ধীবর বৃত্তান্ত- (Dhibor Brittanto) Bangla Literature Subject WBBSE Class 9

আপনি এখানে শিখবেন এই অধ্যায়ে এবং বিষয়ের ফাউন্ডেশন অংশটা, এই বিষয়টিকে সহজ-সরলভাবে পড়িয়েছেন বিশেষজ্ঞ শিক্ষক ভিডিও লেকচার এর মাধ্যমে এবং এই পুরো অধ্যায়কে চার ভাগে খন্ডিত করে আপনার জন্য তৈরি করা হয়েছে

  • প্রথম খন্ডে আপনি শিখবেন ফাউন্ডেশন অংশটা যেখানে অধ্যায়ের ব্যাপারে আপনাকে বোঝানো হয়েছে তার মানে definitions,basics  গুলো সহজভাবে.  এবং এটাকে আপনি বুঝতে পারবেন যেটা আপনাকে পরীক্ষার জন্য ক্রীপের করতে সাহায্য করবে
  • দ্বিতীয় মডিউলে আপনি শিখবেন MCQ মাল্টিপল চয়েস কোশ্চেন যেটা সাধারণত এক Marks’er আসে পরীক্ষায়
  • তৃতীয় মডিউলে আপনি শিখবেন শর্ট অ্যানসার এবং কোয়েশ্চেন, যেটা আপনার পরীক্ষার সাজেশন মধ্যে পড়ে এবং এটা 3-4 marks’er  প্রশ্ন আসে আপনার পরীক্ষা
  • চতুর্থ মডিউল আপনি শিখবেন লং আনসার এবং questions যেটা সাধারণত 5-6 marks er হয়

আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন যাতে কি আপনাকে আমরা সাহায্য করতে পারি

বিষয়সংক্ষেপ

রাজশ্যালক এবং রক্ষীরা একজন ধীবরকে আটক করেছিল কারণ সে রাজার নাম লেখা একটি আংটি সঙ্গে রেখেছিল। ধীবরকে চোর সন্দেহে রক্ষীরা ধীবরের জীবিকা নিয়ে উপহাস করে এবং সে চুরি করেনি বলে জোর দেওয়ার পরেও তাকে উত্যক্ত করতে থাকে। ধীবর তীব্র আপত্তি তোলে। তিনি দাবি করেন, রুই মাছ কাটার সময় তার পেটের ভিতর থেকে সে আংটিটি পেয়েছে। আংটি বিক্রি করতে গিয়ে ধীবরকে আটক করা হয়। রাজশ্যালক অবিলম্বে ঘটনাটি রাজাকে জানান। রক্ষীরা ধীবরকে শাস্তি দিতে অধৈর্য্য হয়ে পরে। রাজশ্যালক পরে খবর দেয়, ধীবরের বয়ান সত্য ছিল, তাই রাজাদের অনুযায়ী সে তাকে ছেড়ে দিতে বলে। এছাড়াও, মহারাজ তাকে আংটির জন্য সমপরিমাণ অর্থ পুরস্কার দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন। আংটির খবর রাজাকে হতবাক করেছিল, সেকথা রাজশ্যালক জানান। এবং তিনি ধীবরকে তাদের বন্ধুদের বৃত্তে স্বাগত জানান।

নামকরণ 

সাহিত্যের নামকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেকোনো সাহিত্যের শিরোনামেই তার মূল আভাস খুঁজে পাওয়া যায়। আর সেই শিরোনাম কখনো চরিত্রকেন্দ্রিক কখনো ঘটনাকেন্দ্রিক আবার কখনো বা ব্যঞ্জনাধর্মী হয়ে থাকে। ঠিক তেমনই কবিতার নামের মধ্যেই কবিতার মূলভাব বা ব্যঞ্জনার আভাস থাকে। 

কবিতাটি আবর্তিত হয়েছে ধীবর চরিত্রকে কেন্দ্র করে। শকুন্তলাকে রাজা দুষ্মন্তের ভুলে যাওয়া, ঋষি দুর্বাসার অভিশাপ, শকুন্তলাকে দেওয়া আংটি দেখে দুষ্মন্তের সব মনে পড়ে যাওয়া- এই প্রত্যেকটি কাহিনীর মধ্যে ধীবর চরিত্রটির অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। 

রাজা দুষ্মন্তের স্মারকচিহ্ন হিসেবে শুধুমাত্র আংটিটি ছিল, যা দেখিয়ে শকুন্তলা নিজের পরিচয় দিতে পারতো । কিন্তু সতীর্থের ঘাটে স্নান সেরে অঞ্জলি দেওয়ার সময় শকুন্তলার হাতের এই আংটিটি জলে পড়ে যায়। আর এখানেই ধীবর চরিত্রের দেখা মেলে। ধীবর একটি রুই মাছ ধরে এবং সেই রুইমাছ কাটতে গিয়ে মাছের পেটে সেই আংটি পায়। ধীবর সেই আংটিটি বিক্রি করতে গেলে রাজার শ্যালক এবং রক্ষীদের হাতে ধরা পড়ে। সত্যি কথা শোনা সত্ত্বেও সবাই তাকে চোর ভাবে এমনকি তাকে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করে। তাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য রক্ষীরা উদগ্রীব হয়ে ওঠে। কিন্তু রাজা যখন জানান যে, ধীবর সত্যি কথা বলছে সেক্ষেত্রে তার কোনোরকম শাস্তি হয় না বরঞ্চ আংটিটি দেখে রাজার শকুন্তলার কথা মনে পড়ে যাওয়ায় তিনি সেই আংটির মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ পুরস্কার হিসেবে ধীবরকে দেন।  এই ভাবেই ধীবরের দ্বারাই শকুন্তলা ও দুষ্মন্তের দীর্ঘ অপেক্ষার শেষ হয়েছে। তাই  নাট্যাংশে দুষ্মন্ত-শকুন্তলা অপেক্ষা ধীবর গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এটি ধীবরের কাহিনী। তাই সব দিক বিচার করে কাহিনীর নামকরণ ‘ধীবর-বৃত্তান্ত’ অত্যন্ত যথোপযুক্ত ও সার্থক হয়েছে।

SOLVED QUESTIONS & ANSWERS of ধীবর বৃত্তান্ত (DHIBOR BRITTANTO)

1 MARKS QUESTIONS of ধীবর বৃত্তান্ত (DHIBOR BRITTANTO)

  1. মহর্ষি কণ্বের অনুপস্থিতিতে দুষ্মন্ত কী করেছিলেন? 

উত্তর:) মহর্ষি কণ্বের অনুপস্থিতিতে দুষ্মন্ত শকুন্তলাকে বিয়ে করেছিলেন এবং তাকে রেখে রাজধানীতে ফিরে গিয়েছিলেন।

  1. তপােবনে রাজার দূতকে প্রত্যাশা করা হয়েছিল কেন?

উত্তর:) তপােবনে দূতকে প্রত্যাশা করা হয়েছিল এই ভেবে যে, সে শকুন্তলার খোঁজ করতে সেখানে আসবে। 

  1. ঋষি দুর্বাসা যখন তপােবনে এসেছিলেন তখন শকুন্তলার অবস্থা কেমন ছিল?

উত্তর:) ঋষি দুর্বাসা যখন তপােবনে এসেছিলেন তখন শকুন্তলা স্বামীর চিন্তায় অন্যমনস্ক ছিলেন।

  1. ঋষি দুর্বাসা কেন অপমানিত বােধ করেছিলেন? 

উত্তর:) স্বামীর চিন্তায় অন্যমনস্ক শকুন্তলা দুর্বাসাকে লক্ষ করেননি বলে ঋষি দুর্বাসা অপমানিত বােধ করেছিলেন। 

  1. ঋষি দুর্বাসা শকুন্তলাকে কী অভিশাপ দিয়েছিলেন? 

উত্তর:) দুর্বাসা অভিশাপ দিয়েছিলেন যে যাঁর চিন্তায় মগ্ন হয়ে শকুন্তলা তাঁকে লক্ষ করেননি তিনি শকুন্তলাকে ভুলে যাবেন।

  1. প্রিয়ংবদার অনুরােধে ঋষি দুর্বাসা কী বলেছিলেন? 

উত্তর:) ঋষি দুর্বাসা বলেছিলেন যে, প্রিয়জন শকুন্তলাকে ভুলে গেলেও কোনাে স্মৃতিচিহ্ন দেখালে এই অভিশাপ দূর হবে। 

  1. সখীরা কোন্ জিনিসকে ভবিষ্যতের স্মৃতিচিহ্ন ভেবেছিলেন? 

উত্তর:) দুষ্মন্ত রাজধানীর উদ্দেশে বিদায় নেওয়ার সময়ে শকুন্তলাকে যে আংটি দিয়েছিলেন তাকেই সখীরা ভবিষ্যতের স্মৃতিচিহ্ন ভেবেছিলেন।

  1. মহর্ষি কণ্ব তীর্থ থেকে ফেরার পরে কী করেছিলেন? 

উত্তর:) মহর্ষি কণ্ব তীর্থ থেকে ফেরার পরে শকুন্তলাকে পতিগৃহে পাঠানাের আয়ােজন করেছিলেন। 

  1. শকুন্তলা দুষ্মন্তকে আংটি দেখাতে পারেননি কেন? 

উত্তর:) শচীতীর্থে অঞ্জলি দেওয়ার সময়ে শকুন্তলার আংটি খুলে জলে পড়ে যাওয়ায় শকুন্তলা দুষ্মন্তকে আংটি দেখাতে পারেননি। 

  1. রাজসভায় শকুন্তলা অপমানিত হয়েছিলেন কেন? 

উত্তর:) রাজসভায় দুষ্মন্ত শকুন্তলাকে চিনতে না পারায় শকুন্তলা অপমানিত হয়েছিলেন।

  1. রাজা দুষ্মন্তের শ্যালকের কাজ কী ছিল?

উত্তর:) রাজা দুষ্মন্তের শ্যালকের কাজ ছিল নগর রক্ষা করা। 

  1. রক্ষীরা কাকে কীভাবে সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করেছিল? 

উত্তর:) পিছনে হাতবাঁধা অবস্থায় এক ধীবরকে সঙ্গে নিয়ে রক্ষীদের প্রবেশ ঘটেছিল। 

  1. ধীবরের পাওয়া আংটিটি কেমন ছিল? 

উত্তর:) ধীবরের পাওয়া আংটিটি ছিল মণিখচিত এবং রাজার নাম খােদাই করা। 

  1. “আমরা কি তাের জাতির কথা জিজ্ঞাসা করেছি?”–বক্তা কখন একথা বলেছে? 

উত্তর:) ধীবর যখন বলে যে সে জেলে এবং শক্রাবতারে থাকে, তখনই দ্বিতীয় রক্ষী মন্তব্যটি করে। 

  1. ‘পুরুষ’ চরিত্রটি কীভাবে সংসার চালানাের কথা বলেছে? 

উত্তর:) ‘পুরুষ’ অর্থাৎ জেলে চরিত্রটি জাল, বড়শি ইত্যাদি সহযােগে মাছ ধরে সংসার চালানাের কথা বলেছে। 

  1. “শুনুন মহাশয়, এরকম বলবেন না।”—এখানে কী না বলার কথা বলা হয়েছে? 

উত্তর:) এখানে ধীবরটি রাজার শ্যালককে ধীবরের জীবিকা নিয়ে ব্যঙ্গবিদ্রুপ না করার কথা বলেছে। 

  1. ধীবর চরিত্রটি জীবিকা বিষয়ে কী বলেছে?

উত্তর:) ধীবরের মতে, যে বৃত্তি নিয়ে মানুষ জন্মেছে তা নিন্দনীয় হলেও তা পরিত্যাগ করা উচিত নয়। 

  1. ধীবর আংটিটি কীভাবে পেয়েছিল? 

উত্তর:) ধীবর একটা রুইমাছ টুকরাে করে কাটতে গিয়ে মাছের পেটের মধ্যে মণিমুক্তায় ঝলমলে আংটিটা দেখতে পেয়েছিল। 

  1. “এ অবশ্যই গােসাপ-খাওয়া জেলে হবে।”—কে কেন একথা বলেছেন? 

উত্তর:) ধীবরের গা থেকে কাঁচা মাংসের গন্ধ আসছিল বলে রাজার শ্যালক মন্তব্যটি করেছিলেন। 

  1. “…আমার হাত দুটো (এখনই) নিশপিশ করছে।”—বক্তার হাত দুটো কীসের জন্য নিশপিশ করছে? 

উত্তর:) হত্যার আগে ধীবরের গলায় পরানাের জন্য ফুলের মালা গাঁথতে প্রথম রক্ষীর হাত নিশপিশ করছিল।

multiple choice questions – 1 marks of ধীবর বৃত্তান্ত (DHIBOR BRITTANTO)

1. রাজা দুষ্মন্ত শকুন্তলাকে বিয়ে করেছিলেন—
A. মহর্ষি কণ্বের তপােবনে B. মহর্ষি বিশ্বামিত্রের তপােবনে C. চিত্রকূট পাহাড়ে D. শচীতীর্থে
উত্তর:) মহর্ষি কণ্বের তপােবনে
2. শকুন্তলাকে অভিশাপ দিয়েছিলেন—
A. মহর্ষি কণ্ব B. মহর্ষি বিশ্বামিত্র C. মহর্ষি দুর্বাসা D. মহর্ষি গৌতম
উত্তর:) মহর্ষি দুর্বাসা
3. ঋষি দুর্বাসা তাঁর অভিশাপকে কিছুটা লঘু করেছিলেন যাঁর‌ অনুরােধে, তিনি হলেন—
A. প্রিয়ংবদা B. শকুন্তলা C. অনসূয়া D. কোনােটাই নয়
উত্তর:) প্রিয়ংবদা
4. সখীরা ভবিষ্যতের স্মারকচিহ্ন হিসেবে মনে করেছিল—
A. উত্তরীয়কে B. সীতাহারকে C. আংটিকে D. চিঠিকে
উত্তর:) আংটিকে
5. দুষ্মন্ত শকুন্তলাকে বিবাহের সময়ে মহর্ষি কণ্ব ছিলেন—
A. শিষ্যগৃহে B. রাজসভায় C. দেবসমীপে D. তীর্থে
উত্তর:) তীর্থে
6. শকুন্তলা স্নানের পরে অঞ্জলি দেওয়ার সময়ে আংটি হারিয়ে ফেলেন—
A. গঙ্গায় B. শচীতীর্থে C. কাশীর ঘাটে D. নিমাই তীর্থে
উত্তর:) শচীতীর্থে
7. শকুন্তলার আংটি পেয়েছিল—
A. ধীবর B. কৃষক প্রজা C. দ্বাররক্ষী D. অশ্বপালক
উত্তর:) ধীবর
8. নগর রক্ষায় নিযুক্ত ছিলেন—
A. সেনাপতি B. কোতােয়াল C. রাজার শ্যালক D. রাজার ভগ্নীপতি
উত্তর:) রাজার শ্যালক
9. আংটিতে খােদাই করা ছিল—
A. রাজ্যের নাম B. রাজার নাম C. রাজসভার স্মারক D. এক দেবীমূর্তি
উত্তর:) রাজার নাম
10. জেলেটি থাকত—
A. শক্রাবতারে B. ব্রহ্মাবতারে C. বিষ্ণু অবতারে D. দশাবতারে
উত্তর:) শক্রাবতারে
11. দ্বিতীয় রক্ষী জেলেকে সম্বােধন করেছিল—
A. গুরুঠাকুর বলে B. বাটপাড় বলে C. চোর বলে D. ভদ্রে বলে
উত্তর:) বাটপাড় বলে
12. ধীবর আংটি পেয়েছিল—
A. রুই মাছের পেটে B. ইলিশ মাছের পেটে C. বােয়াল মাছের পেটে D. মাছ ধরার জালে
উত্তর:) রুই মাছের পেটে
13. রাজার শ্যালক ধীবরকে বলেছিলেন—
A. বুদ্ধিহীন B. বাচাল C. গােসাপ-খাওয়া জেলে D. চালাক
উত্তর:) গােসাপ-খাওয়া জেলে
14. রাজার কাছ থেকে ফিরে আসার সময়ে রাজশ্যালকের হাতে ছিল—
A. পুরস্কার B. বই C. মহারাজের হুকুমনামা D. পুজোর ফুল
উত্তর:) পুরস্কার
15. “এই জেলে______ বাড়ি গিয়ে আবার ফিরে এল।”— শূন্যস্থানে ব্যবহৃত হবে যে শব্দটি, সেটি হল—
A. শ্বশুর B. মামা C. যমের D. নিজের
উত্তর:) যমের
16. মহারাজ ধীবরকে দিয়েছিলেন—
A. আংটির মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ B. আংটি C. স্বর্ণমুদ্রা D. মাছ ধরার সরঞ্জাম
উত্তর:) আংটির মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ
17. আংটি দেখে মহারাজের মনে পড়েছিল—
A. নিজের ছােটোবেলার স্মৃতি B. প্রিয়জনের কথা C. রাজ্যাভিষেকের স্মৃতি D. কোনােটাই নয়
উত্তর:) প্রিয়জনের কথা
18. রাজা ছিলেন —
A. গম্ভীর প্রকৃতির B. উচ্ছল প্রকৃতির C. উগ্র প্রকৃতির D. নম্র প্রকৃতির
উত্তর:) গম্ভীর প্রকৃতির
19. জানুক জেলেকে দেখেছিল—
A. প্রসন্ন দৃষ্টিতে B. হিংসাভরা দৃষ্টিতে C. প্রশান্ত দৃষ্টিতে D. ক্রদ্ধ দৃষ্টিতে
উত্তর:) হিংসাভরা দৃষ্টিতে
20. রক্ষীদের ফুলের দাম হিসেবে জেলে দিয়েছিল—
A. তার পারিতোষিক B. মাছ C. তার পুরস্কারের অর্ধেক D. কোনােটাই নয়
উত্তর:) তার পুরস্কারের অর্ধেক
21. ‘ধীবর বৃত্তান্ত’ নাট্যাংশটি নেওয়া হয়েছে মহাকবি কালিদাসের—
A. মেঘদূত-এর অনুবাদ থেকে B. কুমারসম্ভব-এর অনুবাদ থেকে
C. অভিজ্ঞান শকুন্তলম্-এর অনুবাদ থেকে D. বিক্ৰমােৰ্বশীয়ম-এর অনুবাদ থেকে
উত্তর:) অভিজ্ঞান শকুন্তলম্-এর অনুবাদ থেকে
22. শকুন্তলাকে দুর্বাসা অভিশাপ দেন। কারণ—
A. তিনি পতির চিন্তায় মগ্ন ছিলেন B. শকুন্তলা অন্যমনস্ক থাকায় দুর্বাসার আগমনের বিষয়টি বুঝতে পারেননি
C. দুর্বাসা ছিলেন অত্যন্ত রাগী স্বভাবের D. শকুন্তলা ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে উপেক্ষা করেন
উত্তর:) শকুন্তলা অন্যমনস্ক থাকায় দুর্বাসার আগমনের বিষয়টি বুঝতে পারেননি
23. “আমি এরকম কাজ (অর্থাৎ চুরি) করিনি।”- উক্তিটি হল—
A. রাজশ্যালকের B. একজন মাঝির C. একজন জেলের D. একজন রক্ষীর
উত্তর:) একজন জেলের
24.“তবে কি তােকে সদব্রাক্ষ্মণ বিবেচনা করে রাজা এটা দান করেছেন?”—উদ্ধৃতাংশে যে জিনিসটি দানের প্রসঙ্গ রয়েছে, সেটি হল—
A. একটি মাছ B. প্রচুর অর্থ C. একটি আংটি D. মাছ ধরার জন্য একটি বড়াে জাল
উত্তর:) একটি আংটি
25. “আপনারা অনুগ্রহ করে শুনুন।”—উদ্ধৃতাংশে ‘আপনারা’
হলেন—
A. রাজশ্যালক ও দুইজন রক্ষী B. জেলেমাঝিরা
C. রাজা দুষ্মন্ত ও তাঁর পারিষদেরা D. বাজারের লােকজন
উত্তর:) রাজশ্যালক ও দুইজন রক্ষী
26. “আমরা কি তাের জাতির কথা জিজ্ঞাসা করেছি?”—বক্তা প্রকৃতপক্ষে জিজ্ঞাসা করেছিলেন—
A. ধীবর কীভাবে আংটিটি পেল B. তার বংশপরিচয়
C. ধীবর কোথায় থাকে D. জাল, বড়শি নিয়ে ধীবর কোন্‌দিকে যাচ্ছে
উত্তর:) ধীবর কীভাবে আংটিটি পেল
27. “তা আপনি যা আদেশ করেন।”—উদ্দিষ্ট ব্যক্তির আদেশটি ছিল—
A. ধীবরকে বাধা না দিয়ে আগে পরের সব ঘটনা বলতে দেওয়া হােক
B. ধীবরকে রাজার কাছে ধরে নিয়ে যাওয়া হােক
C. ধীবর যেহেতু তাঁর বন্ধু, তাকে ছেড়ে দেওয়া হােক
D. ধীবরকে কোনাে কথা বলতে না দিয়ে তার প্রাণনাশের ব্যবস্থা করা হােক
উত্তর:) ধীবরকে বাধা না দিয়ে আগে পরের সব ঘটনা বলতে দেওয়া হােক
28. “তা তাের জীবিকা বেশ পবিত্র বলতে হয় দেখছি।” — উদ্ধৃতাংশের বক্তা হলেন—
A. জানুক B. রাজশ্যালক C. রাজা D. সূচক
উত্তর:) রাজশ্যালক
29. “তাের জীবিকা বেশ পবিত্র বলতে হয় দেখছি।”—উদ্দিষ্ট ব্যক্তিকে এভাবে বিদ্রুপ করার কারণ—
A. জীবিকাটি বক্তার কাছে বিশ্বাসযােগ্য মনে হয়নি
B. বক্তা আপন ক্ষমতা ও পদমর্যাদায় অত্যন্ত দাম্ভিক ছিলেন
C. উদ্দিষ্ট ব্যক্তি নির্বিচারে প্রাণীহত্যা করে থাকেন
D. মাছশিকার করে উদ্দিষ্ট ব্যক্তির দিন কাটে
উত্তর:) বক্তা আপন ক্ষমতা ও পদমর্যাদায় অত্যন্ত দাম্ভিক ছিলেন

short questions – 2-3 marks of ধীবর বৃত্তান্ত (DHIBOR BRITTANTO)

1.“তখন তপােবনে এলেন ঋষি দুর্বাসা।”—দুর্বাসার এই আগমনের তাৎপর্য কী?

উত্তর:) শকুন্তলা যখন রাজা দুষ্মন্তকে নিয়ে দুশ্চিন্তা করছিলেন তখন ঋষি  দূর্বাসা মহর্ষি কণ্বের তপােবনে আসেন। এই কারণে, শকুন্তলা দুর্বাসার উপস্থিতি খেয়াল করেননি।  ঋষি এতে অপমানিত বোধ করেছিলেন, তাই তিনি কামনা করেছিলেন যে বর্তমানে যার চিন্তায় শকুন্তলা রয়েছে সে তার কথা ভুলে যাবে। শেষ পর্যন্ত, শকুন্তলার বন্ধু প্রিয়ম্বদার অনুরোধে ঋষি  তাকে বলেছিলেন যে রাজাকে রাজার দেওয়া একটি স্মারক দেখাতে পারলে অভিশাপ উঠে যাবে।

  1. “শকুন্তলা অপমানিতা হলেন রাজসভায়।”—শকুন্তলার এই অপমানের কারণ কী ছিল?

উত্তর:)  দুষ্মন্তের পক্ষ থেকে শকুন্তলাকে দেওয়া আংটিটি ছিল একটি বিচ্ছেদ উপহার। যাইহোক, যেহেতু রাজা বহুদিন শকুন্তলার কোনো খোঁজ নেননি, তাই মহর্ষি কণ্ব তাকে পতিগৃহে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। শকুন্তলার সখীরা আত্মবিশ্বাসী যে শকুন্তলার আংটি  ঋষি দুর্বাসার অভিশাপ ভাঙতে পারবে। দুর্ঘটনাক্রমে পথে শকুন্তলা স্নান করার সময় জলে তার আংটিটি হারিয়ে ফেলেন। যেহেতু দুষ্মন্তের রাজসভায় তার স্মরণ করার মতো কিছুই তার কাছে ছিল না, তাই শকুন্তলা লজ্জিত ও অপমানিত বোধ করেন।

  1. “তা তাের জীবিকা বেশ পবিত্র বলতে হয় দেখছি।”— কে কোন প্রসঙ্গে মন্তব্যটি করেছে? 

উত্তর:) দুই প্রহরী ধীবরকে চুরির অভিযোগে ধরেছিল যখন তার কাছে একটি রত্নখচিত রাজার নাম খোদাই করা আংটি ছিল। ধীবর নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করেন, কিন্তু রক্ষীরা অসহিষ্ণু। রাজার শ্যালক তাকে পুরো ঘটনাটি বর্ণনা করতে অনুরোধ করলে ধীবর উত্তর দিয়েছিলেন যে তিনি একজন জেলে ছিলেন। তিনি জাল, রড এবং অন্যান্য সরঞ্জাম ব্যবহার করে মাছ ধরে সংসার পরিচালনা করেন। ধীবরের এই উত্তর শুনে রাজার শ্যালক ধীবরকে ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করলেন।

  1. “কীভাবে এই আংটি আমার কাছে এল—তা বললাম।”—বক্তা আংটি পাওয়া প্রসঙ্গে কী বলেছিল লেখাে। 

উত্তর:) রাজার নাম সম্বলিত রত্নখচিত আংটিটি ধীবরের কাছে থেকে রক্ষীরা আবিষ্কার করে এবং তাকে চোর বলে শনাক্ত করে। ধীবর তারপর নিজের পরিচয় দেন এবং উল্লেখ করেন যে তিনি একটি রুই মাছের পেটের মধ্যে এই আংটিটি আবিষ্কার করেন যা তিনি মাছটিকে টুকরো টুকরো করার সময় পেয়েছিলেন। রক্ষীরা আংটিটি বিক্রি করার সময় তাকে আটক করছিল।

  1. “সুতরাং রাজবাড়িতেই যাই।”—কে, কেন রাজবাড়িতে যেতে চেয়েছেন?

উত্তর:) রাজশ্যালক প্রাসাদে যেতে চেয়েছেন।

ধীবর রাজপ্রহরীদের বলেছিলেন যে তিনি মাছের পেটের ভিতর থেকে রত্নখচিত আংটি আবিষ্কার করেছেন, যাতে রাজার নাম খোদাই করা ছিল। তার দাবির সত্যতা যাচাই করার জন্য, রাজশ্যালক রাজপ্রাসাদে যেতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে কীভাবে আংটিটি আবিষ্কৃত হয়েছিল সে সম্পর্কে মহারাজাকে সুনির্দিষ্টভাবে অবহিত করার পর তাঁর আদেশ নিয়ে তিনি ফিরে আসবেন। ততক্ষন রক্ষীদের ধৈর্য ধরে সামনের দরজায় ধীবরের সাথে অপেক্ষা করতে বলেছিলেন।

long questions – 5 marks of ধীবর বৃত্তান্ত (DHIBOR BRITTANTO)

1. “ঘটনাক্রমে সেই আংটি পেল এক ধীবর…”—ধীবরের আংটি পাওয়ার আগের কাহিনি নিজের ভাষায় লেখাে।

উত্তর:) ধীবরের আংটি প্রাপ্তির প্রসঙ্গটি কালিদাসের “ধীবর-বৃত্তান্ত” নাটকের একটি দীর্ঘ গল্পের বিষয়। আশ্রমের কন্যা শকুন্তলাকে বিয়ে করে রাজা দুষ্মন্ত মহর্ষি কণ্বের অনুপস্থিতিতে রাজধানীতে চলে যান। অবশেষে কিছুদিন পর শকুন্তলার খোঁজ নেওয়া ছেড়ে দেয় সে। শকুন্তলা যখন তার স্বামীর চিন্তায় মগ্ন ছিলেন তখন একদিন ঋষি দুর্বাসা কণ্বের আশ্রমে গিয়েছিলেন, তাই তিনি তা খেয়াল করেননি। ক্ষুব্ধ ঋষি অভিশাপ দেন যে শকুন্তলা যার চিন্তায় মগ্ন সে তাকে ভুলে যাবে। যাইহোক, সখী প্রিয়ম্বদার অনুরোধে, দুর্বাসা অভিশাপকে কিছুটা নরম করে দিয়ে ঘোষণা করেছিলেন যে শকুন্তলা যদি তার প্রিয়তমকে তাঁর কোনো স্মারক প্রদর্শন করতে পারেন তবে অভিশাপ ভেঙে যাবে। দুষ্মন্ত শকুন্তলাকে যে আংটি দিয়েছিলেন তা তার বন্ধুরা স্মারক হিসাবে ধরে নিয়েছিল। তীর্থ থেকে ফিরে আসার পর মহর্ষি কণ্ব শকুন্তলাকে পতিগৃহে পাঠিয়েছিলেন। স্নান সেরে শচীতীর্থে যাওয়ার পথে অঞ্জলিকে দেওয়ার সময় তার হাত থেকে আংটিটি  জলে পড়ে যায়। দুষ্মন্ত ফলস্বরূপ শকুন্তলাকে শনাক্ত করতে অক্ষম হন। অন্যদিকে, মাছ ধরতে থাকা ধীবর একটি মাছ ধরার পর এই আংটিটি খুঁজে পান।

  1. আংটি পাওয়ার পরে ধীবরের যে যে অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা নিজের ভাষায় লেখাে।

উত্তর:) কালিদাসের “ধীবর-বৃত্তান্ত” নাটকে একটি মাছকে টুকরো টুকরো করার সময়, ধীবর তার পেটে একটি আংটি আবিষ্কার করে। রাজার নিজের নামের মনিখচিত আংটিটি দেখে রাজার শ্যালক এবং শহরের রক্ষীরা তাকে চোর ভেবেছিল। তারা ধীবরের যুক্তি শুনতে নারাজ। সমস্ত ঘটনা রাজাকে জানাতে রাজার শ্যালক রাজপ্রাসাদে যাত্রা করেন।  তবে এটা স্পষ্ট যে ধীবরের দাবি সবই সঠিক। এই পর্বে রাজাকে আংটিটি দেখানো হলে‌ দুর্বাসা মুনির কথানুযায়ী এই স্মৃতিচিহ্ন দেখে শকুন্তলার কথা মনে পড়ে যায়। আংটির খবর রাজাকে হতবাক করেছিল, সেকথা রাজশ্যালক জানান। রাজশ্যালক ফিরে এসে জানায় ধীবরের বয়ান সত্য ছিল, তাই রাজাদের অনুযায়ী তাকে ছেড়ে দিতে বলে। এছাড়াও, মহারাজ তাকে আংটির জন্য সমপরিমাণ অর্থ পুরস্কার দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন। এরপর তিনি ধীবরকে তাদের বন্ধুদের বৃত্তে স্বাগত জানান।

  1. “যে বৃত্তি নিয়ে যে মানুষ জন্মেছে, সেই বৃত্তি নিন্দনীয় (ঘৃণ্য) হলেও তা পরিত্যাগ করা উচিত নয়।”—কে কোন্ প্রসঙ্গে মন্তব্যটি করেছে? এখানে বক্তার চরিত্রের যে বৈশিষ্ট্য প্রকাশিত হয়েছে তা আলােচনা করাে।

উত্তর:) বন্দী ধীবর কালিদাসের “ধীবর-বৃত্তান্ত” নাটকে রাজার শ্যালক ও রক্ষকদের কাছে প্রকাশ করেছিলেন যে তিনি জাল, রড ইত্যাদি ব্যবহার করে মাছ ধরার মাধ্যমে তার গৃহস্থালির রক্ষণাবেক্ষণ করেন। তারপর রাজার শ্যালক ধীবরের পেশা কতটা পবিত্র তা নিয়ে রসিকতা করেছিলেন। এই বিড়ম্বনার পরিপ্রেক্ষিতে ধীবর চরিত্রটি রাজার শ্যালকের প্রতি এই মন্তব্য করে।

তার মন্তব্যের মাধ্যমে, ধীবর একটি দৃঢ় আত্মসম্মানবোধ প্রদর্শন করেছিলেন। তিনি রাজশ্যালককে তার পেশার সমালোচনা করা থেকে বিরত থাকতে বলেছিলেন। তিনি এর উদাহরণ হিসাবে বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণের কথা বলেন যে, তার স্বাভাবিক অবস্থায় দয়াপরায়ন হলেওএই ব্রাহ্মণ যখন বলি দেওয়া পশু জবাই করার সময় আসে তখন নির্দয় হয়ে ওঠে। এটি অনুসরণ করে সে বলে যে কোনও পেশা সম্পূর্ণ সম্মানজনক হতে পারে না। নিজের পেশাকে এভাবেই মর্যাদার জায়গায় পরিচিত করে তুলেছেন তিনি।

error: Content is protected !!
Scroll to Top
×

এই ওয়েবসাইটের সব কনটেন্ট এক্সেস করুন শুধু একটা মেম্বারশীপের সাথে।  আজকেই ক্লিক করুন নিচে রেজিস্টার করার জন্যে।  অসুবিধে হলে হোয়াটস্যাপ করুন আমাদের  +919804282819