বাংলা- Bangla Language WBBSE Madhyamik Class 10 - আফ্রিকা- Aafrika

আফ্রিকা- Aafrika STUDY NOTES

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo.

আপনি এখানে শিখবেন এই অধ্যায়ে এবং বিষয়ের ফাউন্ডেশন অংশটা, এই বিষয়টিকে সহজ-সরলভাবে পড়িয়েছেন বিশেষজ্ঞ শিক্ষক ভিডিও লেকচার এর মাধ্যমে এবং এই পুরো অধ্যায়কে চার ভাগে খন্ডিত করে আপনার জন্য তৈরি করা হয়েছে

প্রথম খন্ডে আপনি শিখবেন ফাউন্ডেশন অংশটা যেখানে অধ্যায়ের ব্যাপারে আপনাকে বোঝানো হয়েছে তার মানে definitions,basics গুলো সহজভাবে. এবং এটাকে আপনি বুঝতে পারবেন যেটা আপনাকে পরীক্ষার জন্য ক্রীপের করতে সাহায্য করবে
দ্বিতীয় মডিউলে আপনি শিখবেন MCQ মাল্টিপল চয়েস কোশ্চেন যেটা সাধারণত এক Marks’er আসে পরীক্ষায়
তৃতীয় মডিউলে আপনি শিখবেন শর্ট অ্যানসার এবং কোয়েশ্চেন, যেটা আপনার পরীক্ষার সাজেশন মধ্যে পড়ে এবং এটা 3-4 marks’er প্রশ্ন আসে আপনার পরীক্ষা
চতুর্থ মডিউল আপনি শিখবেন লং আনসার এবং questions যেটা সাধারণত 5-6 marks er হয়
আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন যাতে কি আপনাকে আমরা সাহায্য করতে পারি

Here you will learn the basics of আফ্রিকা- Aafrika in a simple language it is for Bengali medium students who are studying under West Bengal Board of Secondary Education and preparing for their exam (Class 10 WBBSE) Here you will find all necessary and important WBBSE Madhyamik Suggestions, notes, solved sample question paper in Bangla along with video lectures from expert teachers

SOLVED QUESTIONS & ANSWERS of আফ্রিকা- Aafrika

1 MARKS QUESTIONS of আফ্রিকা- Aafrika

  • “কৃপণ আলাের অন্তঃপুরে”— কেন আলাে কৃপণ’? 

উত্তর –  সূর্যের আলাে আফ্রিকার ঘন অরণ্যভূমিতে প্রায় প্রবেশ করতে পারে না। তা সেখানে আলােকে কৃপণ বলা হয়েছে।

  • “কালাে ঘােমটার নীচে/অপরিচিত ছিল তােমার মানবরূপ” কীভাবে তার মানবরূপ অপরিচিত ছিল? 

উত্তর –  উপেক্ষার আবিল দৃষ্টিতে ‘আফ্রিকা’ কবিতায় ‘কালাে ঘােমটার নীচে’ মানবরুপ অপরিচিত ছিল ।

  • কোথায় ছায়াবৃতা আফ্রিকার মুখ লুকানাে ছিল? 

উত্তর –  কালাে ঘােমটার নীচে ছায়াবৃতা আফ্রিকার মুখ লুকানাে ছিল।

  • “পশুরা বেরিয়ে এল।” পশুরা বেরিয়ে এসে কী করছিল? 

উত্তর –  গুপ্ত গহ্বর থেকে পশুতুল্য সাম্রাজ্যবাদী শাসক বেরিয়ে এসে দিনের অন্তিমকাল অশুভ ধ্বনিতে ঘােষণা করেছিল।

  • “নতুন সৃষ্টিকে বারবার করছিলেন বিধ্বস্ত” — কে, কেন বিধ্বস্ত করছিলেন? 

উত্তর –  স্বয়ং স্রষ্টা নতুন সৃষ্ট বিশ্ব তথা পৃথিবীর প্রতি প্রবল ক্ষোভে তাকে বারবার বিধ্বস্ত, অর্থাৎ ভেঙে-গড়ে দেখছিলেন।

  • “রুদ্র সমুদ্রের বাহু” কেন সমুদ্রকে রুদ্র’ বলা হয়েছে? 

উত্তর –  ভৌগােলিক উপাদানগুলি, সৃষ্টিলগ্নে ততটা নিজস্বতায় পূর্ণ হয়ে ওঠেনি, সমুদ্র ছিল উত্তাল। তাই তীব্র ঊর্মিমালামুখর সমুদ্র ছিল রুদ্র।

  • কাকে প্রাচী ধরিত্রীর বুকের থেকে কে ছিনিয়ে নিয়ে গেল? 

উত্তর –  আফ্রিকাকে প্রাচী ধরিত্রীর বুকের থেকে রুদ্র সমুদ্রের বাহু ছিনিয়ে নিয়ে গেল।

  • কেন জল-স্থল-আকাশের সংকেতকে দুর্বোধ’ বলা হয়েছে? 

উত্তর –  সৃষ্টির প্রথম থেকেই প্রকৃতির কাছে মানুষ নিতান্ত অসহায়। প্রকৃতির বিচিত্র খেয়াল অনুধাবনের শক্তি না থাকায় তাকে দুর্বোধ বলা হয়েছে

  • “তােমার ভাষাহীন ক্রন্দন” –ক্রন্দন ভাষাহীন ছিল কেন? 

উত্তর –  অকস্মাৎ সাম্রাজ্যবাদীদের দ্বারা আফ্রিকা আপন সত্তার রহস্য উন্মােচনে মগ্ন আক্রান্ত হলে সে উগত ভাষাহীন ক্রন্দনে ভেসে গিয়েছিল।

  • ক’টি কবিতা ‘পত্রপুট’ কাব্যগ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণে সংযােজিত হয় ? 

উত্তর –  দু’টি কবিতা ‘পত্রপুট’ -এর দ্বিতীয় সংস্করণে সংযােজিত হয়। এর একটি হলাে আফ্রিকা। 

multiple choice questions - of আফ্রিকা- Aafrika 1 marks

1.শঙ্কাকে চাচ্ছিলে হার মানাতে

  • অতীত জাদুতে
  • বিরূপের ছদ্মবেশে
  •  দুর্গমের রহস্যে।
  • তাণ্ডবের দুন্দুভিনিনাদে

Ans-4

2.সৃষ্টিকর্তা আফ্রিকাকে যার নিবিড় পাহারায় বেঁধেছিলেন তা হলাে

  • সমুদ্রের
  • বনস্পতির
  • হিংস্র জন্তুর
  • বিদেশি সৈন্যের

Ans-2

3.“ছিনিয়ে নিয়ে গেল তােমাকে, আফ্রিকা”—কে ছিনিয়ে নিয়ে গেল?

  •  রুদ্র সমুদ্রের বাহু
  • প্রলয় সমুদ্রের বাহু
  •  ভয়ংকর সমুদ্রের বাহু
  • ক্ষুব্ধ সমুদ্রের বাহু

Ans-1

4.“কবির সংগীতে বেজে উঠেছিল।” কী বেজে উঠেছিল?

  • সুরমূছনা।
  • সুরের ঝংকার
  • সুন্দরের আরাধনা
  • রাগরাগিণী

Ans-3

5.প্রদোষ’ শব্দের অর্থ কী?

  • সন্ধ্যা 
  • ভাের
  • রাত্রি
  •  দুপুর

Ans-1

6.“মন্দিরে বাজছিল  পূজার ঘণ্টা”–‘পূজার ঘণ্টা’ কার নামে বাজছিল ?

  • শিশুদের নামে
  • আফ্রিকার নামে
  • শিবের নামে
  • দয়াময় দেবতার নামে

Ans-4

7.পঙ্কিল শব্দটির অর্থ কী?

  •  মাটি
  •  বালি
  • কর্দমাক্ত
  • প্রলেপ

Ans-3

8.সমুদ্রপারে কোথায় ঘণ্টা বাজছিল?

  • মন্দিরে
  • সভায়
  • বাড়িতে
  • উদ্যানে

Ans-1

9.কবি কীসের মাধ্যমে আরাধনা করছিলেন?

  • কবিতা
  • সংগীত
  • লেখনী
  • গ্রন্থ

Ans-2

10.পশুরা কী ঘােষণা করল?

  • দিনের অন্তিম কাল।
  • রাত্রির অন্তিম কাল।
  • সকালের অন্তিম কাল
  •  সন্ধ্যার অন্তিম কাল

Ans-1

11.সমুদ্রকে কবি কোন বিশেষণে বিশেষিত করেছেন?

  • ব্রাহ্ম
  • শৈব
  • বৈয়ব
  • রুদ্র

Ans-4

12.আফ্রিকার নিভৃত অবকাশ কোথায় ছিল?

  • আমাজন অববাহিকায়
  • কৃপণ আলাের অন্তঃপুরে
  • রহস্যময় অন্ধকারে
  • সাহারা মরুভূমিতে

Ans-2

13.তাণ্ডব কী?

  • নৃত্য
  • ভয়ংকর নৃত্য
  • প্রলয়
  • ধ্বংস

Ans-2

 

14.দুন্দুভিনিনাদ’ কীসের ছিল?

  • যুগান্তের।
  • তাণ্ডবের
  • অমানবিকতার
  • নির্লজ্জতার

Ans-2

short questions - of আফ্রিকা- Aafrika 2-3 marks

  •  “ছিনিয়ে নিয়ে গেল তােমাকে’ তােমাকে এখানে বলতে কাকে বােঝানাে হয়েছে? কোথা থেকে তাকে কে, ছিনিয়ে নিয়ে গেছে? 

উত্তরঃ তােমাকে বলতে ‘আফ্রিকা’ কবিতায় আফ্রিকা মহাদেশের কথা বােঝানাে হয়েছে। 

সৃষ্টির সূচনালগ্নে নিজের সৃষ্টির প্রতি অসন্তোষে যখন স্রষ্টা নতুন সৃষ্টিকে বারবার বিধ্বস্ত করছিলেন সেইসময়ে রুদ্র সমুদ্রের বাহু প্রাচী ধরিত্রীর বুকের থেকে আফ্রিকাকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিল।

  • “বিরূপের ছদ্মবেশে” কীভাবে সেই ছদ্মবেশ গ্রহণ করা হয়েছিল?

 অথবা 

বিদ্রুপ করেছিলে ভীষণকে” কে, কীভাবে ভীষণকে বিদ্রুপ করেছিল? 

উত্তরঃ ‘আফ্রিকা’ কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পৃথিবীর আফ্রিকাকে আস্তে আস্তে অন্য মহাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে  স্বাবলম্বী হতে দেখিয়েছেন।

বিশ্বের অন্যতম বিশাল এই ভূখণ্ড আফ্রিকা নিভৃত অবকাশে’ দুর্গমের রহস্য সংগ্রহ করেছিল । 

জল-স্থল-আকাশের ‘দুর্বোধ সংকেত’ চিনেছিল। অতীত জাদু মন্ত্র জাগাচ্ছিল আফ্রিকার ‘চেতনাতীত মনে’। 

প্রকৃতি তাকে দিয়েছিল অপার রহস্যময়তা।  তার উপর সাম্রাজ্যবাদী শক্তির আস্ফালনকে আফ্রিকা নিজেই চিনে নিতে চাইছিল।

 নিজের শঙ্কাকে হার মানাতেই ভীষণের বিরুদ্ধে সেও ভয়ংকর হয়ে উঠেছিল

  • “শঙ্কাকে চাচ্ছিলে হার মানাতে” শঙ্কাকে কে, কীভাবে হার মানাতে চাইছিল? 

উত্তরঃ ‘আফ্রিকা’ কবিতায় ‘কে’ বলতে ‘আফ্রিকার নিজের কথাই বােঝানাে হয়েছে। নিজেকে উগ্র বিভীষিকাময় তাণ্ডবে শামিল করে অবজ্ঞার অন্ধকারে বন্দি আফ্রিকা, নিজের মনােগত শঙ্কা’- কে রণবাদ্যের ভয়ানক শব্দের মাধ্যমে একটি আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করে হার মানাতে চাইছিল। 

কবির মতে বিভীষিকাই যেন হয়ে উঠেছিল এই আফ্রিকার মহিমা, যা দিয়ে যাবতীয় ভয়কে সে পরাজিত করতে চাইছিল। 

  • “উদ্ভ্রান্ত সেই আদিম যুগে”—এখানে ‘আদিম যুগ’ বলতে কী বােঝানাে হয়েছে?  কেন বারবার তখন নতুন সৃষ্টি হচ্ছিল, তা লেখাে। 

উত্তরঃ ‘আফ্রিকা’ কবিতার শুরুতেই কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘আদিম যুগ-এর প্রসঙ্গ এসেছে। সমগ্র বিশ্বজুড়ে সভ্যতার শুরুতেই প্রাণের স্পন্দন দেখা গিয়েছিল। ধর্ম-বর্ণ-জাতপাতের ভেদ-বৈষম্যহীন আদিবিশ্বকে সভ্যতার আদিম যুগ বলা হয়েছে। 

ত্রিভুবনের শ্রেষ্ঠ শিল্পী ঈশ্বর , তার সৃষ্টিকে নিয়ে তিনি কিছুতেই তৃপ্ত হতে না পারায় নতুন সৃষ্টিকেই বারবার বিধ্বস্ত করছিলেন। আফ্রিকা মহাদেশের এইরকম ভাঙা-গড়ার মধ্য দিয়েই জন্ম হয়েছিল ।

  • “অশুভ ধ্বনিতে ঘােষণা করল দিনের অন্তিমকাল”, দিনের অন্তিমকাল কারা, কখন ঘােষণা করল? 

উত্তরঃ ‘আফ্রিকা’ কবিতায় গুপ্ত গহ্বর থেকে পশুবৎ হিংস্র নরপশুরাই যখন সভ্যতার প্রলয়সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে তখন অশুভ ধ্বনিতে দিনের অন্তিমকাল ঘােষণা করল। সেসময় তারা অন্তিমকাল ঘােষণা করলে অবিশ্বাস ও ঘৃণাসঞ্জাত যুদ্ধ পরিস্থিতি পশ্চিমের দেশগুলিতে দেখা দিয়েছে ধীরে ধীরে বিদ্রোহের আগুন তার লেলিহান শিখা প্রকাশ করেছে। বিশ্ববাসীর নিঃশ্বাস ঝঞার কালাে মেঘে আটকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। 

long questions - of আফ্রিকা- Aafrika 5 marks

1.“সেখানে নিভৃত অবকাশে তুমি”—তুমি’ কে? নিভৃত অবকাশে বলতে কী বােঝানাে হয়েছে? কী সংগ্রহ করা হয়েছিল সেই অবকাশে? 

উত্তরঃ ‘আফ্রিকা’ কবিতা থেকে গৃহীত উদ্ধৃতাংশে ‘তুমি’ বলতে বনস্পতির বাঁধনে ঘেরা আফ্রিকা মহাদেশের কথা বলা হয়েছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। 

কবির মতে নিজের সৃষ্টিতে সন্তুষ্ট হতে না পেরে  স্রষ্টা তাকে গড়ছিলেন আর ভাঙছিলেন।

উত্তাল সমুদ্র পৃথিবীর বিস্তীর্ণ স্থলভাগ থেকে আফ্রিকাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় এমন এক অশান্ত মুহূর্তে এবং তাকে নিজের বাহুর বাঁধনে আবদ্ধ করে । 

সুবিশাল অরণ্যানী রুদ্র সমুদ্রের তরঙ্গ ঘেরা আফ্রিকার বুকে জেগে ওঠে । 

জগতের মধ্যে নবজন্ম লাভ করে আফ্রিকা শান্তিতে জীবন অতিবাহিত করতে থাকে। 

আফ্রিকা মহাদেশ পৃথিবীর বিস্তীর্ণ স্থলভাগ থেকে আপাতদুরে অবস্থিত | 

তার রিক্ত ভাণ্ডারকে নিভৃত অবকাশে আয়ত্ত করেছিল | 

সুপ্ত অবস্থায় থাকা কবিতা বিক ভাণ্ডারকে করে তুলেছিল সমৃদ্ধ।

2.“অপরিচিত ছিল তােমার মানবরূপ”— এখানে তােমার বলতে কার কথা বলা হয়েছে? কেন তার রূপ অপরিচিত ছিল ? সেই মানবরূপের পরিচয় দাও। 

উত্তরঃ ‘আফ্রিকা’ কবিতায় তােমার বলতে ‘আফ্রিকা  মহাদেশের কথা বলা হয়েছে | 

সৃষ্টিকর্তা সষ্টির সূচনালগ্নে নিজের সৃষ্টির প্রতি অসন্তোষে বনস্পতির ছায়াঘেরা দুর্ভেদ্য অরণ্যে প্রাচ্য ভূখণ্ড থেকে বিছিন্ন করে আফ্রিকাকে নির্বাসন দিয়েছিলেন । 

আফ্রিকার মানবরূপ অরণ্যের নিকষ কালাে অন্ধকারে ঢাকা ছিল ।

 আফ্রিকার গভীর অরণ্য ছিল । সূর্যরশ্মি সেখানে সবুজ পাতার আবরণ ভেদ করে প্রবেশ করতে পারে না। আপনার ভয়ংকর সৌন্দর্য নিয়ে সে ছিল লােকচক্ষুর অন্তরালে, অবগুণ্ঠনবতী নারীর মতােই সম্পূর্ণ অপরিচিতা। 

আফ্রিকার ভীষণাকার, কুশ্রী কৃয়াঙ্গরা পশ্চিমি দুনিয়ার সুসভ্য শ্বেতাঙ্গদের কাছে ছিল ঘৃণ্য ও অবহেলিত। তারা সাফল্য অর্জন করেছে প্রতিকূল পরিবেশের সঙ্গে কঠিন সংগ্রাম চালিয়ে। আফ্রিকার সহজসরল, অরণ্যচারী ও লড়াকু মানুষের জীবনের ইতিহাস কবি প্রত্যক্ষ করেছেন ।

3.“হায় ছায়াবৃতা”—ছায়াবৃতা বলা হয়েছে কেন ? কবি তার সম্পর্কে কী বলেছেন সংক্ষেপে লেখাে। 

উত্তরঃ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আফ্রিকা’ কবিতায় আফ্রিকাকে ‘ছায়াবৃতা’ বলা হয়েছে। ছায়াবৃতা কথার অর্থ হলাে ছায়া দ্বারা আবৃতা। আফ্রিকা সৃষ্টিলগ্ন থেকে ছিল সুগভীর অরণ্যে পরিপূর্ণা । 

কবি তাই এই অরণ্যভূমিকে ছায়াবৃতা বলেছেন। 

কালাে ঘােমটার আড়ালে ছায়াবৃতা আফ্রিকা উন্নত বিশ্বের উন্নাসিকতায় আত্মগােপন করেছিল । 

পাশ্চাত্য দুনিয়ায় আফ্রিকা Dark continent বলে পরিচিত ছিল । 

আফ্রিকার সভ্যতা সংস্কৃতি তথা জীবনধারাকে সুতীব্র বর্ণবিদ্বেষবশত শ্বেতাঙ্গ সমাজ বড়াে অবজ্ঞার চোখে দেখত। কোনাে পরিচিতি পায়নি আফ্রিকার সযত্ন লালিত মানবরুপ । তারা যেন দুর্গম, বিপদসংকুল অরণ্যভূমির ইতর প্রাণী ।

শ্বেতাঙ্গরাই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে প্রচুর খনিজ ও বনজ সম্পদের লােভে চলেআসে আফ্রিকার বুকে। আফ্রিকার সরল, নিস্পাপ মানুষগুলিকে হাতকড়ি পরিয়ে নির্লজ্জ নৃশংসতার পরিচয় দিয়ে নির্বিচার লুণ্ঠনে, হত্যাকাণ্ডে রচনা করে আতঙ্কের পরিবেশ। তাই কবি বলেছেন —

“দস্যু-পায়ের কাঁটা-মারা জুতাের তলায় 

 বীভৎস কাদার পিণ্ড 

চিরচিহ্ন দিয়ে গেল তােমার অপমানিত ইতিহাসে।” 

ছায়াবৃতা আফ্রিকা যাবতীয় আত্মসম্মান হারিয়ে লুণ্ঠিতা, কাঙালিনীতে পরিণত হয়।

4.“সভ্যের বর্বর লােভ/নগ্ন করল আপন নির্লজ্জ অমানুষ”— নির্লজ্জ অমানুষতার প্রকাশ কারা কীভাবে ঘটিয়েছিল? 

উত্তরঃ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আফ্রিকা’ কবিতা থেকে উদ্ধৃতাংশটি গৃহীত হয়েছে। এখানে ইউরােপীয় শ্বেতাঙ্গ ঔপনিবেশিকদের নির্লজ্জ অমানুষতার কথাই বলা হয়েছে। 

ইউরােপের শ্বেতাঙ্গ সভ্য ঔপনিবেশিকদের কাছে ছায়াবৃত্তা আফ্রিকার খনিজ, বনজ এবং মানবসম্পদের বার্তা পৌছালে তারা লােভে অন্ধ হয়ে ছুটে আসে। আধুনিক সমরাস্ত্রের ব্যাবহারে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, ইতালি, জার্মানি নৃশংস আক্রমণ চালিয়ে আফ্রিকা অধিকার করে। মুসােলিনি 1935 খ্রিস্টাব্দে ইতালি-আবিসিনিয়ার ওপর নির্লজ্জ আক্রমণ চালায়। আফ্রিকার সরল মানুষগুলিকে তথাকথিত সভ্য এই ঔপনিবেশিকরা লােহার হাতকড়ি পরিয়ে ক্রীতদাস হিসেবে বিক্রি করেছে। তাদের প্রাণঘাতী যুদ্ধক্ষেত্রেও পাঠিয়েছে এবং ব্যাবসার কাজে লাগিয়েছে ।  কবির ভাষায়—

“এল ওরা লােহার হাতকড়ি নিয়ে, 

নখ যাদের তীক্ষ্ণ তােমার নেকড়ের চেয়ে 

এল মানুষ ধরার দল। 

গর্বে যারা অন্ধ তােমার সূর্যহারা অরণ্যের চেয়ে।” 

আফ্রিকার ওপর ঔপনিবেশিকেরা অকথ্য পাশবিক নির্লজ্জ নির্যাতন চালিয়েছে । মাটিকে রক্তে, অশুতে কর্দমাক্ত করেছে। আফ্রিকার অরণ্যপথ ভাষাহীন ক্রন্দনে বাষ্পকুল হয়েছে ।  আফ্রিকা দস্যুদের কাটামারা জুতাের তলে বীভৎস এক কাদার পিণ্ড হয়ে উঠেছে ।

“পঙ্কিল হলাে ধূলি তােমার রক্তে অশ্রুতে মিশে | 

দস্যু-পায়ের কাটা-মারা জুতাের তলায়। 

বীভৎস কাদার পিণ্ড…………….” 

এই ঔপনিবেশিক আগ্রাসন, লুণ্ঠন ও হনন মানবতাবাদী কবির দৃষ্টিতে এক চর লজ্জাহীনতার দৃষ্টান্ত—বিশ্রীভাবে যা নগ্ন হয়েছে।

বাংলা- Bangla Language Subject WBBSE Madhyamik Class 10

error: Content is protected !!
Scroll to Top
×

এই ওয়েবসাইটের সব কনটেন্ট এক্সেস করুন শুধু একটা মেম্বারশীপের সাথে।  আজকেই ক্লিক করুন নিচে রেজিস্টার করার জন্যে।  অসুবিধে হলে হোয়াটস্যাপ করুন আমাদের  +919804282819