fbpx

বাংলা- Bangla Language WBBSE Madhyamik Class 10 - অসুখী একজন- Asukhi akjon

অসুখী একজন- Asukhi akjon- STUDY NOTES

আপনি এখানে শিখবেন এই অধ্যায়ে এবং বিষয়ের ফাউন্ডেশন অংশটা, এই বিষয়টিকে সহজ-সরলভাবে পড়িয়েছেন বিশেষজ্ঞ শিক্ষক ভিডিও লেকচার এর মাধ্যমে এবং এই পুরো অধ্যায়কে চার ভাগে খন্ডিত করে আপনার জন্য তৈরি করা হয়েছে

প্রথম খন্ডে আপনি শিখবেন ফাউন্ডেশন অংশটা যেখানে অধ্যায়ের ব্যাপারে আপনাকে বোঝানো হয়েছে তার মানে definitions,basics গুলো সহজভাবে. এবং এটাকে আপনি বুঝতে পারবেন যেটা আপনাকে পরীক্ষার জন্য ক্রীপের করতে সাহায্য করবে
দ্বিতীয় মডিউলে আপনি শিখবেন MCQ মাল্টিপল চয়েস কোশ্চেন যেটা সাধারণত এক Marks’er আসে পরীক্ষায়
তৃতীয় মডিউলে আপনি শিখবেন শর্ট অ্যানসার এবং কোয়েশ্চেন, যেটা আপনার পরীক্ষার সাজেশন মধ্যে পড়ে এবং এটা 3-4 marks’er প্রশ্ন আসে আপনার পরীক্ষা
চতুর্থ মডিউল আপনি শিখবেন লং আনসার এবং questions যেটা সাধারণত 5-6 marks er হয়
আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন যাতে কি আপনাকে আমরা সাহায্য করতে পারি

Here you will learn the basics of অসুখী একজন- Asukhi akjon in a simple language it is for Bengali medium students who are studying under West Bengal Board of Secondary Education and preparing for their exam (Class 10 WBBSE) Here you will find all necessary and important WBBSE Madhyamik Suggestions, notes, solved sample question paper in Bangla along with video lectures from expert teachers

SOLVED QUESTIONS & ANSWERS of অসুখী একজন- Asukhi akjon

1 MARKS of অসুখী একজন- Asukhi akjon QUESTIONS

  • শিশু আর বাড়িরা খুন হলাে” – কেন “শিশু আর বাড়িরা’ খুন হয়েছিল? 

উত্তর: শিশু আর বাড়িরা’  খুন হওয়ার কারণ বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ শুরু হওয়া |

  • ‘অসুখী একজন’ কবিতায় কবি যাওয়ার আগে তাকে’কী অবস্থায় ছেড়ে চলে আসেন? 

উত্তর: ‘অসুখী একজন’ কবিতায় কবি পাবলাে নেরুদা তাকে’ তথা এক নারীকল্প দেশমাতৃকাকে দরজায় পরম অপেক্ষায় দাঁড় করিয়ে রেখে চলে গিয়েছিলেন দূর থেকে দূরে।

  • পাবলাে নেরুদা রচিত ‘অসুখী একজন’ কবিতায় যুদ্ধ আসাকে কীসের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে? 

উত্তর: কবি ‘অসুখী একজন’ কবিতায় যুদ্ধ আসাকে রক্তের এক আগ্নেয়পাহাড়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।

  • “তারপর যুদ্ধ এল”— যুদ্ধ এলে কী ঘটল ? 

উত্তর: পাবলাে নেরুদা রচিত ‘অসুখী একজন’ কবিতায় উদ্ধৃতাংশটিতে দেখা যায় যুদ্ধে শিশু আর বাড়িগুলি খুন হয়, কিন্তু কবির ছেড়ে যাওয়া মেয়েটির মৃত্যু হয় না।

  • “বৃষ্টিতে ধুয়ে দিল আমার পায়ের দাগ”- এর অর্থ কী লেখ? 

উত্তর: ‘অসুখী একজন’ কবিতায়  উল্লিখিত কথাটির অর্থ প্রকৃতির নিয়মে প্রকৃতির বুকে মানুষের স্মৃতি মুছে দেওয়া।

  • “রক্তের এক আগ্নেয়পাহাড়ের মতাে।” ‘অসুখী একজন’ কবিতায় এটি কীসের উপমা ? 

উত্তর: পাবলাে নেরুদা  রচিত ‘অসুখী একজন’ কবিতায়  কবি এটি স্পেনের গৃহযুদ্ধের উপমা  দিয়েছেন।

  • “সেই মেয়েটির মৃত্যু হলাে না।” কেন হলাে না মৃত্যু? 

উত্তর: ‘অসুখী একজন’ কবিতায় কালান্তক যুদ্ধে বহু শিশু ও গৃহস্থের মৃত্যু হলেও কথকের অপেক্ষায় থাকা মেয়েটির মৃত্যু হলাে না।

  • “রক্তের একটা কালাে দাগ।” এই রক্তপাত কারণ কি? 

উত্তর:  ‘অসুখী একজন’ কবিতায় স্পেনের গৃহযুদ্ধে (১৯৩৬-৩৯) বহু মানুষ হতাহত হয়, তাই এই রক্তপাত।

  • “সব চুর্ণ হয়ে গেল, জ্বলে গেল আগুনে।” সব কী কী ? 

উত্তর: উদ্ধৃতাংশটিতে ‘সব’ বলতে গােলাপি গাছ, চিমনি, প্রাচীন জলতরঙ্গ প্রভৃতির কথা বলা হয়।

  • “আর সেই মেয়েটি আমার অপেক্ষায়।”  কি কারনে মেয়েটি অপেক্ষা করে আছে?

উত্তর: ‘অসুখী একজন’   কবিতা থেকে নেওয়া উচিত অংশটিতে বক্তার সঙ্গে মেয়েটির সম্পর্ক প্রেমিক-প্রেমিকার, তাই সে বক্তার অপেক্ষায় থাকে।

multiple choice questions - of অসুখী একজন- Asukhi akjon 1 marks

1.অসুখী একজন কবিতাটি তর্জমা করেছেন

  1.  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
  2. কাজী নজরুল ইসলাম 
  3. নবারুণ ভট্টাচার্য
  4. সুকান্ত ভট্টাচার্য

Ans-3

2.নেমে এল তার মাথার উপর কী নেমে এল?

  1. মেঘ
  2. মাস
  3. বছর
  4.  দিন

Ans-3

3.‘আমি’ কোথায় ঘুমিয়েছিলাম ?

  1. ঝুলন্ত বিছানায়
  2. নাটমন্দিরে
  3. গাছের ছায়ায়
  4. রাস্তায়।

Ans-1

4.“তারপর যুদ্ধ এল”—এখানে কোন যুদ্ধের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন কবি?

1.প্রথম বিশ্বযুদ্ধ

2.দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ

3.ভারত-চিন যুদ্ধ

4.স্পেনের গৃহযুদ্ধ

Ans-4

5.“হেঁটে গেল গির্জার এক ।” (শূন্যস্থান পূরণ)

  1. পুরােহিত
  2. মৌলবি
  3. নান 
  4. সন্ন্যাসী

Ans-3

6.অপেক্ষায় দাঁড় করিয়ে রেখে কোথায় দাঁড় করিয়ে রাখে ?

  1. দরজায় 
  2. রাস্তায়
  3. বাড়িতে
  4. লাইব্রেরিতে

Ans- 1

7.অসুখী একজন’ কবিতায় কবি কোথায় চলে গেছেন?

  1. কাছে
  2. বাইরে
  3. বারান্দায় 
  4. দূরে

Ans-4

8.”একটা কুকুর চলে গেল, হেঁটে গেল গির্জার এক নান” এরপর কত বছর কেটে যায় ? 

  1.  চার বছর
  2.  তিন বছর 
  3.  দুই বছর 
  4. এক বছর

Ans-4

9.“বছরগুলাে নেমে এল তার মাথার ওপর।”

  1. বৃষ্টির মতাে
  2. পাথরের মতাে
  3. তুষারপাতের মতাে
  4. পরির মতাে

Ans-2

short questions - of অসুখী একজন- Asukhi akjon 2-3 marks

  1. “একটা কুকুর চলে গেল, হেঁটে গেল গির্জার এক নান/একটা সপ্তাহ আর একটা বছর কেটে গেল।” বক্তা এই বর্ণনার মধ্য দিয়ে কী বোঝাতে চেয়েছেন? 

উত্তর: কবি পাবলো নেরুদা রচিত ‘অসুখী একজন’ কবিতায় এই উক্তির মধ্য দিয়ে কথা বোঝাতে চেয়েছেন সময় কখনো থেমে থাকে না, সময় প্রবাহমাণ। কোনাে একজনের অনুপস্থিতিতে জীবনের গতি থেমে যায় না । প্রতিদিনের সাধারণ ঘটনাগুলি ঘটে চলে নির্দিষ্ট নিয়মে। রাস্তা দিয়ে যেমন কুকুর চলে যায়, তেমনি হেঁটে যায় গির্জার নান। অর্থাৎ সমস্ত স্মৃতি চিহ্নটুকু প্রবহমান সময় দ্বারা মুছে যায়। 

2.“ধুয়ে দিল আমার পায়ের দাগ” – কে ধুয়ে দিল? একথার মধ্য দিয়ে কবি কী বােঝাতে চেয়েছেন? অথবা, এর তাৎপর্য কী? 

উত্তর: কবি পাবলাে নেরুদার ‘অসুখী একজন’ কবিতায় কবির পায়ের দাগ ধুয়ে দিল বৃষ্টির জল। কখনাে কখনাে বৃহত্তর সমাজ ও পৃথিবীর দাবি মানুষকে ঘর ছাড়তে বাধ্য করে অগ্নিগর্ভ ভয়ানক বিপ্লবের পথকেই সে নিজের পথ বলে ভেবে পা বাড়ায়। সে চেনা পৃথিবী, প্রিয় মানুষ সব কিছুকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যায় চূড়ান্ত সংগ্রামের লক্ষ্যে। মানুষটির স্মৃতি সাংসারিক পৃথিবীতে ক্রমশ ধূসর হয়ে যায় । প্রশ্নোপ্ত মন্তব্যে কবি একথাই বলেছেন।

3.অসুখী একজন’ কবিতায় কবির স্বপ্নবিজরিত বাড়ির পরিবেশটি কেমন ছিল?

 অথবা, “সেই মিষ্টি বাড়ি, সেই বারান্দা, মিষ্টি বাড়িটির পরিবেশ কেমন ছিল? 

অথবা, “যেখানে আমি ঝুলন্ত বিছানায় ঘুমিয়েছিলাম,” কবি যেখানে ঘুমিয়েছিলেন সেখানকার পরিবেশ কেমন ছিল?  

উত্তর: চিলিয়ান কবি পাবলাে নেরুদা রচিত অসুখী একজন’ কবিতায় কবি তার স্বপ্নবিজরিত বাড়ির সুন্দর পরিবেশ ফুটিয়ে তুলেছেন। কবির মিষ্টি বাড়িটির বারান্দায় ছিল ঝুলন্ত বিছানা, যেখানে তিনি ঘুমাতেন। বারান্দার পাশে ছিল ছড়ানাে করতলের মতাে পাতা, গােলাপ গাছ, চিমনি এবং প্রাচীন জলতরঙ্গ।

4.“সেই মেয়েটির মৃত্যু হলাে না।” এখানে কোন মেয়েটির  কথা বলা হয়েছে, কেন মৃত্যু হলাে না? 

উত্তর: কবি পাবলাে নেরুদা রচিত ‘অসুখী একজন’ কবিতায় কথকের প্রতীক্ষায় দরজায় বছরের পর বছর দাঁড়িয়ে থাকা প্রিয়তমা মেয়েটির কথা বলা হয়েছে। দেশে যুদ্ধ বাধলে  সভ্যতা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপকতা বাড়ে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ মরতে মরতে বেঁচে থাকে। কিন্তু মেয়েটির মৃত্যু ঘটে না। কারণ সে ভালােবাসা অমর চিরঞ্জীবী তাই তার কখনাে মৃত্যু হয় না।

5.“রক্তের একটা কালাে দাগ।” কেন রক্তের একটা কালাে দাগ হলাে? 

উত্তর: চিলিয়ান কবি পাবলাে নেরুদার লেখা ‘অসুখী একজন’ কবিতায় ফুটে উঠেছে এক যুদ্ধময় সময় এর ছবি। যুদ্ধ’ শব্দের মধ্যেই লুকিয়ে আছে হানাহানি, কাটাকাটি। স্বাভাবিকভাবে লাল রক্তের স্রোত বয়েই চলে রাজপথে, অলিতে-গলিতে। সেই গাঢ় রক্ত যখন শুকিয়ে যায় তখন  তা কালো হয়ে যায়।

long questions - of অসুখী একজন- Asukhi akjon 5 marks

  • “আমি তাকে ছেড়ে দিলাম”—আমি’-র বেদনা অসুখী একজন’ কবিতায় কীভাবে চিত্রিত হয়েছে? 

উত্তর: দক্ষ রাজনীতিবিদ ও কবি পাবলাে নেরুদার ‘Extravagaria’ গ্রন্থ থেকে গৃহীত ও নবারুণ ভট্টাচার্য অনূদিত ‘অসুখী একজন’ কবিতা থেকে উদ্ধৃতাংশটি নেওয়া হয়েছে। 

এখানে ‘আমি’ হলেন কবিতার কথক। 

আলােচ্য কবিতায় কথক গৃহযুদ্ধে অংশ নেওয়ার সময় তার প্রিয়তমা কে অপেক্ষায় রেখে গিয়েছিলেন। বিচ্ছেদের বেদনা তাঁকে কাতর করেছিল। ফিরে আসতে না পারায় সেই বেদনা আরও ঘনীভূত হয়। 

অথচ সময়ের স্রোতে সপ্তাহ ঘুরে বছর আসে এবং এভাবেই একসময় মুছে যায় তাঁর পদচিহ্ন –

                    

 “বৃষ্টিতে ধুয়ে দিল আমার পায়ের দাগ 

   ঘাস জন্মালাে রাস্তায়।” 

তারপর একদিন ভয়াবহ যুদ্ধ আসে। কথকের সুন্দর আশ্রয় বাড়ি,  গােলাপি গাছ, বারান্দা, প্রাচীন জলতরঙ্গ সব চূর্ণ হয়ে জ্বলে গেল আগুনে। 

দোমড়ানাে লােহা, ভাঙা মূর্তি, রক্তের দাগে শহর জুড়ে ধ্বংসের চিহ্ন ছড়িয়ে রইল। 

আর সেই মেয়েটি এই ধ্বংসের মধ্যেও কথকের ফিরে আসার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে। 

কথক জানেন তিনি হয়তাে কোনােদিনই ফিরতে পারবেন না তাঁর প্রিয়তমা নারীটির কাছে। 

নারীটির অপেক্ষার মতাে কথকের অন্তরেও বেদনা বিরাজ করতে থাকল। 

এভাবেই আলােচ্য কবিতায় আমির বেদনা অংকন করা হয়েছে।

  • ‘অসুখী একজন’ কবিতায় কে, কেন অসুখী তা কবিতা অবলম্বনে বুঝিয়ে দাও।

উত্তর: দক্ষ রাজনীতিবিদ ও কবি পাবলাে নেরুদার ‘Extravagaria’ গ্রন্থ থেকে গৃহীত ও নবারুণ ভট্টাচার্য অনূদিত ‘অসুখী একজন’ কবিতা থেকে উদ্ধৃতাংশটি নেওয়া হয়েছে।

কবিতায় অসুখী হলাে অপেক্ষারত মেয়েটির রূপকে সমগ্র স্বদেশ তথা মানবতা। তাছাড়াও অপরদিকে অসুখী একজনটি আসলে স্বয়ং কবি তথা কবিতার কথক। 

সুখ ও দুঃখ হলাে মনের একপ্রকার ভাব। সংসার জগতে প্রতিটি মানুষ সুখ প্রত্যাশী। 

মানুষ তার ইচ্ছানুযায়ী সুখ বা দুঃখ অনুভব করে। কবি তার ইচ্ছানুযায়ী মনের ভাবগুলি পাননি। 

তাই কবিতার প্রথমেই বললেন—               

“আমি তাকে ছেড়ে দিলাম 

অপেক্ষায় দাঁড় করিয়ে রেখে দরজায়  

আমি চলে গেলাম দূর…দূরে।”    

কবির এই উক্তিতেই বােঝা যায় তিনি মনের দিক থেকে অনেকটাই দুঃখী ছিলেন।

অসুখী সেই মেয়েটিও। মেয়েটি আসলে কথকের মাতৃভূমি, প্রেম ও মানবতার প্রতীক। 

প্রিয়জনের জন্য দীর্ঘ অপূর্ণ প্রতীক্ষা, বিচ্ছেদ, বেদনা আর যুদ্ধের বীভৎসতার কারণে সে অসুখী। 

বিপরীত দিক থেকে বিচার করলে কবিতার কথককেও অসুখী বলা যায়। তিনি প্রিয় নারী তথা ভালােবাসার বাসভূমি ছেড়ে চলে গেছেন দূরে, আর কোনােদিন ফিরতে পারেননি। 

যুদ্ধে ধ্বংস হয়ে গেছে তার মিষ্টি বাড়ি, নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে থাকার সেই বারান্দা, বিধ্বস্ত হয়ে গেছে তাঁর স্মৃতির শহর তথা স্বদেশ।

বিরহ, বেদনা তাকে জর্জরিত করেছে। তাই তিনি অসুখী।

  • “শিশু আর বাড়িরা খুন হলাে । সেই মেয়েটির মৃত্যু হলাে না। মেয়েটি কে? কোন প্রসঙ্গে এই বক্তব্য? বক্তব্যটির তাৎপর্য লেখাে। 

অথবা, আর সেই মেয়েটি আমার অপেক্ষায় মেয়েটি কে? উক্তিটির দ্বারা কবি কী বোেঝাতে চেয়েছেন?

উত্তর:  দক্ষ রাজনীতিবিদ ও কবি পাবলাে নেরুদার ‘Extravagaria’ গ্রন্থ থেকে গৃহীত ও নবারুণ ভট্টাচার্য অনূদিত ‘অসুখী একজন’ কবিতা থেকে উদ্ধৃতাংশটি নেওয়া হয়েছে। মেয়েটি হলাে কবির প্রিয়তমা। 

দরজার সামনে অনন্ত প্রতীক্ষায় দাঁড়িয়ে কবির প্রিয়তমা। কবি তাকে দাঁড় করিয়ে চলে এসেছিলেন। 

দূরে চলে যাওয়ায় কবি সেখান থেকে ফিরতে পারেননি। কবির কর্মতৎপরতা এতটাই বিস্তৃতি পেয়েছিল যে সেই দায়বদ্ধতা থেকে তিনি পিছিয়ে আসতে পারেননি। 

কবির প্রিয়তমা অবশ্য কখনােই অনুমান করেনি যে কবি আর কখনােই ফিরে আসবেন না। 

সময়ের স্রোতস্বিনী ধারায় অপেক্ষার বছরগুলি কেটে যায়। বৃষ্টির ধারা। কবির পথচলা পায়ের চিহ্ন মুছে দেয়। ঘাস জন্ম নেয় পথের বুকে। 

একের পর এক অনড় পাথরের মতাে বছরগুলাে চেপে বসে কবির প্রিয়তমার বুকে। 

বাতাসে বারুদের গন্ধ, যুদ্ধবাজ দেশগুলি মারণ অস্ত্র নিয়ে এগিয়ে আসে। 

বিশ্বজুড়ে যুদ্ধের দামামা বাজে। তাদের হাত থেকে শিশুরাও রক্ষা পায় না। ঘরবাড়ি-মাঠ-মন্দির সবকিছু ভেঙে তছনছ হয়ে যায়। 

কবি লেখেন, সেই সর্বাত্মক ধ্বংস ও মৃত্যুপুরীর মধ্যেও তাঁর প্রিয়তমা অনন্ত প্রতীক্ষা নিয়ে বেঁচে থাকে। 

সমস্ত ভাঙনের মধ্যে কবিপ্রিয়া হয়ে ওঠে একমাত্র প্রাণের প্রতীক। 

যুদ্ধের বিধ্বংসী আগ্নেয় অস্ত্রে মন্দিরের দেবতা পর্যন্ত মন্দির থেকে বেরিয়ে এল বাইরে; কবির স্বপ্নের বাসভূমি যেন চূর্ণ হয়ে গেল, জ্বলে গেল গুনে।

তখনও সেই মেয়েটি, অসম্ভব প্রাণশক্তি নিয়ে কবির প্রতীক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকে।

  • “যেখানে ছিল শহর/সেখানে ছড়িয়ে রইল কাঠকয়লা।”- “অসুখী একজন” কবিতা অবলম্বনে শহরের এই পরিণতি কীভাবে হলাে লেখাে। 

উত্তর: দক্ষ রাজনীতিবিদ ও কবি পাবলাে নেরুদার ‘Extravagaria’ গ্রন্থ থেকে গৃহীত ও নবারুণ ভট্টাচার্য অনূদিত ‘অসুখী একজন’ কবিতা থেকে উদ্ধৃতাংশটি নেওয়া হয়েছে। 

যুদ্ধের ভয়ংকর অবস্থা বােঝাতে আলােচ্য পঙক্তিগুলি ব্যবহার করেছেন। 

কবিতার কথক তার প্রিয়তমা নারীকে দরজায় দাঁড় করিয়ে রেখে দূরে চলে যেতে বাধ্য হলেন। অপেক্ষারত নারীটি জানত না তিনি আর ফিরে আসবেন না। 

অনেকদিন ত দাগ ধুয়েছে, আর তারই সঙ্গে কঠিন পাথরের নেমে আসে। 

এর পর যুদ্ধ শুরু হলাে দেশে।

 যুদ্ধের ভয়ংকরতা পাহাড়-পর্বত ছাড়িয়ে তে আগুন ধরিয়ে দিল এবং শিশু সহ অনেক মানুষ খুন হলাে। 

হাজার ধরে যেসব দেবতা ধ্যানমগ্ন ছিল তারা টুকরাে টুকরাে হয়ে উল্টে পড়ল মন্দির থেকে। কথকের ঝুলন্ত বিছানা, গােলাপি গাছ, চিমনি, প্রাচীন জলতরঙ্গ সব চুর্ণ হয়ে জলে গেল আগুনে। সেই যুদ্ধ এমনই ‘মর্মান্তিক রূপ নিল যে শান্ত সুন্দর গতিশীল শহর পরিণত হলাে শশানভূমিতে। সব জায়গায় শ্মশান ভূমির মতো কাঠ-কয়লা পড়ে থাকতে দেখা যায় |

  • “তারপর যুদ্ধ এল”— তারপর’ বলতে কী বােঝানাে হয়েছে? যুদ্ধ কীভাবে ঘটল? যুদ্ধ এলে কী কী ঘটল ? 

অথবা, “তারপর যুদ্ধ এল/রক্তের এক আগ্নেয়পাহাড়ের মতাে”— তারপর বলতে কী বােঝানাে হয়েছে? যুদ্ধকে ‘রক্তের আগ্নেয়পাহাড়’ বলা হয়েছে কেন?  

অথবা, অসুখী একজন’ কবিতাটির মূল বিষয়বস্তু লেখাে।

উত্তর: কবি পাবলাে নেরুদার লেখা ‘অসুখী একজন’ কবিতায় কবি তার প্রিয়তমাকে দরজায় দাঁড় করিয়ে রেখে অনেক দূরে চলে গেছেন। 

ধীরে ধীরে বৃষ্টি এসে কবির পায়ের দাগ ধুয়ে দিয়েছে, রাস্তায় নতুন ঘাস জন্মেছে। 

কবির দূরে যাওয়ার পর তার প্রিয়তমার মাথার উপর পাথরের মতাে বছরগুলি নেমে এসেছে। 

এভাবে একটার পর একটা বছর কেটে যাওয়ার পর যে ভয়ংকর যুদ্ধ এর আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে, সেকথা বােঝাতে গিয়েই কবি ‘তারপর’ কথাটি ব্যবহার করেছেন। 

কবির প্রিয় স্বদেশভূমি রক্তে রাঙা হয়ে উঠেছিল। এজন্য কবির কাছে যুদ্ধ ছিল “রক্তের এক আগ্নেয়পাহাড়ের মতাে।” 

যুদ্ধের সেই রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে শিশু ও সাধারণ মানুষকে। 

বাড়িঘর সবই যুদ্ধের তাণ্ডবে ধ্বংস হয়েছিল। ধ্যানমগ্ন দেবতাদের প্রতিকৃতি উল্টে পড়ে ভেঙে টুকরাে টুকরাে হয়ে যায়। 

যুদ্ধের রােষানল থেকে বাদ পড়ল না কবির প্রিয় সুন্দর বাড়ি এবং বারান্দার ঝুলন্ত বিছানা, গােলাপি গাছ, চিমনি, প্রাচীন জলতরঙ্গ পর্যন্ত।  তাই তিনি বললেন –

“যেখানে ছিল শহর 

সেখানে ছড়িয়ে রইল কাঠকয়লা। 

দোমড়ানাে লােহা, মৃত পাথরের মূর্তির বীভৎস মাথা 

রক্তের একটা কালাে দাগ | 

কবির স্মৃতিচিহ্নগুলি চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। 

সমস্ত ক্ষতির মাঝে “রক্তের একটা কালাে দাগ” মানুষের মনকে সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত করে দেয়। 

এভাবেই কবির বর্ণনায় পাঠ্য কবিতায় যুদ্ধের মর্মান্তিক পরিণতি ফুটে উঠেছে। 

আর কবির জন্য দরজায় অপেক্ষারত নারীটিকে তেমনই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেল। 

“তারপর যুদ্ধ এল”—যুদ্ধ কীসের মতাে এল? পাঠ্য কবিতায় যুদ্ধের যে মর্মান্তিক পরিণতি উঠে এসেছে তা নিজের ভাষায় লেখাে৷

উত্তর: যুদ্ধের মর্মান্তিক ও বীভৎসতা পরিণতি : ‘অসুখী একজন’ কবিতাটিতে কবি একদিকে দেশের বুকে সংঘটিত যুদ্ধের কথা এবং অন্যদিকে কবির প্রিয়তমা এক নারীর ভালােবাসা তথা স্বদেশ মাতৃকার কথা ব্যক্ত করেছেন।
কবির দেশে যুদ্ধ শুরু হওয়ায় তার চিত্ত অত্যন্ত ব্যাকুল হয়ে পড়েছিল।
কবি যুদ্ধের ভয়ানক অবস্থাকে ফুটিয়ে তােলার জন্যেই কবিতাটিতে রক্তের ‘আগ্নেয় পাহাড়’ পদগুচ্ছ ব্যবহার করেছেন।
যুদ্ধের ফলে কবির ঝুলন্ত বিছানা আগুনে জ্বলে গেল। ছাই হয়ে গেল গােলাপি গাছ।
ছড়ানাে করতলের মতাে পাতা, চিমনি, প্রাচীন জলতরঙ্গ চূর্ণ হয়ে গেল।যুদ্ধের ফলে শিশু-বুড়াে সব রক্তাক্ত হলাে, সমতলভূমিতে আগুন ধরে গেল।
হাজার বছর যেসব দেবতা ধ্যানমগ্ন ছিল, তারা টুকরাে হলাে।
যেখানে কাঠকয়লা ছড়িয়ে ছিল, সেখানে দেখা গেল মৃত পাথরের বীভৎস মাথা।
চোখের সামনে ভাসতে লাগল জমাটবাঁধা রক্তের কালাে দাগ। কবির জন্য দরজায় অপেক্ষারত সেই মেয়েটিকে তেমনি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেল।
তার প্রিয় স্বদেশভূমি রক্তে রাঙা হয়ে উঠেছিল।
এজন্য কবির কাছে যুদ্ধ ছিল “রক্তের এক আগ্নেয় পাহাড়ের মতাে।”

যুদ্ধের তাণ্ডবে বাড়িঘর সবই ধ্বংস হয়েছিল।
যুদ্ধের সেইরক্তক্ষয়ী সংগ্রামে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে শিশুর ও সাধারণ মানুষকে।
ধ্যানমগ্ন দেবতাদের প্রতিকৃতি উল্টে পড়ে ভেঙে টুকরাে টুকরাে হয়ে যায়। যুদ্ধের রােষানল থেকে বাদ পড়ল না কবির প্রিয় সুন্দর বাড়ি |

তাই তিনি বললেন –
“যেখানে ছিল শহর
সেখানে ছড়িয়ে রইল কাঠকয়লা।
দোমড়ানাে লােহা, মৃত পাথরের মূর্তির বীভৎস মাথা
রক্তের একটা কালাে দাগ।”

সমস্ত ক্ষতির মাঝে “রক্তের একটা কালাে দাগ” মানুষের মনকে সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত করে দেয়।
কবির স্মৃতিচিহ্নগুলি চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়।
আর কবির জন্য দরজায় অপেক্ষারত নারীটিকে তেমনই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেল।
এভাবেই কবির বর্ণনায় পাঠ্য কবিতায় যুদ্ধের মর্মান্তিক পরিণতি ফুটে উঠেছে।

“তারা আর স্বপ্ন দেখতে পারল না।”— তারা কারা? কোন স্বপ্ন দেখতে তারা ব্যর্থ হলাে এবং কেন?
অথবা, “তারা আর স্বপ্ন দেখতে পারল না।”—মন্তব্যটি ব্যাখ্যা করাে।

উত্তর: দক্ষ রাজনীতিবিদ ও কবি পাবলাে নেরুদার ‘Extravagaria’ গ্রন্থ থেকে গৃহীত ও নবারুণ ভট্টাচার্য অনূদিত ‘অসুখী একজন’ কবিতা থেকে উদ্ধৃতাংশটি নেওয়া হয়েছে।
হাজার হাজার বছর ধরে মন্দিরে ধ্যানমগ্ন শান্ত হলুদ দেবতাদের কথা বলা হয়েছে।

আলােচ্য কবিতায় শান্ত হলুদ দেবতারা বিশ্ববিধানকে নিয়ন্ত্রণ করার স্বপ্নে বিভাের হয়ে হাজার হাজার বছর মন্দিরে ধ্যানমগ্ন ছিল।
কিন্তু দেবতাদের এই স্বপ্ন ব্যর্থ হয়েছে।
‘অসুখী একজন’ কবিতায় যুদ্ধ ‘রক্তের এক আগ্নেয়পাহাড়ের মতাে বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছে। ফলে শিশুমৃত্যু থেকে শুরু করে সমতলে আগুন ধরে যায়।
যুদ্ধের এই ভয়াবহ অবস্থার কারণে হাজার হাজার বছর ধরে ধ্যানমগ্ন শান্ত হলুদ দেবতারা বিশ্ববিধানকে নিয়ন্ত্রণ করার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে পারেনি, তারা টুকরাে টুকরাে হয়ে ভেঙে পড়েছে।

কবিতাংশটিতে কবির দেবতাদের প্রতি ব্যঙ্গবিদ্রুপ প্রকাশিত হয়েছে।
যুদ্ধের তাণ্ডবে মানুষের মৃত্যু রুখতে দেবতারা শক্তিহীন।
জড়বস্তুর মতাে চুর্ণবিচূর্ণ। যুদ্ধের ভয়াবহতায় দেবতারাও মানুষের মতাে অস্তিত্বহীন, তারা নির্বিকার, নিষ্ক্রিয়, অসাড়। দেবতাদের ভেঙে পড়া আসলে দৈবশক্তির প্রতি মানুষের বিশ্বাসের মৃত্যু। কবির এই মনােভাব উদ্ধৃতাংশটিতে ফুটে উঠেছে।

বাংলা- Bangla Language Subject WBBSE Madhyamik Class 10

error: Content is protected !!
Scroll to Top

আজকেই কেনো পরীক্ষার শর্ট নোটস

এখন সহজে পরীক্ষার প্রস্তুতি নাও – আজকেই ডাউনলোড করো পিডিএফ বা বই অর্ডার করো আমাজন বা ফ্লিপকার্ট থেকে