আপনি এখানে শিখবেন এই অধ্যায়ে এবং বিষয়ের ফাউন্ডেশন অংশটা, এই বিষয়টিকে সহজ-সরলভাবে পড়িয়েছেন বিশেষজ্ঞ শিক্ষক ভিডিও লেকচার এর মাধ্যমে এবং এই পুরো অধ্যায়কে চার ভাগে খন্ডিত করে আপনার জন্য তৈরি করা হয়েছে
- প্রথম খন্ডে আপনি শিখবেন ফাউন্ডেশন অংশটা যেখানে অধ্যায়ের ব্যাপারে আপনাকে বোঝানো হয়েছে তার মানে definitions,basics গুলো সহজভাবে. এবং এটাকে আপনি বুঝতে পারবেন যেটা আপনাকে পরীক্ষার জন্য ক্রীপের করতে সাহায্য করবে
- দ্বিতীয় মডিউলে আপনি শিখবেন MCQ মাল্টিপল চয়েস কোশ্চেন যেটা সাধারণত এক Marks’er আসে পরীক্ষায়
- তৃতীয় মডিউলে আপনি শিখবেন শর্ট অ্যানসার এবং কোয়েশ্চেন, যেটা আপনার পরীক্ষার সাজেশন মধ্যে পড়ে এবং এটা 3-4 marks’er প্রশ্ন আসে আপনার পরীক্ষা
- চতুর্থ মডিউল আপনি শিখবেন লং আনসার এবং questions যেটা সাধারণত 5-6 marks er হয়
আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন যাতে কি আপনাকে আমরা সাহায্য করতে পারি
শব্দের উৎস : কম্পন
শব্দ : কম্পনশীল বস্তু দ্বারা নির্গত যে শক্তি স্থিতিস্থাপক এবং অবিচ্ছিন্ন জড় মাধ্যমের মধ্য দিয়ে আমাদের কানে এসে শ্রবণের অনুভূতি সৃষ্টি করে, সেই শক্তিকে শব্দ বলে ।
কোনো বস্তু কম্পিত হলেই শব্দের সৃষ্টি হয়, যেমন –
- যখন একটি ঘণ্টাতে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করা হয়, তখন এটি কম্পিত হয় এবং আমরা শব্দ শুনতে পাই । কম্পনের সময় হাত দিয়ে ঘন্টা চেপে ধরলে কম্পন ও শব্দ দুটোই বন্ধ হয়ে যায় ।
- যখন তবলা বা ঢোল বাজানো হয়, বা বাদ্যযন্ত্রের তার টেনে ছেড়ে দেওয়া হয়, তখন শব্দ উৎপন্ন হয় এবং সেটা কাঁপতে থাকে ।
কম্পনশীল বস্তুর শব্দ উৎপন্ন করার একটি পরীক্ষা :
একটি ফাঁপা কাঠের বাক্সে স্থাপিত একটি টিউনিং ফর্ক-এর একটি বাহুকে রবার হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে, উভয় বাহু কাঁপতে থাকে এবং একটি নির্দিষ্ট সুর সৃষ্টি করে ।
একটি শোলার বলকে টিউনিং ফর্ক-এর সঙ্গে স্পর্শ করা অবস্থায় ঝুলে থাকে তাহলে বলটি টিউনিং ফর্ক কম্পমান বাহুতে বারবার আঘাত পেয়ে দূরে সরে যাবে ।
সিদ্ধান্ত : বস্তুর কম্পন হলেই যে শব্দ সৃষ্টি হবে তা নয়, শব্দ উৎসের কম্পন প্রতি সেকেন্ডে ২০-২০,০০০ বার হলে, তবেই শব্দ শোনা যাবে । শব্দের উৎসকে স্বনক বলা হয় ।
কম্পন সম্পর্কিত কয়েকটা রাশি :
- বিস্তার (amplitude) : সাম্য অবস্থান থেকে কোনো কম্পনশীল বস্তুকণা যে দূরত্বে যায়, তাকে বিস্তার বলে ।
- পর্যায়কাল বা দোলনকাল হলো একটা কম্পনশীল বস্তুর একবার পূর্ণ কম্পনের সময়।
- কম্পাঙ্ক (frequency) : একটি কম্পনশীল বস্তুকণা প্রতি সেকেন্ডে যতবার কাঁপে, সেই সংখ্যাকে ওই কণার কম্পাঙ্ক বলে ।
বস্তুর কম্পন | প্রতি সেকেন্ড 20 বারের কম | প্রতি সেকেন্ডে 20 – 20,000 বার | প্রতি সেকেন্ডে 20,000 বারের বেশি |
শব্দের পরিচয় | শব্দেতর শব্দ (subsonic sound) | শ্রুতিগোচর শব্দ (Audible sound ) | শব্দোত্তর শব্দ (Ultrasonic sound ) |
আমাদের কানের কাছে মশা উড়ে গেলে আমরা মশার শব্দ শুনতে পাই কারণ মশার ডানার কম্পন আমাদের শ্রবণ সীমার মধ্যে থাকে। পাখি উড়ে গেলেও শুনতে পাই না। এটি পাখির ডানা প্রতি সেকেন্ডে 20 বারের কম কম্পনের কারণে। একটি পেন্ডুলাম প্রতি সেকেন্ডে 20 বারের কম হারে দোল খায়। সেজন্য আমরা পেন্ডুলামের দোদুল্যমান শব্দ শুনতে পাই না।
শব্দের বিস্তার (Propagation of sound ) এবং তরঙ্গ (Wave) :
শব্দ স্থিতিস্থাপক তরঙ্গের আকারে স্থিতিস্থাপক মাধ্যমের মধ্য দিয়ে নির্দিষ্ট বেগে যায় । এই তরঙ্গ সৃষ্টির জন্য জড় মাধ্যমের প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে শব্দ চলাচলের জন্যও জড় মাধ্যমের প্রয়োজন হয় । আবার কঠিন, তরল, গ্যাসীয় পদার্থের মধ্য দিয়েও শব্দ চলাচল করতে পারে । শব্দশক্তি উৎস থেকে নির্গত হয়ে পারিপার্শ্বিক মাধ্যমের দ্বারা অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গরূপে প্রবাহিত হয়ে কানে পৌঁছায় ।
শব্দ বিস্তারের জন্য জড় মাধ্যমের প্রয়োজন – একটি পরীক্ষা, এবং উদাহরণ :
বায়ু নিষ্কাশন পাম্পের প্লেটের উপরে বসানো কাচের বেলজারের উপরের দিকের খোলা মুখ দিয়ে একটি কলিং বেল ঝুলিয়ে দিতে হবে রবারের ছিপির মাধ্যমে। তারপর কলিং বেলের দুটি তার রাবারের ছিপির বাইরে এনে ব্যাটারি এবং চাবির সাথে সংযুক্ত করতে হবে । এরপর ভেসলিন ব্যবহার করে বেলজারটি বায়ুনিরুদ্ধ করতে হবে । এই সময় চাবিটি চাপলে বাইরে থেকে কলিং বেলের আওয়াজ শোনা যাবে ।
তারপর বেলজারের ভেতরের বায়ু পাম্পের দ্বারা বের করে নিলে দেখা যাবে কলিং বেলের আওয়াজ ধীরে ধীরে কমে যাবে । শেষে বেলজার যখন পুরো বায়ুশূন্য হয়ে পড়বে তখন বাইরে থেকে দেখা যাবে কলিং বেলের হাতুড়ি সজোরে আঘাত করছে । আবার বেলজারের ভিতরে বায়ু ধীরে ধীরে প্রবেশ করতে থাকলে শব্দ আবার জোর হতে থাকবে ।
এই পরীক্ষার দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, শব্দ বিস্তারের জন্য জড় মাধ্যমের প্রয়োজন । অন্য গ্যাসের দ্বারাও বেলজারের পরীক্ষা করা যায় ।
চাঁদের মাটিতে দাঁড়িয়ে কথা বলতে গেলে বেতারের সাহায্য নিতে হয় । চাঁদের চারপাশে মহাশুন্য রয়েছে আর চাঁদে কোনো বায়ু নেই তাই চাঁদে কোনো বিস্ফোরণ ঘটলে আমরা সেই শব্দ শুনতে পাইনা । সূর্য ও পৃথিবীর মাঝে মহাশুন্য রয়েছে, তাই সূর্যের ভিতর ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণের শব্দ পৃথিবীতে আসে না ।
কঠিন ও তরল মাধ্যমের ভিতর দিয়ে শব্দ বিস্তারের উদাহরণ :
- বেঞ্চের এক প্রান্তে কান রেখে অন্য দিকে মৃদু আঘাত করলেও শব্দ বেশ জোরে শোনা যায় ।
- বৃষ্টির সময় পুকুরের জলে ডুব দিলে বৃষ্টির শব্দ শোনা যায় ।
তরঙ্গ মাধ্যমের কণাগুলির সম্মিলিত কম্পনের দ্বারা প্ররোচিত আন্দোলন যখন শক্তি সঞ্চালিত করে কিন্তু কণাগুলির স্থানচ্যুতি ঘটে না, তখন সেই আন্দোলনকে তরঙ্গ বলা হয়।
যখন জলে ঢিল নিক্ষেপ করা হয়, তখন এটি বৃত্তাকার তরঙ্গ তৈরি করে । জলে ভাসমান ফুল বা কাগজ ওপরে-নীচে ওঠানামা করে । তরঙ্গ যখন অন্তর্নিহিত হয়ে যায় তখন তারা আবার ভাসতে থাকে ।
যে পদ্ধতিতে শক্তি , তরঙ্গের আকারে মাধ্যমের এক জায়গা থেকে আর-এক জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে, সেই পদ্ধতিকে তরঙ্গগতি বলে ।
জড় মাধ্যমের কণাগুলির মধ্যে একটি সুসংগত সম্পর্ক থাকে, যখন মাধ্যমের একটি অংশ কম্পিত হয়, তখন পার্শ্ববর্তী অংশটিও কম্পন শুরু করে । যদি মাধ্যমের কোনো অংশে আলোড়ন সৃষ্টি হয় তা ওই মাধ্যমের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে ।
কঠিন, তরল এবং গ্যাসীয় তিনটি স্থিতিস্থাপক মাধ্যমের মধ্য দিয়ে তরঙ্গ এগিয়ে যেতে পারে তরঙ্গকে স্থিতিস্থাপক তরঙ্গ বলা হয়, অনেক সময় যান্ত্রিক তরঙ্গ বলা হয় । মাধ্যমের স্থিতিস্থাপকতা এবং ঘনত্বের উপর এর বেগ নির্ভর করে । তড়িচ্চুম্বকীয় তরঙ্গ জড় মাধ্যমের অস্তিত্ব ছাড়াই সঞ্চালিত হতে পারে ।
তরঙ্গ দুটি প্রকারে বিভক্ত : অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ এবং অনুপ্রস্থ তরঙ্গ
শব্দ তরঙ্গ অনুদৈর্ঘ্য প্রকৃতির হয় কারণ শব্দ যখন জড় মাধ্যমে যায়, ঠিক সেই সময় স্থিতিস্থাপক বায়ুস্তরগুলির পর্যায়ক্রমিক সংকোচন এবং প্রসারণ হতে থাকে এবং বায়ুস্তরগুলির বিচলনের সঙ্গে শব্দ তরঙ্গ সমান্তরালভাবে একই দিকে এগোতে থাকে । এটি অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গের বৈশিষ্ট্য ।
যখন তরঙ্গের গতির অভিমুখের সমান্তরালে মাধ্যমের কণাগুলি কম্পিত হয়, তখন সেই তরঙ্গকে অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ বলে । আর যখন তরঙ্গের গতির অভিমুখের সমকোণে মাধ্যমের কণাগুলো কম্পিত হয়, তখন সেই তরঙ্গকে তির্যক তরঙ্গ বলে ।
যেমন – আলোক, তাপ, বেতার ইত্যাদি সবরকমের তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ ।
উদাহরণ :
- স্প্রিং ব্যবহার করে অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ : টেবিলের উপর একটি দীর্ঘ স্প্রিং রেখে একটা প্রান্ত ধরে রেখে অন্য প্রান্তটি একটু টেনে নিয়ে দৈর্ঘ্য বরাবর নাড়ালে বিভিন্ন স্থানে সংকোচন এবং প্রসারণ হয়, এবং দৈর্ঘ্য বরাবর বিচলিত হয়, এই ভাবে সৃষ্ট তরঙ্গ হলো অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ।
- দড়ি (বা তার) ব্যবহার করে তির্যক তরঙ্গ : একটি বড় দড়ির এক প্রান্ত দেয়ালে আটকে, এবং অন্য প্রান্তটিকে উপরে এবং নীচে নাড়ালে তির্যক তরঙ্গের সৃষ্টি হয় ।
তরঙ্গ সম্পর্কিত কয়েকটা রাশি :
- বিস্তার (Amplitude) : তরঙ্গ গতির কারণে কোনো কম্পনশীল বস্তুকণা তার সাম্য অবস্থান থেকে সর্বাধিক যতটা দূরত্বে যেতে পারে, সেই দূরত্বকে তরঙ্গের বিস্তার বলে ।
- পর্যায়কাল (Time period) : একটি পূর্ণ কম্পন সম্পন্ন করতে তরঙ্গ সৃষ্টিকারী কণা যে পরিমাণ সময় নেয়, তাকে ওই তরঙ্গের পর্যায়কাল বলে ।
- তরঙ্গদৈর্ঘ্য (Wave – length) : মাধ্যমের একটি কণা তরঙ্গের গতিপথে একবার পূর্ণ কম্পন সম্পন্ন করার মধ্যে তরঙ্গ যতটা এগিয়ে যায়, সেই দূরত্বকে তরঙ্গদৈর্ঘ্য বলে ।
তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সংজ্ঞা :তরঙ্গের উপর অবস্থিত পরপর দুটি সমদশাসম্পন্ন কণার রৈখিক দূরত্বকে তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বলে।
তরঙ্গদৈর্ঘ্যকে (ল্যামডা ) দ্বারা সূচিত করা হয়, এবং এর SI -একক হল মিটার ।
অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গের ক্ষেত্রে, ঘনীভবন এবং তনুভবন সমান হয় । দুটি ঘনীভবনের মধ্যেকার সমদশাসম্পন্ন দুটি কণার দূরত্ব তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সমান হয় ।
তির্যক তরঙ্গের ক্ষেত্রে, তরঙ্গদৈর্ঘ্য ( ) = পরপর দুটি তরঙ্গশীর্ষের দূরত্ব
- কম্পাঙ্ক (Frequency) : প্রতি সেকেন্ডে মাধ্যমের কোনো কণা তরঙ্গের গতিপথে যতবার পূর্ণ-কম্পন সম্পন্ন করে, সেই সংখ্যাকে ওই তরঙ্গের কম্পাঙ্ক বলে ।
কম্পাঙ্কের একক : cycles/second বা Hertz (হার্ৎজ), সংক্ষেপে Hz
কম্পাঙ্কের মাত্রা সংকেত : [T-1] এবং মাত্রা : সময়ে -1
- তরঙ্গবেগ (Wave velocity) : তরঙ্গ এক সেকেন্ডে যে দূরত্ব অতিক্রম করে, তাকে তরঙ্গবেগ বলে । তরঙ্গেরবেগের S.I. একক হলো মিটার/সেকেন্ড
প্রশ্ন : সুরশলাকার কম্পাঙ্ক 480, বলতে কি বোঝায় ?
উত্তর: সুরশলাকার বাহুতে আঘাত করা হলে, এটি 1 সেকেন্ডে 480টি পূর্ণ-কম্পন সম্পন্ন করে ।
তরঙ্গ বেগ (v), তরঙ্গদৈর্ঘ্য () এবং কম্পাঙ্ক (n)-এর মধ্যে সম্পর্ক :
তরঙ্গ বেগ V, অর্থাৎ, 1 s-এ তরঙ্গ V দূরত্ব যায় ।
কম্পাঙ্ক n, অর্থাৎ 1 s-এ তরঙ্গের n-সংখ্যক পূর্ণ-কম্পন হয় ।
তরঙ্গদৈর্ঘ্য , অর্থাৎ 1 বার পূর্ণ-কম্পনে তরঙ্গ দূরত্ব যায়।
তরঙ্গবেগ = কম্পাঙ্ক x তরঙ্গদৈর্ঘ্য
প্রশ্ন: 1.7 মিটার তরঙ্গদৈর্ঘ্যের একটি শব্দতরঙ্গের গতিবেগ 340m/s, কম্পাঙ্ক কত?
Hint: V = n
অতএব, কম্পাঙ্ক (n) = V = 200 Hz
তরঙ্গের সময়কাল এবং কম্পাঙ্কের মধ্যে সম্পর্ক :
1 বার কম্পনের জন্য T সেকেন্ড সময় প্রয়োজন হয় (পর্যায়কাল) । কম্পাঙ্ক nn বার কম্পনে সময় লাগে 1 সেকেন্ড।
তরঙ্গবেগ (V) = n = T = তরঙ্গদৈর্ঘ্য পর্যায়কাল
শব্দের প্রতিফলন (Reflection of sound)
শব্দ প্রতিফলনের ধর্ম নিযুক্ত করা হয় – স্টেথোস্কোপে, স্পিকিং টিউবে
শব্দ প্রতিফলনের সূত্র :
- আপতিত এবং প্রতিফলিত শব্দতরঙ্গ, সেইসাথে আপতন বিন্দুতে প্রতিফলকের উপর অঙ্কিত লম্বগুলি একই সমতলে থাকে ।
- আপতন কোণ এবং প্রতিফলন কোণ সমান ।
শব্দের প্রতিফলনের পরীক্ষা : উপরিউক্ত চিত্রে x এবং y প্রতিফলক রয়েছে এবং তার সঙ্গে একটা পর্দা N সমকোণে রাখা আছে । A ও B দুটো ফাঁপা নল যা PN-এর সঙ্গে সমান কোণ করে রাখা হলো, যাতে তাদের অক্ষদ্বয় P বিন্দুতে মিলিত হয় । A নলের মুখের কাছে একটা টেবিল ঘড়ি রাখা হলো । B নলের মুখের কাছে কান পাতলে ঘড়ির টিকটিক আওয়াজ শোনা যাবে । B নলকে একটু সরালে আর শব্দ শোনা যাবে না ।
উপসংহার : শব্দের আপতন কোণ = প্রতিফলন কোণ না হলে শব্দ শোনা যায় না ।
শব্দ এবং আলোর প্রতিফলনের তুলনা :
সাদৃশ্য : উভয় ঘটনাই নিজ নিজ প্রতিফলন সূত্রের নিয়মে ঘটে ।
পার্থক্য :
- শব্দের তরঙ্গদৈর্ঘ্য বড়ো তাই শব্দের প্রতিফলক অমসৃণ হলেও আকার বড়ো হওয়া বাধ্যতামূলক । অন্যদিকে আলোর প্রতিফলক ছোট হলেও মসৃণ হতে হবে ।
- শব্দের প্রতিফলনে বিশেষ শর্তে প্রতিধ্বনি সৃষ্টি হয়, কিন্তু আলোর প্রতিফলনের ক্ষেত্রে একইরকম ঘটনা ঘটে না ।
প্রতিধ্বনি কাকে বলে ?
শব্দ যখন উৎস থেকে উৎপন্ন হয়ে দূরের কোনো প্রতিফলকে প্রতিফলিত হয় এবং মূল শব্দ থেকে পৃথকভাবে শ্রোতার কানে পৌঁছায়, তবে সেই প্রতিফলিত শব্দটিকে মূল শব্দের প্রতিধ্বনি বলা হয় ।
ক্ষণস্থায়ী শব্দের প্রতিধ্বনি শোনার জন্য উৎস এবং প্রতিফলকের মধ্যে ন্যূনতম দূরত্ব 17 মিটার হওয়া প্রয়োজন :
ক্ষণস্থায়ী শব্দ শোনার পর (1/10) সেকেন্ডের জন্য সেই শব্দের রেশ আমাদের মস্তিষ্কে থেকে যায় । এই সময়টাকে শব্দ নির্বন্ধ বলা হয় । একটি ক্ষণস্থায়ী শব্দের প্রতিধ্বনি শুনতে
- মূল শব্দ এবং প্রতিধ্বনির মধ্যে সাময়িক ব্যবধানটি 1/10 সেকেন্ড হতে হবে
- শ্রোতা এবং স্বনকের অবস্থান এক থাকবে ।
গুলির শব্দ, বিস্ফোরণের শব্দ, হাত তালির শব্দ সবই ক্ষণস্থায়ী শব্দের উদাহরণ ।
বায়ুতে সাধারণ উষ্ণতায় শব্দের বেগ 340 m/s হয়, তাহলে (1/10) সেকেন্ডে শব্দের পথ 340 x (1/10) m = 34 m অতিক্রম করতে হবে ।
অর্থাৎ উৎস (শ্রোতা) এবং প্রতিফলকের মধ্যে দূরত্ব কমপক্ষে (34/2) m = 17 m হতে হবে ।
দুটি সমান্তরাল প্রতিফলকের মধ্যে কমপক্ষে 34 মিটার দূরত্ব হলে এবং দুটি প্রতিফলকের ঠিক কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে যদি ক্ষণস্থায়ী শব্দ তৈরি করা যায় তবে একাধিক প্রতিধ্বনি শুনতে পাওয়া যাবে । কিন্তু syllable-সংযোজিত শব্দ এবং বোধগম্য শব্দের প্রতিধ্বনি শোনার জন্য শ্রোতা এবং প্রতিফলকের মধ্যে দূরত্ব আরও বিস্তৃত হতে হবে । ন্যূনতম দূরত্ব হতে হবে n x 34 m (n = syllable সংখ্যা) ।
অনুরণন (Reverberation)
ফাঁকা হল ঘরে শব্দ করলে মূল শব্দ থেমে যাওয়ার পরেও গমগম করে, এটি একাধিকবার প্রতিফলনের কারণে ঘটে । এই ঘটনাটি শব্দের অনুরণন নামে পরিচিত । কিন্তু ঘরে লোক বা বস্তুসামগ্রী থাকলে এমনটা হয় না কারণ তারা শব্দ শোষণ করে নেয় ।
অনুরণনের ফল হলো মেঘের গর্জন । শব্দ বারবার মেঘের বিভিন্ন স্তরে, ভূপৃষ্ঠের উপর শব্দ বারবার প্রতিফলিত হয় ।
ফ্রান্সের ভার্দুন শহরের প্রায় কাছাকাছি দুটি দেয়াল 53 মিটার দূরত্বে রয়েছে । এই দেয়ালের কেন্দ্রে যদি শব্দ সৃষ্টি করা হয় তবে কমপক্ষে 12টি প্রতিধ্বনি শোনা যায় ।
প্রতিধ্বনির প্রয়োগ :
- সমুদ্রের গভীরতা নির্ণয় : জাহাজের নীচে এক প্রান্তে জলের মধ্যে একটি হাইড্রোজেন (H), শব্দগ্রাহক যন্ত্র থাকে । হাইড্রোজেনের সঙ্গে একই লেভেলে অন্যপ্রান্তে (ধরা যাক E) বিস্ফোরকের সাহায্যে একটা শব্দ সৃষ্টি করা হয় । সেই শব্দ সমুদ্রের তলদেশে (ধরা যাক G) ধাক্কা খেয়ে t সেকেন্ডে পথ অতিক্রম করে (EGH) । O হলো E এবং H-এর মধ্যবর্তী স্থান ।
যদি EH = d হয়, এবং জলের গতিবেগ = V হয়, তবে EGH পথ = V.t
EGH সমদ্বিবাহু, সেক্ষেত্রে EG=GH
সুতরাং, EG = (V.t) / 2
যেহেতু EOG সমকোণী তাই, OG2=EG2, এবং সমুদ্রের গভীরতা = h ধরলে,
h2=(Vt2)2–(d2)2
or, h=12V2t2–d2
d এর মান গভীরতা (h) এর তুলনায় খুব ছোট তাই, h (1/2)V.t
অর্থাৎ, গতিবেগ (V) এবং সময় (t) জানা থাকলে গভীরতা (h) নির্ণয় করা সম্ভব ।
- এরোপ্লেনের গতিপথের উচ্চতা নির্ণয় : A বিন্দু থেকে উড়ে যাওয়ার সময় একটি বিমান দ্বারা সৃষ্ট শব্দটি ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রতিধ্বনিত হয়ে t সময়ে বিমানের কাছাকাছি C বিন্দুতে পৌঁছায় । বিমানটি যদি h উচ্চতায় থাকে এবং গতিবেগ v হয়, তাহলে AC = v.t এবং AO = (v.t) / 2
আবার শব্দের বেগ V হলে ABC পথ = V.t.
সুতরাং, AB = (Vt) / 2 [জ্যামিতিক ধারণা থেকে বলা যায়, h2=AB2–AO2
সুতরাং, h=AB2–AO2= (V.t2)2–(v.t2)2=12tV2–v2
অর্থাৎ, শব্দের বেগ (V) এবং এরোপ্লেনের বেগ (u) জানা থাকলে বিমানের গতিপথের উচ্চতা (h) পাওয়া যায় ।
শব্দোত্তর শব্দের প্রয়োগ : শব্দোত্তর শব্দের কম্পাঙ্ক > 20,000 Hz
এই শব্দতরঙ্গের নানাবিধ ব্যবহার রয়েছে –
- চিকিৎসাশাস্ত্রে আল্ট্রাসোনোগ্রাফি টিউমার এবং শরীরের অন্যান্য অস্বাভাবিকতা নির্ণয় করতে ব্যবহৃত হয় । কিডনিতে স্টোনের চিকিৎসা, চোখের ছানি সার্জারিতে (phacoemulsification, phako which is lens of the eye) ব্যবহৃত হয় ।
- SONAR সমুদ্রের গভীরতা নির্ণয় করতে ব্যবহৃত হয় ।
- সমুদ্রে ডুবোপাহাড়ের অবস্থান জানা যায় ।
- তিমি মাছের অবস্থান, সেইসাথে মাছের ঝাঁকের অবস্থানও জানা যায় ।
- পানীয় জল, দুধ, ইত্যাদি পানীয় বা খাবারের জীবাণুমুক্ত করতে এই তরঙ্গ ব্যবহৃত হয়।
- এটি পোশাক পরিষ্কার করতেও ব্যবহার করা হয় ।
শব্দোত্তর তরঙ্গের দুটি বিশেষ প্রয়োগ হলো –
বাদুড়ের দেখা : বাদুড় তীক্ষ্ণ শব্দোত্তর তরঙ্গ নির্গত করে, তার নিজস্ব প্রতিধ্বনি নিজেই সংগ্রহ করে এবং সামনে কতদূরে বাধা আছে, শিকার আছে কিনা এবং সেটি চলমান কিনা স্থির, বা কি আকারের তা বুঝতে পারে ।
SONAR (Sound Navigatio and Ranging) দ্বারা সমুদ্রের তলদেশে থাকা বস্তু কত দূরে আছে তা প্রতিফলিত তরঙ্গের মাধ্যমে চিহ্নিত করা যায় । উৎস থেকে, উচ্চ কম্পাঙ্কের (1000 kHz) শব্দোত্তর তরঙ্গ সবদিকে পাঠানোর পর প্রতিফলিত তরঙ্গ যে সময়ের ব্যবধানে ফিরে আসে তা থেকে বস্তুর দূরত্ব এবং তার আকার নির্ণয় করা যায় ।
যদি সময়ের ব্যবধান t, বস্তুর দূরত্ব d এবং জলে শব্দের বেগ v হয়, তাহলে শব্দের SONAR থেকে বস্তু পর্যন্ত যাওয়া 2d পথ ধরা হলে, 2d = vt বা d = (vt / 2) অনেক সময় এই পদ্ধতিতে দূরত্ব নির্ণয় করাকে echoranging বলে ।
শব্দের বৈশিষ্ট্য
সুরযুক্ত শব্দ : কোনো বস্তুর নিয়মিত ও পর্যায়ক্রমিক কম্পনের ফলে যে শ্রুতিমধুর শব্দের সৃষ্টি হয় তাকে সুরযুক্ত শব্দ বলে । যেমন – বাদ্যযন্ত্রেরশব্দ, গানের শব্দ ।
সুরবর্জিত শব্দ : কোনো বস্তুর অনিয়মিত ও ক্ষণস্থায়ী কম্পনের দ্বারা সৃষ্ট শ্রুতিকটু শব্দকে সুরবর্জিত শব্দ বলা হয় । যেমন -কোলাহল, কারখানার শব্দ ইত্যাদি ।
সুর ও স্বর :
- যখন একটিমাত্র কম্পাঙ্কবিশিষ্ট সুর সৃষ্টি হয়, তাকে সুর বলে । যেমন – সুরশলাকা নির্গত শব্দ । একাধিক সুরের মিশ্রণ হলো স্বর ।
- স্বনকের সরল কম্পনের মাধ্যমে সুর তৈরি হয় । স্বনকের জটিল পর্যায়ক্রমিক গতি দ্বারা স্বর উৎপন্ন হয় ।
সুরযুক্ত শব্দের তিনটি বৈশিষ্ট্য :
- প্রাবল্য (Loudness)
- তীক্ষ্ণতা (Pitch)
- জাতি বা গুণ (Quality)
প্রাবল্য : শব্দ কতটা শক্তিশালী তা এই বৈশিষ্ট্যের দ্বারা বোঝা যায়, শব্দটি কতটা শক্তি পরিবহন করছে । একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রফলের মধ্য দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে লম্বভাবে প্রবাহিত শব্দ শক্তির পরিমাণকে শব্দের তীব্রতা বলে । শব্দের প্রাবল্য কম বা বেশি বোঝার জন্য তীব্রতা ব্যবহার করা হয় ।
শব্দের প্রাবল্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলির উপর নির্ভর করে :
- স্বনকের আকার
- স্বনকের কম্পন-বিস্তার
- মাধ্যমের ঘনত্ব – এই তিনটি কারণের বৃদ্ধির সাথে সাথে শব্দের প্রাবল্য বৃদ্ধি পায়
- স্বনক ও শ্রোতার দূরত্ব – প্রাবল্য বাড়ে যখন এর দূরত্ব কমে
- শব্দ যখন মাধ্যমের গতির অভিমুখেঅগ্রসর হয় তখন প্রাবল্য বৃদ্ধি পায়
- অনুনাদী বস্তুর কাছে প্রাবল্য বাড়ে
তীক্ষ্ণতা : তীক্ষ্ণতার দ্বারা সুরযুক্ত শব্দের, খাদের সুর ও চড়া সুরের পার্থক্য নির্ধারণ করতে পারি ।
চড়া সুরের তীক্ষ্ণতা সবচেয়ে বেশি হয় । মুদারা এবং তারার সুরগুলির তীক্ষ্ণতা বেশি । কোনো বস্তুর তীক্ষ্ণতা তার কম্পাঙ্কের সমানুপাতিক । নারী ও নবজাতকের কণ্ঠস্বরের কম্পাঙ্ক পুরুষের স্বরের চেয়ে বেশি এবং তীক্ষ্ণ ।
তীক্ষ্ণতা একটি আবেগ, যেখানে কম্পাঙ্ক একটি ভৌতরাশি এবং পরিমাপযোগ্য ।তীক্ষ্ণতা হলো কম্পাঙ্কের ফল । তাই তীক্ষ্ণতা এবং কম্পাঙ্ক সমার্থক হিসাবে বিবেচিত হয় না ।
জাতি বা গুণ : বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র নিঃসৃত একই প্রাবল্য ও তীক্ষ্ণতা বিশিষ্ট স্বরগুলো পৃথকভাবে যে বৈশিষ্ট্যের জন্য বোঝা যায়, তাকে জাতি বা গুন বলে ।
যেমন – হারমোনিয়াম, গিটার বা বেহালায় বাজানো সুর শুনেই বোঝা যায় কোনটা কোন বাদ্যযন্ত্রের সুর ।
মানুষের কান এবং শোনার কৌশল
কান আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইন্দ্রিয় । এর ক্রিয়াকলাপ পদার্থবিজ্ঞানের বেশ কয়েকটি নীতি দ্বারা ব্যাখ্যা করা হয়েছে । কানের গঠন সাধারণত তিনটি উপাদানে বিভক্ত করা যায় ।
বহিঃকর্ণ (Outer ear) : এই অংশে pinna (কর্ণছত্র) এবং ear canal (কর্ণ-কুহর) থাকে ।
কাজ : মধ্যকর্ণে শব্দ তরঙ্গকে প্রবেশ করতে সহায়তা করে ।
মধ্যকর্ণ (Middle ear) :
- এই অংশে পেশিময় পর্দাবিশেষ, কর্ণ-কুহরের শেষপ্রান্তে থাকে কর্ণ পটহ (Eardrum বা tympanic membrane) I
- শিকলের মতো hammer, anvil এবং stirrup অস্থি পরপর যুক্ত থাকে ।
কাজ : শব্দ তরঙ্গকে গ্রহণ করে, বিবর্ধিত করে এবং তা অন্তঃকর্ণে পাঠিয়ে দেয় ।
অন্তঃকর্ণ (inner ear) : এই অংশে কক্লিয়া শামুকের খোলের মতো প্যাঁচালো ফ্লুইডপূর্ণ নালী যা মুখ্য শ্রবণ অঙ্গ ও স্টিরাপের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে । কক্লিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকে বিশেষ সংবেদনশীল hair cell যা auditory nerve-এর মাধ্যমে মস্তিষ্কের শ্রবণ কেন্দ্রের সাথে যুক্ত থাকে ।
কাজ : কক্লিয়ার অন্তর্গত কর্টিযন্ত্র শব্দতরঙ্গ গ্রহণকারী হিসাবে কাজ করে ।
শব্দদূষণ ও তার প্রতিকার
শব্দদূষণ : শব্দ দূষণ হল সোহান ক্ষমতা বহির্ভুত উচ্চ, অপ্রীতিকর শব্দের ঘটনা যা জীব-পরিবেশের উপর নেতিবাচক বা ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে ।
শব্দদূষণের জন্য মূলত মানুষরা দায়ী । আবার উচ্চ কম্পাঙ্কের একঘেয়ে শব্দ পরিবেশকে দূষিত করে ।
শব্দদূষণের প্রাকৃতিক উৎস : মেঘ ডাকা, বাজপাড়ার শব্দ
শব্দদূষণের মনুষ্য-সৃষ্ট উৎস : মাইকের শব্দ, বিমানের শব্দ, সাইরেন, কারখানার শব্দ ইত্যাদি
শব্দের তীব্রতা নির্দেশক একক : বেল (bel), ডেসিবেল (dB = 0.1 bel) । কোনো শব্দ শোনার জন্য সেই শব্দটির একটি ন্যূনতম তীব্রতা থাকতে হবে । আমরা যে নূন্যতম তীব্রতার শক্তি শুনতে পায় তাকে শূন্য স্তরের তীব্রতা বলা হয় । যদি কোনো শব্দের তীব্রতা শূন্য স্তরের দশগুণ হয়, তবে বেল এককে সেই তীব্রতার মান হবে 1 বেল ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) নির্ধারিত শব্দের নিরাপদ প্রাবল্যমাত্রা হল 65 ডেসিবেল ।
শব্দদূষণের প্রভাব : দু-রকম প্রভাব দেখা যায়, ক্ষণস্থায়ী এবং দীর্ঘস্থায়ী ।
যেমন – তীব্র কানের ব্যথা, সম্পূর্ণ বা আংশিক বধিরতা, masking প্রভাব (অর্থাৎ, প্রয়োজনীয় শব্দ শোনার বাধা), মস্তিষ্কের উপর প্রভাব ।
পরোক্ষ প্রভাব : হৃদস্পন্দন, রক্তে ক্যালসিয়াম এবং গ্লুকোজের মাত্রার পরিবর্তনের ফলে মাথাব্যথা, মানসিক ক্লান্তি, নিদ্রাহীনতা, উত্তেজনা এবং অন্যান্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে ।
নিয়ন্ত্রণ :
- আইনি পদ্ধতিতে যথাযথ দূষণ নিয়ন্ত্রণ
- উৎসে উৎপন্ন শব্দের তীব্রতা নিয়ন্ত্রণ
- কারখানায় শব্দ-প্রতিরোধকের ব্যবহার
- ব্যক্তিগত ভাবে প্রতিরোধক ব্যবস্থা (Hearing protection device, HPD) জনসচেতনতা বৃদ্ধি
SOLVED QUESTIONS & ANSWERS of শব্দ SHOBDO
1 MARKS QUESTIONS of শব্দ SHOBDO
- সুরযুক্ত শব্দের কোন্ বৈশিষ্ট্যটি শব্দের তীব্রতার ওপর নির্ভরশীল?
উত্তর : সুরযুক্ত শব্দের প্রাবল্য (loudness) শব্দের তীব্রতা (intensity)-র ওপর নির্ভরশীল।
- বেল বা ডেসিবেল কোন রাশির একক?
উত্তর : শব্দের তীব্রতা লেভেলের পার্থক্যের একক হল বেল বা ডেসিবেল।
- মধ্যকর্ণের ______বাতাসের চাপ বজায় রাখে।
উত্তর : ইউস্টেচিয়ান নালী
- জড় মাধ্যম ছাড়া শব্দ বিস্তার লাভ করতে পারে না কেন?
উত্তর : শব্দতরঙ্গ হল স্থিতিস্থাপক তরঙ্গ। স্থিতিস্থাপক তরঙ্গের বিস্তার লাভের জন্য জড় মাধ্যমের প্রয়োজন। তাই জড় মাধ্যম ছাড়া শব্দ বিস্তার লাভ করতে পারে না।
- অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ কি কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় মাধ্যমের মধ্যে দিয়ে বিস্তার লাভ করতে পারে?
উত্তর : হ্যাঁ, অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় মাধ্যমের মধ্যে দিয়ে বিস্তার লাভ করতে পারে।
- সরলরৈখিক দোলগতিসম্পন্ন কোনো কণা একই পথে পর্যায়ক্রমে ______করে।
উত্তর : যাওয়া-আসা
- শব্দের তীব্রতা লেভেলের পার্থক্যের একক হল______
উত্তর : বেল
- শব্দতরঙ্গ বায়ুমাধ্যমে তরঙ্গপাদ ও তরঙ্গশীর্ষ সৃষ্টি করে। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)
উত্তর : মিথ্যা
- মাধ্যমের কণাগুলির গতির সমান্তরালে ______তরঙ্গ অগ্রসর হয়।
উত্তর : অনুদৈর্ঘ্য
- শূন্য লেভেল তীব্রতার মান 10−12W/m2 (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)
উত্তর : সত্য
- কঠিন মাধ্যম______ পরিবর্তনকে প্রতিরোধ করতে পারে, তাই শুধুমাত্র কঠিন মাধ্যমে তির্যক তরঙ্গ সঞ্চালিত হয়।
উত্তর : আকার
- অডিটরি নার্ভ শব্দকে মস্তিষ্কের কোন্ অংশে প্রেরণ করে?
উত্তর : অডিটরি নার্ভ শব্দকে গুরুমস্তিষ্কে প্রেরণ করে।
- মানুষের স্বরযন্ত্র থেকে উৎপন্ন শব্দ কীভাবে পরিবর্তন হয়?
উত্তর : মানুষের স্বরতন্ত্রীদ্বয়ের টানের পরিবর্তন হলে বা নিশ্বাস বায়ুপ্রবাহের হ্রাসবৃদ্ধি হলে উৎপন্ন শব্দ বিভিন্ন রকম হয়।
- ______-এর ঘটনায় শব্দের বারবার প্রতিফলন ঘটে থাকে।
উত্তর : অনুরণন
- পাখি ওড়ার শব্দ শোনা যায় না কেন?
উত্তর : পাখি যখন ওড়ে তখন তার ডানার কম্পাঙ্ক 20 Hz এর কম হয়, এটি হল শব্দেতর শব্দ তাই পাখি ওড়ার শব্দ শোনা যায় না।
- তির্যক তরঙ্গের বিস্তারের সময় পর্যায়ক্রমে______ ও ______ উৎপন্ন হয়।
উত্তর : তরঙ্গশীর্ষ, তরঙ্গপাদ
- কম্পাঙ্কের একক কী?
উত্তর : কম্পাঙ্কের একক হাজ (hertz)।
- সরল দোলকের গতি হল পর্যাবৃত্ত গতি। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)
উত্তর : সত্য
- অডিটরি স্নায়ু শব্দকে গুরুমস্তিষ্কে পাঠায়। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)
উত্তর : সত্য
- কোনো শব্দতরঙ্গের কম্পাঙ্ক 25 Hz হলে পর্যায়কাল হবে ______
উত্তর : 0.04 s
- মানুষের কানের ইউস্টেচিয়ান নালীর কাজ কী?
উত্তর : ইউস্টেচিয়ান নালী মধ্যকর্ণে ভিতরের ও বাইরের বায়ুচাপের মধ্যে সমতা বজায় রাখে।
- সুর কী?
উত্তর : একটিমাত্র কম্পাঙ্কবিশিষ্ট শব্দকে সুর বলে।
- শব্দ শোনা ছাড়াও কানের অন্য কাজটি কী?
উত্তর : শব্দ শোনা ছাড়াও দেহের ভারসাম্য রক্ষা করা হল কানের কাজ।
- লোহা, জল ও বায়ুর মধ্যে কোনটিতে শব্দের বেগ সবচেয়ে কম?
উত্তর : লোহা, জল ও বায়ুর মধ্যে বায়ুতে শব্দের বেগ সবচেয়ে কম।
- লোহা, জল ও বায়ুর মধ্যে কোনটিতে শব্দের বেগ সবচেয়ে বেশি?
উত্তর : লোহার মধ্যে দিয়ে শব্দের বেগ সবচেয়ে বেশি৷
- কানের গঠনের ভাগগুলি কী কী?
উত্তর : কানের গঠনের ভাগগুলি হল—বহিঃকর্ণ, মধ্যকর্ণ ও অন্তঃকর্ণ।
- শব্দতরঙ্গ বায়ুমাধ্যমে তরঙ্গপাদ ও তরঙ্গশীর্ষ সৃষ্টি করে। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)
উত্তর : মিথ্যা
- SONAR-এর সাহায্যে ______ শব্দের প্রয়োগে সমুদ্রের গভীরতা নির্ণয় করা যায়।
উত্তর : শ্রবণোত্তর বা শব্দোত্তর
- একটি দোলক যখন দুলতে থাকে তখন দোলকের কম্পাঙ্ক 20 Hz -এর কম হয়। এর ফলে কী ধরনের শব্দ উৎপন্ন হয়?
উত্তর : এর ফলে উৎপন্ন শব্দ হল শব্দেতর শব্দ।
multiple choice questions – 1 marks of শব্দ SHOBDO
- কোনো স্প্রিং-এর সৃষ্ট অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গের পরপর তিনটি সংকোচনের মধ্যবর্তী দূরত্ব 30 cm হলে ওই তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্য হবে –
- 90 cm
- 60 cm
- 45 cm
- 15 cm
উত্তর : D
- শব্দের অনুরণন শোনা যেতে পারে –
- স্টেথোস্কোপে
- খালি হলঘরের মধ্যে
- দূরে কোনো দেয়ালে
- শূন্যস্থানে
উত্তর : B
- একটি লম্বা লোহার পাইপের একপ্রান্তে শব্দ করলে অপর প্রান্তে শব্দ শোনা যায় –
- একবার
- দুবার
- তিন বার
- চার বার
উত্তর : B
- প্রাবল্য নির্ভর করে –
- শব্দের বেগের ওপর
- শব্দের কম্পাঙ্কের ওপর
- স্বনকের আকারের ওপর
- উপসুরের ওপর
উত্তর : C
- বায়ুতে শব্দের গতিবেগ 340 m/s হলে একমাত্রিক শব্দের প্রতিধ্বনি শোনার জন্য ন্যূনতম দূরত্ব হল –
- 34 m
- 68 m
- 3.4 m
- 51 m
উত্তর : A
- অরগ্যান অফ কর্টি-এর অবস্থান –
- বহিঃকর্ণে
- মধ্যকর্ণে
- অন্তঃকর্ণে
- বহিঃকর্ণ ও মধ্যকর্ণের সংযোগস্থলে
উত্তর : C
- দুটি পাশাপাশি তরঙ্গশীর্ষের মধ্যে দূরত্ব হল –
- λ
- 2λ
- λ2
- 2λ3
উত্তর : A
- 27 ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতায় বায়ুতে শব্দের বেগ 348 m/s হলে ক্ষণস্থায়ী শব্দের প্রতিধ্বনি শোনার জন্য উৎস ও প্রতিফলকের মধ্যে ন্যুনতম দূরত্ব হল –
- 17.4 m
- 34.8 m
- 69.6 m
- 104.4m
উত্তর : A
- শব্দের তীব্রতা নীচের যে বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল নয় তা হল –
- স্বনকের আকার
- স্বনকের কম্পনের বিস্তার
- মাধ্যমের ঘনত্ব
- স্বরের মধ্যে উপসুরের সংখ্যা
উত্তর : D
- শব্দের অনুরণন সৃষ্টি হয় –
- একবার প্রতিফলনে
- দুইবার প্রতিফলনে
- তিনবার প্রতিফলনে
- বারবার প্রতিফলনে
উত্তর : D
- এক ব্যক্তি দুটি সমান্তরাল পাহাড়ের মাঝখানে দাঁড়িয়ে গুলি ছুড়ল সে 1.5 s এবং 2.5 s পর যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় প্রতিধ্বনি শুনতে পেল বায়ুতে শব্দের বেগ 340 m/s হলে পাহাড় দুটির মধ্যে দূরত্ব হল –
- 340 m
- 680 m
- 510 m
- 850 m
উত্তর : B
- কোনো সুরশলাকার গায়ে লেখা আছে 540 Hz এর থেকে জানা যায় –
- সুরশলাকাটির কম্পাঙ্কের মান 1/540
- সুরশলাকাটির কম্পাঙ্কের মান 540
- সুরশলাকাটির বাহুর কম্পনের পর্যায়কাল 540 s
- সুরশলাকাটির বাহুর বিস্তারের মান 540
উত্তর : B
- বায়ুতে শব্দের গতিবেগ 340 m/s হলে একমাত্রিক শব্দের প্রতিধ্বনি শোনার জন্য ন্যূনতম দূরত্ব হল –
- 34 m
- 68 m
- 3.4 m
- 51 m
উত্তর : A
- পর্যায়কাল 0.2 s হলে কম্পাঙ্ক হবে –
- 4 Hz
- 5 Hz
- 10 Hz
- 20 Hz
উত্তর : B
- শব্দতরঙ্গ সংগ্রহ এবং কেন্দ্রীভূত করা যার কাজ –
- কর্ণছত্র
- শ্ববণনালী
- কানের পর্দা
- টিমপ্যানিক গহর
উত্তর : B
- টানটান করা তারে তির্যক কম্পনের সময় তারের স্থির বিন্দ হল –
- তারের মধ্যবিন্দু
- তারের দুটি প্রান্তবিন্দু
- মধ্যবিন্দু ও প্রান্তবিন্দুর মাঝের বিন্দুটি
- কোনো বিন্দুই স্থির নয়
উত্তর : B
- সুরযুক্ত শব্দের বৈশিষ্ট্য হল –
- শুধুমাত্র প্রাবল্য
- শুধুমাত্র তীক্ষ্ণতা
- শুধুমাত্র গুণ বা জাতি
- সবকটি
উত্তর : D
- 500 Hz, 900 Hz, 550 Hz, 750 Hz, 300 Hz , 600 Hz এইসব কম্পাঙ্কের মধ্যে প্রথম সমমেলটি হল –
- 300 Hz
- 500 Hz
- 600 Hz
- 900 Hz
উত্তর : A
- শব্দ হল –
- অনুদৈর্ঘ্য স্থিতিস্থাপক তরঙ্গ
- তির্যক স্থিতিস্থাপক তরঙ্গ
- তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ
- কোনোটিই নয়
উত্তর : A
- ভূমিকম্প উৎপন্ন করে –
- শ্রবণযোগ্য শব্দ
- শব্দোত্তর শব্দ
- শব্দেতর শব্দ
- কোনোটিই নয়
উত্তর : C
- মানুষ 1s সময়ে যতগুলি পদাংশ সর্বাধিক উচ্চারণ করতে পারে তা হল –
- 4
- 5
- 6
- 10
উত্তর : B
- যে তরঙ্গটি জড় মাধ্যম ছাড়া অগ্রসর হতে পারে না সেটি হল –
- অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ
- তির্যক তরঙ্গ
- আলোকতরঙ্গ
- বেতার তরঙ্গ
উত্তর : A
- ‘মা’ শব্দটির প্রতিধ্বনি শোনার নূ্যনতম দূরত্ব x মিটার হলে বাবা শব্দটির প্রতিধ্বনি শোনার ন্যূনতম দূরত্ব হবে (মিটার এককে) –
- 2x
- x
- x/2
- 4x
উত্তর : A
- যে রাশিটি অনুভূতিমূলক নয় সেটি হল –
- প্রাবল্য
- তীব্রতা
- তীক্ষ্ণতা
- জাতি
উত্তর : B
- শব্দদূষণের ফলে মানুষ –
- অন্ধ হতে পারে
- বধির হতে পারে
- পঙ্গু হতে পারে
- পেটের রোগে আক্রান্ত হতে পারে
উত্তর : B
- কর্ণকুহরের দৈর্ঘ্য প্রায় –
- 3 mm
- 1 cm
- 3 cm
- 8 cm
উত্তর : C
- যে তরঙ্গটি জড় মাধ্যম ছাড়া অগ্রসর হতে পারে না সেটি হল –
- অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ
- তির্যক তরঙ্গ
- আলোকতরঙ্গ
- বেতার তরঙ্গ
উত্তর : A
- প্রাবল্য নির্ভর করে –
- শব্দের বেগের ওপর
- শব্দের কম্পাঙ্কের ওপর
- স্বনকের আকারের ওপর
- উপসুরের ওপর
উত্তর : C
- শব্দ নিবন্ধের সময়কাল হল –
- 0.05 s
- 0.1 s
- 0.2 s
- 1s
উত্তর : B
- শ্রুতিমধুর শব্দের জন্য অবশ্যই যেটি প্রয়োজন সেটি হল –
- বেশি সংখ্যক সমমেলের উপস্থিতি
- বেশি সংখ্যক উপসুরের উপস্থিতি
- নানারকমের কম্পাঙ্কের উপস্থিতি
- নানারকমের বাদ্যযন্ত্রের উপস্থিতি
উত্তর : A
- মানুষের কানের পক্ষে সহনীয় তীব্রতা স্তরের সর্বোচ্চ মান মোটামুটি –
- 65 dB
- 85 dB
- 100 dB
- 20000 dB
উত্তর : B
- শব্দ নীচের কোন মাধ্যমের মধ্যে দিয়ে সবচেয়ে বেশি বেগে বিস্তার লাভ করে?
- কঠিন মাধ্যম
- তরল মাধ্যম
- গ্যাসীয় মাধ্যম
- শূন্যস্থান
উত্তর : A
- একটি জেট প্লেন সুপারসনিক বেগে চলছে এর ম্যাক সংখ্যা –
- 1-এর সমান
- 1-এর চেয়ে বেশি
- 1 অপেক্ষা কম
- 100 -এর সমান
উত্তর : B
- একটি অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ z-অক্ষ অভিমুখে অগ্রসর হচ্ছে। মাধ্যমের কণাগুলির কম্পন হবে –
- t-অক্ষের সমান্তরালে
- y-অক্ষের সমান্তরালে
- z-অক্ষের সমান্তরালে
- xy-সমতলে
উত্তর : C
- পরীক্ষামূলকভাবে দেখা গেছে যে, 0 ডিগ্রি সেলসিয়াস-এ বায়ুতে শব্দের বেগ প্রায় –
- 332 m/s
- 442 m/s
- 1080 m/s
- শূন্য
উত্তর : A
- নীচের জোড়া রাশিগুলির মধ্যে যে দুটি পরস্পরের অন্যোন্য রাশি সেটি হল –
- কম্পাঙ্ক ও তরঙ্গদৈর্ঘ্য
- কম্পাঙ্ক ও পর্যায়কাল
- তরঙ্গবেগ ও তরঙ্গদৈর্ঘ্য
- তরঙ্গদৈর্ঘ্য ও প্রাবল্য
উত্তর : B
short questions – 2-3 marks of শব্দ SHOBDO
1. শব্দের প্রতিধ্বনি বলতে কী বোঝো?
উত্তর : কোনো উৎস থেকে উৎপন্ন শব্দ দুরের কোনো প্রতিফলকে প্রতিফলিত হয়ে মূল শব্দের থেকে পৃথকভাবে পুরো শ্রোতার কানে এসে পৌঁছালে প্রতিফলিত শব্দটিকে মূল শব্দের প্রতিধ্বনি বলা হয়।
2. শ্রবণেতর শব্দ ও শ্রবণোত্তর শব্দ বলতে কি বোঝ?
উত্তর : কোন শব্দের কম্পন যদি সেকেন্ডে 20-এর কম হয় তবে ওই কম্পনশীল বস্তু থেকে উৎপন্ন শব্দ আমরা শুনতে পায় না। এই শব্দকে শ্রবণেতর শব্দ বলে।
কোন বস্তুর কম্পন সেকেন্ডে 20000 এর বেশি হলে ওই কম্পনশীল বস্তু থেকে যে শব্দ উৎপন্ন হয় তা আমরা শুনতে পাই না। এই শব্দকে শ্রবণোত্তর শব্দ বলে।
3. শব্দ দূষণের দুটি ক্ষতিকর প্রভাব উল্লেখ কর।
উত্তর :
- মানুষের কর্মদক্ষতা কমে যেতে পারে।
- শ্রবণেন্দ্রিয় নষ্ট হয় বা ক্রমাগত শব্দদূষণে কান বধির হয়ে যায়।
4. শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণের দুটি উপায় লেখ।
উত্তর :
- উৎসব অনুষ্ঠান পার্বণে জোরে মাইক বাজানো যাবে না বা শব্দবাজি বর্জন করতে হবে।
- কলকারখানায় কর্কশ শব্দ সৃষ্টিকারী যন্ত্রাদির প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ঘটিয়ে শব্দ কমানো যায়।