যাসকে আয়নিত করার ক্ষমতা বেশি (β ও γ- র তুলনায়)

(vi) α কণার গতিশক্তি ও আয়নিত করার ক্ষমতা বেশি হওয়ার কারণে জীবদেহে এর ক্ষতিকর প্রভাব ও বেশি।

(vii) জিংক- সালফাইড, বেরিয়াম প্ল্যাটিনোসায়ানাইড পর্দার ওপর α কণার স্রোত প্রতিপ্রভা সৃষ্টি করে।

৫. বিটা (β) রশ্মির ধর্ম বা বৈশিষ্ট্যগুলি কি কি?

উত্তর:
(i) তীব্র গতিসম্পন্ন ইলেকট্রন কণার স্রোত হল β রশ্মি।

(ii) β কণার ইলেকট্রন কণা এর ভর ও আধানের সমান।

(iii) β কণার ভর কম হওয়া সত্ত্বেও এর ভেদণক্ষমতা α কণার চেয়ে বেশি।

(iv) β কণার, α কণার চেয়ে প্ৰতিপ্রভা স্মৃতি করার ক্ষমতা অনেক কম।

(v) β কণা অতিমাত্রায় জীবদেহে ক্ষতি করে এবং ফটোগ্রাফিক প্লেটে বিক্রিয়া করে।

(vi) একটি β কণা কোনো তেজষ্ক্রিয় মৌলের নিউক্লিয়াস থেকে নিঃসৃত হলে পরমানুটির ভরসংখ্যা একই থাকে অথচ পারমাণবিক সংখ্যা এক একক বেড়ে যায় ফলে নতুন পরমাণুর সৃষ্টি হয় যার ভরসংখ্যা একই থাকে।

(vii) β রশ্মি গ্যাসকে আয়নিত করলেও এর আয়নায়ন ক্ষমতা α রশ্মির থেকে অনেক কম।

৬. গামা (γ) রশ্মি ধর্ম বা বৈশিষ্ট্যগুলি কি কি?

উত্তর:
(i) γ রশ্মি হল আধান বিহীন তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ যার তরঙ্গদৈর্ঘ্য অতিক্ষুদ্র। এর গতিবেগ আলোর গতিবেগের (3×10^8 m/s) সমান।γ রশ্মি নিস্তড়িৎ এবং এর কোনো ভর নেই।

(ii) γ রশ্মি প্রতিপ্রভা সৃষ্টি করে, ফটোগ্রাফিক প্লেটে বিক্রিয়া করে এবং এর আয়নায়ণ ক্ষমতা খুব কম।

(iii) ভেদনক্ষমতা γ রশ্মির সবথেকে বেশি।

(iv) γ রশ্মি কোনো তেজষ্ক্রিয় মৌলের নিউক্লিয়াস থেকে নিঃসৃত হলে পরমানুটির ভরসংখ্যা বা পারমাণবিক সংখ্যা বা চার্জ অপরিবর্তিত থাকে, শুধুমাত্র নিউক্লিয়াসের অভ্যন্তরীণ শক্তি কমে যায়।

(v) γ রশ্মির ক্রিয়া জীবদেহে ওপর মারাত্মক।

* তেজষ্ক্রিয় মৌলগুলি কোনো পরমাণুর নিউক্লিয়াস থেকে নিঃসৃত হওয়ার ফলে নতুন নিউক্লিয়াসে পরিণত হয়।পরমাণুর নিউক্লিয়াসের বিয়োজনের ফলে তেজষ্ক্রিয় বিকিরণের ঘটে ও এই বিভাজনের ফলে একটি মৌল ওপর একটি নতুন মৌলে তৈরি হয়। উদাহরণ- 92U²³⁸ এর থেকে একটি α কণা নিঃসৃত হলে ইউরেনিয়াম মৌলটি থোরিয়াম (90Th²³⁴) মৌলে পরিণত হয়।
92U²³⁸—–> 90Th²³⁴+α কণা।
এবার যদি 92U²³⁸ থেকে একটি β কণা নির্গত হলে মৌলটি নেপচুনিয়াম(93Np²³⁹) মৌলে পরিণত হয়।

৮. কোনো তেজষ্ক্রিয় মৌলের নিউক্লিয়াস থেকে একটা α কণা নির্গত হলে মৌলটির ভরসংখ্যা এবং পারমাণবিক সংখ্যার কি পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়?

উত্তর: কোনো তেজষ্ক্রিয় মৌলের নিউক্লিয়াস থেকে একটা α কণা নির্গত হলে মৌলটির ভরসংখ্যা 4একক কমে যায় ও পারমাণবিক সংখ্যা 2একক কমে যায় ও নতুন মৌলের সৃষ্টি হয়।

৯. কোনো তেজষ্ক্রিয় মৌলের নিউক্লিয়াস থেকে একটা β কণা নির্গত হলে মৌলটির ভরসংখ্যা এবং পারমাণবিক সংখ্যার কি পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়?

উত্তর: কোনো তেজষ্ক্রিয় মৌলের নিউক্লিয়াস থেকে একটা β কণা নির্গত হলে মৌলটির ভরসংখ্যা একই থাকে ও পারমাণবিক সংখ্যা 1একক বেড়ে যায় ও নতুন মৌলের সৃষ্টি হয়।

১০. পরমাণুর নিউক্লিয়াস থেকে γ রশ্মির বিকিরণের ফলে কি হয়?

উত্তর: তেজষ্ক্রিয় মৌলের নিউক্লিয়াস থেকে α,β কণার নিঃসৃত হওয়ার ফলে মৌলের নিউক্লিয়াসটি উত্তেজিত অবস্থায় থাকে, এই উত্তেজিত অবস্থা থেকে নিউক্লিয়াসটি আবার ভৌম অবস্থায় ফিরে আসলে মৌলের নিউক্লিয়াস থেকে γ রশ্মির বিকিরিত হয়, তাই γ রশ্মির বিকিরণের ফলে মৌলের ভর বা পারমাণবিক সংখ্যা অপরিবর্তিত থাকে যার ফলে কোনো নতুন মৌলের সৃষ্টি হয়না কেবলমাত্র নিউক্লিয়াসের শক্তিস্তরের পরিবর্তন ঘটে।
ZXA —-> zXA + γ রশ্মি।
(উত্তেজিত অবস্থা)

১২. বিটা ও সাধারণ ইলেকট্রনের মধ্যে মিল কি?

উত্তর: β কণা হল উচ্চ গতির ইলেকট্রন কণা এদের ভর (9.11×10-²⁸) এবং আধানের (-1.6×10-¹⁹ কুলম্ব) মান সমান।

১৩. লেড মৌল এবং হিলিয়াম গ্যাস তেজষ্ক্রিয় মৌলের খনিতে উপস্থিত থাকে কেনো?

উত্তর: ভারী তেজষ্ক্রিয় মৌলের ভাঙনের ফলে উৎপন্ন α কণা পরিবেশ থেকে দুটি ইলেকট্রন সংগ্রহ করে হিলিয়ামে পরিণত হয়। পিচব্লেন্ড আছে এরম খনিতে হিলিয়াম গ্যাস পাওয়া যায়। ভারী তেজষ্ক্রিয় মৌল গুলি ভাঙনের শেষ পর্যায়ে লেডে পরিণত হয় তাই তেজষ্ক্রিয় খনিতে লেড পাওয়া যায় ( পিচব্লেন্ড আকরিকে ইউরেনিয়াম(U), পোলোনিয়াম (Po), রেডিয়াম (Ra) প্রভৃতি পাওয়া যায়)

 

error: Content is protected !!
Scroll to Top

আজকেই কেনো পরীক্ষার শর্ট নোটস

এখন সহজে পরীক্ষার প্রস্তুতি নাও – আজকেই ডাউনলোড করো পিডিএফ বা বই অর্ডার করো আমাজন বা ফ্লিপকার্ট থেকে