কলিঙ্গদেশের ঝড় – বৃষ্টি – (Kolingodesher Jhor-Brishti) Bangla Literature Subject WBBSE Class 9

আপনি এখানে শিখবেন এই অধ্যায়ে এবং বিষয়ের ফাউন্ডেশন অংশটা, এই বিষয়টিকে সহজ-সরলভাবে পড়িয়েছেন বিশেষজ্ঞ শিক্ষক ভিডিও লেকচার এর মাধ্যমে এবং এই পুরো অধ্যায়কে চার ভাগে খন্ডিত করে আপনার জন্য তৈরি করা হয়েছে

  • প্রথম খন্ডে আপনি শিখবেন ফাউন্ডেশন অংশটা যেখানে অধ্যায়ের ব্যাপারে আপনাকে বোঝানো হয়েছে তার মানে definitions,basics  গুলো সহজভাবে.  এবং এটাকে আপনি বুঝতে পারবেন যেটা আপনাকে পরীক্ষার জন্য ক্রীপের করতে সাহায্য করবে
  • দ্বিতীয় মডিউলে আপনি শিখবেন MCQ মাল্টিপল চয়েস কোশ্চেন যেটা সাধারণত এক Marks’er আসে পরীক্ষায়
  • তৃতীয় মডিউলে আপনি শিখবেন শর্ট অ্যানসার এবং কোয়েশ্চেন, যেটা আপনার পরীক্ষার সাজেশন মধ্যে পড়ে এবং এটা 3-4 marks’er  প্রশ্ন আসে আপনার পরীক্ষা
  • চতুর্থ মডিউল আপনি শিখবেন লং আনসার এবং questions যেটা সাধারণত 5-6 marks er হয়

আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন যাতে কি আপনাকে আমরা সাহায্য করতে পারি

সারসংক্ষেপ

কলিঙ্গের আকাশ ভারী মেঘে ঢাকা। চরম অন্ধকারের কারণে কলিঙ্গবাসীরা নিজেদের মুখও দেখতে পারছে না। ঈশান বা উত্তর-পূর্ব কোণে আকাশে নিয়মিত বজ্রপাত হয়। শক্তিশালী উত্তরের বাতাস মেঘের বধির আস্ফালনকে দূর থেকে শ্রবণযোগ্য করে তুলেছিল। আকাশ দ্রুত কালো মেঘে ঢেকে গেল। মুষলধারে বৃষ্টি পড়তে শুরু করেছে। মেঘের গম্ভীর শব্দে কেঁপে উঠল সমগ্র কলিঙ্গদেশ অঞ্চল। 

ধ্বংসের ভয়ে মানুষ মুহুর্ত গণনা করতে থাকে। ঝড়টি প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতের ফলে এবং অসংখ্য মেঘ বিস্ফোরণ ঘটায়। প্রাণের ভয়ে বাসিন্দারা নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। পুরো সবুজ পরিবেশ ধুলোয় ছেয়ে গেছে। ঝড়ে ফসল নষ্ট হতে দেখে আতঙ্কিত এলাকাবাসী। মনে হচ্ছে আটটি বিশাল হাতির লক্ষ্য কলিঙ্গদেশকে বৃষ্টিধারায় ভাসিয়ে দেওয়ার। 

থেকে থেকে বিদ্যুতের চমকানি এবং তীব্র বাজ পড়ে। যা দেখে মনে হয় হাতি তার শুঁড়ের দ্বারা জল বর্ষণ করছে। ঝড়-বৃষ্টির কারণে সমগ্র পৃথিবী জলমগ্ন হওয়ায় জল ও স্থলের সীমারেখা মিশে গেছে। মেঘের গর্জন এতটাই তীব্র যে একে অপরের কথা শোনা সম্ভব নয়। এমনকি দিন-রাত্রির পার্থক্য বোঝা যাচ্ছে না কারণ কলিঙ্গদেশ চিরদিকে অন্ধকারে ছেয়ে গেছে। প্রজারা ঋষি জৈমিনিকে স্মরণ করে এই বিপদ থেকে মুক্তি পেতে। 

বৃষ্টিপাতের কারণে কলিঙ্গে সূর্যের আলো দেখা যায় না। সাপ লুকানোর জায়গা হারিয়ে জলে ভেসে যায়। প্রলয় সমগ্র কলিঙ্গ দেশকে ধ্বংস করে দেয়। সাতদিন ধরে টানা বর্ষণে ফসল ও ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়। ভাদ্র মাসের পাকা তালের মতো ছন্দময় ভঙ্গিতে বাড়ির ছাদ ভেদ করে শিল মাটিতে পড়তে শুরু করে।

দেবী চণ্ডীর আদেশে বীর হনুমান সবকিছু ধ্বংস করেন। জলের বিশাল ঢেউ, যার পাহাড়ের আকার,  

বাড়িঘর ভেঙে বিধ্বস্ত করে দেয়। প্রবল জোয়ার শহরে প্রবেশ করলে নদী সব ভাসিয়ে নিয়ে যায়। লেখক শ্রীকবিকঙ্কন তাঁর ‘অম্বিকামঙ্গল’ কাব্যাংশে এই বিপর্যয়ের গল্প বলেছেন।

নামকরণ 

সাহিত্যের নামকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেকোনো সাহিত্যের শিরোনামেই তার মূল আভাস খুঁজে পাওয়া যায়। আর সেই শিরোনাম কখনো চরিত্রকেন্দ্রিক কখনো ঘটনাকেন্দ্রিক আবার কখনো বা ব্যঞ্জনাধর্মী হয়ে থাকে। ঠিক তেমনই কবিতার নামের মধ্যেই কবিতার মূলভাব বা ব্যঞ্জনার আভাস থাকে। 

কবি মুকুন্দরাম চক্রবর্তী রচিত ‘অম্বিকামঙ্গল’ কাব্যের আখেটিক খন্ডের অন্তর্গত কাব্যাংশটির  নাম ছিল ‘কলিঙ্গদেশের ঝড়-বৃষ্টি আরম্ভ’ । আলোচ্য পাঠ্যাংশে তার কিছুটা পরিবর্তন করে নামকরণ করা হয়েছে ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’। 

আলোচ্য কাব্যাংশে কলিঙ্গদেশে হঠাৎ যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়েছিল, সে বিষয় বর্ণিত। কলিঙ্গদেশের আকাশ হঠাৎ মেঘে ছেয়ে যায় এবং চারিদিক অন্ধকারে ঢেকে যায়, সেই সঙ্গে মেঘের গুরুগম্ভীর গর্জন, বিদ্যুতের ঝলকানি ও ঝড়ের তান্ডব শুরু হয়। এই আসন্ন বিপদের আশঙ্কায় প্রজারা গৃহত্যাগ করতে আশ্রয়ের আশায় । এইভাবে অনবরত সাতদিন ধরে এই দুর্যোগ চলতে থাকে। সবুজ মাঠ ধুলোয় ঢেকে যায়, ঝড়ের তান্ডবে খেতের শস্য উল্টে পড়ে এবং প্রচন্ড বৃষ্টির কারণে চারিদিক জলমগ্ন হয়ে ডুবে যায়। জল গর্তে ঢুকে যাওয়ায় সাপেরা জলে ভেসে বেড়ায়। দিন-রাত্রির প্রভেদ মুছে যায়, মেঘের প্রবল আওয়াজ, বজ্রের শব্দ ও বৃষ্টির কলরোলে কারুর কথা শোনা যায় না। 

দেবী চন্ডীর আদেশেই কলিঙ্গ নগরের দিকে পর্বতসমান ঢেউ নিয়ে নদনদী এগিয়ে আসে। দেবী চন্ডী কলিঙ্গদেশে এই ঝড়বৃষ্টির মাধ্যমেই গুজরাট নগরে বসতি প্রতিষ্ঠার ইচ্ছাপূরণ করেছেন। 

কাব্যাংশটির উপরিউক্ত আলোচনা থেকে বোঝা যায় যে, কলিঙ্গদেশের বিধ্বংসী ঝড়বৃষ্টিই হলো এর মূল বিষয়। অর্থাৎ বলা চলে বিষয়গত দিক থেকে কবিতাটির নামকরণ যথোপযুক্ত এবং সার্থক হয়েছে।

SOLVED QUESTIONS & ANSWERS of পরিমাপ PORIMAAP

1 MARKS QUESTIONS of কলিঙ্গদেশের ঝড় – বৃষ্টি (মুকুন্দরাম চক্রবর্তী )

  1. ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কাব্যাংশটি কার লেখা, কোন্  কাব্যের অন্তর্গত?

উত্তর:)  ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কাব্যাংশটি মধ্যযুগের কবি মুকুন্দরাম চক্রবর্তী রচিত ‘অম্বিকামঙ্গল’ কাব্যের অন্তর্গত।

  1. মুকুন্দরাম চক্রবর্তী রচিত চণ্ডীমঙ্গল কাব্যটি কী কী নামে পরিচিত? 

উত্তর:) মুকুন্দরাম চক্রবর্তী রচিত চণ্ডীমঙ্গল কাব্যটি ‘অভয়ামঙ্গল’, ‘চণ্ডিকামঙ্গল’, ‘কবিকঙ্কণ চণ্ডী’,

 ‘অম্বিকামঙ্গল’ প্রভৃতি নামে পরিচিত।

  1. মুকুন্দরাম চক্রবর্তী রচিত চণ্ডীমঙ্গল কাব্যটির ক-টি খণ্ড ও কী কী?

উত্তর:) মুকুন্দরাম চক্রবর্তী রচিত চণ্ডীমঙ্গল কাব্যটির দুটি খণ্ড—আখেটিক খণ্ড এবং বণিক খণ্ড।

  1. ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের কোন্ খণ্ডের অন্তর্গত?

উত্তর:) ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের আখেটিক খন্ডের অন্তর্গত।

  1. “দেখিতে না পায় কেহ অঙ্গ আপনার ||” -কলিঙ্গবাসী নিজেদের অঙ্গ দেখতে পাচ্ছে না কেন?

উত্তর:) কলিঙ্গবাসী নিজেদের অঙ্গ দেখতে পাচ্ছেন না কারণ চারদিকের আকাশ মেঘাছন্ন হওয়ায় সমগ্র কলিঙ্গদেশ অন্ধকারে ঢাকা পড়ে গেছে ।

  1. উচ্চনাদে কলিঙ্গে কীসের ডাক শােনা গিয়েছে?

উত্তর:) কলিঙ্গের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হওয়ায়  উচ্চনাদে মেঘের গুরুগম্ভীর গর্জন শােনা গিয়েছে।

  1. “প্রলয় গণিয়া প্রজা ভাবয়ে বিষাদ।”—মন্তব্যটির অর্থ লেখাে। 

উত্তর:) চারদিক মেঘাচ্ছন্ন হয়ে মুষলধারে বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ঘনঘন মেঘের গর্জনে প্রজারা সমূহ বিপদের আশঙ্কায় বিষাদগ্রস্ত হন।

৪. “হুড় হুড় দুড় দুড় বহে ঘন ঝড়।”—উক্তিটির তাৎপর্য কী? 

উত্তর:) মেঘের প্রবল গর্জন এবং মুষলধারে বৃষ্টিপাতের সঙ্গে যে প্রবল ঝড় বইছিল তার ভয়ানক রূপের  প্রকাশ পাচ্ছে। 

  1. “বিপাকে ভবন ছাড়ি প্রজা দিল রড়।।”—কোন্ বিপাকে প্রজা পালাল?

উত্তর:) মুষলধারায় বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ভয়ংকর ঝড়ের তাণ্ডবে আসন্ন বিপদের কথা ভেবে প্রজারা নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালান।

  1. “… প্রজা চমকিত।”—প্রজা চমকিত হল কেন? 

উত্তর:) বিধবংসী ঝড়বৃষ্টির তাণ্ডবে কলিঙ্গদেশে সমগ্র প্রকৃতি ধুলােয় ঢেকে যায় এবং শস্যখেতের ফসল নষ্ট হওয়ায় প্রজা চমকিত হয়ে যায়। 

  1. চারদিকে মেঘে জল দেয় কারা?

উত্তর:) কলিঙ্গদেশে প্রবল ঝড়বৃষ্টির সময় চারদিকে মেঘে জল দিয়েছিল ‘অষ্ট গজরাজ’ বা আটটি হাতিশ্রেষ্ঠ। 

  1. জলধারার বর্ষণকে কীসের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে?

উত্তর:) জলধারার প্রবল বর্ষণকে করি-কর অর্থাৎ হাতির শুঁড় দ্বারা জল বর্ষণের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। 

  1. “পথ হইল হারা ।।”–পথ কীভাবে হারাল? 

উত্তর:) প্রবল বৃষ্টিপাতে কলিঙ্গে প্লাবন সৃষ্টি হয়েছিল। এর ফলে স্থলভূমি জলমগ্ন হয়ে পড়ায় পথ হারিয়ে যায়। 

  1. “কারাে কথা শুনিতে না পায় কোনাে জন ৷৷”—কারাে কথা কেউ শুনতে না পাওয়ার কারণ কী?

উত্তর:) প্রবল বৃষ্টিপাতের সঙ্গে বারংবার মেঘের প্রবল গর্জনে কলিঙ্গবাসী কেউ কারোর  কথা শুনতে পাচ্ছিল না। 

  1. কলিঙ্গবাসী কার কথা স্মরণ করেছেন?

উত্তর:) ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে প্রবল বজ্রপাতের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কলিঙ্গবাসী বজ্রনিবারক জৈমিনি ঋষির কথা স্মরণ করেছেন।

  1. “না পায়, দেখিতে কেহ রবির কিরণ ।।”—রবির কিরণ দেখতে না পাওয়ার কারণ কী? 

উত্তর:) ভয়ংকর কালাে মেঘে চারদিক ঢেকে গিয়ে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে কেউ সূর্যরশ্মি দেখতে পাচ্ছিল না। 

  1. গর্ত ছেড়ে কারা জলে ভেসে বেড়াচ্ছে? 

উত্তর:) প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে কলিঙ্গদেশ জলমগ্ন হওয়ায় গর্ত ছেড়ে সাপ জলে ভেসে বেড়াচ্ছে। 

  1. কলিঙ্গদেশে কতদিন টানা বৃষ্টিপাত হয়েছিল ? 

উত্তর:) কলিঙ্গদেশে টানা সাত দিন প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছিল। 

  1. সাত দিন বৃষ্টিতে কৃষিকাজ ও ঘরবাড়ির কী ক্ষতি হল? 

উত্তর:) সাত দিনের বৃষ্টিতে শস্যখেত জলে নিমজ্জিত হওয়ায় ফসল নষ্ট হয়ে গেল এবং প্রবল শিলাবৃষ্টিতে বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেল। 

  1. ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কাব্যাংশে শিল পড়াকে কীসের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে?

উত্তর:) ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কাব্যাংশে বড়াে আকারের শিল পড়াকে ভাদ্র মাসে তাল পড়ার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।

multiple choice questions – 1 marks of কলিঙ্গদেশের ঝড় – বৃষ্টি (মুকুন্দরাম চক্রবর্তী )

1.’কলিঙ্গদেশে ঝড়বৃষ্টি’ কাব্যাংশটির রচয়িতা
A. মুকুন্দরাম B. ভারতচন্দ্র C. দ্বিজমাধব D. মানিক দত্ত
উত্তর : মুকুন্দরাম
2. মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর আবির্ভাবকাল
A. পঞ্চদশ শতাব্দী B. ষোড়শ শতাব্দী C. সপ্তদশ শতাব্দী D. চতুর্দশ শতাব্দী
উত্তর : ষোড়শ শতাব্দী
3. মুকুন্দরাম চক্রবর্তী মধ্যযুগের যে মঙ্গলকাব্য ধারার কবি, সেটি হল
A. মনসামঙ্গল B. চণ্ডীমঙ্গল C. ধর্মমঙ্গল D. সূর্যমঙ্গল
উত্তর : চণ্ডীমঙ্গল
4. মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর রচিত কাব্যের নাম
A. অন্নদামঙ্গল B. শিবমঙ্গল কাব্য C. দুর্গামঙ্গল D. কবিকঙ্কণ চণ্ডী
উত্তর : কবিকঙ্কণ চণ্ডী
5. ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়বৃষ্টি’ কাব্যাংশটি যে কাব্যের অন্তর্গত
A. অন্নদামঙ্গল B. চণ্ডীমঙ্গল C. মনসামঙ্গল D. ধর্মমঙ্গল
উত্তর : চণ্ডীমঙ্গল
6. ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়বৃষ্টি’ কাব্যাংশের কবি মুকুন্দরামের উপাধি
A. খেলন কবি B. রায়গুণাকর C. কবিকঙ্কণ D. কেতকাদাস
উত্তর : কবিকঙ্কণ
7. ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়বৃষ্টি’ কাব্যাংশটি চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের যে খণ্ডের অন্তর্গত
A. দেব খণ্ড B. বন্দনা খণ্ড C. আখেটিক খণ্ড D. বণিক খণ্ড
উত্তর : আখেটিক খণ্ড
৪. “দেখিতে না পায় কেহ অঙ্গ আপনার।”—”আপনার” বলতে কাদের কথা বােঝানাে হয়েছে?
A. গুজরাটবাসীর B. কলিঙ্গবাসীর C. অযােধ্যাবাসীর D. ধর্মনগরবাসীর
উত্তর : কলিঙ্গবাসীর
9. ” _____উড়িল মেঘ সঘনে চিকুর |”— উপযুক্ত শব্দটি বেছে নিয়ে শূন্যস্থানে বসাও
A. পবনে B. ঈশানে C. উত্তরে D. পূর্বে
উত্তর : ঈশানে
10. ‘চিকুর’ শব্দটি কাব্যাংশে যে অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে—
A. মেঘ B. বৃষ্টি C. বিদ্যুতের ঝিলিক D. মেঘের গর্জন
উত্তর : বিদ্যুতের ঝিলিক
11. ঈশান হল –
A. উত্তর-পূর্ব কোণ B. পূর্ব কোণ C. উত্তর কোণ D. দক্ষিণ কোণ
উত্তর : উত্তর-পূর্ব কোণ
12. “নিমিষেকে জোড়ে মেঘ গগন-মণ্ডল “—’নিমিষেকে’ শব্দটির অর্থ—
A. অতি অল্প সময়ে B. এক দিনে C. ব্যাং D. কালাে বর্ণ
উত্তর : অতি অল্প সময়ে
13. “…মেঘ ডাকে দুর দুর।”—মেঘ যেখানে ডাকে—
A. দক্ষিণ আকাশে B. উত্তর পবনে C. পশ্চিম আকাশে D. পূর্ব পবনে
উত্তর : পশ্চিম আকাশে
14. ” ___উড়িয়া মেঘ ডাকে উচ্চনাদ।”—শূন্যস্থানে উপযুক্ত শব্দটি বসাও।
A. ঈশানে B. কলিঙ্গে C. বিপাকে D. নিরবধি
উত্তর : কলিঙ্গে
15. “চারি মেঘে বরিষে মুষলধারে জল||”- এখানে ‘চারি মেঘ’-এর অর্থ—
A. চারদিকের মেঘ B. বিচরণশীল মেঘ C. গর্জনশীল মেঘ D. ঘন মেঘ
উত্তর : চারদিকের মেঘ
16. “প্রলয় গণিয়া প্রজা ভাবয়ে বিষাদ।”—কোন্ প্রজাদের কথা বলা হয়েছে?
A. গুজরাটবাসী B. কলিঙ্গবাসী C. ধর্মনগরবাসী D. কৃষ্ঞনগরবাসী
উত্তর : কলিঙ্গবাসী
17. “প্রলয় গণিয়া প্রজা ভাবয়ে বিষাদ।”—প্রজাদের বিষাদের কারণ কী?
A. কলিঙ্গে ঝড়বৃষ্টি B. কলিঙ্গে ভূমিকম্প C. কলিঙ্গে অগ্নিসংযােগ D. কলিঙ্গে খরা
উত্তর : কলিঙ্গে ঝড়বৃষ্টি
18. “হুড় হুড় দুড় দুড় বহে ঘন ঝড়।”—’হুড় হুড় দুড় দুড়’ শব্দের দ্বারা যা বােঝানাে হয়েছে তা হল—-
A. বৃষ্টির শব্দ B. বাজের শব্দ C. ঝড়ের শব্দ D. মেঘের শব্দ
উত্তর : ঝড়ের শব্দ
19. ” ____ভবন ছাড়ি প্রজা দিল রড়।”—যে কারণে একথা বলা হয়েছে, তা হল
A. আনন্দে B. বিপাকে C. দুঃখে D. ভয়ে
উত্তর : বিপাকে
20. “বিপাকে ভবন ছাড়ি প্রজা দিল রড়।”—’রড়’ শব্দটির অর্থ—
A. পালানাে B. কাঁদা C. হাসি D. দুঃখ
উত্তর : পালানাে
21. “বিপাকে ভবন ছাড়ি প্রজা দিল রড়।”—পঙক্তিটিতে যে‌ ধরনের বিপদের কথা বলা হয়েছে, সেটি হল—
A. চারদিক হঠাৎ অন্ধকার হয়ে এসেছে B. মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে C. ভয়াবহ ঝড় এসেছে D. উপরের সবকটি
উত্তর : উপরের সবকটি
22. কলিঙ্গে ঝড়বৃষ্টিতে ধুলায় আচ্ছাদিত হল—
A. বাড়িঘর B. মানুষ C. সবুজ মাঠ ও গাছ D. জলাশয়
উত্তর : সবুজ মাঠ ও গাছ
23. “… প্রজা চমকিত।।” –প্রজাদের চমকিত হওয়ার কারণ—
A. কলিঙ্গদেশে হঠাৎ ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে B. ঝড়ের দাপটে মাঠের শস্য উপড়ে গেছে
C. সাত দিন ধরে একটানা বৃষ্টি হয়ে চলেছে D. এমন মেঘের গর্জন তারা আগে কখনও শােনেনি
উত্তর : ঝড়ের দাপটে মাঠের শস্য উপড়ে গেছে
24. “…বেঙ্গ-তড়কা বাজ||” –’তড়কা’ কী?
A. উড়ে বেড়ানাে B. লাফিয়ে পড়া C. থেমে থাকা D. বন্ধ থাকা
উত্তর : লাফিয়ে পড়া
25. “করি-কর সমান বরিষে জলধারা।”—’করি-কর’ শব্দটির অর্থ—
A. হাতির শুঁড় B. বাঘের ডাক C. ঘােড়ার ডাক D. বিড়ালের ডাক
উত্তর : হাতির শুঁড়
26. ‘জলে মহী একাকার’ হওয়ার ফলে কী হল?
A. পথ হারাল B. বাড়ি ভাঙল C. মানুষ ডুবে গেল D. বাজ পড়ল
উত্তর : পথ হারাল
27. “কারাে কথা শুনিতে না পায় কোনাে জন”—কারাে কথা, কেউ শুনতে না পাওয়ার কারণ কী?
A. মেঘের গর্জন B. বৃষ্টির শব্দ C. হাতির গর্জন D. ঘােড়ার রব
উত্তর : মেঘের গর্জন
28. ঝড়বৃষ্টির বিপদে কলিঙ্গবাসী যাঁকে স্মরণ করেছে—
A. মুকুন্দরাম B. জৈমিনি C. কৃষ্ঞ D. চণ্ডী
উত্তর : জৈমিনি
29. “পরিচ্ছিন্ন নাহি সন্ধ্যা দিবস রজনী।”—দিবস-রজনী পরিচ্ছিন্ন না থাকার কারণ—
A. আকাশ সর্বক্ষণ মেঘে অন্ধকার B. কেউ বাড়ির বাইরে বেরােয়নি
C. দেবী চণ্ডীর মায়ায় এমনটি ঘটেছে D. নানা ঘটনায় কেমন করে দিন কেটে গেছে বােঝাই যায়নি
উত্তর : আকাশ সর্বক্ষণ মেঘে অন্ধকার
30. “কলিঙ্গে সােঙরে সকল লােক যে জৈমিনি ||”—কলিঙ্গের মানুষ জৈমিনিকে স্মরণ করেছেন, কারণ–
A. তিনি বজ্রকে নিবারণ করতে পারেন B. তিনি বৃষ্টিকে বন্ধ করার বিদ্যা আয়ত্ত করেছেন
C. তিনি তাঁদের অন্যত্র থাকার ব্যবস্থা করে দিতে পারেন D. জৈমিনি তাঁদের রাজা, বিপদে তিনিই সাহায্য করতে পারেন
উত্তর : তিনি বজ্রকে নিবারণ করতে পারেন

short questions – 2-3 marks of কলিঙ্গদেশের ঝড় – বৃষ্টি (মুকুন্দরাম চক্রবর্তী )

1.”দেখিতে না পায় কেহ অঙ্গ আপনার।।” —কারাের অঙ্গ দেখতে না পাওয়ার কারণ কী?

উত্তর:) কলিঙ্গদেশ হঠাৎ করেই ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে। ঘন কালো মেঘে আকাশ ঢেকে যায় । ঘন ঘন কালো মেঘের বুক ভেদ করে বজ্রপাত হতে দেখা যায়। চারিদিকে কালো মেঘের সমারোহের ফলে পুরো কলিঙ্গদেশ অন্ধকারে ঢেকে যায় । অন্ধকার এত ঘন হয়ে গিয়েছিল যে প্রজারা এর মধ্য দিয়ে তাদের নিজেদের মুখ দেখতে পাচ্ছিলেন না ।

  1. “ঈশানে উড়িল মেঘ সঘনে চিকুর।”—উদ্ধৃতাংশটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করাে। 

উত্তর:) মুষলধারে বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কলিঙ্গদেশ। সেই ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের কথা এখানে বর্ণিত হয়েছে। ঘন মেঘের কারণে কলিঙ্গদেশের আকাশের উত্তর-পূর্ব অংশ বা ঈশান কোণ সম্পূর্ণ অন্ধকার হয়ে গেছে। মেঘের বুক চিরে ক্রমাগত বজ্রপাতের ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে ওঠে।

  1. “নিমিষেকে জোড়ে মেঘ গগন-মণ্ডল।”— গগনমণ্ডলে মেঘ জুড়ে কী পরিস্থিতি সৃষ্টি হল? 

উত্তর:)“কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি” কাব্যাংশের উল্লেখিত পংক্তিতে কলিঙ্গদেশের ভয়াবহ বৃষ্টিপাতের বর্ণনা করা হয়েছে। নিমিষেক অর্থাৎ কলিঙ্গদেশ অতি অল্পসময়ের জন্য ঘন কালো মেঘে ঢেকে যায়। উত্তর-পূর্ব কোণের গভীর অন্ধকারে, আকাশ কেঁপে উঠেছিল বিদ্যুতের ঝলকানিতে। যার ফলে পুরো আকাশ জুড়ে কালো মেঘের দ্বারা চারিদিক অন্ধকারে চেয়ে যায়। 

  1. “চারি মেঘে বরিষে মুষলধারে জল৷৷”—মুষলধারে জল বর্ষণের কারণ কী? 

উত্তর:) “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি” কাব্যাংশে লেখক সেখানে ঘটে যাওয়া বিপর্যয়ের বর্ণনা দেয়। কলিঙ্গদেশের আকাশ হঠাৎ কালো মেঘের আস্তরণে ঢেকে গেছে। অন্ধকারে কলিঙ্গের বাসিন্দারা নিজেদের মুখ দেখতে পারছেন না। সর্বত্র অন্ধকার ছিল, কিন্তু  উত্তর-পূর্ব কোণে ঘন মেঘ জমেছিল। বিদ্যুতের ঝিলিক এবং বজ্রপাতের ফলে পৃথিবী কেঁপে ওঠে। দূর থেকে মেঘের গর্জন শব্দ শোনা যায়। পুরো আকাশ দ্রুত কালো মেঘে ঢেকে যায় । এরপর কলিঙ্গদেশে প্রবল বৃষ্টি হয়।

  1. “কলিঙ্গে উড়িয়া মেঘ ডাকে উচ্চনাদ।”—কলিঙ্গের অবস্থান উল্লেখ করে উদ্ধৃতাংশটির ব্যাখ্যা করাে।

উত্তর:) আধুনিক ওড়িশা, উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশের কিছু অঞ্চলের অধিকাংশই প্রাচীন কলিঙ্গ প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত ছিল।

কবিকঙ্কন মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর “কলিঙ্গদেশের ঝড়-বৃষ্টি”  কাব্যাংশে কলিঙ্গদেশের বিধ্বংসী বন্যা বর্ণনা করেছেন। কলিঙ্গের আকাশ আকস্মিকভাবে ভারী, কালো মেঘে ঢাকা পড়ে। উত্তর-পূর্ব কোণে মেঘের আবরণে বজ্রপাত দেখা যায়। দূর থেকে আকাশ কালো মেঘে আবৃত ছিল এবং মেঘের গর্জন শোনা যাচ্ছিল। মেঘের গর্জন মুষলধারে বৃষ্টি শুরুর ইঙ্গিত দেয়। মেঘের গর্জনে কলিঙ্গ পুরো কেঁপে উঠল।

  1. “প্রলয় গণিয়া প্রজা ভাবয়ে বিষাদ।”—এখানে প্রজাদের বিষাদের কারণ কী? 

উত্তর:) উদ্ধৃতিটি “কলিঙ্গদেশ ঝড়-বৃষ্টি” কাব্যাংশে এটি কলিঙ্গদেশের বাসিন্দাদের নির্দেশ করে।

কলিঙ্গদেশের আকাশ আকস্মিকভাবে ভারী, কালো মেঘে ঢাকা পড়ে। মেঘগুলি উত্তর-পূর্ব কোণে সমগ্র আকাশকে ঢেকে রাখে এবং সমগ্র কলিঙ্গের উপর অন্ধকার নেমে আসে। মেঘের গাম্ভীর্যপূর্ণ শব্দ একটি শক্তিশালী উত্তরের বাতাস দ্বারা বহু দূরে ভেসে আসে । প্রবল বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগে মেঘগুলো জোরে বজ্রপাত শুরু করে এবং প্রবল বর্ষণ হয়। একটি বড় বন্যার ভয় জনসংখ্যা হতাশার দিকে পরিচালিত করে।

  1. “বিপাকে ভবন ছাড়ি প্রজা দিল রড়।।”—প্রজাদের বিপাকের কারণ কী?

উত্তর:)”কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি” কাব্যংশে এই শ্লোকটি কলিঙ্গদেশের মানুষের গল্প বলে, যারা বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে।

প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কলিঙ্গদেশ। কলিঙ্গদেশের লোকেরা তাদের বাড়িঘর ছেড়ে চলে গিয়েছিল যখন ঝড়টি মাথার উপরে উঠেছিল, তার সাথে প্রবল বৃষ্টি, মেঘের গর্জন এবং প্রবল বাতাস নিয়ে আসে।

“কলিঙ্গদেশ ঝড়-বৃষ্টি” কবিতাটি যেখান থেকে এই অনুচ্ছেদটি নেওয়া হয়েছে, তা কলিঙ্গদেশের দিকে যাওয়ার পথের অন্তর্ধানের জন্য বিলাপ করে।

কলিঙ্গের উপরে আকাশে ঘন কালো মেঘের আচমকা দেখা গেল। মেঘের গর্জনের সাথে সাথে অঝোরে বৃষ্টি নামতে শুরু করেছে। যেন আটটি দিক-হাতি, তাদের শুঁড় ব্যবহার করে জল বর্ষণ তীব্র গতিতে চালাচ্ছে। তীব্র বর্ষণে পুরো কলিঙ্গদেশ অঞ্চল তলিয়ে গেছে। কলিঙ্গদেশে পথ চলে গেছে, মাটি ও জলের পার্থক্য মুছে গেছে।

  1. “কলিঙ্গে সােঙরে সকল লােক যে জৈমিনি।।”—কলিঙ্গবাসীর জৈমিনিকে স্মরণের কারণ কী?

উত্তর:) জৈমিনি হলেন একজন বাকসিদ্ধ ঋষি যাঁর নাম স্মরণে বজ্রপাত বন্ধ হয় এবং এই বিশ্বাসে মানুষ বজ্রপাতের সময় ঋষি জৈমিনির নামকীর্তন করে। 

কলিঙ্গের আকাশ হঠাৎ ঘন কালো মেঘে ভরে ওঠে । মেঘ ঘনঘন বজ্রপাত সৃষ্টি করে। মেঘের গর্জনের সাথে সাথে তুমুল বৃষ্টি শুরু হয় । মেঘের এই গভীর গর্জন, ঘনঘন বজ্রপাত, ঝড়ের প্রবল তান্ডব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ঋষি জৈমিনিকে তারা স্মরণ করতে থাকে। 

  1. “না পায় দেখিতে কেহ রবির কিরণ।।”—কারা, কেন‌ রবির কিরণ দেখতে পায়নি? 

উত্তর:) “কলিঙ্গদেশের ঝড়-বৃষ্টি” কাব্যাংশে উদ্ধৃতাংশে ঝড়ের দ্বারা প্রভাবিত কলিঙ্গবাসীর কথা আলোচনা করা হয়েছে।

কলিঙ্গদেশের আকাশে হঠাৎ এক বিশাল মেঘ তৈরি হয় । সমগ্র কলিঙ্গদেশ মেঘের সাথে বিদ্যুতের ঝলকে কেঁপে ওঠে। দূর থেকে মেঘের শব্দে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয় । কালো মেঘের ফলে কলিঙ্গদেশে অন্ধকারের সৃষ্টি হলে কলিঙ্গের বাসিন্দারা দিন এবং রাতের মধ্যে পার্থক্য করতে অক্ষম। সাত দিন ধরে অবিরাম বৃষ্টি হয়েছিল এবং এত অন্ধকার ছিল যে তারা সূর্য দেখতে পায়নি ।

  1. “চণ্ডীর আদেশে ধায় নদনদীগণ।”—এর ফলে কী হয়েছে?

উত্তর:) “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি” কবিতায় দেবী চণ্ডী কলিঙ্গের নদীগুলিকে উত্থিত ও প্রবাহিত করেন। দেবী কলিঙ্গে কালো মেঘের ঢেউ ও প্রলয় নিয়ে এসেছিলেন। সাত দিনের অবিরাম বৃষ্টির ফলে কলিঙ্গ দেশের ভূমি ও জল এক হয়ে গেছিল । দেবীর আদেশে কলিঙ্গের নদ-নদী আবার পূর্ণ ক্ষমতায় প্রবাহিত হতে থাকে। কলিঙ্গদেশের ঘরবাড়ি নদীর ঢেউ দ্বারা বয়ে গিয়েছিল।

long questions – 5 marks of কলিঙ্গদেশের ঝড় – বৃষ্টি (মুকুন্দরাম চক্রবর্তী )

  1. ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কাব্যাংশের বিষয়বস্তু লেখাে।। 

উত্তর:) কবিকঙ্কন মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি” কাব্যাংশটি তাঁর “অভয়মঙ্গল” সংকলনের আখেতিক বিভাগের অংশ।

মেঘ যখন চারদিক থেকে কলিঙ্গকে ঘিরে ফেলল, তখন এত অন্ধকার হয়ে গেল যে বাসিন্দারা নিজেদের মুখও দেখতে পেল না। আকাশের উত্তর-পূর্ব  কোণে ককালো মেঘ জড়ো হচ্ছে এবং তাদের মধ্য দিয়ে বজ্রপাত হচ্ছে। মেঘগুলি অশুভভাবে গর্জন করতে শুরু করে, এবং তারপরে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। বিপদ টের পেয়ে বাড়ির বাসিন্দারা দ্রুত সরিয়ে নেন।

ধুলোবালি জমেছে প্রকৃতির সবুজে। তাদের খামার প্লাবিত হওয়ায় মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। মুষলধারে বৃষ্টির সাথে বজ্রপাত ও বিকট বজ্রপাত অব্যাহত ছিল। লোকেরা একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারেনি কারণ তাদের কণ্ঠস্বর রাগ মেঘের দ্বারা নিমজ্জিত হয়েছিল। অবিরাম বৃষ্টি রাত থেকে দিন বলা অসম্ভব করে তোলে। হুমকি দূর করার জন্য তারা ঋষি জৈমিনীকে স্মরণ করে। মাটিতে অনেক পানি থাকায় সাপ ভেসে বেড়ায়। এতে ফসল ও ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়। ভাদ্র মাসের নিয়মিততা নিয়ে বাড়ির ধান ভেদ করে বড় বড় শিলাবৃষ্টি পড়তে থাকে। পাহাড়ি নদীর উত্তাল ঢেউয়ে ঘরবাড়িগুলো ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এই বিধ্বংসী ঝড়ের গল্পটি শ্রীকবিকঙ্কন তাঁর রচনা অম্বিকামঙ্গলে সঙ্গীতে সেট করেছিলেন।

  1. “বিপাকে ভবন ছাড়ি প্রজা দিল রড়।।”—কোথাকার প্রজা? কী কারণে তারা বিপাকে পড়েছিল ? তাদের পরিণতি কী হল?

উত্তর:) উদ্ধৃতাংশটি কবিকঙ্কন মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর “কলিঙ্গদেশ ঝড়-বৃষ্টি” কাব্যাংশ থেকে সংকলিত, যা কলিঙ্গদেশের প্রজাদের নিয়ে আলোচনা করে।

কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি বিপর্যয় ডেকে আনে। কলিঙ্গের উপরের আকাশ ঘন কালো মেঘ দ্বারা সম্পূর্ণরূপে অস্পষ্ট। মেঘেরা একটা গম্ভীর গর্জন করে, আর বিদ্যুত আকাশে গর্জন করে। মেঘের ওপার থেকে, একটি শক্তিশালী উত্তরের বাতাস শোনা যাচ্ছিল। বজ্রপাতের মেঘ এবং হিংস্র ঝড় ভারী বৃষ্টির অনুসরণ করে। মানুষ তাদের নিরাপত্তার ভয়ে তাদের ঘর ছেড়েছে।

সাতদিনের বৃষ্টির পর কলিঙ্গবাসী হতাশায় ভুগছিল।

জলাবদ্ধতার কারণে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। মেঘের গর্জনের কারণে বাসিন্দারা একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে অক্ষম। আতঙ্কিত জনতা সেই বিপদ থেকে রক্ষা পেতে জৈমিনি ঋষির প্রার্থনা করতে থাকে। যখন প্রবল বৃষ্টি হয়, মানুষ সূর্যকেও দেখতে পায় না, তাই দিন এবং রাত আলাদা হয়ে যায়। ভাদ্র মাসের পাকা তালের মতো শিলের অবিরাম স্রোত বাড়ির ছাদ ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়ছিল। সাত দিন ধরে তীব্র বর্ষণ কলিঙ্গদেশের অস্তিত্বকে মারাত্মকভাবে বিপদেরর মুখে ফেলেছে।

  1. কলিঙ্গে যে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটেছে তার বর্ণনা দাও।

উত্তর:) মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর কাব্যাংশে “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি,” যা চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের আখেতিক বিভাগে পাওয়া যায়, সেই গল্পটি বলে যে কীভাবে দেবী চণ্ডী কলিঙ্গে বন্যা প্রবাহিত করেছিলেন যাতে তাঁর ভক্ত ব্যাধ কালকেতু গুজরাটে একটি নতুন শহর খুঁজে পেতে পারেন।

কলিঙ্গের আকাশ পূর্বদিকে মেঘলা। প্রায়ই বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। দূর থেকে মেঘের শব্দে শুরু হলো মুষলধারে বৃষ্টি। বিপদের ভয়ে লোকজন ঘর ছেড়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। ঝড় ফসল এবং সমস্ত সবুজ নিশ্চিহ্ন করেছে। যেন আটটি মূল দিক থেকে বৃষ্টির হাতিরা সবকিছু ধুয়ে ফেলতে চায়। টানা বর্ষণে রাস্তাঘাট জলমগ্ন। রাত এবং দিনের মধ্যেকার মে পার্থক্য স্পষ্ট ছিল তা একটি ধূসর এলাকা দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে। প্লাবিত মহাসড়কে সাপ ভাসতে থাকে। আতঙ্কিত লোকেরা জ্ঞানী জৈমিনীর কথা ভাবতে থাকে। সাত দিনের অবিরাম বর্ষণে ভেসে গেছে ফসল ও ঘরবাড়ি। ভাদ্র মাসের পাকা তালের মতো বাড়ির ধানের চাল ভেঙে বড় বড় শিল আছড়ে পড়ে। দেবীর নির্দেশে, সমস্ত নদী কলিঙ্গে মিলিত হয়। পাহাড়ি ঢেউয়ের আঘাতে অনেক বাড়িঘর ধসে পড়ে মাটিতে। কলিঙ্গের নাগরিকরা, দেবী চণ্ডী যে ভয়ানক প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটার নির্দেশ দিয়েছিলেন তা থামাতে শক্তিহীন, আসন্ন বিপদের মুখে শহর ছেড়ে পালিয়ে যায়।

error: Content is protected !!
Scroll to Top
×

এই ওয়েবসাইটের সব কনটেন্ট এক্সেস করুন শুধু একটা মেম্বারশীপের সাথে।  আজকেই ক্লিক করুন নিচে রেজিস্টার করার জন্যে।  অসুবিধে হলে হোয়াটস্যাপ করুন আমাদের  +919804282819