নব নব সৃষ্টি- (Nobo Nobo Shrishti) Bangla Literature Subject WBBSE Class 9

আপনি এখানে শিখবেন এই অধ্যায়ে এবং বিষয়ের ফাউন্ডেশন অংশটা, এই বিষয়টিকে সহজ-সরলভাবে পড়িয়েছেন বিশেষজ্ঞ শিক্ষক ভিডিও লেকচার এর মাধ্যমে এবং এই পুরো অধ্যায়কে চার ভাগে খন্ডিত করে আপনার জন্য তৈরি করা হয়েছে

  • প্রথম খন্ডে আপনি শিখবেন ফাউন্ডেশন অংশটা যেখানে অধ্যায়ের ব্যাপারে আপনাকে বোঝানো হয়েছে তার মানে definitions,basics  গুলো সহজভাবে.  এবং এটাকে আপনি বুঝতে পারবেন যেটা আপনাকে পরীক্ষার জন্য ক্রীপের করতে সাহায্য করবে
  • দ্বিতীয় মডিউলে আপনি শিখবেন MCQ মাল্টিপল চয়েস কোশ্চেন যেটা সাধারণত এক Marks’er আসে পরীক্ষায়
  • তৃতীয় মডিউলে আপনি শিখবেন শর্ট অ্যানসার এবং কোয়েশ্চেন, যেটা আপনার পরীক্ষার সাজেশন মধ্যে পড়ে এবং এটা 3-4 marks’er  প্রশ্ন আসে আপনার পরীক্ষা
  • চতুর্থ মডিউল আপনি শিখবেন লং আনসার এবং questions যেটা সাধারণত 5-6 marks er হয়

আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন যাতে কি আপনাকে আমরা সাহায্য করতে পারি

বিষয়সংক্ষেপ

লেখকের মতে, অধিকাংশ প্রাচীন ভাষাই ছিল স্বাধীন ও স্বয়ংসম্পূর্ণ। পরবর্তী ভাষা যেমন হিব্রু, গ্রীক, আবেস্তা, সংস্কৃত, এবং কিছু পরিমাণে, আরবি নতুন ভাষা শেখার সময় প্রথমে তাদের নিজস্ব শব্দভান্ডারে খোঁজ করে। লেখক এই ভাষাগুলির কোনটির স্বয়ংসম্পূর্ণতা নিয়ে আপত্তি করেননি কারণ তারা সবাই খুব কম বিদেশী ভাষা ব্যবহার করেছে। এই রায়ে লেখক দাবি করেছেন যে বর্তমান সময়ের বাংলা এবং ইংরেজি বিদেশী ভাষার উপর নির্ভরশীল। কারণ ইংরেজি এবং বাংলা প্রায়শই বিদেশী শব্দ ব্যবহার করে। পাঠান-মুঘল যুগে আরবি-ফার্সি শব্দ খুবই প্রচলিত ছিল এবং এর মধ্যে অনেক শব্দ বাংলায় প্রবেশ করেছে।

লেখক দাবি করেছেন যে বিদেশী শব্দের অন্তর্ভুক্তি সঠিক কিনা তা নিয়ে আলোচনা না করেই বিদেশী শব্দ বাংলা ভাষায় প্রবেশ করবে এতে কোন সন্দেহ নেই। আলুকপির বা বিলিতি ওষুধের ব্যবহার বাড়ার সাথে সাথে বাংলায় বিদেশী শব্দের ব্যবহার অব্যাহত থাকবে এবং নতুন শব্দও প্রবেশ করবে।

তরুণ হিন্দি লেখকরা হিন্দি ভাষা থেকে আরবি, ফারসি ও ইংরেজিকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা শুরু করেছেন। ভবিষ্যতের ঘটনাগুলি নির্ধারণ করবে যে তাদের “প্রচেষ্টা” ইতিবাচক বা নেতিবাচক ফলাফল তৈরি করেছে। অন্যদিকে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল বা বিদ্যাসাগর বাংলায় বিদেশি শব্দ ব্যবহার করেছেন স্বাচ্ছন্দ্যে। এমনকি মুন্সি প্রেমচাঁদ, যার হিন্দি ভাষার বঙ্কিমচন্দ্র, তিনিও হিন্দি ভাষায় আরবি-ফারসি শব্দ ব্যবহার করেছেন। লেখক দাবি করেছেন যে বিষয়বস্তু কাজের ভাষাকে প্রভাবিত করে। বাংলা লেখকরা তাদের ভাষা বেছে নিয়েছেন হাতে থাকা বিষয়ের উপর ভিত্তি করে। শঙ্কর দর্শনের ভাষা সংস্কৃত হবে, যেখানে মোগলাই রেস্তোরাঁর ভাষাটি “হুতোম প্যাঁচার নকশা”র ভাষার এর সাথে তুলনীয় হবে। ‘বসুমতী’ পত্রিকার সম্পাদকের ভাষা গম্ভীর হলেও ‘বাঁকা চোখে’র ভাষায় রয়েছে চালাকি।

আরবি, ফারসি এবং ইংরেজি হল কয়েকটি বিদেশী শব্দ যা বাংলায় এসেছে। সংস্কৃত জাতিতে ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল এবং এটি বাংলাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছিল। ফলে সংস্কৃত শব্দ বিদেশী নয়। সংস্কৃত এখনও বাংলার জন্য প্রয়োজনীয়, তাই স্কুল-কলেজে এটি পড়ানো বন্ধ করা উচিত নয়। ইংরেজি ভাষাই একমাত্র যা দর্শন, নন্দনতত্ত্ব এবং বিজ্ঞানের সাহিত্যে ব্যবহার করা যেতে পারে, তাই এটির ক্ষেত্রেও একই কথা। কারণ রেলপথের ইঞ্জিন কীভাবে পরিচালনা করতে হয় তা বোঝার জন্য ইংরেজি ভাষা প্রয়োজন।

তরুণ বাঙালি সম্প্রদায় ধীরে ধীরে আরবি ও ফারসি এই দুটি ভাষার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেললে বাংলায় আর সেগুলি প্রবেশ করবে না। আরবি-ফার্সি শব্দগুলি যেগুলি ইতিমধ্যেই বাংলায় মিশে গেছে, তবে দীর্ঘকাল ধরে ব্যবহৃত হতে থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে প্রাচীন বাংলা পড়ানো হয় বলে তরুণ লেখক সম্প্রদায় প্রায় পুরানো আরবি-ফারসি শব্দ ব্যবহার করে। লেখক এই পরিস্থিতিতে চলমান এবং অচল ভাষার মধ্যে পার্থক্য গণনা করেছেন।

যদিও প্রাচীনকাল থেকেই ভারতীয় মোক্তব-মাদ্রাসায় আরবি পড়ানো হয়, ভারতে আর্যরা ফারসি ভাষার প্রতি বেশি আকৃষ্ট ছিল। হিন্দি এবং উর্দুতে আরবির স্বতন্ত্র প্রভাব কম, ফার্সি ভাষার বেশি।

সেমিতি আরবি এবং আর্য ইরানী ভাষার সংঘর্ষের ফলে আধুনিক ফার্সি উৎপন্ন হয়। নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে, ফার্সি ভাষা অবশেষে একটি শক্তিশালী সাহিত্য তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল। ভারতে ফার্সির সাথে সিন্ধি, উর্দু এবং কাশ্মীরি ভাষাও তৈরি হয়েছিল। উর্দু কবি ইকবাল উর্দু ভাষাকে ফার্সির মতো শোনানো থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করেছিলেন।

বাংলা সাহিত্যের সর্বশ্রেষ্ঠ পদাবলী কীর্তন। এই কাব্যের শ্রী কৃষ্ণ ও শ্রীমতি রাধাকে বাস্তব জীবনের বাঙালি হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে।

আশিকের ক্ষেত্রেও একই কথা সত্য, মুরশিদিয়ার একটি চরিত্র যিনি ভাটিয়ালীর নায়িকা এবং বাউল ভক্ত। বাঙালিরা তাদের সাহিত্যে, রাজনীতিতে, ধর্মে সর্বত্র সত্য-শিব-সুন্দরকে পূজা করেছে এবং সেই পূজায় বাধা পড়লে ক্ষুব্ধ হয়। বাংলার হিন্দু ও মুসলিম উভয় জাতিই এই বিদ্রোহী চেতনার অংশীদার।

নামকরণের সার্থকতা 

সাহিত্যের নামকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেকোনো সাহিত্যের শিরোনামেই তার মূল আভাস খুঁজে পাওয়া যায়। আর সেই শিরোনাম কখনো চরিত্রকেন্দ্রিক কখনো ঘটনাকেন্দ্রিক আবার কখনো বা ব্যঞ্জনাধর্মী হয়ে থাকে। 

“নব নব সৃষ্টি” প্রবন্ধে লেখক এটি দেখানোর চেষ্টা করেছেন যে কোন সৃষ্টি কীভাবে পরীক্ষা, গ্রহণ এবং প্রত্যাখ্যানের মাধ্যমে নির্মিত হয়। সংস্কৃত, হিব্রু, গ্রীক, আবেস্তা এবং এমনকি আরবি সহ প্রাচীন ভাষাগুলি  অনেকাংশে স্বাধীন। আবার, ইংরেজি এবং বাংলা উভয়ই অন্য ভাষা থেকে শব্দ ধার করে। এই শব্দগুলি সর্বকালের জন্য ভাষার মধ্যে গেঁথে আছে। এটা করেছেন রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, বিদ্যাসাগর। শব্দভান্ডার বিষয়বস্তুর উপর নির্ভরশীল। সংস্কৃত ও ইংরেজির সাথে এই গ্রহণে বাংলাকে এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। আরবি-ফরাসি ভাষার প্রভাব অবশ্য কিছুটা কমেছে। সাহিত্যে উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও

আর পরীক্ষা-নিরীক্ষার কারণে এসব ভাষার শব্দও অবশ্য টিকে থাকবে। আবার, এখানে আরবির চেয়ে ফারসিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। উর্দু ও হিন্দি সাহিত্য উভয়তেই ফার্সির প্রভাবের দেখা যায়। যাইহোক, কেউ কেউ, যেমন ইকবাল, ফার্সি প্রভাব থেকে উর্দুকে মুক্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। বিদেশী ভাষার উপর নির্ভর না করে একটি সাহিত্যকর্ম সফল হয় পদাবলী কীর্তন। হিন্দু-মুসলিম যাই হোক না কেন বাঙালির মধ্যে এই বিদ্রোহ সর্বদা বিদ্যমান। সবকিছু মেনে না নিয়ে স্বাধীনভাবে বাঁচতে চায় তারা। সামগ্রিকভাবে, শব্দ ও ভাষাকে ধার নেওয়া বা এড়িয়ে যাওয়ার এই দুটি বিপরীত স্রোতের মধ্যেই সাহিত্যের বিকাশ ঘটে। প্রবন্ধটির নাম, “নব নব সৃষ্টি,” সৃষ্টির অদ্ভুত প্রকৃতি বোঝানোর প্রচেষ্টার ফলে তাৎপর্য অর্জন করেছে।

SOLVED QUESTIONS & ANSWERS of নব নব সৃষ্টি (NOBO NOBO SHRISHTI)

1 MARKS QUESTIONS of নব নব সৃষ্টি (NOBO NOBO SHRISHTI)

  1. ‘নব নব সৃষ্টি’ রচনাংশে কোন্ কোন্ ভাষাকে লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী বলেছেন ‘আত্মনির্ভরশীল’? 

উত্তর:) ‘নব নব সৃষ্টি’ রচনাংশে প্রাচীন যুগের হিব্রু, গ্রিক, আবেস্তা, সংস্কৃত এবং আরবি ভাষাকে ‘আত্মনির্ভরশীল’ বলেছেন। 

  1. কোনাে নতুন চিন্তা বা অনুভূতি বােঝানাের জন্য নবীন শব্দের প্রয়ােজন হলে সংস্কৃত ভাষা কী করে? 

উত্তর:) সংস্কৃত তার আপন ভাণ্ডারেই কোনাে ধাতু বা শব্দের সামান্য পরিবর্তন ঘটিয়ে নতন শব্দ তৈরির চেষ্টা করে।

  1. সংস্কৃতকে স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাষা বলতে লেখকের আপত্তি নেই কেন? 

উত্তর:) সংস্কৃত অন্য ভাষার ওপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজের ভাণ্ডারে অনুসন্ধানের মাধ্যমে নবীন শব্দ তৈরির চেষ্টা করে।

  1. “প্রাচীন যুগের সব ভাষাই তাই।”—প্রাচীন যুগের কোন্ কোন্ ভাষার কথা লেখক উল্লেখ করেছেন?

উত্তর:) লেখক প্রাচীন যুগের সংস্কৃত, হিব্রু, গ্রিক, আবেস্তা এবং কিছুটা পরবর্তী যুগের আরবি ভাষার কথা লেখক বলেছেন।

  1. লেখক সৈয়দ মুজতবা আলীর মতে বর্তমান যুগের কোন্ কোন্ ভাষা আত্মনির্ভরশীল নয়? 

উত্তর:) লেখক সৈয়দ মুজতবা আলীর মতে বর্তমান যুগের ইংরেজি এবং বাংলা ভাষা আত্মনির্ভরশীল নয়।

  1. পাঠান-মােগল যুগে আরবি ও ফারসি থেকে শব্দ গ্রহণ করতে হল কেন? 

উত্তর:) পাঠান-মােগল যুগে আইন-আদালত, খাজনা-খারিজ নতুন রূপে দেখা দেওয়ায় আরবি-ফারসি থেকে শব্দ গ্রহণ করতে হয়। 

  1. ‘নব নব সৃষ্টি’ রচনাংশে লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী কোন্ প্রশ্নকে অবান্তর বলেছেন? 

উত্তর:) ভাষায় বিদেশি শব্দগ্রহণ ভালাে না মন্দ—এই প্রশ্নকে লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী অবান্তর বলেছেন। 

৪. “সে সম্বন্ধে কারও কোনাে সন্দেহ নেই।”—কোন্ বিষয়ে সন্দেহ নেই ? 

উত্তর:) শিক্ষার মাধ্যমরূপে ইংরেজির বদলে বাংলা গ্রহণ করলে প্রচুর পরিমাণে ইউরােপীয় শব্দ বাংলায় প্রবেশ করবে।

  1. ‘নব নব সৃষ্টি’ রচনাংশে লেখক রান্নাঘর থেকে কী কী তাড়ানাে মুশকিল বলেছেন? 

উত্তর:) ‘নব নব সৃষ্টি’ রচনাংশে রান্নাঘর থেকে আলু-কপি তাড়ানাে মুশকিল বলেছেন লেখক। 

  1. “নতুন আমদানিও বন্ধ করা যাবে না।”—কোন্ প্রসঙ্গে লেখক এরূপ বলেছেন?

উত্তর:) বিদেশি দ্রব্যের ব্যবহারের মতাে বিদেশি ভাষাও মাতৃভাষায় থাকবে, এই প্রসঙ্গে একথা বলেছেন লেখক। 

  1. “বহু সাহিত্যিক উঠে পড়ে লেগেছেন”—লেখক কোন্ ভাষার সাহিত্যিকদের কথা বলেছেন? 

উত্তর:) লেখক হিন্দি ভাষার সাহিত্যিকদের কথা বলেছেন। 

  1. “বহু সাহিত্যিক উঠে পড়ে লেগেছেন”—বহু সাহিত্যিক কোন্ কাজে তৎপর হয়েছেন? 

উত্তর:) হিন্দি ভাষা থেকে আরবি, ফারসি এবং ইংরেজি শব্দ দূর করার জন্য তৎপর হয়েছেন হিন্দি ভাষার সাহিত্যিকরা। 

  1. “চেষ্টাটার ফল আমি হয়তাে দেখে যেতে পারবাে না”—কোন্ চেষ্টার কথা বােঝানাে হয়েছে? 

উত্তর:) হিন্দি ভাষা থেকে আরবি, ফারসি বা ইংরেজির মতাে ভাষা দূর করার চেষ্টার কথা বােঝানাে হয়েছে। 

  1. ‘নব নব সৃষ্টি’ রচনাংশে কয়েকজন বাঙালি সাহিত্যিক ও পণ্ডিতব্যক্তির নাম এসেছে। তাঁরা কারা? 

উত্তর:) আলােচ্য রচনাংশে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, বিদ্যাসাগর, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, বঙ্কিমচন্দ্র, আলাল (প্যারীচাঁদ) ও হুতােম (কালীপ্রসন্ন)-এর নাম পাওয়া যায়।

  1. “রবীন্দ্রনাথ স্বচ্ছন্দে লিখেছেন”—রবীন্দ্রনাথের কী লেখার কথা বলেছেন সৈয়দ মুজতবা আলী? 

উত্তর:) বাংলা ভাষায় আরবি-ফারাসি শব্দ খুব স্বচ্ছন্দে ব্যবহার করে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, ‘আব্রু দিয়ে, ইজ্জত্ দিয়ে’ প্রভৃতি। 

  1. নজরুল ইসলাম বাংলা ভাষায় আরবি-ফারসি শব্দ ব্যবহার করেছেন। তার কী কী উদাহরণ দিয়েছেন সৈয়দ মুজতবা আলী? 

উত্তর:) নজরুল ইসলাম ‘ইনক্লাব’ এবং ‘শহিদ’ প্রভৃতি আরবিফারসি শব্দ বাংলা ভাষায় ব্যবহার করেছেন। 

  1. ‘নব নব সৃষ্টি’ রচনাংশে ব্যবহৃত ‘আলাল’ ও ‘হুতােম’ কাদের লেখা, কী কী গ্রন্থ? 

উত্তর:) ‘আলাল’ হল আলালের ঘরের দুলাল, লেখক প্যারীচাঁদ মিত্র। ‘হুতােম’ হল হুতােম প্যাঁচার নকশা, লেখক কালীপ্রসন্ন সিংহ। 

  1. হিন্দি ভাষাসাহিত্যের বঙ্কিম কাকে বলা হয়? 

উত্তর:) হিন্দি ভাষাসাহিত্যের বঙ্কিম বলা হয় সাহিত্যিক মুন্সী প্রেমচাঁদকে।

  1. “এ স্থলে আর একটি কথা বলে রাখা ভালাে।’–কী কথা বলেছেন লেখক? 

উত্তর:) রচনার ভাষা তার বিষয়বস্তুর ওপর নির্ভর করে, একথা বলেছেন লেখক। 

  1. শংকরদর্শন আলােচনায় কোন্ ভাষার ব্যবহার স্বাভাবিক হবে? 

উত্তর:) শংকরদর্শনের আলােচনার ভাষায় সংস্কৃতের আধিক্য থাকাটাই স্বাভাবিক। 

  1. কোন পত্রিকার সম্পাদকীয় রচনার ভাষায় গাম্ভীর্য আছে বলেছেন সৈয়দ মুজতবা আলী? 

উত্তর:) ‘বসুমতী’ পত্রিকার সম্পাদকীয় রচনার ভাষায় গাম্ভীর্য আছে।

  1. বাংলায় যেসব বিদেশি শব্দ ঢুকেছে তার মধ্যে কোন্ কোন্ ভাষা প্রধান বলেছেন লেখক? 

উত্তর:) বাংলায় যেসব বিদেশি শব্দ প্রবেশ করেছে তার মধ্যে আরবি, ফারসি এবং ইংরাজি অন্যতম। 

  1. বিস্তর সংস্কৃত শব্দ বাংলায় প্রবেশের কারণ কী বলেছেন লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী? 

উত্তর:) প্রাচীন যুগ থেকেই বাংলা দেশে সংস্কৃত ভাষার চর্চা ছিল। ফলে বিস্তর সংস্কৃত শব্দ বাংলায় প্রবেশ করেছে। 

  1. “যতদিন থাকবে ততদিন আরও ঢুকবে বলে আশা করতে পারি।”—যতদিন কী থাকার কথা বলেছেন লেখক? 

উত্তর:) বাংলা দেশে যতদিন সংস্কৃত ভাষার চর্চা চলবে ততদিন বাংলা ভাষায় সংস্কৃত শব্দের প্রবেশও চলতে থাকবে। 

  1. স্কুল-কলেজ থেকে যে আমরা সংস্কৃত চর্চা উঠিয়ে দিতে চাই না তার অন্যতম প্রধান কারণ কী বলেছেন লেখক? 

উত্তর:) বাংলা অনেকাংশেই সংস্কৃত ভাষার ওপর নির্ভরশীল, তাই শিক্ষাক্ষেত্রেও সংস্কৃত ভাষার চর্চা বন্ধ হয়নি। 

  1. কোন্ বিশেষ বিশেষ বিদ্যাচর্চায় ইংরেজি অবশ্যই প্রয়ােজন বলে লেখক মনে করেন? 

উত্তর:) দর্শন, নন্দনশাস্ত্র, পদার্থবিদ্যা, রসায়নবিদ্যার মতাে বিদ্যাচর্চায় ইংরেজি অবশ্যই প্রয়ােজন বলে লেখক মনে করেন। 

  1. “এই দুই ভাষা থেকে ব্যাপকভাবে আর নতুন শব্দ বাংলাতে ঢুকবে না।”—কোন্ ‘দুই ভাষা’র কথা এখানে বলা হয়েছে? 

উত্তর:) ‘নব নব সৃষ্টি’ রচনাংশে সৈয়দ মুজতবা আলী দুই ভাষা বলতে আরবি এবং ফারসি ভাষার কথা বলেছেন।

  1. “একমাত্র আরবি-ফারসি শব্দের বেলা অনায়াসে বলা যেতে পারে যে”—লেখক কী বলেছেন? 

উত্তর:) আরবি এবং ফারসি শব্দ বাংলা ভাষায় ব্যাপকভাবে প্রবেশ করবে না—এই কথা অনায়াসে বলেছেন লেখক। 

  1. কোন্ কারণে অচলিত আরবি-ফারসি শব্দ নতুন মেয়াদ পাবে বলেছেন লেখক? 

উত্তর:) বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রমে ছাত্রছাত্রীরা বাংলা ভাষার প্রাচীনকালের বই পড়ার ফলেই আরবি-ফারসি শব্দ নতুন মেয়াদ পাবে। 

  1. হিন্দি গদ্যের ওপর কোন্ ভাষার প্রভাব পড়ার কথা বলেছেন লেখক? 

উত্তর:) হিন্দি গদ্যের ওপর ফারসি ভাষার প্রভাব পড়ার কথা বলেছেন লেখক।

multiple choice questions – 1 marks of নব নব সৃষ্টি (NOBO NOBO SHRISHTI)

1. ‘নব নব সৃষ্টি’ রচনাংশটির রচয়িতা হলেন—
A. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর B. সৈয়দ মুজতবা আলী C. বুদ্ধদেব গুহ D. বেগম রােকেয়া
উত্তর:) সৈয়দ মুজতবা আলী
2. সৈয়দ মুজতবা আলীর ছদ্মনাম—
A. ভানুসিংহ B. ওমর খৈয়াম C. অনিলা দেবী D. মৌমাছি
উত্তর:) ওমর খৈয়াম
3. ‘নব নব সৃষ্টি’ প্রবন্ধটি সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত যে মূল প্রবন্ধের অংশবিশেষ, সেটি হল—
A. বেজো না চরণে চরণে B. ফরাসীবাংলা C. পুস্পধনু D. মামদোর পুনর্জন্ম
উত্তর:) মামদোর পুনর্জন্ম

4. ‘নব নব সৃষ্টি’ প্রবন্ধটি সৈয়দ মুজতবা আলীর যে গ্রন্থ থেকে সংকলিত তার নাম—
A. পঞ্চতন্ত্র (প্রথম পর্ব) B. পঞ্চতন্ত্র (দ্বিতীয় পর্ব) C. ময়ূরকণ্ঠী D. চতুরঙ্গ
উত্তর:) চতুরঙ্গ
5. ‘চতুরঙ্গ’ গ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয়—
A. ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে B. ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে C. ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে D. ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে
উত্তর:) ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে
6. ‘নব নব সৃষ্টি’ রচনাংশে যে ভাষাকে লেখক বলেছেন আত্মনির্ভরশীল
A. হিন্দি B. বাংলা C. ইংরেজি D. সংস্কৃত
উত্তর:) সংস্কৃত
7. “সংস্কৃত ভাষা আত্মনির্ভরশীল”। —লেখক সংস্কৃতকে আত্মনির্ভরশীল বলেছেন, কারণ—
A. সংস্কৃত কখনও বিদেশি শব্দ গ্রহণ করেনি
B. সংস্কৃত এখন আর কোনাে বিদেশি শব্দ গ্রহণ করে না
C. কোনাে নতুন চিন্তা অনুভূতি বা বস্তুর জন্য নতুন শব্দের প্রয়ােজন হলে সংস্কৃত নিজের মধ্যেই তার অনুসন্ধান করে
D. সংস্কৃত হল অন্যতম প্রাচীন একটি ভাষা
উত্তর:) কোনাে নতুন চিন্তা অনুভূতি বা বস্তুর জন্য নতুন শব্দের প্রয়ােজন হলে সংস্কৃত নিজের মধ্যেই তার অনুসন্ধান করে
8. কোনাে নতুন চিন্তা, অনুভূতি কিংবা বস্তুর জন্য নবীন শব্দের প্রয়ােজন হলে যে ভাষা ধার করার কথা ভাবে না—
A. হিন্দি B. বাংলা C. ইংরেজি D. সংস্কৃত
উত্তর:) সংস্কৃত
9. যে ভাষাকে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলতে লেখক আপত্তি প্রকাশ করেননি, তা হল—
A. হিন্দি B. সংস্কৃত C. আরবি D. বাংলা
উত্তর:) সংস্কৃত
10. “সংস্কৃতকে স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাষা বলতে কারও কোনাে আপত্তি থাকার কথা নয়।” – সংস্কৃতকে স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাষা বলা যায়, কারণ—
A. চিরকাল সকলে এমনভাবেই ভাষাটিকে চিনে এসেছে
B. সংস্কৃত অত্যন্ত কমসংখ্যক শব্দই অন্যভাষা থেকে গ্রহণ করেছে
C. অন্য কোনাে ভাষার শব্দ সংস্কৃতে স্থান পায়নি
D. অন্য ভাষা থেকে শব্দ নিলেও সংস্কৃত শব্দ অন্য কোনাে ভাষায় প্রবেশ করেনি
উত্তর:) সংস্কৃত অত্যন্ত কমসংখ্যক শব্দই অন্যভাষা থেকে গ্রহণ করেছে
11. প্রাচীন যুগের ভাষা নয়—
A. হিব্রু B. গ্রিক C. আবেস্তা D. এসপারেন্তো
উত্তর:) এসপারেন্তো
12. যে ভাষাগুলিকে লেখক আত্মনির্ভরশীল এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্বয়ংসম্পূর্ণ বলেছেন, সেগুলি হল—
A. বাংলা, ইংরেজি B. হিন্দি, গুজরাটি C. হিব্রু, গ্রিক D. কাশ্মীরি, সিন্ধি
উত্তর:) হিব্রু, গ্রিক
13. ‘নব নব সৃষ্টি’ প্রবন্ধে লেখক নীচের যে ভাষাটিকে আত্মনির্ভরশীল বলেননি, সেটি হল—
A. হিব্রু B. আবেস্তা C. আরবি D. বাংলা
উত্তর:) বাংলা
14. বর্তমান যুগের যে দুই ভাষাকে লেখক বলেছেন আত্মনির্ভরশীল নয়, সে দুটি হল—
A. বাংলা, ইংরেজি B. হিব্রু, গ্রিক C. মারাঠি, কাশ্মীরি D. আবেস্তা, আরবি
উত্তর:) বাংলা, ইংরেজি
15. বর্তমান যুগের ইংরেজি ও বাংলা আত্মনির্ভরশীল নয়।” কেননা—
A. এই দুটি ভাষার নিজস্ব কোনাে শব্দভাণ্ডার নেই
B. এই দুটি ভাষা প্রয়ােজনে-অপ্রয়ােজনে অন্য ভাষা থেকে শব্দ নিয়ে থাকে
C. খুব কম মানুষ এই দুটি ভাষায় কথা বলে থাকেন
D. এই দুটি ভাষা অপেক্ষাকৃত নবীন
উত্তর:) এই দুটি ভাষা প্রয়ােজনে-অপ্রয়ােজনে অন্য ভাষা থেকে শব্দ নিয়ে থাকে
16. “আমরা আরবি ও ফার্সি থেকে প্রচুর শব্দ গ্রহণ করেছি।”—আমাদের শব্দভাণ্ডারে প্রচুর আরবি ফারসি শব্দ এসেছে—
A. ইংরেজ আমলেB. প্রাচীন যুগে
C. বিশ শতকের মধ্যভাগেD. পাঠান-মােগল যুগে
উত্তর:) পাঠান-মােগল যুগে
17. পাঠান-মােগল যুগে বাংলা ভাষায় প্রচুর আরবি-ফারসি শব্দ প্রবেশ করার কারণ—
A. তখনও বাংলার শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয়ে ওঠেনি
B. তখন আইন-আদালত ও খাজনা-খারিজের ভাষা ছিল প্রধানত আরবি ও ফারসি
C. রাজশক্তির পৃষ্ঠপােষকতা
D. আরবি-ফারসি শব্দের ধ্বনিমূর্ছনা
উত্তর:) তখন আইন-আদালত ও খাজনা-খারিজের ভাষা ছিল প্রধানত আরবি ও ফারসি
18. “… সে প্রশ্ন অবান্তর।”—যে প্রশ্নটিকে প্রাবন্ধিক অবান্তর বলেছেন, সেটি হল—
A. কীভাবে ইংরেজি থেকে ইংরেজির মারফতে অন্যান্য ভাষা থেকে শব্দ বাংলা ভাষায় এল
B. বিদেশি শব্দকে শব্দভাণ্ডারে গ্রহণ করা ভালাে না মন্দ
C. আরবি-ফারসি শব্দ বাংলা শব্দভাণ্ডারকে কতখানি সমৃদ্ধ করেছে
D. কোনাে ভাষার শব্দকে শব্দভাণ্ডারে গ্রহণ করার সময় অনুমতি নিতে হয় কি না
উত্তর:) বিদেশি শব্দকে শব্দভাণ্ডারে গ্রহণ করা ভালাে না মন্দ
19. “সে সম্বন্ধেও কারও কোনাে সন্দেহ নেই।”— যে বিষয়ে সকলেই নিঃসন্দেহ, সেটি হল—
A. বিদেশি শব্দের আগমনে শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয়
B. সংস্কৃত ভাষা যথার্থই আত্মনির্ভরশীল ভাষা
C. পৃথিবীতে কোনাে জিনিসই সম্পূর্ণ অসম্ভব নয়
D. শিক্ষার মাধ্যমরুপে ইংরেজিকে বর্জন করে বাংলা নেওয়ার পরে আরও প্রচুর ইউরােপীয় শব্দ আমাদের ভাষায় ঢুকবে
উত্তর:) শিক্ষার মাধ্যমরুপে ইংরেজিকে বর্জন করে বাংলা নেওয়ার পরে আরও প্রচুর ইউরােপীয় শব্দ আমাদের ভাষায় ঢুকবে
20. “এই দুই বিদেশি বস্তুর ন্যায় আমাদের ভাষাতেও বিদেশি শব্দ থেকে যাবে”— বিদেশি বস্তু দুটি হল—
A. আলু-কপি এবং ওষুধ B. পােশাক এবং বই
C. খাতা এবং পেন D. দর্শন এবং বিজ্ঞান পুস্তক
উত্তর:) আলু-কপি এবং ওষুধ
21. “হিন্দি উপস্থিত সেই চেষ্টাটা করছেন”—এখানে হিন্দির যে চেষ্টার কথা বলা হয়েছে, তা হল—
A. হিন্দি ভাষা থেকে বাংলা শব্দ তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা
B. হিন্দি ভাষায় ইউরােপীয় শব্দ গ্রহণ করার চেষ্টা
C. হিন্দি ভাষা থেকে আরবি, ফারসি এবং ইংরেজি শব্দ তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা
D. হিন্দি ভাষায় অনুবাদের ব্যাপক চর্চা
উত্তর:) হিন্দি ভাষা থেকে আরবি, ফারসি এবং ইংরেজি শব্দ তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা
22. ”বহু সাহিত্যিক উঠে পড়ে লেগেছেন”—কোন্ ভাষার?
A. বাংলা B. ইংরেজি C. হিন্দি D. আরবি
উত্তর:) হিন্দি
23. “আব্রু দিয়ে, ইজ্জৎ দিয়ে, ইমান দিয়ে, বুকের রক্ত দিয়ে।”—কে লিখেছেন?
A. রবীন্দ্রনাথ B. নজরুল C. বঙ্কিমচন্দ্র D. বিদ্যাসাগর
উত্তর:) রবীন্দ্রনাথ
24. ‘ইনকিলাব’, ‘শহিদ’ প্রভৃতি শব্দ বাংলায় অনায়াসে ব্যবহার করেছেন—
A. নজরুল B. বিদ্যাসাগর C. রবীন্দ্রনাথ D. বঙ্কিমচন্দ্র
উত্তর:) নজরুল
25. “সাধু রচনায় বিদেশি শব্দ ব্যবহার করতেন না”—কে?
A. রবীন্দ্রনাথ B. শরৎচন্দ্র C. বিদ্যাসাগর D. প্রেমচাঁদ
উত্তর:) বিদ্যাসাগর
26. বেনামিতে লেখা ‘অসাধু’ রচনায় ‘আরবি-ফার্সি ভাষা ব্যবহার করেছেন কে?
A. বিদ্যাসাগর B. বঙ্কিমচন্দ্র C. রবীন্দ্রনাথ D. নজরুল
উত্তর:) বিদ্যাসাগর
27. ‘নব নব সৃষ্টি’ রচনায় ‘অতিশয় নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ পণ্ডিত’ বলা হয়েছে কাকে?
A. হরপ্রসাদ শাস্ত্রীকে B. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে
C. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে D. বিদ্যাসাগরকে
উত্তর:) হরপ্রসাদ শাস্ত্রীকে
28. ‘আলাল’ বলতে কী বােঝানাে হয়েছে?
A. আলালের ঘরের দুলাল B. আলালের বন্ধু
C. আলাল একটি ভাষার নাম D. আলাল দুলাল
উত্তর:) আলালের ঘরের দুলাল
29. ‘হুতােম’ বলতে বােঝানাে হয়েছে—
A. হুতােম প্যাঁচার নক্শা B. হুতােম নামক ভাষা
C. হুতােম নামক বিড়াল D. হুতােম নামক ভদ্রলােক
উত্তর:) হুতােম প্যাঁচার নক্শা
30. হিন্দি সাহিত্যের বঙ্কিমচন্দ্র কাকে বলা হয়?
A. প্রেমচাঁদকে B. ইকবালকে C. চেতন ভগতকে D. অমিতাভ ঘােষকে
উত্তর:) প্রেমচাঁদকে
31. হিন্দি সাহিত্যে কোন সাহিত্যিক আরবি ফারসি শব্দ ব্যবহার করেছেন?
A. প্রেমচাঁদ B. ইকবাল C. চেতন ভগত D. নজরুল
উত্তর:) প্রেমচাঁদ
32. “এস্থলে আর একটি কথা বলে রাখা ভালাে” –এক্ষেত্রে লেখক যে কথা বলতে চান সেটি হল—
A. প্রেমচন্দ্র হলেন হিন্দি ভাষার বঙ্কিমচন্দ্র
B. কোনাে রচনার ভাষা কখনােই তার বিষয়বস্তুর উপর নির্ভর করে না
C. কোনাে রচনার বিষয়বস্তু তার ভাষার উপর নির্ভর করে
D. কোনাে রচনার ভাষা তার বিষয়বস্তুর উপর নির্ভর করে
উত্তর:) কোনাে রচনার ভাষা তার বিষয়বস্তুর উপর নির্ভর করে
33. শংকরদর্শনের আলােচনার ভাষা হওয়া উচিত—
A. সংস্কৃত শব্দবহুল B. হিন্দি শব্দবহুল C. আরবি শব্দবহুল D. ফারসি শব্দবহুল
উত্তর:) সংস্কৃত শব্দবহুল
34. ‘নব নব সৃষ্টি’ রচনাংশে কোন পত্রিকার সম্পাদকীয় ভাষায় গাম্ভীর্য আছে বলা হয়েছে?
A. বাঁকা চোখে B. বসুমতী C. সত্যযুগ D. আনন্দবাজার
উত্তর:) বসুমতী

35. বাংলা ভাষায় যেসব বিদেশি শব্দ প্রবেশ করেছে তার মধ্যে ইংরেজি, আরবি ছাড়া প্রধান হল—
A. ফারসি B. সিদ্ধি C. সংস্কৃত D. হিন্দি
উত্তর:) ফারসি
36. “সেগুলাে নিয়ে অত্যধিক দুশ্চিন্তা করার কোনাে কারণ নেই’—যেগুলি নিয়ে অত্যধিক দুশ্চিন্তার কারণ নেই, সেগুলি হল—
A. আরবি, ফারসি ও ইংরেজি থেকে আগত শব্দ
B. পাের্তুগিজ, ফরাসি, স্প্যানিশ থেকে আগত শব্দ
C. আরবি, ফারসি ও হিন্দি থেকে আগত শব্দ
D. সংস্কৃত ভাষা থেকে আগত শব্দ
উত্তর:) পাের্তুগিজ, ফরাসি, স্প্যানিশ থেকে আগত শব্দ
37. “… আশা করতে পারি”—প্রাবন্ধিক যে বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছেন তা হল—
A. হিন্দি অন্য ভাষার শব্দকে বর্জন করে আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠবে
B. সংস্কৃত ভাষায় বিপুল পরিমাণ ইউরােপীয় শব্দ প্রবেশ করবে
C. বাংলা ভাষায় সংস্কৃত শব্দগ্রহণ প্রক্রিয়া চলতে থাকবে
D. স্কুল-কলেজে সংস্কৃতের চর্চা উঠিয়ে দেওয়া হবে
উত্তর:) হিন্দি অন্য ভাষার শব্দকে বর্জন করে আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠবে
38. স্কুল-কলেজ থেকে যে আমরা সংস্কৃত চর্চা উঠিয়ে দিতে চাই না তার অন্যতম প্রধান কারণ—
A. বহু ছাত্রছাত্রী সংস্কৃত পড়তে আগ্রহী
B. সংস্কৃত থেকেই বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়েছে
C. বাংলাতে এখনও প্রচুর সংস্কৃত শব্দের প্রয়ােজন
D. সংস্কৃত ভাষার অস্তিত্ব রক্ষায় এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ
উত্তর:) বাংলাতে এখনও প্রচুর সংস্কৃত শব্দের প্রয়ােজন
39. কোন ভাষা চর্চা উঠিয়ে দিলে “আমরা অন্যতম প্রধান খাদ্য থেকে বঞ্চিত হবাে”?
A. হিন্দি B. ইংরেজি C. আরবি D. সংস্কৃত
উত্তর:) সংস্কৃত

40. দর্শন, নন্দনশাস্ত্র, বিজ্ঞানচর্চা, ইত্যাদির জন্য কোন্ ভাষা চর্চা একান্ত প্রয়ােজন?
A. আরবি B. হিন্দি C. ইংরেজি D. সংস্কৃত
উত্তর:) ইংরেজি

short questions – 2-3 marks of নব নব সৃষ্টি (NOBO NOBO SHRISHTI)

  1. “সংস্কৃত ভাষা আত্মনির্ভরশীল”—কেন সংস্কৃত ভাষা সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে? 

উত্তর:) লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী সংস্কৃতকে একটি স্বাধীন ভাষা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তাঁর মতে, যখন একটি নতুন চিন্তা বা আবেগ প্রকাশ করার জন্য একটি নতুন শব্দের প্রয়োজন হয় সংস্কৃত কখনই অন্য ভাষা থেকে একটি শব্দও চুরি করে না । বরং, এটি তার নিজস্ব ভান্ডারের মাধ্যমে বিদ্যমান ধাতু থেকে কোনো ছোট পরিবর্তন বা নতুন শব্দ ব্যবহার করে তৈরি করা যেতে পারে এমন কোনো ধাতু বা শব্দ আছে কিনা তা নির্ধারণ করতে চাওয়া হয়। এই কারণে সংস্কৃতকে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং স্বাধীন ভাষা হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

  1. “বিদেশি শব্দ নেওয়া ভালাে না মন্দ সে প্রশ্ন অবান্তর”— কেন লেখক এ কথা বলেছেন আলােচনা করাে।

উত্তর:) বাংলা কখনই স্বাধীন ভাষা নয়। আমরা অন্যান্য ভাষা থেকে শব্দ ধার করেছি, এটি প্রয়োজনীয় ছিল বা না ছিল, এবং প্রক্রিয়াটি এখনও চলছে। পাঠান ও মুঘল আমলে আইন আদালত ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রেক্ষাপটে অনেক আরবি ও ফারসি শব্দ গৃহীত হয়েছিল। পরবর্তীতে ইংরেজি ভাষাও এই ঋণের উৎস হয়ে ওঠে। এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো মানে হয় না কারণ পরিমাণটা অনেক বেশি। লেখক ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে বাংলাকে সরকারী শিক্ষার ভাষা হিসাবে ব্যবহার করা হলে এই প্রবণতা বাড়তে থাকবে। অতএব, বিদেশী শব্দ আমদানির যখন অনিবার্য তখন তার সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনা সম্পূর্ণ অর্থহীন।

  1. বাংলা সাহিত্যে বিদেশি শব্দ ব্যবহারের যে দৃষ্টান্ত লেখক দিয়েছেন তা নিজের ভাষায় লেখাে। 

উত্তর:) লেখক প্রখ্যাত লেখকদের মধ্যে বাংলা ভাষায় বিদেশী শব্দ যুক্ত করার প্রবণতা লক্ষ্য করেছেন। আব্রু, ইজ্জত, ইমান প্রভৃতি শব্দ ব্যবহার করতে রবীন্দ্রনাথের কোন সমস্যা ছিল না। নজরুল ইসলাম প্রায়শই “ইনকিলাব” এবং “শহীদ” এর মতো শব্দ ব্যবহার করতেন। বিদ্যাসাগর তার বেনামী লেখায় প্রায়শই আরবি ও ফারসি শব্দ ব্যবহার করতেন। পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর মতে আরবি-ফার্সির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করা ছিল ‘অহংকারী’।

  1. “রচনার ভাষা তার বিষয়বস্তুর ওপর নির্ভর করে”— লেখক কেন এ কথা বলেছেন আলােচনা করাে। 

উত্তর:) বিদেশী শব্দ বাংলা বা অন্য কোন ভাষায় গ্রহণযোগ্য কিনা তা বিতর্কিত। সেই কথোপকথনের পরিপ্রেক্ষিতে, কথক দাবি করেন যে একজন লেখকের ভাষা পছন্দের কাজটি বিষয়বস্তুর উপর অনেক বেশি নির্ভর করে। উদাহরণস্বরূপ, শঙ্করাচার্যের দর্শনের আলোচনায়, ভাষার মধ্যে সংস্কৃত প্রাধান্য পাবে। অন্যদিকে, মোগলাই রেস্তোরাঁর বর্ণনার জন্য যে ভাষাটি ব্যবহার করা হয় তা হবে “হুঁতোম”, যার অর্থ সেখানে ব্যবহৃত ভাষা প্রাধান্য পাবে। “বসুমতী”-তে সম্পাদকীয় লেখা হলে ভাষাটি গুরুতর হয়, কিন্তু “বাঁকা চোখে” শিরোনামের অংশে এটি খুবই আকর্ষণীয়।

  1. “আমরা অন্যতম প্রধান খাদ্য থেকে বঞ্চিত হব”—কোন প্রসঙ্গে কথাটি বলা হয়েছে আলােচনা করাে। 

উত্তর:) অন্যান্য ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় শব্দের আগমন নিয়ে আলোচনা করার সময় লেখক সংস্কৃতের প্রভাব সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন। যেহেতু এই জাতিতে সংস্কৃত ভাষা ব্যবহৃত হয়েছিল, সেহেতু অনেক সংস্কৃত শব্দ বাংলায় প্রবেশ করেছে, যেখানে সেগুলি আজও বিদ্যমান। যতদিন এই জাতিতে সংস্কৃত ব্যবহৃত হবে ততদিন এই গ্রহণ চলবে। স্কুল ও কলেজে সংস্কৃত শিক্ষা অব্যাহত রয়েছে কারণ বাংলায় এখনও প্রচুর সংস্কৃত শব্দের প্রয়োজন। লেখকের উদ্দেশ্যমূলক মন্তব্যটি এই প্রসঙ্গে করা হয়েছিল।

  1. “সুতরাং ইংরেজি চর্চা বন্ধ করার সময় এখনও আসেনি”—কেন লেখক এ কথা বলেছেন আলােচনা করাে।

উত্তর:) বাংলায় ইংরেজি শব্দ সম্পূর্ণ এড়িয়ে যাওয়া যায় না। বিশেষ করে দর্শনশাস্ত্র, নন্দনতত্ত্ব, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ইত্যাদিতে প্রয়োজনীয় বাংলা শব্দ নেই। উদাহরণস্বরূপ, লেখক দাবি করেছেন যে বাংলা ভাষায় এমন কোনও বই নেই যা ব্যাখ্যা করে যে কীভাবে ট্রেনের ইঞ্জিন চালানো যায়। পরিভাষার প্রয়োজনে ইংরেজি মাধ্যমে ব্যবহার করা যেতে পারে।

long questions – 5 marks of নব নব সৃষ্টি (NOBO NOBO SHRISHTI)

  1. “প্রাচীন যুগের সব ভাষাই তাই”।—কোন্ কোন্ ভাষার উল্লেখ করে লেখক কেন এরুপ বলেছেন? এ প্রসঙ্গে বর্তমান যুগের কোন্ দুটি ভাষা সম্পর্কে তিনি কী বলেছেন?

উত্তর:) সৈয়দ মুজতবা আলীর “নব নব সৃষ্টি” প্রবন্ধ থেকে উদ্ধৃত অংশ প্রসঙ্গে লেখক হিব্রু, গ্রীক, আবেস্তা এবং কিছু আধুনিক আরবি ভাষার উল্লেখ করেছেন। বেশিরভাগ প্রাচীন ভাষা নতুন জিনিস বোঝার জন্য নতুন ধারণা এবং শব্দ প্রয়োজন হলে তাদের নিজস্ব ভান্ডার থেকে শব্দ বা ধাতু ব্যবহার করে তৈরি করার চেষ্টা করেছিল। বিদেশী শব্দ ব্যবহার করা হলেও তা খুবই কম। এ কারণে লেখক প্রাচীন ভাষাগুলোকে স্বাধীন ও স্বয়ংসম্পূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন।

ভাষাগত স্বয়ংসম্পূর্ণতার আলোচনায় লেখক আধুনিক বাংলা ও ইংরেজি ভাষা তুলে ধরেছেন। অন্যান্য ভাষা থেকে নতুন শব্দ ধার করে তাদের শব্দভান্ডারের ফাঁক পূরণ করতে এবং ব্যবহারকারীদের আরও ভালোভাবে পরিবেশন করতে, ইংরেজি এবং বাংলার মতো আধুনিক ভাষাগুলি বর্তমান থাকার চেষ্টা করে। এভাবেই পাঠান-মোগল যুগে অনেক আরবি-ফারসি শব্দ বাংলা ভাষায় প্রবেশ করেছিল।

  1. “বিদেশি শব্দ নেওয়া ভালাে না মন্দ সে প্রশ্ন অবান্তর।” —মন্তব্যটির তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও।

উত্তর:) উদ্ধৃত অনুচ্ছেদটি সৈয়দ মুজতবা আলীর “নব নব সৃষ্টি” থেকে নেওয়া হয়েছে।

একটি ভাষাকে তখনই স্বয়ংসম্পূর্ণ বলা যেতে পারে যখন এটি তার নিজস্ব শব্দভাণ্ডারের ধাতু বা শব্দ দ্বারা নতুন শব্দ তৈরি করতে পারে। যাইহোক, ভাষাটি বিষয়ভিত্তিক হলে, বিদেশী শব্দ গৃহীত হলেও এটি মিষ্টি এবং অর্থপূর্ণ হয়ে ওঠে। লেখকের মতে একটি রচনার ভাষা তার বিষয়বস্তুর উপর নির্ভর করে। বাংলা ভাষা সংস্কৃত, আরবি, ফারসি এবং অন্যান্য প্রাচীন ভাষার শব্দের সাথে অস্পষ্টভাবে মিশে গেছে। শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে ইংরেজিকে পরিত্যাগ করার ফলে বাংলা তৈরি হয়েছিল কারণ বাংলা তখন ইউরোপীয় শব্দ দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছিল। বিদেশী বস্তুর মতো অসংখ্য পণ্য আমাদের দৈনন্দিন জীবনেও ব্যবহৃত হয়। একইভাবে, অন্যান্য ভাষার নতুন শব্দগুলিও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। হিন্দি লেখকরা হিন্দি ভাষাকে আরবি-ফারসি শব্দ থেকে শুদ্ধ করার চেষ্টা শুরু করেছেন। রবীন্দ্রনাথ দক্ষতার সাথে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে আরবি ও ফারসিকে একীভূত করে লিখেছিলেন, “আব্রু দিয়ে, ইজ্জত দিয়ে, ইমান দিয়ে, বুকের রক্ত ​​দিয়ে।” ফলাফল ভাল বা খারাপ হবে কিনা, লেখক ভবিষ্যতের উপর ছেড়ে দেন। আবার, নজরুল ইসলাম “ইনকিলাব,” “শহীদ” ইত্যাদি বাংলায় ব্যবহার করেছেন। যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে তা নির্ভর করে বিষয়টি কতটা গুরুতর, মার্জিত ও পরিশীলিত তার উপর। অতএব, একটি শব্দ যদি বিষয়বস্তুকে সঠিকভাবে প্রতিফলিত করতে পারে তবে তা ভাষাকেও সমৃদ্ধ করতে পারে।

  1. “ফল যদি ভালাে হয় তখন তাঁরা না হয় চেষ্টা করে দেখবেন।”—কোন্ প্রসঙ্গে লেখক এরূপ বলেছেন? বাংলা সাহিত্যিকদের নিয়ে এই প্রসঙ্গে লেখক কী বলেছেন?

উত্তর:) সৈয়দ মুজতবা আলী তার “নব নব সৃষ্টি” প্রবন্ধে হিন্দি ভাষায় বিদেশী শব্দের ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং হিন্দি ভাষার লেখকদের একটি প্রয়াস তুলে ধরেছেন। আরবি, ফার্সি এবং ইংরেজি শব্দের ভাষাকে মুক্ত করার প্রয়াসে হিন্দি সাহিত্য লেখার অঙ্গীকার করেছেন অনেক হিন্দি লেখক। তাদের প্রচেষ্টার ফলাফল ইতিবাচক বা নেতিবাচক হবে কিনা তা নির্ধারণ করার চেয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ হল তারা চেষ্টা শুরু করেছে।

সহজেই বাংলা লেখকরা ভাষায় বিদেশী শব্দ যুক্ত করেছেন। মূল ধারণাটি হল যে ভাষার বিষয়বস্তু নতুন সাহিত্যকর্মের সাথে একটি শক্তিশালী সাহিত্য সংগ্রহের বিকাশের দিকে মনোনিবেশ করবে। তাই রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, “আব্রু দিয়ে, ইজ্জত দিয়ে, ইমান দিয়ে, বুকের রক্ত দিয়ে।” আরবি ও ফারসি ভাষার সাবলীল সংমিশ্রণে নজরুল ইসলাম ও বাংলা ভাষায় শহীদ, ইনকিলাব যুক্ত করতে কোনো সমস্যা হয়নি। আরবি ও ফারসি শব্দ ব্যবহারের পাশাপাশি বিদ্যাসাগর কথ্য ভাষায় লিখতেন। পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর মতে আরবি-ফারসি শব্দের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করা বোকামি ছিল।

  1. “রচনার ভাষা তার বিষয়বস্তুর উপর নির্ভর করে।” – মন্তব্যটির তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও।

উত্তর:) অনুচ্ছেদটি সৈয়দ মজুতবা আলীর “নব নব সৃষ্টি” প্রবন্ধ থেকে নেওয়া হয়েছে। রচনাটির গাম্ভীর্য, আভিজাত্য এবং চতুরতা সরাসরি এতে ব্যবহৃত ভাষার সাথে সম্পর্কিত। নতুন শব্দ উদ্ভাবন করতে বা নতুন চিন্তাভাবনা এবং অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য নতুন বিষয় ব্যবহার করতে, বিদেশী ভাষার প্রয়োজন। প্রাথমিক শিক্ষার ভাষা হিসেবে ইংরেজি নিষিদ্ধ হওয়ার ফলে বাংলা ভাষা ক্রমবর্ধমান সংখ্যক বিদেশী শব্দ শোষণ করেছে। যাইহোক, বিদেশী শব্দের ব্যবহার কোনভাবেই লেখাটির মাধুর্য্য কমাতে পারে না যদি এটি বিষয়গত হয়।  রবীন্দ্রনাথ আরবি ও ফারসিকে উষ্ণভাবে স্বাগত জানিয়েছিলেন, যিনি মহান স্বাধীনতার সাথে লিখেছেন, “আব্রু দিয়ে, ইজ্জত দিয়ে, ইমান দিয়ে, বুকের রক্ত ​​দিয়ে।” বাংলায়, নজরুল ইসলামেরও “ইনকিলাব,” “শহীদ” ইত্যাদি শব্দ ব্যবহারে কোনো সমস্যা হয়নি। শংকরদর্শনের আভিজাত্য ও গাম্ভীর্য সংস্কৃত শব্দগুলোকে সঠিক আকারে ব্যবহারে ফুটে ওঠে। “বসুমতী” পত্রিকার সম্পাদকীয় লেখারও একটি গাম্ভীর্য আছে । যাইহোক, “বাঁকা ​​চোখে” পত্রিকার ভাষা চতুর এবং তার বিষয়ের জন্য উপযুক্ত। আরও একবার, বিজ্ঞান ও দর্শন বোঝার ক্ষেত্রে বা ট্রেনের ইঞ্জিন চালানোর ক্ষেত্রে ইংরেজির কোনো বিকল্প নেই। ফলস্বরূপ, সঠিক ভাষা ব্যবহার কার্যকরভাবে একটি বার্তা তুলে ধরে।

  1. বাংলায় যেসব বিদেশি ভাষার শব্দ ঢুকেছে তার মধ্যে কোন্ কোন্ ভাষাকে লেখক প্রধান বলেছেন? এই প্রসঙ্গে সংস্কৃত ও ইংরেজি নিয়ে লেখক কী বলেছেন?

উত্তর:) সৈয়দ মুজতবা আলীর “নব নব সৃষ্টি” বই অনুসারে, বাংলায় প্রবেশ করার জন্য সবচেয়ে সাধারণ বিদেশী শব্দগুলি হল আরবি, ফারসি এবং ইংরেজি।

সংস্কৃত ভাষা একসময় বাংলা ও ভারতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হত। এখনও স্কুল-কলেজে পড়ানো হচ্ছে সংস্কৃত। ফলে বাংলা ভাষার ওপর স্বাভাবিকভাবেই সংস্কৃতের প্রভাব পড়বে। সংস্কৃত শব্দগুলি এখনও তাদের পথ তৈরি করছে, যদিও ধীরে ধীরে, বাংলায়। বাংলার মাতৃভাষা হিসেবে সংস্কৃত আছে বলে বলা হয়, তাই যদি সংস্কৃত চর্চা বন্ধ করা হয়, তাহলে বাংলা আর একটি স্বতন্ত্র ভাষা হিসেবে বিবেচিত হবে না। লেখক ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে আমাদের প্রধান খাদ্যগুলির একটি আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হবে।

দর্শন, নন্দনতত্ত্ব, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন এবং বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে আধুনিক শিক্ষার অগ্রগতির জন্য ইংরেজি ভাষা অপরিহার্য। উদাহরণস্বরূপ, লেখক দাবি করেছেন যে বাংলায় এমন কোনও বই নেই যা ব্যাখ্যা করে যে কীভাবে ট্রেনের ইঞ্জিন চালানো যায়। ফলে বাধ্য হয়েই ইংরেজি ব্যবহার করতে হচ্ছে বাঙালিকে। অতএব, ইংরেজি শেখা শেষ করতে এখনও খুব বেশি দেরি হয়নি।

  1. লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী একবার বলেছেন আরবিফারসি ভাষা থেকে “ব্যাপকভাবে আর নতুন শব্দ বাংলাতে ঢুকবে না”, আবার একবার বলেছেন “অচলিত অনেক আরবি-ফারসি শব্দ নতুন মেয়াদ পাবে।” এই দুই উক্তির কারণ বুঝিয়ে দাও।

উত্তর:) লেখক দাবি করেছেন যে আরবি এবং ফারসি দুটি বিদেশী শব্দ যা তাদের স্থিতিশীলতা বা নতুন সৃষ্টির বৈচিত্র্যের ক্ষেত্রে বাংলা ভাষায় প্রবেশ করেছে। যদিও তরুণ বাঙালি সম্প্রদায় ক্রমশ আরবি ও ফারসি ভাষায় আগ্রহ হারাচ্ছে। তাই “এই দুই ভাষা থেকে নতুন শব্দ বড় আকারে বাংলায় প্রবেশ করবে না।” উপরন্তু, অদূর ভবিষ্যতে আরব-ইরানে জ্ঞানবিজ্ঞানের চর্চা করার খুব বেশি সুযোগ নেই। ফলে বাংলায় প্রভাব বিস্তারের সম্ভাবনাও কম।

প্রাচীনকাল থেকেই বাংলা ভাষায় আরবি-ফারসি শব্দগুলো ব্যাপকভাবে সংযোজিত হয়েছে। লেখক নিশ্চিত যে এই শব্দগুচ্ছগুলি বাংলায় দীর্ঘকাল ধরে চলবে। মধ্যযুগের চণ্ডীমঙ্গল এবং ‘হুতোম প্যাঁচার নকশা’ আরবি-ফারসি শব্দের দুটি উদাহরণ যা নতুন প্রজন্মের লেখকরা নতুন করে উদ্ভাবনের চেষ্টা করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনায় প্রাচীন বাংলা অধ্যয়নের কারণে, “অনেক অপ্রচলিত আরবি-ফার্সি শব্দ একটি নতুন মর্যাদা অর্জন করবে।”

  1. ‘নব নব সৃষ্টি’ প্রবন্ধ অবলম্বনে বাংলা ভাষার মধ্যে অন্যান্য ভাষার শব্দের প্রবেশের মাধ্যমে নতুন নতুন ভাষা ও সাহিত্য সৃষ্টি প্রসঙ্গে লেখকের বক্তব্য সংক্ষেপে বুঝিয়ে দাও।

উত্তর:) সৈয়দ মুজতবা আলী তাঁর “নব নব সৃষ্টি” প্রবন্ধে এটি ব্যাপকভাবে স্পষ্ট করেছেন যে বাংলা একটি স্বাধীন ভাষা নয়। পাঠান, মুঘল এবং ইংরেজদের সময়ে  বাংলা ভাষা কারণে অকারণে অন্য ভাষা থেকে ধার করেছে। রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের মতো লেখকরা অবাধে ব্যবহার করেছেন অন্যান্য ভাষার শব্দ। বিদ্যাসাগর যদিও তার “সাধু” রচনায় এগুলি ব্যবহার এড়িয়ে গেছেন, তবে তিনি তার ছদ্মনাম ব্যবহৃত লেখায় অবাধে আরবি ও ফারসি শব্দ ব্যবহার করেছেন। আবার, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী আরবি-ফারসির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করাকে অযৌক্তিক মনে করেছিলেন।

লেখক দাবি করেছেন যে সংস্কৃত ভাষা এখনও বাংলা ভাষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রয়োজনীয় শব্দ অনুসন্ধান এবং বিদেশী বা বহিরাগত শব্দের অনুপ্রবেশ রোধ করার জন্য এর গুরুত্ব রয়েছে। ইংরেজিতেও, তা একইভাবে বৈধ। এর কারণ হল যে বাংলা শব্দ এখনও অনেক বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে অপর্যাপ্ত। আরবি বা ফারসি থেকে নতুন শব্দ বাংলায় প্রবেশ করার কোনো সম্ভাবনা নেই কারণ এই ভাষাগুলো এখন আর এ জাতিতে বলা হয় না এবং বাংলাদেশে এগুলোর প্রতি তেমন আগ্রহ নেই। যাইহোক, ইতিমধ্যে ব্যবহৃত সমস্ত বাংলা শব্দ সাহিত্যে ব্যবহৃত হতে থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তারা যে শব্দটি ব্যবহার করে তাও পরিবর্তিত হবে।

  1. “সংস্কৃত ভাষা আত্মনির্ভরশীল।”—সংস্কৃত ভাষার আত্মনির্ভরশীলতার পরিচয় দাও। বাংলা ভাষাকে আত্মনির্ভরশীল ভাষা বলা যায় না কেন?

উত্তর:) সৈয়দ মুজতবা আলী তাঁর “নব নব সৃষ্টি” প্রবন্ধে সংস্কৃতকে আত্মনির্ভরশীল বলে উল্লেখ করেছেন কারণ, যখন একটি নতুন ধারণা, আবেগ বা বস্তুকে বর্ণনা করার জন্য একটি নতুন শব্দের প্রয়োজন হয়, তখন সংস্কৃত ধার না করে তার নিজস্ব ভাণ্ডারে তা খোঁজে।  এমন কোনো ধাতু বা শব্দ আছে কি না যা অন্য কোনো শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি করতে পারে কিনা তা খতিয়ে দেখা হয়। যদিও সংস্কৃতে কিছু বিদেশী শব্দ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তবে সেগুলো এতটাই নগণ্য যে আমরা সংস্কৃতকে আত্মনির্ভরশীল ভাষা হিসেবে উল্লেখ করলে কেউ আপত্তি করবে না।

বাংলা একটি স্বাধীন ভাষা নয় কারণ আমরা প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে অন্য ভাষা থেকে শব্দ ধার করেছি, মা এখনও চলছে। পাঠান ও মুঘল আমলে আইন-আদালত, কর-নাশক ইত্যাদির উদ্দেশ্যে অনেক আরবি ও ফারসি শব্দ গৃহীত হয়েছিল। ইংরেজ আমলে ইংরেজির সাথে অন্যান্য ভাষার শব্দও  ধার করা হয়েছিল। এই বিষয়গুলো বাংলাকে স্বাধীন ভাষা হতে বাধা দেয়।

error: Content is protected !!
Scroll to Top
×

এই ওয়েবসাইটের সব কনটেন্ট এক্সেস করুন শুধু একটা মেম্বারশীপের সাথে।  আজকেই ক্লিক করুন নিচে রেজিস্টার করার জন্যে।  অসুবিধে হলে হোয়াটস্যাপ করুন আমাদের  +919804282819