প্রাকৃতিক ভূগোল Prakritik Bhugol

Geography Bhugol Subject WBBSE Madhyamik Class 10

Here you will learn the basics of প্রাকৃতিক ভূগোল (Natural geography) in a simple language it is for Bengali medium students who are studying under West Bengal Board of Secondary Education and preparing for their Madhyamik exam (Class 10 WBBSE) Here you will find all necessary and important WBBSE Madhyamik Suggestions, notes, solved sample question paper in Bangla along with video lectures from expert teachers

You will learn the basics and the foundation of this chapter in English medium from an expert teacher this module has been organised in four segments

  • In the first segment you are going to learn the foundation and basics of this chapter
  • In the second module you are going to learn the multiple choice questions that is MCQ or high order thinking skills question of 1 marks
  • In the third segment you are going to learn the short answers and questions which is typically asked from the chapter in your examination which is explained in very easy and simple method
  • The fourth segment comprises of long answers and questions which is typically of 5 to 6 marks which will help you prepare well for your examination you also get sample questions and sample paper for better preparation

If you have any questions please feel free to contact our team for details and help

আপনি এখানে শিখবেন এই অধ্যায়ে এবং বিষয়ের ফাউন্ডেশন অংশটা, এই বিষয়টিকে সহজ-সরলভাবে পড়িয়েছেন বিশেষজ্ঞ শিক্ষক ভিডিও লেকচার এর মাধ্যমে এবং এই পুরো অধ্যায়কে চার ভাগে খন্ডিত করে  আপনার জন্য তৈরি করা হয়েছে

  • প্রথম খন্ডে আপনি শিখবেন ফাউন্ডেশন অংশটা যেখানে অধ্যায়ের ব্যাপারে আপনাকে বোঝানো হয়েছে তার মানে definitions,basics  গুলো সহজভাবে.  এবং এটাকে আপনি বুঝতে পারবেন যেটা আপনাকে পরীক্ষার জন্য ক্রীপের করতে সাহায্য করবে 
  • দ্বিতীয় মডিউলে আপনি শিখবেন MCQ মাল্টিপল চয়েস কোশ্চেন যেটা সাধারণত এক Marks’er আসে পরীক্ষায়
  •  তৃতীয় মডিউলে আপনি শিখবেন শর্ট অ্যানসার এবং কোয়েশ্চেন, যেটা আপনার পরীক্ষার সাজেশন মধ্যে পড়ে এবং এটা 3-4 marks’er  প্রশ্ন আসে আপনার পরীক্ষা
  •  চতুর্থ মডিউল আপনি শিখবেন লং আনসার এবং questions যেটা সাধারণত 5-6 marks er হয়

আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন যাতে কি আপনাকে আমরা সাহায্য করতে পারি

এখানে আপনি Basic Terms, Definitions, Solved Short, Long Answers & Questions and MCQ's নিচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করলে পেয়ে যাবেন

সাবস্ক্রাইব করুন সব ভিডিও লেকচার, স্টাডি মেটেরিয়াল এবং সাজেশন পেতে

আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন যাতে কি আপনাকে আমরা সাহায্য করতে পারিহয়েছে করা হয়েছে সাবস্ক্রাইব করুন সব ভিডিও লেকচার, স্টাডি মেটেরিয়াল এবং সাজেশন পেতে

বাংলা বিষয়- পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ শিক্ষা পরিষদের মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য যারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের জন্য এটা সাহায্য কর হবে এখানে আমরা আপনাকে এক Marks er MCQ  এবং Suggestion পেয়ে যাবেন যেটা আপনাকে সাহায্য করবে কম সময়ের মধ্যে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে এবং ভালো মাল আনতে নিজের মাধ্যমিক পরীক্ষা

VIDEO LECTURES BY EXPERT TEACHERS FOR EASY LEARNING

FOUNDATION - BASICS OF THE CHAPTER

MCQ QUESTIONS - 1 MARKS

SHORT QUESTIONS ANSWER - 3/4 MARKS

SHORT QUESTIONS ANSWER - 3/4 MARKS

LONG QUESTIONS ANSWER - 5/6 MARKS

Definition, Important Terms, Explanation in Simple Words for Fast Learning

update

 

MCQ SHort Questions (1 Marks)

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
কোনটি পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ?
ভারত।

ভারত অবস্থান অনুসারে কোথায় অবস্থিত?
উত্তর গােলার্ধে এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণাংশে অবস্থিত।

ভারতের মােট ক্ষেত্রফল কত?
32 লক্ষ 87 হাজার 263 বর্গ কিমি।

কোনটি ভারতের পশ্চিমতম স্থান?
গুজরাটের গুহার মেটার।

কোনটি ভারতের পূর্বৰ্তম স্থান?
অরুণাচল প্রদেশের কিবিথু।

ভারতের পশ্চিম সীমা থেকে পূর্ব সীমা পর্যন্ত সময়ের পার্থক্য কত?
1 ঘন্টা 56 মিনিট।

কোনটি ভারতের মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণতম স্থান?
তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী।

কোন রাজ্য ভারতের সর্বাধিক রাজ্যকে স্পর্শ করে রয়েছে?
উত্তরপ্রদেশ (আটটি রাজ্যকে স্পর্শ করেছে)

বর্তমানে ভারতে রাজ্যের সংখ্যা কত?
29টি অঙ্গরাজ্য এবং 7টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল।

কোন কোন রাজ্য সর্বাধিক আন্তর্জাতিক সীমা স্পর্শ করেছে ?
তিনটি রাজ্য (পশ্চিমবঙ্গ, অরুণাচল প্রদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীর)।

কোন অঞ্চলকে জাতীয় রাজধানী অঞ্চল হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে?
নতুন দিল্লিকে।

কাকে Seven Sisters of India বলা হয়?
মণিপুর, ত্রিপুরা, অসম, অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মেঘালয় ও মিজোরাম এই 7টি রাজ্যকে বলা হয় Seven Sisters of India |

দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর থেকে উত্তরে হিমালয় পর্যন্ত প্রসারিত একমাত্র রাজ্যের নাম কী?
পশ্চিমবঙ্গ।

কোনটি আয়তনে ভারতের বৃহত্তম রাজ্য?
রাজস্থান
কোন কোন রাজ্যের ওপর দিয়ে কর্কটক্রান্তিরেখা বিস্তৃত?
গুজরাট, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গ প্রভৃতি রাজ্য।

কোন কোন রাজ্য বাংলাদেশ সীমান্তাকে স্পর্শ করেছে (পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া ) ?
অসম, মেঘালয় ও ত্রিপুরা রাজ্য।

ভারতের কোন কোন রাজ্য নেপাল ও ভুটানকে স্পর্শ করেছে?
বিহার, সিকিম, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, অসম, অরুণাচল প্রদেশ প্রভৃতি রাজ্য।

কার ওপর ভিত্তি করে 1953 খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বরে রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন গঠিত হয়?
ভাষার ভিত্তিতে।

ভারতে 2000 সালে কয়টি রাজ্য গঠিত হয়?
তিনটি। (নভেম্বর—মধ্যপ্রদেশ ছেড়ে ছত্তিশগড়, 7 নভেম্বর-উত্তরপ্রদেশ ভুণ্ডে উত্তরাখণ্ড, 15 নভেম্বর বিহার ভেঙে ঝাড়খণ্ড রাজ্য গঠিত হয়।)

2 জনু 2014 ভারতের কোন রাজ্য ভেঙে নবীনতম রাজ্য গঠিত হয় ?
অপ্রদেশ ভেঙে তেলেঙ্গানা রাজ্য। (রাজধানী-হায়দরাবাদ)

কোনটি আয়তনে ভারতের ক্ষুদ্রতম রাজ্য?
গােয়।

কোনটি আয়তনে ভারতের বৃহত্তম কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল?
শ্রাদামান ও নিকোবর দ্বীপপ।

কোনটি আয়তনে ভারতের ক্ষুদ্রতম কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল?
লাক্ষাদ্বীপ।

কোন পর্বতশ্রেণি পামির মালভূমি ও সিন্ধুনদের মধ্যবর্তী অংশে অবথিত? |
কারাকোরাম পর্বতশ্রেণি।

কতদুর হিমালয় পর্বতমালা পর্যন্ত বিস্তৃত?
পশ্চিমে জম্মু-কাশ্মীরের নাঙ্গা পর্বত থেকে পূর্বে অরুণাচল প্রদেশের নামচাবারওয়া (7756 কিমি) পর্যন্ত বিস্তৃত।

শিবালিক পৰ্বত অরুণাচল প্রদেশে ‘ডাফল’, মিরি, আরব , মিশমি, জম্মুতে জম্মু পাহাড়’, কিন্তু উত্তরাখণ্ডে কী নামে পরিচিত?
ডের ধ্যাং পর্বতশ্রেণি।

ভারতের সর্বনিম্ন স্থলভাগের স্থানের নাম কী?
কেরালার কুট্টানাড়ু।

শিবালিকের উত্তরে পশ্চিম থেকে পূর্বে প্রায় 2000-5000 মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট যে পর্বতশ্রেণিটি রয়েছে তাকে কী বলে?
হিমাচল।

হিমাচল হিমালয়ের উত্তর-পশ্চিম থেকে পূর্বে যে পর্বতশ্রেণিটি বিস্তৃত রয়েছে, তাকে কী বলে?
হিমাদ্রি হিমালয়।

স্থানীয় ভাষায় কাশ্মীরে 100-200 মিটার উচ্চ হ্রদের চারপাশে যে ধাপযুক্ত উর্বর পলিস্তরের সৃষ্টি হয়েছে তাকে কী বলে?
ক্যারেওয়া।

ভারতের দক্ষিণতম ও উত্তরতম বিন্দুর নাম কী?
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ইন্দিরা পয়েন্ট (দক্ষিণতম) বিন্দু এবং জম্মু ও কাশ্মীরের ইন্দিরা কল (উত্তরতম)।

ভারতকে ভূপ্রাকৃতিক বৈচিত্র্য অনুসারে প্রধানত কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ?
পাঁচটি ভাগে (উপদ্বীপীয় মালভূমি অঞ্চল, উপকুলীয় সমভূমি অঞ্চল ও দ্বীপপুঞ্জ, উত্তরের পার্বত্য অঞ্চল, উত্তরের সমভূমি অঞ্চল)।

মাউন্ট এভারেস্টকে তিব্বতীয় ও নেপালি ভাষায় কী বলা হয়?
চোষােলুংমা (তিব্বতীয়রা) ও সাগরমাথা (নেপালিরা)।

মরু সমভূমিকে ভূপ্রাকৃতিক তারতম্য অনুসারে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায়?
পাঁচ ভাগে (বাগর, রােহি, ক্ষুদ্র মরু, হামাদা, মরুস্থলী)

ভারতের থর মরুভূমিতে চলমান বালিয়াড়িকে কী বলা হয়?
প্রিয়ান (অর্থ চলমান)।

ভারতের উত্তরের বৃহৎ সমভূমি অঞ্চলের দক্ষিণে অবস্থিত মালভূমিকে কী বলা হয় ?
দাক্ষিণাত্যের মালভূমি।

চম্বল অঞ্চলের এবড়ােখেবড়াে ভূমি কী নামে পরিচিত?
বিহড় নামে পরিচিত।

কোনটি বানাবুদান পাহাড়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ?
মুলানগিরি (1923 মিটার)।

কোনটি পশ্চিমঘাটের দক্ষিণতম শৃঙ্গ?
আগস্তাকুটম (2044 মিটার)।

কন্যাকুমারিকা অন্তরীপ থেকে কৃয়া নদীর মােহনা পর্যন্ত বিস্তৃত দক্ষিণাংশের – উপকূলকে কী বলে?
করমণ্ডল উপকূল।

স্থানীয় ভাষায় তামিলনাড়ু উপকূলের বালিয়াড়িকে কী বলে?
থেড়িস।

কোনটি ভারতের বৃহত্তম উপকূল?
গুজরাট উপকুল।

কচ্ছরন শব্দটির অর্থ কী? |
কচ্ছ’ শব্দের অর্থ জলময় দেশ এবং ‘রণ’ শব্দের অর্থ কর্দমাক্ত ও লবণাক্ত নিম্নভূমি।

কোনটি গির ও গিরনার পাহাড়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ?
গােরক্ষনাথ (1197 মিটার)।

কোনটি ভারতের বৃহত্তম কয়াল?
ভেম্বনাদ কয়াল।

দু’টি আগ্নেয়গিরির নাম করাে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ।
ব্যারন (সুপ্ত) ও নরকোণ্ডম (মৃত)।

কোনটি আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ ?
স্যাডল পিক (738 মিটার)।

কোথা থেকে কৃষ্ণা নদীর উৎপত্তি হয়েছে?
পশ্চিমঘাট পর্বতের মহাবালেশ্বর শৃঙ্গ থেকে।

কৃষ্ণা নদীর মােট দৈর্ঘ্য কত?
1400 কিমি।

ভারতে খালের মাধ্যমে জলসেচ করা হয় কত শতাংশ জমিতে ?
প্রায় 26 শতাংশ।

কত শতাংশ জমিতে কুপ ও নলকূপের মাধ্যমে জলসেচ করা হয়ে থাকে?
প্রায় 53 শতাংশ।

ভারতের মােট কত শতাংশ জমিতে জলাশয় সেচের মাধ্যমে জলসেচ করা হয়ে ? |
প্রায় 9 শতাংশ।

কোন পরিকল্পনা ওড়িশার মহানদীর ওপর অবস্থিত?
হিরাকুদ পরিকল্পনা (ভারতের দীর্ঘতম বাঁধ)।

কোন পরিকল্পনা পাঞ্জাব, রাজস্থান, হরিয়ানার যৌথ উদ্যোগে গড়ে উঠেছে।
ভাকরা-নাগাল পরিকল্পনা (ভারতের বৃহত্তম বহুমুখী পরিকল্পনা)।

কোন পরিকল্পনা উত্তরপ্রদেশের শােন নদীর উপর গড়ে উঠেছে?
রিহান্দ পরিকল্পনা।

কোন পরিকল্পনা অপ্রপ্রদেশের কৃয়া নদীর উপর গড়ে উঠেছে?
নাগার্জুন সাগর পরিকল্পনা।

কোনটি ভারত তথা পৃথিবীর সর্বাধিক বৃষ্টিবহুল স্থান?
মেঘালয়ের মৌসিনরাম (বার্ষিক বৃষ্টির পরিমাণ 1350 সেমি)।

শ্ৰীষ্মকালে পাঞ্জাব, হরিয়ানাতে যে ধূলিঝড় প্রবাহিত হয় তাকে কী বলে?
আবৃষ্টিতে কর্ণাটকে কফি চাষের সুবিধা হয় বলে একে কী বলে?
Cherry blossom.

কোনটি ভারতের শীতলতম স্থান?
লাখের দ্ৰাস (40°e)।

অবহাওয়া অফিসের সদর দপ্তর ভারতের কোথায় ?
নয়াদিল্লি (মৌসম ভবন)।

কাকে ক্যাকটাস উদ্ভিদ বলে?
মরু অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের অভাবজনিত কারণে উদ্ভিদের পাতা কাটায় রূপান্তরিত হয় বলে এই উদ্ভিদকে ক্যাকটাস উদ্ভিদ বলে।

শােলা (Shola) কী?
কেরল, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক রাজ্যে উপক্ৰান্তীয় চিরহরিৎ, পার্বত্য অরণ্যের সৃষ্টি য়েছে বলে একে দক্ষিণ ভারতের শােলা (Shola) বলে।

কে চিপকো আন্দোলন (1973)-এর নেতৃত্ব দেন?
চণ্ডীপ্রসাদ ভাট ও সুন্দরলাল বহুগুণা ।

কে নর্মদা বাঁচাও আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন?
মেধা পাটকর, বাবা আমতে ও অরুন্ধতী রায়।

কোন রাজ্যে অ্যাপিকো আন্দোলন (1983) সংঘটিত হয়?
কর্ণাটকে (সিসি অঞ্জলে)।

হিমালয় পর্বতকে উত্তর থেকে দক্ষিণে উচ্চতা অনুসারে কয়টি ভাগে ভাগ করা হয় ?
চারটি ভাগে (শিবালিক, হিমাচল, হিমাদ্রি ও টেথিস) )

ধাউলাধর, পিরপাঞ্জাল, নাগচি ও মুসসারি পর্বতশ্রেণি কোথায় অবস্থিত ?
হিমাদ্রি ও শিবালিক হিমালয়ের মাঝে।

কোথায় কাশ্মীর উপত্যকা, কুলু ও কাংড়া উপত্যকা অবস্থিত?
পিরাপাত্মাল ও জাস্কাল পর্বতের মাঝে।

হিমালয় পর্বতমালাকে দৈর্ঘ্য বরাবর পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে কাটি ভাগে ভাগ করা যায়?
তিনটি ভাগে (পশ্চিম, মধ্য ও পূর্ব হিমালয়)।
কোন হিমালয় পশ্চিমে শত নদী ও পুর্বে কালীগণ্ডকী নদীর মাঝে অবস্থিত?
উত্তরাখণ্ডের কুমায়ুন হিমালয়।

লুনি নদীর উত্তরাংশে বালুময় ক্ষুদ্র মরু অংশ কী নামে পরিচিত?
থালি।

কাকে দক্ষিণ ভারতের শস্যভাণ্ডার বলা হয়?
কাবেরী নদীর ব-দ্বীপকে।

যে ক্ষয়প্রাপ্ত ভূমিভাগ শিবালিক পর্বতমালা থেকে আগত ছােটো ছােটো নদী দ্বারা সৃষ্টি হয় তাকে স্থানীয় ভাষায় কী বলে?
চোস।

শিবলিকের পাদদেশে নদীবাহিত নুড়ি, কাঁকর, বালি, পলি দ্বারা গঠিত অংশ কী নামে পরিচিত?
ভাবর।

মালাবার উপকূলীয় সমভূমি অঞ্চলের হ্রদগুলি কী নামে পরিচিত?
কয়াল।

ভারতের তথা এশিয়ার বৃহত্তম লেগুনের বা উপহ্রদের নাম কী ?
ওড়িশার চিল্কা।

কোনটি ভারতের বৃহত্তম কয়াল?
ভেদানাদ।

কোনটি ভারতের বৃহত্তম অভ্যন্তরীণ মৎস্য আহরণ ক্ষেত্র ?
ওড়িশার চিল্কা উপহ্রদ।

নলকুপ ও কুপের মাধ্যমে সেচকাজ সবচেয়ে বেশি হয় কোন রাজ্যে ?
উত্তরপ্রদেশে।

কাকে পশ্চিমবঙ্গের দুঃখ বলা হয়?
দামােদর নদকে

দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আগমনকাল বলা হয় কোন ঋতুকে ?
বর্ষা ঋতুকে।

কোনটি পৃথিবীর সর্বাধিক বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চল?
মেঘালয়ের মৌসিনরাম।

মৌসুমি বায়ুর প্রত্যাবর্তনকাল বলা হয় কোন ঋতুকে ?
শরৎ ঋতুকে।

কী ধরনের মৃত্তিকা মরু অঞ্চলে লক্ষ করা যায়?
সিরােজেম জাতীয় মরু মৃত্তিকা।

কী ধরনের মৃত্তিকা পার্বত্য অঞ্চলে লক্ষ করা যায় ?
হিউমাসযুক্ত পডসল মৃত্তিকা।

শূন্যস্থান পূরণ করো

________ শতাংশ হলাে ভারতের মােট আয়তন পৃথিবীর মােট ভূমিভাগের।

Ans. 2.4

 

অন্ধ্রপ্রদেশ 2014 সালের 2 জুন ভেঙে _________  রাজ্য গঠিত হয়। 

Ans. তেলেঙ্গানা

 

_________ হলাে টেথিস হিমালয়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ |

Ans.  জাস্কর পর্বত শ্রেণীর  লিওপারগেল

 

বানিহালে এশিয়ার দীর্ঘতম সুড়ঙ্গ __________ টানেল নির্মাণ করা হয়েছে।

Ans. জওহর

 

কোলাহােই পর্বতশৃঙ্গের পূর্বে হিন্দুদের তীর্থস্থান _________  গুহা অবস্থিত। 

Ans.  অমরনাথ

 

ভারতের বৃহত্তম মিষ্টিজলের হ্রদ হলাে _________ |

Ans.  কাশ্মীরের ডাল,  উলার হ্রদ

 

__________ কাশ্মীর উপত্যকার উর্বর মৃত্তিকায় চাষ হয়।

Ans.  জাফরান

 

উত্তরপ্রদেশে, উত্তরাখণ্ড __________ হিমালয় অবস্থিত। 

Ans. কুমায়ুন

 

কুমায়ুন হিমালয়ে সৃষ্ট হ্রদগুলি _________  নামে পরিচিত। 

Ans.  তাল

 

কাঞ্চনজঙ্ঘা পৃথিবীর তৃতীয় ও ভারতের দ্বিতীয় উচ্চতম __________। 

Ans.  পর্বত শৃঙ্গ

 

________ হলাে পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ।

Ans.  সান্দাকফু (3630 মি.)

 

_________ হলাে অরুণাচল হিমালয়ের প্রধান শৃঙ্গ।

Ans.  নামচাবারোয়া (7756 মি.)

 

_________  নদ তিব্বত মালভূমির চেমায়ুং দুং হিমবাহ থেকে উৎপন্ন হয়েছে। 

Ans. ব্রহ্মপুত্র

_________  নদী হলাে দক্ষিণ ভারতের পশ্চিমবাহিনী নদীগুলির মধ্যে দীর্ঘতম ও বৃহত্তম। 

Ans.  নর্মদা

 

__________ নদী মহাদেও পর্বতের মূলতাই উচ্চভূমি থেকে উৎপন্ন হয়েছে। 

Ans.  তাপি

 

হিমালয় _______ জাতীয় পর্বত।

Ans.  ভঙ্গিল

 

আজ হিমালয় যেখানে অবস্থিত, বহু কোটি বছর পূর্বে সেখানে ________ ছিল। 

Ans.  টেথিস সাগর

 

টেথিস সাগরের দক্ষিণে ________ ও উত্তরে________ ছিল।

Ans. গনডোয়ানল্যান্ড’, আঙ্গারাল্যান্ড

 

দক্ষিণ ভারতের বৃহত্তম ও দীর্ঘতম নদী হলাে ________ । 

Ans.  গোদাবরী

________ হলাে গােদাবরী নদীর মােট দৈর্ঘ্য | 

Ans. 1456 km

দামােদর উপত্যকা পরিকল্পনা ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের _______ নদের ওপর অবস্থিত। 

Ans. দামোদর

 

_________  পরিকল্পনা বিহারের কোশি নদীর ওপর অবস্থিত। 

Ans.  কোশি 

 

গুজরাটের নর্মদা নদীর ওপর ________ প্রকল্প অবস্থিত। 

Ans. সর্দার সরোবর

 

________  পরিকল্পনা মহারাষ্ট্রের কায়না নদীর ওপর অবস্থিত। 

Ans. কায়না

 

________  নদীর মাইথন ও তিলাইয়া বাঁধ ওপর অবস্থিত। 

Ans.  বরাকর

 

________  নদীর কোনার বাঁধ ওপর অবস্থিত।

Ans.  কোনার 

 

সত্য / মিথ্যা নির্বাচন কর
ভারত পূর্ব-পশ্চিমে 2933 কিমি এবং উত্তর-দক্ষিণে 3214 কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত |
Ans. সত্য

ভারত এশিয়ার তৃতীয় এবং পৃথিবীর সপ্তম বৃহত্তম দেশ |
Ans. সত্য

চীন ও ভারতের সীমারেখা ম্যাকমোহন রেখা দ্বারা বিভক্ত হয়েছে |
Ans. সত্য

পক প্রণালী ও মান্নার উপসাগর দ্বারা ভারত শ্রীলংকা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে |
Ans. সত্য

উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে আফগানিস্তান 3310 km রেডক্লিপ লাইন এবং 30 km ডুরান্ড লাইন দ্বারা পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন |
Ans. সত্য

1956 সালের 1 নভেম্বর ভারত সরকার ভাষার ভিত্তিতে 6টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ও 14টি অঙ্গ রাজ্য গঠন করে |
Ans. সত্য

ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হল কাঞ্চনজঙ্ঘা ( 8598 মি:) |
Ans. সত্য

ভারতের প্রাচীনতম ভঙ্গিল পর্বত হলো আরাবল্লী | এর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হল গুরুশিখর ( 1722 মি: ) |
Ans. সত্য

ধুয়াধার জলপ্রপাত মার্বেল পাথর সমৃদ্ধ |
Ans. সত্য

রাজপিপ্লা পাহাড় হল পশ্চিম সাতপুরা অংশের স্থানীয় নাম |
Ans. সত্য

মধ্য সাতপুরা অংশটি গাউইলগর ও মহাদেব পাহাড় নামে পরিচিত |
Ans. সত্য

মহাকাল উচ্চভূমির নামে পূর্ব সাতপুরা অংশটি পরিচিত |
Ans. মিথ্যা
কুন্ডা বলা হয় নীলগিরির দক্ষিণ-পশ্চিম অংশকে |
Ans. সত্য

পৃথিবীর ৩৪ টি জীব বৈচিত্র তপ্ত ভূমির অন্যতম পশ্চিমঘাট ।
Ans. সত্য

নিকোবর আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ প্রায় ১২০ কিমি প্রশস্ত ১০০চ্যানেল দ্বারা বিচ্ছিন্ন
Ans. সত্য

লাক্ষাদ্বীপ 36 টি বদ্বীপ রয়েছে |
Ans. সত্য

হিমালয় থেকে উৎপন্ন নদী গুলি বরফ গলা জলে পুষ্ট হওয়ায় সারা বছর জল থাকে |
Ans. সত্য

পশ্চিমবঙ্গের ধান বলয় ও পাঞ্জাব গম বলয় ভারতের শ্রেষ্ঠ কৃষি বলয় |
Ans. সত্য

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর - Short Answers & Questions (3-4 Marks)

দুন কী ?
দুন কথার অর্থ হলাে ‘পার্বত্য অঞ্জলের উপত্যকা’। সংকীর্ণ পর্বতের মাঝে অবস্থিত নিম্নস্থানকে দুন বলা হয়। যেমন দেরাদুন।

ভাঙ্গার ও খাদার কী ?
প্রাচীন পলিমৃত্তিকা দিয়ে গঠিত উচ্চভূমিকে বলা হয় ভার। এই মৃত্তিকা কৃষিকার্যের জন্য ততটা সহায়ক নয়। খাদার বলা হয় নবীন পলিগঠিত নিম্নভূমিকে। এইপ্রকার মুক্তিকা খুবই উর্বর। উত্তরপ্রদেশ ও পাঞ্জাবে এইপ্রকার মৃত্তিকা দেখা যায়।

কাকে বাগর ও রােহি অঞ্চল বলে ?
রাজস্থানের মরু অঞ্চলের পূর্বদিকে ‘আরাবল্লি পর্বতের পাদদেশে অল্প বালুকাময় যে স্থান আছে | তাকে বাগর বলে। | এই অঞ্চলের পশ্চিমে আরাবল্লি পর্বত থেকে উদ্ভূত ছােটো ছােটো নদীর সঞ্চয়ের কার্যের ফলে সৃষ্ট প্লাবনভূমিকে রােহি বলা হয় ।

ডুয়ার্স ও তরাই কাকে বলে ?
তিস্তা নদীর পূর্বতীর থেকে শুরু করে তরাইয়ের অবশিষ্ট অংশকে বলা হয় ডুয়ার্স। পশ্চিমবঙ্গের হিমালয়ের পাদদেশীয় অঞ্চলের স্যাতস্যাতে ও অরণ্যময় সমভূমিকে তরাই বলে।

কাকে ডেকান ট্রাপ বলে ?
ভূঅভ্যন্তরের উত্তপ্ত ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠের উপরে ধীরে ধীরে সঞ্চিত হয়ে পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে ধাপে ধাপে সিড়ির মতাে নেমে গেছে। একে ডেকান ট্রাপ বলে। ডেকান শব্দের অর্থ দাক্ষিণাত্য এবং ট্রাপ শব্দের অর্থ সিঁড়ি।

ময়দান ও মালনাদ কাকে বলে?
ময়দান’ শব্দের অর্থ হলাে অনুচ্চ ভূমিভাগ। অর্থাৎ কর্নাটক মালভূমির পুর্বে মৃদু | ঢেউ খেলানাে সময়ভূমিকে বলা হয় ময়দান। “মালদ’ শব্দের অর্থ হলাে উঁচু-নীচু ভূমি। অর্থাৎ কর্নাটক মালভূমির পশ্চিমাংশে | যে উঁচু-নীচু ঢেউ খেলানাে ভূমিভাগ রয়েছে, তাকে বলা হয় মালনাদ।

কয়াল কাকে বলে ?
কেরলের মালাবার উপকূলে ভূআলােড়নের প্রভাবে ভূউত্থান ও নিমজ্জনের ফলে অসংখ্য জলাভূমি বা উপহ্রদের সৃষ্টি হয়েছে, এগুলিকে কেরলের স্থানীয় ভাষায় বলা হয় কয়াল। যেমন—ভেম্বনাদ (বৃহত্তম), অষ্টমুদি ইত্যাদি।

বরেন্দ্রভূমি কাকে বলে ?
বরেন্দ্র ভূমি তরাই ও ডুয়ার্স অঞ্চলের গঙ্গা নদীর বাম তীরের সমভূমিকে বলা হয় । অনেকে মনে করেন, সমুদ্র থেকে বিচ্ছিন্ন কোনাে অগভীর হ্রদে হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চল থেকে বয়ে আনা পলি সঞ্জয়ের ফলে এই অঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে।

কাকে বহুমুখী নদী পরিকল্পনা বলে ?
নদীতে বাঁধ নির্মাণ করেযে পরিকল্পনার সাহায্যে নদীর জলকে সমাজকল্যাণের বিভিন্ন উদ্দেশ্যে জলসেচ, যথা-বন্যা নিয়ন্ত্রণ, মৎস্য চাষ, জলবিদ্যুৎ উৎপাদন, পানীয় জলের জোগান প্রভৃতির উন্নয়নে ব্যবহার করা হয়, তাকে বহুমুখী নদী পরিকল্পনা বলে।

কেন ভারতকে মৌসুমি বায়ুর দেশ বলা হয় ?
ক্রান্তীয়-উপক্রান্তীয় অঞ্চলের অন্তর্গত এক সুবিশাল বৈচিত্র্যপূর্ণ দেশ হলো ভারত। সামগ্রিকভাবে মৌসুমি বায়ু দ্বারা ভারতবর্ষের জলবায়ু প্রভাবিত। যথা-উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দ্বারা ভারতের জলবায়ু নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। তাই ভারতকে মৌসুমি বায়ুর দেশ বলা হয়।

কোন কোন অঞ্চলে ভারতের বছরে দু’বার বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে ?
ভারতের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত করমণ্ডল উপকূলে শীতকালে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর এবং গ্রীষ্মকালে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে।

কাকে পশ্চিমি ঝঞা বলে ?
শীতকালে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল থেকে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু পশ্চিম দিক থেকে হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, কাশ্মীর, পাঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশে প্রবেশ করে বেশ কয়েকদিন প্রচুর ঝড়ঝঞা ও তুষারপাত ঘটায়, একেই পশ্চিমিঝঞ্চা বলে।

কাকে কচ্ছের রণ অঞল বলে?
“রণ’ শব্দের অর্থ জলময় দেশ। কচ্ছের রণ বলা হয় গুজরাটের কচ্ছ উপদ্বীপের উত্তর ও পূর্বের অগভীর লবণাক্ত জলাভূমিকে। কচ্ছের রণের দক্ষিণ অংশকে বলা হয় ক্ষুদ্র রণ এবং উত্তর অংশকে বলায় বৃহ রণ ।

কাকে মরুথলী বলে ?
ভারতের আরাবল্লি পর্বতের পশ্চিম দিকে অবস্থিত রাজস্থানের থর মরুভূমি অঞ্চলে প্রায় সমতল বালুকাময় অখুলকে মরুথলী যা মৃতের দেশ বলা হয়। ‘মরুস্থলি’ শব্দের অর্থ মৃতের দেশ।

কাকে মৌসুমি বিস্ফোরণ বলে ?
মে-জুন মাসে উত্তর-পশ্চিম ভারতে গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হলে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু আরব সাগর থেকে বয়ে আনা এই জলীয় বাষ্পের ফলে ঘন মেঘ বা ঝড় মুষলধারে হঠাৎ প্রচণ্ড আকারে বৃষ্টিপাত ঘটায়, একে মৌসুমি বিস্ফোরণ বলে।

কাকে আশ্বিনের ঝড় বলে ?
মকরক্রান্তীয় অঞ্চলে অক্টোবর-নভেম্বর মাসে সূর্য লম্বভাবে কিরণ দেয় বলে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। তখন প্রত্যাবর্তনকারী মৌসুমি বায়ুও দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর সংঘর্ষে ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়। যেহেতু আশ্বিন মাসে এই ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয় তাই একে আশ্বিনের ঝড় বলে।

কাকে অন্তর্বাহিনী নদী বলে ?
কোনাে নদী দেশের অভ্যন্তরের কোনাে কোনাে উচ্চভূমি, পাহাড় বা পর্বত থেকে উৎপত্তি লাভ করে যখন সেই দেশের কোনাে হ্রদ বা জলাশয়ে এসে মিলিত হয়, তখন তাকে অন্তর্বাহিনী নদী বলে। যেমন—লুনি, রূপনগত্ন নদী।

কাকে সামাজিক বনসৃজন বলে?
আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতির উদ্দেশ্যে গ্রামীণ পরিবেশের সুস্থতা, জীবজগতের ভারসাম্য রক্ষা, সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে নদীর তীরবর্তী এলাকায়, রেললাইনের ফাঁকা জমিতে, রাস্তার দু’ধারে, পতিত জমিতে বৃক্ষরােপণের উদ্যোগকে বলা হয় সামাজিক বনসৃজন।

কাকে কৃষি বনসৃজন বলে ?
কৃষক তার নিজের জমিতে ফসল উৎপাদনের পাশাপাশি কাঠ, ফলমূল, জৈব সার, ওষুধ প্রভৃতি পাওয়ার জন্য কৃষিজমির চারিদিকে অব্যবহূত বা পতিত জমিতে গাছ লাগিয়ে যে বনভূমি গড়ে তােলে তাকে, কৃষি বনসৃজন বলে।

বৃষ্টির জল সংরক্ষণ বলতে কী বােঝো?
বৃষ্টির জল সংরক্ষণ হল বাড়ির ছাদে পড়া বৃষ্টির জলকে জলাধারে সঞ্চিত করে, পুকুর ও নালা খুঁজে বৃষ্টির জল ধরে রেখে, খােলা জায়গায় গর্ত করে বৃষ্টির জল ধরে রেখে প্রত্যক্ষ বা পরােক্ষভাবে ব্যবহার করা।

আঁধি কী ?
গ্রীষ্মকালে রাজস্থানের থর মরুভূমি অঞ্চলে এপ্রিল-মে মাসে বিকালের দিকে যে প্রবল ধূলিঝড়ের সৃষ্টি হয় তাকে স্থানীয় ভাষায় অধি বলে।

কাকে আবৃষ্টি বলে ?
তামিলনাড়ু ও অন্ধপ্রদেশে গ্রীষ্মকালে স্থানীয় নিম্নচাপের প্রভাবে বিকালের দিকে যে ঝড় বৃষ্টি হয় তাকে আবৃষ্টি বলে।
কাকে মৌসুমি বৃষ্টিচ্ছেদ বলে?
বর্ষাকালে জুলাই-আগস্ট মাসে মৌসুমি বৃষ্টি একটানা না হয়ে ধাপে ধাপে হয়ে থাকে। মাঝখানে বেশ কিছুদিন বৃষ্টির বিরতি লক্ষ করা যায়, তাকে মৌসুমি বৃষ্টিচ্ছেদ বলে।

নালি ও প্রণালী ক্ষয় কাকে বলে?
বৃষ্টির জলের দ্বারা মৃত্তিকার উপরিস্তরে ক্ষয়ের ফলে সরু লম্বা নালার সৃষ্টি হলে, তাকে নালি ক্ষয় বলে। এই নালি ক্ষয়গুলি পরস্পর যুক্ত হলে তাকে প্রণালী ক্ষয় বলে।

কাকে মৃত্তিকা সংরক্ষণ বলে ?
মৃত্তিকার ক্ষয়রােধ করে ভূমির উর্বরাশক্তি পুনরায় ফিরিয়ে আনতে, জমির। কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তাকে মৃত্তিকা সংরক্ষণ বলে।

ঝুমচাষ কী ?
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অধিবাসীরা পর্বতের ঢালে বনজঙ্গাল পুড়িয়ে চাষাবাদ করে। পরবর্তীতে জমি অনুর্বর হয়ে পড়লে অন্য স্থানে একইভাবে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। একে স্থানান্তর কৃষি বা উত্তর-পূর্ব ভারতে ঝুমচাষ বলে।

শস্যাবর্তন কাকে বলে?
শস্যাবর্তন হল একই জমিতে এক বা একাধিক ফসল উৎপাদনের ফলে জমির উর্বরাশক্তি হ্রাস পায়। মৃত্তিকার গুণগত মান সঠিক রাখার জন্য বছরের বিভিন্ন সময়ে ফসলের চক্রাকারে চাষ করা হয়।

কেন নর্মদা ও তাপ্তি নদীতে ব-দ্বীপ সৃষ্টি হয়নি ?
তাপ্তি ও নর্মদা নদী গ্রস্ত উপত্যকার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় মােহনায় ঢাল খুব বেশি হওয়ায় সেখানে কোনােক্রমেই পলি সঞ্চিত হয় না। ফলে নর্মদা ও তাপ্তি নদীতে ব-দ্বীপ সৃষ্টি হয়নি।

কেন মৌসিনরাম-চেরাপঞ্জি অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টি হয় ?
বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে মৌসুমি বায়ু যাওয়ার সময় প্রচুর জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতের মেঘালয় মালভূমিতে এসে বাধাপ্রাপ্ত হয়। এর ফলে প্রবল বৃষ্টিপাত ঘটায়।

কেন মরু অঞলের মৃত্তিকা লবণাক্ত ?
মরুভূমি অঞ্চলে বাষ্পীভবনের মাত্রা অধিক কিন্তু বৃষ্টিপাতের পরিমাণ খুবই সামান্য । অধিক বাস্পীভবনের ফলে ভূঅভ্যন্তরের লবণ ক্রমাগত ভূপৃষ্ঠের উপরে উঠে এসে সঞ্চিত হওয়ায় মরু অঞ্চলের মৃত্তিকা লবণাক্ত হয়।

গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান কী?
কলকারখানা, বড়াে শহর ও নগরের আবর্জনা, কৃষিক্ষেত্র থেকে বিষাক্ত কীটনাশক, রাসায়নিক সার ধুয়ে এসে গঙ্গার জলে মিশে দূষিত করেছে। গঙ্গার দূষণ রোধ করা জন্য 1985 সালে Central Ganga Authority স্থাপন করে পর্যবেক্ষণকারী সংস্থার তত্ত্বাবধানে গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান নামের কার্যকরী পরিকল্পনাটি গৃহীত হয়।

সামাজিক বনসৃজনের উদ্দেশ্য লেখ?
i) শিল্পের প্রয়ােজনীয় কাঁচামালের সরবরাহ ii) পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা অব্যাহত রেখে। iii) পতিত জমি ভূমিক্ষয় রােধ ও পুনরুদ্ধার করা । iv) গ্রামাঞ্চলে জ্বালানি কাঠ, পশুখাদ্য প্রভৃতির জোগান বাড়ানাে।

কৃষি বনসৃজনের উদ্দেশ্য লেখ?
i) মানুষের প্রয়ােজনীয় জ্বালানির চাহিদা পূরণ করা। ii) কৃষিজমিতে খাদ্য উৎপাদনের পাশাপাশি বৃক্ষরােপণ করা iii) অব্যবহৃত ও পতিত জমিকে চাষযােগ্য করে অতিরিক্ত কর্মসংস্থান লাভ করা। iv) কৃষিজমিতে ভূমিক্ষয় রােধ করা 

ব্যাখ্যা ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর - Long Answers & Questions (5-6 Marks)

গুরুত্ব লেখাে- উত্তরের পার্বত্য অঞ্চল ।
পর্যটন শিল্প : প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ হওয়ায় হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চলে পটিন শিল্প গড়ে উঠেছে যা দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
প্রতিরক্ষা : ভারতের উত্তরে হিমালয় পর্বত প্রাচীরের মতাে দণ্ডায়মান হওয়ায় বহিঃশত্রুর হাত থেকে অনেকাংশে রক্ষা করে।
নদীর উৎসস্থল : ভারতের প্রধান প্রধান নদী যথা–গঙ্গা, সিন্ধু, ব্রহ্মপুত্র প্রভৃতি নদী হিমালয় পর্বত থেকে উৎপন্ন হওয়ায় সারাবছর জল থাকে যা পানীয় জল, সেচের কাজে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।


গুরুত্ব লেখাে- উত্তরের সমভূমি।
ঘন জনবসতি : প্রাকৃতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে এই অঞ্চল পরিপূর্ণ। হওয়ায় খুন জনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে পরিণত হয়েছে।
উন্নত কৃষিকাজ : এই সমভূমি অঞ্চলে উর্বর মৃত্তিকা, মনােরোম জলবায়ু, জলসেচের সুবিধা থাকায় ব্যাপক পরিমাণে কৃষিকাজ হয়ে থাকে, তাই এই সমভূমি অজুলকে ‘ভারতের শস্যভাণ্ডার বলা হয়।
শিল্পের বিকাশ : এই সমভূমি অঞ্চলে উন্নত পরিবহণ ব্যবস্থা, সমতল ভূপ্রকৃতি, পানীয় জলের সুবিধা, বিদ্যুতের সুবিধা, থাকায় শিল্পের দ্রুত বিকাশ ঘটেছে।


মানবজীবনে হ্রদ, জলাশয় ও খালের গুরুত্ব কী ?
i) অতিরিক্ত ঝালকে জলাশয়ে ধরে রেখে বন্যা প্রতিহত করা হয়, যা বাস্তুতন্ত্র তৈরি ও জীববৈচিত্র্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ii) হ্রদের জল সেচকাজে ব্যবহার করা হয় এবং পর্যটন ও বিনােদন ক্ষেত্র, মৎস্য ‘আহরণ ক্ষেত্র হিসেবে হ্রদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। iii) খালের অলিকে সেচের কাজে ব্যবহার করা হয়, খালের মাধ্যমে কৃষিজাত ও শিল্পজাত পণ্য পরিবহণ করা হয়। খালে মাছ চাষ করে অনেকে জীবিকা নির্বাহ করে।

 


কেন দক্ষিণ ভারতের বেশিরভাগ নদী পূর্ববাহিনী কিন্তু নর্মদা ও তাপ্তি পশ্চিমবাহিনী ?
টার্সিয়ারি যুগে হিমালয়ের উত্থানকালে উপদ্বীপীয় মালভূমি পূর্বদিকে হেলে পড়ায় ভূমির ঢাল অনুযায়ী নদীগুলি পূর্বদিকে বেঁকে প্রবাহিত হয়। ঠিক ওইসময় ভারতের মাঝ গ্ৰস্ত উপত্যকার সৃষ্টি হয় যাদের ঢাল মূলত পশ্চিম দিকে। ওই গ্রস্ত উপত্যকার এ দিয়ে প্রধানত নর্মদা ও তাপ্তি নদী পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়েছে।


রাজস্থানে মরুভূমি সৃষ্টির কারণ কী?
জলীয় বাষ্পের অভাব : দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু গুজরাট উপকূলে বৃষ্টিপাত ঘটানাের পর সামনে দিকে এগিয়ে গেলে প্রায় বাম্পহীন হয়ে পড়ে, ফলে মরুভূমি সৃষ্টি হয়েছে।
আরাবল্লির প্রতিকূল অবস্থান : আরাবল্লি পর্বত দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর গতিপথের সঙ্গে সমান্তরালভাবে অবস্থান করায় বায়ু বাধা না পেয়ে সােজা সামনের | দিকে এগিয়ে যায়, ফলে বৃষ্টিপাত ঘটায় না।


সংক্ষেপে পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় কৃষিউন্নতির তিনটি কারণ আলােচনা করাে।
পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় কৃষির উন্নতির তিনটি কারণ হলাে—
উর্বর মৃত্তিকা ও সমতল ভূপ্রকৃতি : এই দুই রাজ্যের মৃত্তিকা উর্বর দোআঁশ | প্রকৃতির এবং ভূপ্রকৃতি প্রায় সমতল প্রকৃতির হওয়ায় কৃষিতে তা অত্যন্ত উপযােগী।
জলবায়ু : পাঞ্জাব ও হরিয়ানা রাজ্যে বাৎসরিক গড় উন্নতা 15°-25° | সেন্টিগ্রেড হওয়ায় ধান, গম, কার্পাস ইত্যাদি চাষের পক্ষে তা অত্যন্ত উপযােগী।
উন্নত সার ও বীজ : উন্নতমানের সার ও বীজের ব্যবহার হওয়ায় এই দুই | রাজ্যে হেক্টর প্রতি ফসল উৎপাদনের পরিমাণ সর্বাধিক।


ভারতের নগরায়ণের তিনটি সমস্যা সংক্ষেপে লেখাে।
বসতির সমস্যা : জনসংখ্যা দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় শহরে বা নগরে বসতি স্থাপনে সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
অপরিকল্পিত নগরায়ণ : ভারতের শহর বানগরগুলি প্রথম থেকেই অনিয়ন্ত্রিত ও অপরিকল্পিত হওয়ায় নগরে যানজট, আবাসন, শিক্ষা-স্বাস্থ্য, বিদ্যুতের সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মানুষের শহর বা নগরমুখী প্রবণতা : বিভিন্ন সুযােগসুবিধার লক্ষ্যে, যথা সুখস্বাচ্ছন্দ্য, বিনােদন প্রভৃতির আকাঙ্ক্ষায় মানুষ শহর বা নগরমুখী হওয়ায় দ্রুত হারে সমস্যা বাড়ছে।


ভারতের অরণ্য সংরক্ষণের তিনটি প্রধান উপায় সংক্ষেপে লেখাে।
বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি : বিকল্প জ্বালানি এবং অরণ্য সংলগ্ন মানুষদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলে অরণ্য বিনাশ রােধ করা সম্ভব।
অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃক্ষদেন রােধ : যথেচ্ছভাবে বৃক্ষদেন না করে প্রয়ােজনীয় ও বয়স্ক গাছ চিহ্নিত করে ছেদন করলে এবং তার পরিবর্তে সেখানে নতুন | গাছ লাগিয়ে বৃক্ষের ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব।
পশুচারণ নিয়ন্ত্রণ : পৃথকভাবে তৃণভূমি তৈরি করে বনাঞ্চলে পশুচারণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব ফলে অরণ্য অনেকাংশে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাবে।

সংক্ষেপে ভারতের জনজীবনে মৌসুমি বায়ুর প্রভাব লেখো। বহুমুখী নদী পরিকল্পনা সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করাে।
খাদ্যাভ্যাসে প্রভাব : মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি। ফলে এখানে ধান উৎপাদন বেশি হয় এবং এখানকার বাসিন্দাদের প্রধান খাদ্য ভাত। অন্যদিকে, উত্তর-পশ্চিম ভারতে বৃষ্টিপাত কম হয় বলে। সেখানে গমের ফলন বেশি এবং বাসিন্দাদের প্রধান খাদ্য রুটি।
মৌসুমি বায়ুর প্রভাব : ভারতের জনজীবন মৌসুমি বায়ুর দ্বারা প্রভাবিত হয়। এর প্রভাবগুলি হলাে—কৃষিতে প্রভাব তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাতের তারতম্য অনুযায়ী ভারতে নানা প্রকার কৃষিপদ্ধতি চালু রয়েছে। এগুলি হলাে আকৃষি, শুষ্ক কৃষি, সেচন কৃষি।
বনভূমিতে প্রভাব : বৃষ্টিপাতের তারতম্য অনুযায়ী স্বাভাবিক উদ্ভিদ স্থানভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে। ফলে মৌসুমি বায়ুর প্রভাব পড়েছে পশুপালন ও কাঠশিল্পেও।
শিল্পে প্রভাব : মৌসুমি বায়ু ও বৃষ্টিপাতের তারতম্যের জন্য সারাদেশে একই কুষিজাত শিল্পের প্রসার ঘটেনি। পূর্ব ভারতে বৃষ্টিপাত অধিক বলে পাটশিল্প, পশ্চিম ভারতে মাঝারি বৃষ্টিপাতের কারণে কপার্স শিল্প এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে চা শিল্পের প্রসার ঘটেছে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের জন্য।
বহুমুখী নদী পরিকল্পনা :
সংজ্ঞা : কোনাে নদীতে বাঁধ দিয়ে একইসঙ্গে একাধিক পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করলে তাকে বহুমুখী নদীউপত্যকা পরিকল্পনা বলা হয়।
উদ্দেশ্য :
i) বিদ্যৎ উৎপাদন : জলাধারে প্রবহমাণ জলে টারবাইনের চাকা ঘুরিয়ে সহজেই জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়।
ii) বন্যা নিয়ন্ত্রণ ; নদীবাঁধ বন্যা নিয়ন্ত্রণে খুবই সহায়তা করে।
iii) নদীর নাব্যতা বজায় রাখা : বাঁধ তৈরি হওয়ায় সারাবছর ধরে নদীতে জল সরবরাহ বজায় রাখা থাকে।
iv) ডলসেচ : জল ধরে রেখে শুখা মরসুমে জলসেচ করে চাষাবাদ করা যায়।


পূর্ব হিমালয়ের ভূপ্রকৃতির সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
এই পর্বতশ্রেণি পশ্চিমে সিঙ্গালিলা পর্বতশ্রেণি থেকে অরুণাচল প্রদেশের মবারােয়া পর্যন্ত বিস্তৃত। ভূপ্রকৃতির তারতম্য অনুযায়ী একে চারটি ভাগে ভাগ করা মায়। যথা—
অরুণাচল হিমালয় : অসমের অধিকাংশ অঞল ও সমগ্র অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে এই হিমালয় অবস্থিত। এখানে বেশ কয়েকটি গিরিপথ অবস্থিত। যেমন—জেলেপল, বুমলা, লংলা প্রভৃতি। কাংটো (৭০৬০ মি.) অরুণাচলের উচ্চতম শৃঙ্গ।
দাজিলিং ও সিকিম হিমালয় : নেপালের পূর্বে সিঙ্গালিলা থেকে পশ্চিমে। ডাকিয়াল পর্যন্ত বিস্তৃত। ভারত ও নেপাল সীমান্তে রয়েছে সিঙ্গালিলা শৈলশিরা। এখানে অনেকগুলাে পর্বতশৃঙ্গ লক্ষ করা যায়। যথা—সান্দাকফু (৩৬৩০ মি.), কাঞ্চনজঙ্ঘা (৮৫৯৮ মি.) ইত্যাদি।
ভূটান হিমালয় : বিহির্দেশে অবস্থিত হওয়ায় আলােচ্য বিষয় নয়।]


গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান কী? জল সংরক্ষণের গুরুত্ব ও পদ্ধতি সংক্ষেপে লেখাে।
পুণ্যতােয়া গঙ্গা নদী বর্তমানে ব্যাপক দূষণের শিকার। গাঙ্গেয় অববাহিকায় সমীক্ষা করে গঙ্গাদূষণ রােধের জন্য ‘গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান” গঠিত হয়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্য – সরকারের অধীনে ১৯৮৫ সালে ‘সেন্ট্রাল গা অথরিটি’ নামে একটি পর্যবেক্ষণকারী – সংস্থার তত্ত্বাবধানে ‘গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান’ নামের কার্যকরী পরিকল্পনাটি গৃহীত হয়। – এই পরিকল্পনায় প্রথম পর্যায়ে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও উত্তরপ্রদেশের ২৭টি প্রথম শ্রেণির শহরকে গঙ্গাদূষণের জন্য দায়ী করা হয়েছে। কলকাতা, পটিনা, বারাণসী, কানপুর ও এলাহাবাদের মতাে শহরগুলি গঙ্গাদূষণের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী। উল্লিখিত শহরগুলিতে পরিকল্পনা অনুযায়ী নিকাশি ব্যবস্থা চালু ও জনসচেতনতা বাড়ানাে সম্ভব হলে গঙ্গাদূষণ কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বড়াে বড়াে শহরের গৃহস্থালির নােংরা-আবর্জনা, কারখানার বর্জ্য – পদার্থ ইত্যাদি গঙ্গাজলকে ক্রমাগত দূষিত করছে। এছাড়া গঙ্গাজলের অপব্যবহারও ব্যাপকহারে চলছে। সবমিলিয়ে গঙ্গানদী বর্তমানে ভারতের সবচেয়ে দূষিত নদী।
জল সংরক্ষণের গুরুত্ব ও পদ্ধতি:
গুরুত্ব : 0 পানীয় জলের চাহিদা বজায় রাখা। ও কৃষিজমিতে জলের চাহিদা পূরণ করা। © শিয় ও বিভিন্ন বাণিজ্য ক্ষেত্রে জলের জোগান বজায় রাখা।
পদ্ধতি : জলসম্পদের সংরক্ষণ অত্যন্ত জরুরি। নীচে জল সংরক্ষণের পদ্ধতিগুলি আলােচিত হলাে :
জলের অপচয় না করা : রােজকার জীবনে নানা কাজে প্রয়ােজন অনুযায়ী জলের ব্যবহার করা উচিত। অযথা জলের অপচয় না করলে যেকোনাে স্থানে অল সংরক্ষণ করা যায়।
জলসেচের সুষ্ঠু ব্যবহার : জল সংরক্ষণে বিন্দু বিন্দু পদ্ধতি ও স্প্রিংকেল পদ্ধতিতে জলসেচ করলে ৩০ শতাংশ জল বাঁচানাে সম্ভব।
বৃষ্টির জল ধরে রাখা : পাহাড় বা সমতলে চাহিদা অনুযায়ী জলাধার বা | ভূগর্ভস্থ জলাধার নির্মাণ করে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ ও প্রয়ােজনে ব্যবহার করা যায়।
ভূগর্ভস্থ জল সংরক্ষণ : বিশেষ প্রয়ােজন ছাড়া অধিক পরিমাণে ভূগর্ভস্থ জল পাম্প, কুপ বা নলকূপের সাহায্যে তুলে আনা উচিত নয়। এভাবে ভূগর্ভস্থ জলের অপব্যবহার কমানাে বা সেই ব্যবহার হ্রাস করেও জ্বল সংরক্ষণ করা যায়।


হিমালয়ের ভূপ্রকৃতির প্রস্থ বরাবর সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
Ans. উচ্চতা অনুসারে হিমালয় পর্বতকে উত্তর থেকে দক্ষিণে অর্থাৎ প্রথ বরাবর চারটি ভাগে ভাগ করা যায় । যথা –

হিমাদ্রি বা হিমগিরি বা উচ্চ হিমালয় : আজ থেকে বহু কোটি বছর পূর্বে টেথিস | সাগরে সঞ্চিত পলি ভাজ খেয়ে উপরে উঠে বর্তমানে হিমাদ্রি হিমালয় রূপে অবস্থান করছে। এর দৈর্ঘ্য 2400 কিমি, প্রস্থ গড়ে প্রায় 25 কিমি এবং উচ্চতা গড়ে প্রায় 6100 মিটার এখানকার উল্লেখযােগ্য পর্বতশৃঙ্গগুলি হলাে মাউন্ট এভারেস্ট, কাঞ্চনজঙ্খ ইত্যাদি। এখানকার উল্লেখযােগ্য গিরিপথগুলি হলাে নাথুলা, জোজিলা, বুঞ্জিলা ইত্যাদি।

টেথিস বা ট্রান্স হিমালয়: আজ থেকে প্রায় 7-12 কোটি বছর পূর্বে প্রবল ভূআলােড়নের ফলে উপদ্বীপীয় ও ইউরােপীয় পাত পরস্পরের দিকে অগ্রসর হওয়ার মহিখাতে সঞ্চিত হওয়া পলি ভঁজ খেয়ে এই হিমালয়ের উৎপত্তি হয়েছে। ভারতে এর দৈর্ঘ্য 1000 কিমি, প্রস্থ 40225 কিমি এবং উচ্চতা 3000 মিটার। জাস্কর পর্বতশ্রেণি এই অংশ দিয়ে বিস্তৃত হয়েছে। এর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হলাে লিওপারগেল (7420 মি.)।

শিবালিক হিমালয় : ভূআন্দোলন ও টেথিস সাগরের পলি ভঁজ খেয়ে হিমালয় পর্বতমালার দক্ষিণে শিবালিক হিমালয়ের সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রস্থ 10-15 কিমি এবং এর গড় উচ্চতা 600-1200 মিটার। শিবালিক ও হিমাচল হিমালয়ের মাঝে অবস্থিত উপত্যকাগুলিকে স্থানীয় ভাষায় দুন বলা হয়। যেমন—দেরাদুন, পাটলি দুন ইত্যাদি।

হিমাচল হিমালয় বা মধ্য হিমালয় : লাচ্ছাকের দক্ষিণে অবস্থিত উত্তরে হিমাদ্রি ও দক্ষিণে শিবালিক পর্বতের মধ্যবর্তী অংশগুলােকে বলা হয় হিমাচল হিমালয়। এর প্রস্থ গড়ে 60-80 কিমি, উচ্চতা গড়ে 3500-4500 মি.। এর প্রধান পর্বতগুলি হলাে | পিরপাঞ্জাল, ধওলাধর, নাগটিক্কা এবং কয়েকটি প্রধান উপত্যকা হলাে কুলু, কাংড়া, কাশ্মীর প্রভৃতি।

 

দৈর্ঘ্য বরাবর হিমালয়ের ভূপ্রকৃতির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
Ans. হিমালয় পর্বতমালাকে পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায় যথা-

পূর্ব হিমালয় : এই পর্বতশ্রেণি পশ্চিমে সিলিলা থেকে অরুণাচল প্রদেশের নামচাবারােয়া পর্যন্ত বিস্তৃত। ভূপ্রকৃতির তারতম্য অনুযায়ী একে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা –

অরুণাচল হিমালয় : অসমের অধিকাংশ অঞ্চল ও সমগ্র অরুণাচল প্রদেশ নয়ে এই হিমালয় অবস্থিত। এখানকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হলাে নামচাবারওয়া (7756মি.)। এখানে বেশ কয়েকটি গিরিপথ লক্ষ করা যায়। যথা—জেলেপলা, বুমলা, প্রভৃতি।

দার্জিলিং ও সিকিম হিমালয় : নেপালের পূর্বে সিঙ্গালিলা থেকে পশ্চিমে কাল পর্যন্ত বিস্তৃত। পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং কালিমপং জেলা ও সিকিম রাজ্য এই লয়ের অন্তর্গত। এখানকার উল্লেখযােগ্য শৃঙ্গগুলি হলাে কাঞ্চনজঙ্ (8598 মি.), সান্দাকফু (3630 মি.) ইত্যাদি।

ভুটান হিমালয় : বহির্দেশে অবস্থান করায় আলােচ্য বিষয় নয়।


মধ্য হিমালয় : মধ্য হিমালয় সমগ্র নেপাল দেশটির অন্তর্ভুক্ত। মাউন্ট এভারেস্ট (8848 মি.), মাকালু, ধবলগিরি, অন্নপূর্ণা প্রভৃতি শৃঙ্গ এখানে অবস্থিত। সুতরাং এই হিমালয় ভারতের অন্তর্ভুক্ত নয়।

পশ্চিম হিমালয় : জম্মু ও কাশ্মীরের নাঙ্গা পর্বত থেকে নেপাল সীমান্তের কালী নদী পর্যন্ত এই পর্বত বিস্তৃত। পশ্চিম ||সিন্দু নং হিমালয়কে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা –

কুমায়ুন হিমাল্যা : উত্তরাখণ্ড রাজ্যের প্রায় 46 হাজার বর্গ কিমি এলাকা। জুড়ে এই হিমালয়ের বিস্তার। এখানকার উল্লেখযােগ্য পর্বতশৃঙ্গা হলাে নন্দাদেবী (7817 মি.), কামেট (7756 মি.) ইত্যাদি।
কাশ্মীর হিমালয় : জম্মু ও কাশ্মীর জুড়ে এই হিমালয় বিস্তৃত। পিরপাশ্যাল ও কারাকোরাম পর্বতের মাঝে কাশ্মীর উপত্যকা অবস্থিত।

পাঞ্জাব ও হিমাচল হিমালয় : পাব ও হিমাচল প্রদেশের প্রায় 56 হাজার বর্গ কিমি স্থান জুড়ে এই হিমালয়ের বিস্তার।

 

ভারতের মৃত্তিকার শ্রেণিবিভাগ করে তাদের বৈশিষ্ট্যের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

উৎপত্তি, বৈশিষ্ট্য ও জলবায়ুর তারতম্যের বিচারে ভারতের মৃত্তিকাকে প্রধানত ছয় ভাগে ভাগ করা যায়। যথা –

পার্বত্য মৃত্তিকা : এই মৃত্তিকা পর্বতের পাদদেশীয় অঞ্চলে উদ্ভিদের ডালপালা পচে গিয়ে হিউমাস সমৃদ্ধ হয়ে সৃষ্টি হয়েছে।
বৈশিষ্ট্য :
i) এই মৃত্তিকা অনুর্বর প্রকৃতির হওয়ায় কৃষিকাজ তেমন হয় না।
ii) এই মৃত্তিকায় বালি ও কর্দমের পরিমাণ বেশি।
iii) এই মৃত্তিকার রং ধূসর, ছাই, কালাে ধরনের।

পাললিক মৃত্তিকা: পশ্চিম ও পূর্বঘাট, দাক্ষিণাত্য, পর্বতের নদী বা ক্ষয়িত বালি, পলি, কাদা সঞ্চিত হয়ে এবং উপকূলের সমুদ্রতরঙ্গের দ্বারা সঞ্চিত বালি, পলি, কাদা প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে পাললিক মৃত্তিকা সৃষ্টি হয়েছে।
বৈশিষ্ট্য :
i) মৃত্তিকা সুগভীর হয়।
ii) এই মৃত্তিকা সূক্ষ্ম পলি ও খনিজ কণার সমন্বয়ে গঠিত।
iii) মৃত্তিকার স্তরগুলি খুব সুস্পষ্ট।
iv) এই মৃত্তিকার জলধারণ ক্ষমতা বেশি |

লােহিত মৃত্তিকা: এই মৃত্তিকা অধিক উয়তা ও আদ্রর্তাজনিত কারণে আগ্নেয় ও রূপান্তরিত শিলা থেকে গভীর আবহবিকারের মাধ্যমে উস্থপত্তি হয়েছে।
বৈশিষ্ট্য :
i) এই মৃত্তিকা ম্যাঙ্গানিজ অক্সাইড, কোয়ার্টজ জাতীয় খনিজ সমৃদ্ধ।
ii) এই মৃত্তিকার রং লাল বাদামি বা হালকা বাদামি হয়।
iii) এই মৃত্তিকা আম্লিক প্রকৃতির।
ল্যাটেরাইট মৃত্তিকা : এই মৃত্তিকা প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে সিলিকা ও সেসকুই অক্সাইড অপসারিত হয়ে লােহা, অ্যালুমিনিয়াম ও হাইড্রোক্সাইড পড়ে থেকে সৃষ্টি হয়েছে।
বৈশিষ্ট্য :
i) এর pH মান 5.5 -এর কম।
ii) এই মৃত্তিকায় লােহা, বক্সাইড, ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি খনিজ থাকে।
iii) এই মৃত্তিকা ‘আম্লিক প্রকৃতির।
iv) এই মৃত্তিকার রং লাল বাদামি বা হালকা বাদামি।
মরু মন্তিকা : ভারতের শুষ্ক ও মরু অঞ্চলের বালুকাময় মৃত্তিকা মরু মৃত্তিকা নামে পরিচিত। ভারতের মােট ক্ষেত্রফলের 4% ‘অঞ্চল জুড়ে এই মৃত্তিকা দেখা যায়।
বৈশিষ্ট্য :
i) pH -এর মান 7.6 – 9.2।
ii) এই মৃত্তিকার রং ধূসর বাদামি, হালকা হলুদ প্রকৃতির হয়।
iii) এই মৃত্তিকা অনুর্বর প্রকৃতির
iv) এই মৃত্তিকা বালুকণাযুক্ত হওয়ায় এর ধারণ ক্ষমতা কম।
কৃষ্ণ মৃত্তিকা : এই মৃত্তিকা স্বল্প বৃষ্টিপাতের প্রভাবে, উচ্চ উন্নতায় অগ্ন্যুৎপাতের ফলে। ব্যাসল্ট জাতীয় আগ্নেয় শিলা দ্বারা গঠিত হয়েছে।
বৈশিষ্ট :
i) এই মৃঞ্জিকা সুক্ষ্ম কণাযুক্ত।
ii) এই মৃত্তিকার জলধারণ ক্ষমতা বেশি।
iii) এই মৃত্তিকা খুবই উর্বর।
iv) এই মৃত্রিকার রং কালাে।

 


ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদের শ্রেণিবিভাগ করে তাদের বৈশিষ্ট্যের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

ভারতের বিভিন্ন অংশের জলবায়ু ভূপ্রকৃতি ও মৃত্তিকার তারতম্যের ভিত্তিতে স্বাভাবিক উদ্ভিদকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়। যথা –

ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ : পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য। ভারতের সমুদ্র উপকূলভাগে লবণাক্ত মৃত্তিকায় এই জাতীয় উদ্ভিদ জন্মায়। এ জাতীয় উদ্ভিদ দেখা যায়।
বৈশিষ্ট্য :
i) এই জাতীয় উদ্ভিদ চির হরিং প্রকৃতির
ii) এই জাতীয় উদ্ভিদের শাখামূল মাটির উপরে বেরিয়ে আসে।
iii) সুন্দরি গরান, গেওয়া, হেতাল, হােগলা, গােলপাতা ইত্যাদি।
ক্রান্তীয় চিরহরিৎ উদ্ভিদ : এই অরণ্য ভারতের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপু, পশ্চিমঘাট ও পূর্বঘাট পর্বতমালা, অরুণাচল প্রদেশ, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও ঝাড়খণ্ডের বৃহৎ অঞ্চল জুড়ে গড়ে উঠেছে।
বৈশিষ্ট্য :
i) শাল, সেগুন, পলাশ, অর্জুন, চন্দন, বাঁশ প্রভৃতি উদ্ভিদ জন্মায়।
ii) গাছগুলির উচ্চতা খুব বেশি, কাণ্ডগুলি শক্ত প্রকৃতির।
iii) এই অরণ্যের বৃক্ষগুলির পাতা একসঙ্গে না ঝরায় চিরসবুজ প্রকৃতির হয়।

ক্রান্তীয় মরু উদ্ভিদ : এই অরণ্যের প্রচণ্ড উয়তা যুক্ত যেখানে বার্ষিক বৃষ্টিপাত 25 সেমির কম, উয়তা 35-45° সেলসিয়াস. যুক্ত অঞলে সৃষ্টি হয়েছে।
বৈশিষ্ট্য :
i) এই জাতীয় উক্তিমীয় উদ্ভিদের মূল মাটির অনেক গভীরে প্রবেশ করে |
ii) ক্রান্তীয় মরু উদ্ভিদগুলি কঁটাযুক্ত ঝােপঝাড় ও গুল্ম জাতীয় হয়
iii) ফণীমনসা, ক্যাকটাস, বাবলা, কাটাজাতীয় উদ্ভিদ প্রভৃতি জন্মায়।

পার্বত্য উদ্ভিদ : সাধারণত ভারতের উত্তরে অবস্থিত হিমালয় পর্বতমালায় উচ্চতা ও বৃষ্টিপাতের তারতম্যে বৈচিত্র্যপূর্ণ উদ্ভিদ জন্মায়।।
বৈশিষ্ট্য :
i) এই জাতীয় উদ্ভিদের কাঠ খুব শক্ত ও ভারী
ii) সরলবর্গীয় উদ্ভিদের কাঠ নরম প্রকৃতির এবং পাতাগুলি সূচালাে প্রকৃতির হয়।
iii) পাইন, ফার, পুস, ম্যাপল, বার্চ, শাল, সেগুন, মেহগনি ইত্যাদি।

ক্রান্তীয় পর্ণমােচী উদ্ভিদ : এই অরণ্যের বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত 100-200 সেমি এবং 20-30 সে. যুক্ত অলে সৃষ্টি হয়েছে। অসমের সমভূমি, ছােটোনাগপুর মালভূমি, পশ্চিমবঙ্গের সমভূমি ওড়িশা, অন্ধপ্রদেশ, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র প্রভৃতি অঞ্চলে | ক্রান্তীয় আর্দ্র ও শুষ্ক পর্ণমােচী অরণ্য লক্ষ করা যায়।
বৈশিষ্ট্য :
i) শিমুল, বট, নিম, পলাশ, কুল ইত্যাদি।
ii) আর্দ্র পর্ণমােচী বৃক্ষগুলি শাখাপ্রশাখাযুক্ত, উচ্চতা মাঝারি ধরনের, উদ্ভিদের ঘনত্বও কম |
iii) শীতকালে অধিকাংশ উদ্ভিদের পাতা ঝরে যায় |

 

 

 

 

 


ভারতের পূর্ব উপকূল ও পশ্চিম উপকূলের সমভূমির মধ্যে তুলনা করো |

বিষয়
পূর্ব উপকূল
পশ্চিম উপকূল
ভূমিরূপ
এই উপকূলের সর্বত্রই বালিয়াড়ি সৃষ্টি হয়েছে, উপহ্রদ এর সংখ্যা কম |
এই উপকূলে বালিয়াড়ি সংখ্যা কম, উপহ্রদ লক্ষ করা যায়
ঢাল
এই উপকূল মৃদু ঢাল যুক্ত
এই উপকূল বেশ খাড়া
বিস্তার
উপকূল সুপ্রশস্ত, গড়ে 80 – 120 km চওড়া |
উপকূল সংকীর্ণ, গড়ে 10 – 65 km চওড়া
বদ্বীপ
এই উপকূলে বেশ কয়েকটি বদ্বীপ লক্ষ্য করা যায়
এই উপকূলে বদ্বীপ গড়ে ওঠেনি
ভগ্নতা
এই উপকূলে প্রবণতা কম, কৃত্রিম পোতাশ্রয় যুক্ত
এই উপকূল খুব ভগ্ন, স্বাভাবিক পোতাশ্রয় যুক্ত
উৎপত্তি
ভূ আলোড়ন জনিতউত্থান এবং সমুদ্র তরঙ্গের সঞ্চয় এর ফলে সৃষ্টি হয়েছে
ভূ আলোড়ন এর প্রভাবে আরব সাগরের তীর ভূমি বসে গিয়ে এবং সমুদ্র তরঙ্গের সঞ্চয় এর ফলে সৃষ্টি হয়েছে


দক্ষিণ ভারতের নদী ও উত্তর ভারতের নদীর মধ্যে তুলনা কর |

বিষয়
দক্ষিণ ভারতের নদী
উত্তর ভারতের নদী
দৈর্ঘ্য
এই নদী গুলির দৈর্ঘ্য কম
এই নদী গুলির দৈর্ঘ্য বেশি
আদর্শ নদী
তিনটি গতিপথ অস্পষ্ট হওয়ায় নদীগুলি আদর্শ নয়
তিনটি গতিপথ তথা উচ্চ-মধ্য নিম্ন স্পষ্ট হওয়ায় এইগুলি আদর্শ নদী
জলপ্রপাত
অধিকাংশ বৃষ্টির জলে পুষ্ট হওয়ায় অনিত্যবহ
অধিকাংশ নদী বরফ গলা জলে পুষ্ট হওয়ায় নদীগুলি নিত্যবহ
বয়স
দক্ষিণ ভারতের নদীগুলি অপেক্ষাকৃত প্রাচীন
উত্তর ভারতের নদী গুলি অপেক্ষাকৃত নবীন
প্রকৃতি
ভূমির প্রাথমিকঢাল অনুসারে প্রবাহিত হচ্ছে তাই এরা অনুগামী নদী |
হিমালয়ের উত্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পূর্বের প্রবাহপথ বজায় রেখে প্রবাহিত হয় | তাই এরা পূর্ববর্তী নদী |
জলবিদ্যুৎ উৎপাদন
খরস্রোতা হওয়ায় জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা সহজ হয় |
কেবলমাত্র পার্বত্য অঞ্চলের জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় |
বদ্বীপ
সব নদীর মোহনায় বদ্বীপ গড়ে ওঠেনি |
নদীর মোহনায় বদ্বীপ গড়ে উঠেছে |

 

 

অতিরিক্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন

  • all replace

WEST BENGAL BOARD Related Links

error: Content is protected !!
Scroll to Top
×

এই ওয়েবসাইটের সব কনটেন্ট এক্সেস করুন শুধু একটা মেম্বারশীপের সাথে।  আজকেই ক্লিক করুন নিচে রেজিস্টার করার জন্যে।  অসুবিধে হলে হোয়াটস্যাপ করুন আমাদের  +919804282819